![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আত্মকেন্দ্রিক, একা থাকতে খুব ভালো লাগে এবং একাকীত্ব আমি দারুণ ভালবাসি এবং উপভোগ করি ।
আমার ছেলেটা না বড় হয়ে ডাক্তার হবে আর মেয়েটা হবে ইঞ্জিনিয়ার। বাবা তুমি বড় হয়ে কি হবে?
আম্মু ডাক্তার হব
-মা তুমি বড় হয়ে কি হবে?
ইঞ্জিনিয়ার।
আসলে এটা আমাদের দেশের বেশীরভাগ বাবা মার আশা যে তাদের সন্তান বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হোক। কিন্তু আমাদের সন্তানরা কি হতে চায় অনেক বাবা মা তাদের কে জিজ্ঞাসা করেনা। বাবা মার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিধান্ত। বাবা মা সন্তানের সব সময় মঙ্গল কামনা করে ইহা ১০০% সত্যি তারপরও অনেক সময় সন্তানের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হয়। কারন সবার দ্বারা সব কিছু সম্ভব নয়।
আমি আমাকে দিয়েই উদাহরণ শুরু করি। আমাদের বংশের বেশীরভাগ ছেলেমেয়ে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষাতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করা। তাও আবার খাঁটি বিজ্ঞান হতে হবে জেনারেল ম্যাথের সাথে অ্যাকাউন্টিং থাকলে হবে না হায়ার ম্যাথ থাকতে হবেই। নাহলে পিউর সাইন্স হবেনা।
আমি ভাই সত্যি বলি ফিজিক্স আর ক্যামেস্ট্রির নাম শুনলে আমার গায়ে জ্বর আসে এখনো। ম্যাথে আমি কিছুটা ভালো। তারপরও আমাকে পিউর সাইন্স নিয়ে স্কুল পাশ করতে হয়। ফলাফল আহামরি কিছু নয়। গৎবাঁধা ফলাফল।
আরো একটা উদাহরণ দিচ্ছি, তবে দেশী না বিদেশী। ইউরোপের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক তার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলো তুমি কি নিয়ে পড়তে চাও। মেয়ের উত্তর সে হেয়ার ড্রেসিং এর উপর পড়তে চায়। বাবার উত্তর ওকে ক্যারি অন। বাহিরের দেশে কাজের সন্মান আছে সে যে কাজ হোক না কেন।
আসলে চাপিয়ে দেওয়া সিন্ধান্ত অনেক সময় ফলপ্রসু হয়না। এতে হিতে বিপরীত হয়। যার বিজ্ঞানে সমস্যা আছে সে যদি কমার্স ভালো বুঝে তাহলে সে কমার্সের যে কোন বিষয় নিয়ে পড়বে। আবার কেউ যদি এগুলোর একটাতেও ভালো না হয় তাহলে আর্টস এ চলে যাবে।
সবাই যদি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয় তাহলে অন্যান্য প্রফেশনগুলোতে কে জব করবে। বাবা মার উচিৎ সন্তানের মেধার উপর ভিত্তি করে অথবা সে যে বিষয়ে পড়াশুনা করতে উৎসুক তাকে সে বিষয়ে পড়াশুনা করতে দেওয়া।
©somewhere in net ltd.