নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়েরি

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

আত্মকেন্দ্রিক, একা থাকতে খুব ভালো লাগে এবং একাকীত্ব আমি দারুণ ভালবাসি এবং উপভোগ করি ।

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি করিলে শহীদ আনোয়ারা পার্কটি রক্ষা পাবে ?

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

এই ইট পাথর কংক্রিটের শহরে সবুজের দেখা পাওয়াটাই অনেক কষ্টের যেন মরুভূমির মধ্যে পথহারা পথিকের হঠাৎ করে পানি খুঁজে পাওয়ার মত। চারিদিকে তাকালেই দেখতে পাই সুরম্য অট্টালিকা। প্রকৃতিকে হত্যা করে কে কার চেয়ে বড় বাড়ি বানাবে এই চিন্তাতেই অস্থির। তারপরও যদি সবুজের দেখা মেলে তাহারও বেহাল দশা। বেশিদূর যাবোনা আমি আজকে তেজগাঁও এর অক্সিজেন বলে খ্যাত ফার্মগেট পার্কটির দুর্দশা নিয়ে কিছু কথা বলবো। কারো কাছে এটি ইন্দিরা পার্ক আবার কারো কাছে শহীদ আনোয়ারা পার্ক বলে পরিচিত। একদা এই পার্ক ছিলো সবুজের সমারোহ।

তেজগাঁও বর্তমানে শের বাংলা নগর থানার যেকোন এক এলাকাতে আমার বেড়ে উঠা। তাই এই পার্কটির সাথে আমার শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িত। ছোটবেলাতে আমাদের খেলার মাঠ বলতে ছিল এই পার্কটি। হা আপনারা বলতে পারেন আমাদেরও দোষ আছে আমাদের খেলাধুলার কারনে এখানে অনেক গাছ উপড়ে গিয়েছে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিন্তু আমরা ছিলাম নিরুপায়। বড়দের দখলে থাকা মাঠগুলাতে তাদের সাথে না পেরে আমাদের শেষ ভরসাস্থল ছিল এই মাঠটি।

বর্তমানে এই পার্কটির অবস্থা আগের চেয়ে আরো বেহাল। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই এখানে অসামাজিক কার্যকলাপের শুরু। নানারকম নেশাজাতীয় দ্রব্যর রমরমা ব্যাবসা এই পার্কে। এছাড়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এখানে একটি উন্নত মানের বাথরুমের ব্যাবস্থা করার পরেও অনেকে এই পার্কটিতে প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদন করার জন্য ব্যাবহার করিয়া থাকেন। আরো আছে ছিন্নমূল মানুষের বাসস্থানও চারিদিকে ময়লার ভাগাড়।

মাঝেমধ্যে এলাকার স্থানীয় নেতার পক্ষ থেকে এই পার্ক এ মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সার্বক্ষণিক দেখভালের অভাবে পার্কটি আবার আগের পরিবেশে চলে যায়। তাই রাজাবাজার ও ইন্দিরা রোডবাসী সাধারণ জনগনের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন এই পার্কটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়া আনা হোক ও যাতে আমরা যেনো আবারো ফ্রেশ অক্সিজেন নিতে পারি।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৯

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: কার কথা কে শুনবে ভাই? যারা পার্কটি দেখবাল করার কথা তারা কি করছে? আপনে আমি হয়তো একদিন একটা মানববন্ধন করতে পারি (এখানেও ভয় আছে), আবেদন নিবেদন করতে পারি, কিন্তু তাতে কি লাভ হবে যদি কর্তৃপক্ষের টনক না নড়ে? ইন্দিরা রোডের হুজুরের গলিতে আমার ভাইয়ের বাসা। আগে প্রায় সন্ধ্যার সময় পার্কটিতে বসতাম। এখন ভয় লাগে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: এখন আর বসার পরিবেশ নাই ভাই। এই পার্ক নিয়ে অনেক পত্রিকাতে অনেক লেখালেখি হইছে তারপরেও এটার কোন গতি হয় নাই।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: কিছুই করেত পারবনে না

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ঠিক ভাই, আমাদের হাত পা যে বাঁধা।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

চাঙ্কু বলেছেন: এই মাঠ আপনাদের খেলার মাঠ ছিল? 8-|
এই মাঠকেতো সারাজীবন দেখে আসলাম ভাসমান লোক, ড্রাগ এডিক্ট আর পতিতাদের দখলে!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ভাইডি আমি ৮৯ এর দিকের কথা বলছি :)

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫২

শাহজাহান সাঈফ বলেছেন: শাহারিয়ার ইমন কিছু করার শক্তি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ঠিক ভাই, আমরা দিনে দিনে আমাদের মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছি।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সিটি কর্পোরেশন বরাবর একটি চিঠি দেন।
ইনশাল্লাহ কাজ হবে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: নুর ভাই কাজ হবেনা। এরকম অনেক চিঠি বস্তাবন্দী আর ময়লা হয়ে কর্পোরেশনের বারান্দাতে শুয়ে আছে।

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

সনেট কবি বলেছেন: সকল পক্ষের শুভ বোধদয় হোক।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমার মতে। ফেসবুকে একটা ইভেন্ট খুলুন। ১সপ্তাহ সময় নিন।সবাইকে নিয়ে বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্র। ক্লিন আওয়ার পার্ক। বা আমরাই পারি এমন নাম দিয়ে। দেখুন কাজে দিবে। ময়মনসিংহ তে জামালপুর এমন অনেক জায়গাতে এমন নিজে হতে দেখেছি । আপনি আপনার কলেজ, ভার্সিটির ছাত্র সমাজ সেবিদের সাথে মিলেই এটা করতে পারেন।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি যে সময়ে এ পার্কটিতে খেলতেন বলে বলেছেন, তার চেয়েও পনের বছর আগে আমি আমার কিছু বন্ধুসহ ঐ পার্কটিতে কখনো কখনো বৈকালিক সময় কাটাতাম। তখন বেশ পরিচ্ছন্ন ছিল পার্কটির পরিবেশ। আমার বন্ধুরা কেউ তেজকুনিপাড়ায়, কেউ ইন্দিরা রোডের আশে পাশে বসবাস করতো।
৭ নং মন্তব্য অনুযায়ী একটু চেষ্টা করে দেখতে পারেন। অবশ্য আপনার পরিচয়ে লিখেছেন, আপনি আত্মকেদ্রিক এবং একাকীত্ম উপভোগ করেন। তাই আপনাকে দিয়ে হয়তো এমন সমাজসেবামূলক সাংগঠনিক কাজ করা সম্ভব নাও হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.