নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছবি

রায়হান মোহাম্মাদ খান

নিজের সম্পর্কে জানাতে চাই।দেশ সম্পর্কে জানতে চাই।

রায়হান মোহাম্মাদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়স বনাম যুগ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২১

তখন ইন্টারে পড়ি। নীলাকে গভীর রাতে ফোন দিলেই কয়েকদিন ধরে কল ওয়েটিং এ পাচ্ছি। প্রথম প্রথম আমার ফোন পেলে ওয়েটিং এ থাকলেও সাথে সাথেই কল রিসিভ করত আর বলত এই বান্ধবী, অই বান্ধবী কল দিসে। আমি জানি এইটা মেয়েদের কমন অভ্যাস । তবুও বিশ্বাস করতাম, বিশ্বাস করতাম সে আমাকে ভালবাসে বলে। কিন্তু কয়েকদিন হল সে আমাকে ওয়েটিং এই রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। বিষয়টা তখন আমার সিরিয়াসলি নিতে বাধ্য করে। আমি কঠোরভাবে জানতে চাইলাম কার সাথে কথা বল? শুনেই সে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আমাকে উল্টা শাসন করল যে আমাকে ভালো না বাসতে পার কিন্তু অবিশ্বাস করে অপবাদ দিবানা। আমি সেই টাইপের মেয়ে না। আমিও সরল বিশ্বাসে ভাবলাম দিনের বেলায় তো ওকে কাছেই পাই, আর তখন এমন লক্ষন তো দেখিনা যে বুঝি সে অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। ভালবাসলে ভালোবাসার মানুষের শত অপরাধ ই ক্ষমা করা যায়। যাই হোক পহেলা বৈশাখের আগে সে হুট করে আমার কাছে একটা দামি শাড়ি গিফট চাইল সঙ্গে দামি জুতা আর একটা ঘড়ি। শুনে তো আমার মাথায় হাত! আমি একজন ছাত্র, বাবার অঢেল টাকা নাই, নিজের হাতখরচ যা পাই তা দিয়ে ডেটিং এর খরচের সাথে,প্রতি সপ্তাহে তার জন্য ছোটখাটো গিফট নিয়ে আসাটাই আমার জন্য যেখানে কষ্টসাধ্য তার উপরে শাড়ি সহ এতসব জিনিসপত্র ! তাকে বহু কষ্টে বুঝালাম যে আমার পক্ষে এখন এই গিফট দেওয়া সম্ভব না। সে বলতে শুরু করল, সনিয়ার বয় ফ্রেন্ড তাকে দামি ঘড়ি দিয়েছে, মালিহার বয় ফ্রেন্ড তাকে দামি জামা গিফট করেছে......... আরও কত কি। আর তুমি আমাকে ভালোবাসো না। ভালবাসলে আমাকে যেমন করেই হোক আমার আবদার মিটাতে। একজন নিন্মমধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানের যে ভালোবাসার অধিকার নাই সেটা সেইদিন বুঝলাম। আমি বুঝতে পারলাম আমার পক্ষে আর নীলাকে ধরে রাখা সম্ভব না। কারন ইদানিং তার চাহিদা অসম্ভব রকমভাবে বেড়ে গিয়েছে। তার কাছে আমার চেয়ে আমার পকেটের গুরুত্বই বেশী। মনে মনে ভাবলাম একটা মেয়ে কি টাকার জন্য এতটা নিছে নামতে পারে? যখন আমি আমার সিদ্ধান্তটা নীলাকে জানালাম তখন মনে হল সে যেন কারাগার থেকে মুক্তি পেল। শুধু আমার হাতটা ধরে বলল “তুমি আমাকে ভুলে যাবা”? আমি জানি সে আমাকে ছাড়ার সময় নাটক করবে তবুও মনকে শক্ত করে বলেছিলাম, না।। সত্যি আমি কাদিনি সেইদিন। বহুদিন পর তার এক বান্ধবির সাথে দেখা হলে কথাবলার একপর্যায়ে জানতে পারলাম সে আমি থাকা অবস্থায় অন্য একটি ধনীর দুলালের প্রেমে পরে। অই ছেলে থেকেই দামি দামি গিফট পেত আর আমার কাছে উদাহরন টানত যে তাদের বান্ধবীর বয় ফ্রেন্ডরা গিফট করে কিন্তু তুমি করো না।তুমি আমাকে ভালোবাসো না। সে আসলে আমাকে ছাড়ার জন্যই এত দামি গিফট চাইত। কারন সে ভালকরেই জানত যে আমি তার জন্য ১০৮ তা নিল পদ্ম নিয়ে আসতে পারলেও আমার পক্ষে দামী গিফট গুলো দেওয়া সম্ভব না। আর এই একটা কারন দেখিয়েই সে আমার সাথে রিলেশন ভাংতে পারে। তার এই ধারনা শুনে আমি তখনও কান্না করি নাই।কারন তার নামটাই আমি প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। তাই তার শেষ অবস্থানও আমি জানতে চাইলাম না ইচ্ছাবসতই। আমি তারে দোষ দিবনা, তার আর কি দোষ। দোষ আমার বয়সের আর তার যুগের। সে যেই যুগের আমি সেই বয়সের না। তাই ভালবাসাটা আমার কাছে অধরা রয়ে গেল আর সে হয়তো ধরতেই পারলনা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪২

নিবিড় এখন বলেছেন: Chor hoysa boss. Comment na kor thkta parlam na !!!

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩৬

মশিকুর বলেছেন:
বয়সের বা যুগের কি দোষ? এইটা হইলো মানসিক দোষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.