নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে চাই

আমি খুবই একজন সাধারণ মানুষ। আমি চাই এদেশের সকল মানুষ শান্তিতে থাকুক।

ব্লগার১০৮৭

আমি খুবই একজন সাধারন মানুষ। আমি চাই এদেশের সকল মানুষ শান্তিতে থাকুক।

ব্লগার১০৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যার আছে মামু,খালু,দুলাভাই তার কোন চিন্তা নেই

০৯ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

সকলেই চান বাংলাদেশ উন্নত দেশের মত হোক। এদেশের সবাই শিক্ষিত হোক। কেউ বেকার না থাক। আর এজন্য দরকার প্রথমে যুবকদের শিক্ষিত হওয়া। যুবকরা শিক্ষিত হলে তারা যদি কর্মসংস্থানের সুযোগ না পায় তাহলে দেশের শিক্ষিত বেকার বেড়ে যায়। যারা অল্প শিক্ষিত তাদের প্রচুর কর্মসংস্থান হচ্ছে,যেমন: ডিপ্লোমা,এস.এস.সি ইত্যাদি। পক্ষান্তরে যারা মাস্টার্স পাশ করছে তাদের বেলায় খুবই সমস্যা দেখা যায়। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান মাস্টার্স পাশ চায় আবার দশ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে কিন্তু বয়স ২৮-৩০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। যে কেউ জানে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা পড়াশুনা করে তাদের অনার্সসহ মাষ্টার্স করতে কমপক্ষে ২৫ বছর লেগে যাচ্ছে সেশন জটের কারনে। তাহলে তারা কিভাবে চাকরি পাবে



এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে বাস্তবতার মিল খুবই কম। কারন যে বিষয় ভিত্তিক নিয়োগ খুবই কম হয়। ইতিহাসে পড়ে হয় ম্যাজিষ্ট্রেট আবার আইনে পড়ে হয় ব্যাংকার,হিসাব বিজ্ঞান পড়ে হয় পুলিশ ইত্যাদি। যে যে বিষয় পড়ে শিক্ষা লাভ করেছে সে সেই বিষয়ে খুব ভালো জানে তাকে অন্য সেক্টরে দিলে তো কিছু সমস্যা হবেই। আমার মনে হয় বিষয় ভিত্তিক চাকরি বা কর্ম হলে দেশ আরও উন্নতি লাভ করবে।



আমার এক বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ মাষ্টার্স করেছেন। তিনি খুব ভালো রেজাল্ট করে পরবর্তীতে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পাঁচবার মৌখিক পরাক্ষা দিয়েছেন। তার মৌখিক পরীক্ষা খুবই ভালো হয়েছে,কিন্তু চাকরি হলনা। বেসরকারী খাতে তার প্রায় বিশ জায়গায় খুবই ভাল চাকরি হয়েছে। অথচ সরকারী এই কর্মকমিশনে তার চাকরি হলনা কেন তা তিনি এখন্ও জানেন না। তার একটাই প্রশ্ন আমি ভাল পরীক্ষা দিলাম তাহলে আমার কেন চাকরি হয়না? আমার এই ভাইয়ের বন্ধু কোনরকমে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন রকমে ‍দ্বিতীয় শ্রেণী পেয়ে পাশ করেছে। সেই বন্ধু ভাল পরীক্ষাও দেয়নি, মৌখিক পরীক্ষায় অত্যন্ত খারাপ করেছে অথচ সেই এখন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেট কর্মকর্তা। তাহলে এখানে কি অদৃশ্য শক্তি কাজ করল তা আমার জানা নেই। এরকম হাজারো উদাহরণ আছে যারা অদৃশ্য শক্তিতে চাকরি পাচ্ছেন।



যেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় হয়,যারা অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পায় সেখানে সুশাসন বা ভাল সেবা পাওয়া কঠিন। সরকারী খাতে প্রায় সকল ক্ষেত্রে দলবাজি,স্বজনপ্রীতি বেশি হয় বলে সরকারী সকল প্রতিষ্ঠান আজ উন্নতি করতে পারেনা। পক্ষান্তরে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে অনেক কম লোকবল নিয়ে,কম সুযোগ সুবিধা নিয়েও তারা সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক ভাল করছে। এর একটি কারন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া,যোগ্যদের কে নিয়োগ ইত্যাদি।



সকল প্রতিষ্ঠানে যদি স্বজন প্রীতি হয়,যোগ্যরা যদি নিয়োগ না পায়,মামু খালু,দুলাভাইদের দৌরাত্ম বাড়ে তাহরে সেখানে কোন ভাবে উন্নতি করা সম্ভব নয়। আবার যারা বৈধ উপায়ে চাকরি না পেয়ে হতাশ হয় তারা আস্তে আস্তে নেশা,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি,খুন,রাহাজানি বৃৃদ্ধি পায়। একজন লেখাপড়া শেষ করার পর আর কোন টাকা বা সাপোর্ট পরিবারের কাছে পায়না। তখন তার নিজে চলার জন্য টাকা যোগাড় করতে যখন বৈধ পথে না হয় তখন সে অবৈধ চিন্তা করে। এ প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিৎ।



দেশকে উন্নত করতে সকলকে সহযোগীতার হাত বাড়ানো দরকার। প্রয়োজন সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া। মামু,খালু,দুলাভাইদের দৌরাত্ম কমিয়ে বৈধভাবে সকল ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা প্রয়োজন। সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। অযোগ্যদের নিয়োগ না দিয়ে যোগ্যদের মেধা অনুসারে নিয়োগ দিলে সকল সমস্যার সমাধান হবে আশাকরি।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.