নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে চাই

আমি খুবই একজন সাধারণ মানুষ। আমি চাই এদেশের সকল মানুষ শান্তিতে থাকুক।

ব্লগার১০৮৭

আমি খুবই একজন সাধারন মানুষ। আমি চাই এদেশের সকল মানুষ শান্তিতে থাকুক।

ব্লগার১০৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরির অভিজ্ঞতা.......

২১ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

মাষ্টার্স শেষ করতেই চাকরি খোঁজা শুরু। সরকারী চাকরি,বেসরকারী, প্রাইভেট, পাবলিক কোম্পানি যেখানেই আবেদন করি না কেন শুধু অভিজ্ঞতা চায়। আবার মাষ্টারস পাশ চায়, সাথে বয়স চায় ২২-২৫ বা ২২-৩০ এর মধ্যে। একটি ছেলে বা মেয়ের মাষ্টার্স শেষ করতেই লেগে যায় ২৫-২৬ বছর (শেষন জটের কারনে)। তাহলে সেই ব্যক্তি কিভাবে ৫-৭বছরের বেশী অভিজ্ঞতা নিয়ে চাকরিতে দরখাস্ত করবে আবার বয়স ২৫এর বেশী হবে না । এটা নিয়োগ দেয়া নাকি ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে তামাশা করা তা আমার বুঝে আসেনা।

গতকাল সরকারী চাকরির জুনিয়র অডিটর পোষ্টের জন্য লিখিত পরীক্ষা ছিল। এই একই পোষ্টের জন্য তিন বছর আগেও একবার পরীক্ষা হয়েছিল, কিন্তু তার ভাইবা এখনও হয়নি। যারা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন তাদের কাছে বলা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে চাকরি পেতে হলে পনের লাখ টাকালাগবে। অথচ এই পোষ্টের যে বেতন তাতে বৈধভাবে চাকরি করলে ১৫লাখ টাকা তুলতে ২০বছর চাকরি করতে হবে। তাহলে বুঝুন চাকরি না কি জুয়া খেলা?



সরকারী চাকরিতে এত কোটা থাকে যে মেধাবীরা কোটার কারনে চাকরি পায় না। আবার সামান্য বেতনে যারা চাকরি করতে চায় ১৫লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে তাদের কাছ থেকে দেশ জাতি কিছুই পাবেনা। পাবে শুধু চোর,ডাকাত, আর লুটেরা। এ জন্য প্রকৃত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিলে দেশ জাতির উন্নতি খুব দ্রুত হওয়া সম্ভব।



সরকারী কোন প্রতিষ্ঠান ভালভাবে চলেনা,তার কারন কি? এর কারন আমার মনে হয় দলীয়, কোটা, রাজনৈতিক কোটা, এবং টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি দেয়ার কারনে। তাদের শুধু চিন্তা থাকে চুরি করে বা ঘুষ খেয়ে নিজের পকেট ভারি করার। তাই সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানে উন্নতি নেই। যারা মেধাবী তারা শেষ পর্যন্ত চাকরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। সেখানে তার মেধার স্বাক্ষর রেখে অন্য দেশের উন্নতি স্বাধন করছে।



আমাদের দেশের এই অবস্থা পরিবর্তন করা দরকার। তাহলে দেশ উন্নতি লাভ করবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

হামিদ আহসান বলেছেন: এই অবস্থা পরির্বতনের কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ সামনের দিকে প্রথম পদক্ষেপটা তো এখনও নেয়া হয়নি্ তাপর তো এগোবে । বরঞ্চ পিছনের দিকে যাওয়া নানা তরিকা মাঝে মাঝেই নতুন রূপে আসতেছে। ধন্যবাদ..............

২| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: একটি কোটা বিষয়ক গাণিতিক বিশ্লেষণ-

পঞ্চম আদমশুমারী ও গৃহগণনা অনুযায়ী বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৪৫ লক্ষ ১৮ হাজার ১৫ জন।এদের মধ্যে ১৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৫১ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি) এবং ৩০ লক্ষ ১৬ হাজার ৬১২ জন প্রতিবন্ধী। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।

এই হিসেবে মোট জনসংখ্যার-

১) ১.০২% (এক দশমিক শূন্য দুই) নৃগোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষিত হচ্ছে ৫%
২)১.৯৫% (এক দশমিক নয় পাঁচ)প্রতিবন্ধীর জন্য কোটা সংরক্ষিত হচ্ছে ১০% (বিসিএসে ১%)
৩)০.১৩% (দশমিক এক তিন) মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটা সংরক্ষিত হচ্ছে ৩০%

তারপরও শুনি দেশ নাকি স্বাধীন! বুঝছি,স্বাধীনতার সংঞ্গা এখন নতুনভাবে শিখতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.