নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী আদর্শ রক্ষায় গালিগালাজ এবং আলেম-উলামাদের দায়

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

গালিগালাজ ও ভেঙ্গানো সমাজের হলো কোনো সমাজের প্রতিচ্ছবি। মানুষ তার প্রতিপক্ষের প্রতি ক্ষেপে গেলে প্রতিপক্ষকে হেয় করতে, নিবৃত্ত করতে বা ঘায়েল করতে গালিগালাজ (slang) বা ভেঙ্গানো (troll) করে থাকে। গালিগালাজ বা ভেঙ্গানোর একটি ভাষাতত্ত্ব রয়েছে। গালিগালাজ বা ভেঙ্গানোতে ব্যবহৃত বাচনসমূহকে সামগ্রিকভাবে বলা হয় সামাজিক উপভাষা (sociolect)। ভেঙ্গানোর বিষয়টিতে একটি ছন্দ থাকে যা ছন্দ প্রকরণে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Department of English এর দু’জন ছাত্রীকে বাংলা ভাষায় গালিগালাজ ও ভেঙ্গানো নিয়ে গবেষণা করতে দেখলাম। তাদের গবেষণার ফলাফল কী তা জানা যায়নি। তবে ঐ ছাত্রীদের মতে বাংলা ভাষায় গালিগালাজ বা ভেঙ্গানো ব্যবহারের ফলে বাংলা ভাষা দূষিত হয়ে পড়ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো গালিগালাজ বা ভেঙ্গামি হলো কোনো ভাষার অলঙ্কার। এগুলো কোনো জীবিত ভাষার সম্পদ বিশেষ। এগুলো ছাড়া ভাষা হয় দরিদ্র। কিন্তু প্রশ্ন হলো এগুলোর প্রয়োগ ক্ষেত্র নিয়ে। কোনো ধর্ম রক্ষায় প্রতিপক্ষকে হেয় করতে, নিবৃত্ত করতে বা গায়েল করতে গালিগালাজ (slang) বা ভেঙ্গানো (troll) ব্যবহার করা মোটেই উচিত নয়। কিন্তু ধর্ম রক্ষায় তা ইসলাম ধর্মই হোক আর হিন্দু ধর্মই হোক অনেকেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ (slang) বা ভেঙ্গানো (troll) ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু গালিগালাজ (slang) বা ভেঙ্গানো (troll) কোনোমতেই আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয় না বরং তা ধর্মের প্রতি কালিমা লেপন করে। যারা মনে করেন ইসলাম ধর্ম একটি আদর্শিক ধর্ম তারা কোনোমতেই গালিগালাজ (slang) বা ভেঙ্গানো (troll) ব্যবহার করতে পারেন না। গালিগালাজ (slang) বা ভেঙ্গানো (troll) দিয়ে ধর্ম রক্ষাকারীদের এখানে একটি নাম দেয়া যাক ইসলামের গালি সৈনিক

এখন প্রশ্ন হলো যে, ইসলামের এই গালি সৈনিকেরা কোথা থেকে কীভাবে ইসলাম ধর্ম রক্ষায় গালি ব্যবহারের আচরণ রপ্ত করলো। যেখান থেকেই তা রপ্ত করুক না কেনো, তারা যাদের কাছ থেকে ইসলামী আদর্শ লাভ করেছেন তাদের উপর এই গালি সৈনিকদের মানুষ করার দায়িত্ব বর্তায়। কাজেই আলেম-উলামাদের কাছে আমার অনুরোধ- আপনারআ মসজিদে ও মাহফিলে ওয়াজ ও নসিহতে ইসলামের গালি সৈনিকদেরকে গালিগালাজ নিবৃত্তিতে সহায়ক আখলাক গঠনে কিছু সময় ব্যয় করুন।

আপনাদের মেহনত কাজে লাগবে।

ইনশাল্লাহ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলাম হচ্ছে, বেদুইন সমাজের ট্রেনিশন ও সংস্কৃতি, ইহাতে গালিগালাজ ও মারামারি ছিল সব সময়।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

লর্ড ভ্যারিস বলেছেন: এরা মনে করে অন্য পক্ষের ধর্মের লোকদের যা ইচ্ছা গালি দিয়েই জান্নাতের টিকিট কাটতে পারবে। এই জন্য বোধয় এদের এমন আচরণ

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে তথাকতিত ধার্মিকেরা ইসলামের গভীরে যেতে পারে নি।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

জিকোব্লগ বলেছেন: ভালো বলেছেন

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: লেখাটি পড়লাম, ভালো লেগেছে। নিজ ধর্মকে ভালোভাবে বুঝতে পারলে আর এমনটি হতোনা। শুভেচ্ছা রইলো অবিরত। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ১৪০০ বছরেও যখন বুঝতে পারেনি,তার মানে বুঝার মতো কিছু নেঁই।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

অধীতি বলেছেন: ইসালামিক মোড়লগনই তো ভালোনা। টাকা দিলে মিনমিন করে জান্নাতের টিকিট দিয়ে দিবে।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাপানের সংস্কৃতি আপনার পছন্দ হয়েছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.