![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রচিন্তা অনুযায়ী রাষ্ট্র শাসকগণ কর্তৃক বৈধভাবে জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ আত্মসাতের একটি আপাত ব্যবস্থা বিশেষ। এই রাষ্ট্রব্যবস্থার ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ক্ষমতা পরিব্যপ্ত থাকে, যা উৎসরিত হয়ে থাকে একটি কেন্দ্রীয় শক্তির হাতে। রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি রাজনৈতিক উপরিকাঠামো থাকে যা অনেকগুলো অবকাঠামোর সমন্বয়ে গঠিত হয়। অবকাঠামো আবার দু’প্রকার- কোমল অবকাঠামো ও ভৌত অবকাঠামো। সাধারণভাবে অবকাঠামো বলতে যা বুঝি তা হলো- রাস্তা-ঘাট, সেতু ও দালান-কোঠা। এগুলো মূলত: ভৌত অবকাঠামো। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দালান-কোঠা, প্রশাসনিক ভবন ও গবেষণাগার হলো- এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার আইন, বিধিমালা ও নিয়ম-কানুনসমূহ যা প্রশাসনকে পরিচালনা করে তা হলো- কোমল অবকাঠামো। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত আইন, বিধিমালা ও নিয়ম-কানুনসমূহ দৃশ্যমান কোমল অবকাঠামো। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানে কাগজপত্রে দৃশ্যমান যে প্রশাসনিক অবকাঠামো তাকে কোমল অবকাঠামো বলে ধরা হয় না, বরং যে ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়, তাই হলো-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমল অবকাঠামো। প্রত্যেক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে শোষণ উপযোগী কোমল অবকাঠামো বিদ্যমান রয়েছে। এই কোমল অবকাঠামোর বিদ্যমানতার কারণে, রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশীদারগণ আনুপাতিক হারে শোষিত অর্থের ভাগ পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় শোষণের কোমল অবকাঠামোটি সম্পর্কে এখানে অবতারণা করা যেতে পারে।
শিক্ষাব্যবস্থা একটি সেবামূলক খাত। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সর্বাত্মক সেবামূলক নয়। এই ব্যবস্থাটি সিংহভাগই জনগণের অর্থ শোষণের কোমল অবকাঠামো বিশেষ। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থায় রাষ্ট্র কর্তৃক কর বাবদ প্রাপ্ত অর্থ ও জনগণের ব্যয়িত অর্থ রয়েছে।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ধারণা ভুল।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: না, পোষ্ট টা মনের মতো হলো না।