নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালী জাতির মহানায়ক গিয়াসউদ্দীন আযম শাহের সমাধিতে সমাধিসৌধ নির্মাণের জন্য অনুরোধ

১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭


যাদের প্রচেষ্টায় বাঙ্গালী জাতির গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাঁরা হলেন যথাক্রমে:
শামসুদ্দিন ইলিয়াছ শাহ ১৩৫২-১৩৫৮
সিকান্দার শাহ ১৩৫৮-১৩৯০
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ১৩৯০–১৪১১

উক্ত মুসলমান শাসকগণ বাঙ্গলার জলাকীর্ণ ও জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে ইতস্তত: বিস্তৃত নানা নৃগোষ্ঠী ও উপজাতিসমূহকে একত্রিত করে বাঙ্গালী জাতি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। সে সময় বৈষ্ণব হিন্দু ধর্মীয় ও সূফী ইসলাম ধর্মীয় ভক্তিবাদী আন্দোলনের সূচনা হয়। এই আন্দোলনটি ছিলো মূলত: সাংস্কৃতিক আন্দোলন। অর্থ্যাৎ এই আ্ন্দোলনে আনুষ্ঠানিক সংস্কৃতির মাধ্যমে ধর্মগুলোর প্রচার চলতো।
এই আন্দোলন শুরু হলে ক্ষুদ্রক্ষুদ্র স্থানীয় নৃগোষ্ঠীসমূহ হিন্দু অথবা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। তারা তাদের পূর্ব-পুরুষদের ভাষা ত্যাগ করে অপভ্রংশকে নিজের ভাষা হিসাবে গ্রহণ করে। এই অপভ্রংশই পরবর্তীতে বাংলা ভাষায় রূপান্তরিত হয়। শামসুদ্দিন ইলিয়াছ শাহ-ই সর্বপ্রথম বিস্তীর্ণ নিম্ন-গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের রাজৈতিক নাম দেন বাঙ্গলা সালতানাত। তাঁদের কল্যাণে আমরা বাঙ্গালী হয়েছি ও বাংলা ভাষা পেয়েছি। তার আগে এ দেশের নাম রাখা হতো রাজবংশের নামে, যেমন- পাল সাম্রাজ্য ও সেন সাম্রাজ্য ইত্যাদি।

তাঁদের অনেকের সমাধি তৎকালীন বাঙ্গলার রাজধানী গৌড়ে অবস্থিত। কিন্তু তাঁদের একজন হলেন- গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ (রাজত্বকাল ১৩৯০-১৪১১)। তিনি সমগ্র বাঙ্গলা (পূর্ববঙ্গ +পশ্চিমবঙ্গ)-এর শাসক ছিলেন। এই পরাক্রমশালী মুসলমান শাসক সোনারগাঁ-এর এক নিভৃত পল্লীতে এক সামধিতে অযত্নে অবহেলায় শুয়ে আছেন। ইতিহাসের পরিক্রমায় মানুষ ইতিহাস ভুলে যায়।

আমি ১৯৮০-এর দশকে যখন সোনারগাঁও পরিদর্শনে যাই, তখন দেখতে পাই স্থানীয় লোকজন তাঁকে পীর হিসাবে মান্য করছে, তাঁর সমাধির পাশ দিয়ে অতিক্রমকারী লোকজন রিকশা থেকে নেমে জুতা হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।

উক্ত সমাধিতে একটি সমাধি সৌধ নির্মাণ করা হলে, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

কাজেই, এই বাঙ্গালি জাতির এই মহানায়কের সমাধিতে একটি সমাধিসৌধ নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আবার বিজাতীয়দের নিয়ে আসছেন জাতীয় আলোচনায়।আমরা মুসলিমজাতি না বাঙ্গালী জাতি।তাদের চৌদ্দ পুরুষ কেউ বাংলা জানতো না।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


উনি তাহলে আপনার দৃষ্টিতে বাঙালি জাতির মহানায়ক ?!
উনি কি আবার নতুন করে জাতির পিতা হয়ে যাবেন নাকি?

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৩

রেজাউল করিম ফকির বলেছেন: ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির পিতা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন। কিন্তু বাঙ্গালী জাতির গঠন প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু হয়েছিলো। বাঙ্গালী জাতি কীভাবে গঠিত হলো তা আমাদের জানা প্রয়োজন। বাঙ্গালী জাতি গঠন সম্পর্কে উক্ত ব্যাখ্যাটি যে সঠিক বলে ধরে নিতে হবে, তা নয়।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সমাধিসৌধ নির্মাণ করার কোনো প্রয়োজন নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.