![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৭৫৭ সালে বাঙ্গলায় নওয়াবী শাসনের পতনে বি-বাঙ্গালীআয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে হিন্দু-মুসলমান বিভেদের সৃষ্টি হয়। এতোদিন বাংলা ভাষার বিকাশ হয়েছে হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। কিন্তু ইংরেজগণ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে বাংলা ভাষার বিকাশে মুসলমানদের ভূমিকা আড়াল হয়ে যায়। দৃশ্যপটে অবির্ভূত হয় ইংরেজগণ এবং হিন্দু ও ইংরেজদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলা ভাষার শ্রীবৃদ্ধি ঘটতে থাকে। ইংরেজগণ বিজাতীয় হলেও এই প্রক্রিয়ায় ইংরেজদের ভূমিকা ছিলো সবসময়ই ইতিবাচক। কারণ ছিলো রাজনৈতিক। সালতানাত-ই-বাঙ্গালা প্রতিষ্ঠিত হওয়া থেকে বাংলা ভাষার যে পরিপুষ্টি ও বিকাশ শুরু হয় তা ব্যাহত না হয়ে চলতে থাকে, যা ভাটা পড়ে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন থেকে। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের বিরক্তি থেকে ইংরেজগণ ১৯১১ সালে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ার রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তর করে। ফলে হিন্দুস্থানী বুলির উন্নয়নে হাওয়া লাগে। এতোদিন সমৃদ্ধ ভাষা হিন্দুস্থানী বাংলা ভাষার সমান তালে ছিলো। কিন্তু রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা ছাড়া এতোদিন যে হিন্দুস্থানী ভাষা ছিলো অপাংক্তেয়, তা নতুন রাজধানীর কল্যাণে সমৃদ্ধ হতে থাকে। দৃষ্টপটে আবির্ভূত হয় উর্দুর ভগ্নী ভাষা হিন্দী ভাষা। সেই হিন্দী ভাষার পালে যে হাওয়া লেগেছে, সে হাওয়ায় গতিপ্রাপ্ত হয়ে হিন্দী বর্তমানে সর্বভারতীয় ভাষায় রূপ নিচ্ছে। বর্তমানে হিন্দী একটি আধিপত্যবাদী ভাষায় পরিণত হয়ে, অপরাপর ভাষার উপর মর্যাদা ও কার্যকারিতায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। আর বাংলা ভাষা এখন বিভাজিত বাঙ্গলায় আরবি, ইংরেজি ও হিন্দী ভাষার প্রভাব বলয়ে অনুবর্তীত হয়ে গঠন, মর্যাদা ও প্রায়োগিকতায় অধ:পতিত হচ্ছে
পাদটীকা:
স্বাধীনতার রজত জয়ন্তীতে আমরা বিদেশি ভাষায় খুশী। ইংরেজি ভাষাকে বাংলা ভাষার উপর প্রতিষ্ঠা করে খুশী। বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর হিন্দী বাণী শুনে যেনো আরও খুশী। এখন প্রশ্ন হলো যে- স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী পালনকালে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ইংরজি বা হিন্দী ভাষায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ না দিলে, দেশের মানুষ নাখোশ হবে নাতো?
২| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভাষার কখনও অধঃপতন হতে পারে না। অধঃপতন হয় মানুষের।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বাংলা ভাষার প্রতি প্রেম থাকলে অন্য ভাষা শেখা বা ব্যবহার করা যাবে না, এটা মনে হয় ঠিক না। বরং পৃথিবী যেভাবে গ্লোবালাইজেশনের দিকে গেছে, আমাদের একের অধিক ভাষা জানতেই হবে। মাতৃভাষার বাইরে কমপক্ষে ইংরেজি না জানলে এখনকার দুনিয়ার বেশির ভাগ জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া সম্ভব না।