নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গলার সেন শাসকগণ ব্রাহ্মণ ছিলেন না!

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

বাঙ্গলার কিয়দংশে দাক্ষিণাত্য থেকে আগত সেনাগণ (অর্থ্যাৎ সৈন্যগণ) সেন সাম্রাজ্য (১০৭০-১২৩০ খ্রিস্টাব্দ) প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাসে সেনগণ জাতিতে ব্রাহ্মক্ষত্রীয় বলে বিবৃত রয়েছে। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, তারা মূলত: বৈদ্য।
সূত্র: Inden, Ronald (1976). Marriage and Rank in Bengali Culture: A History of Caste and Clan in Middle Period Bengal. p. 60. ISBN 978-0-520-02569-1.

বৈদ্যদের পরিচিতি বাংলাপিডিয়াতে নিম্নরূপভাবে তুলে ধরা হয়েছে:

ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের বর্ণনানুসারে ব্রাহ্মণ পিতা ও বৈশ্যমাতার সন্তানরা অম্বষ্ঠ, আর দেবচিকিৎসক অশ্বিনীকুমারের ব্রাহ্মণী স্ত্রীর সন্তানরা বৈদ্য। বৈদ্য ও অম্বষ্ঠ উভয়ই সৎশূদ্র। বৃহদ্ধর্মপুরাণে বৈদ্যবর্ণের উল্লেখ না থাকলেও অম্বষ্ঠদের উত্তম সংকর-শূদ্র উপবর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বৃত্তি চিকিৎসা ও আয়ুর্বেদ চর্চা বিধায় তারা বৈদ্য নামে পরিচিত।

বৈদ্যরা নিজেদের ব্রাহ্মণ বলে দাবি করলেও শাস্ত্রীয়ভাবে তা প্রতিষ্ঠিত নয়। সেন, সেনগুপ্ত, রক্ষিত, দাশ, দাশগুপ্ত, দত্ত, সরকার, কর, রায়, মল্লিক প্রভৃতি উপাধিধারিগণ সাধারণত বৈদ্য। ব্রিটিশ শাসনামলে তারা বর্ণহিন্দু হিসেবে স্বীকৃত হয় এবং শিক্ষায় বিশেষ উন্নতি লাভ করে। সে সময় তাদের শিক্ষিতের হার ব্রাহ্মণদের চেয়েও বেশি ছিল এবং তারা অত্যধিক হারে কৌলিক বৃত্তি পরিত্যার করে অন্যান্য উচ্চবৃত্তি গ্রহণ করে। বাংলাদেশে বৈদ্যদের সংখ্যা অতি অল্প।
[হীরালাল বালা]

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:




এটা তো ধর্মীয় সমস্যা হয়ে গেছে, আমাদের কি হবে?

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো ইতিহাস-ঐতিহ্য জানার জন্য খুব আগ্রহ জাগায়, কিন্তু আগ্রহ মেটাবার জন্য যতখানি রসদ থাকা দরকার, তা নাই, অর্থাৎ, খুবই সংক্ষিপ্ত। ১৫-২০ মিনিটে তৃপ্তিসহকারে পড়া যায়, পোস্টগুলোর সাইজ এমন হওয়া প্রয়োজন।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পোস্ট পড়ে অনেক প্রশ্নের জন্ম হয়। আপনি কমেন্টের উত্তর না দিলে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানবো কীভাবে?

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ১৯৭৬ সালের রেফারেন্স দিয়ে বলছেন নতুন গবেষণা!

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৫৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: তারা বৌদ্ধ,.জৈন বা মুসলমান ছিলেন না, ভয়ংকর বর্ণবাদী হিন্দুই ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.