নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে শের শাহ সূরীর হাতে বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হয়েছে, সে শের শাহ সূরীই হলো The Brilliant National Heroes of India

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২২





গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৫৩৩-১৫৩৮) ছিলেন স্বাধীন বাঙ্গলা সালতানাতের শেষ সুলতান। বাঙ্গলা ছিলো স্বাধীন সালতানাত। বাঙ্গলা সালতানাতের পতন ঘটে পাঠান নেতা শের শাহ সূরীর হাতে। এর মাধ্যমে বাঙ্গলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। আর সেই স্বাধীনতার সূর্য পূনরায় উদিত হয় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে। উল্লেখ্য যে, সে অনুযায়ী ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হওয়ার ঘটনাটি মিলে না। এই যেটুকু মিললো না, সেটুকু আমার মূল্যায়ন। যা হোক, শের শাহ সূরী ক্ষমতায় বাঙ্গলার মসনদ অধিকারের পর, বিহার শরীফে তাঁর রাজধানী স্থাপন করেন। তারপর হুমায়ুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে, মুঘল সাম্রাজ্য অধিকার করে সূরী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু বারুদ ব্যবহৃত এক যুদ্ধ তাঁর মৃত্যু ঘটলে, তাঁর প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যের ভার পড়ে তাঁর পুত্রের উপর। কিন্তু শেরশাহ প্রতিষ্ঠিত এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে ১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট হুমায়ূনের হাতে। এই শের শাহ সূরী সম্পর্কে ভারত সরকার তাঁর সমাধি সৌধের ফলকে নিম্নের বিষয়টি উৎকীর্ণ করেছে:
Sher Shah Suir is Truly Regarded As One of The Brilliant National Heroes of India.

যে শের শাহ সূরীর হাতে বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হয়েছে, সে শের শাহ সূরী হলো The Brilliant National Heroes of India

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

লাতিনো বলেছেন: তাই তো হবার কথা। মোদী আর অমিত শাহেরা যে কথায় কথায় বাংলাদেশের পিন্ডি চটকায়, এতেই তো বুঝা যায় এই দেশের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন।

তবে শেরশাহ কিভাবে ন্যাশনাল হিরো হলেন, তা বোধগম্য নয়। সারা জীবন তিনি ভারতীয়দের সাথেই যুদ্ধ করে গেছেন।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ুনকে পরাজিত ও ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করেের শাহ দিল্লির সিংহাসন অধিকার করেন।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৮

নতুন বলেছেন: রাজারা তো সন্ত্রাসীই বটে। তারা অন্য রাজ্য দখল করেছে রাজত্ব করেছে, তাদের ক্ষমতা অস্ত্র এবং তাদের হুকুমে মানুষের প্রান যেতো তাই তাদের ভয় করতো মানুষ।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১২

রাজীব বলেছেন: গ্রান্ড ট্রাংক রোড, সেটি সোনারগাও থেকে আফগান পর্যন্ত ছিল। এটি ছিলো শের শাহ এর অবদান।
ভাবা যায় যে তিনি ২০০০+ কিলোমিটার রাস্তা বানিয়েছিলেন তার ১০ বছরের শাসন আমলে।
ঘোড়ার ডাক (মেইল সিস্টেম) শুরু করেছিলেন।
মুদ্রা ব্যবস্থা উন্নয়ন করেছিলেন।
সেই সময়ের ভারতীয় উপমহাদেশের বেশীরভাগ উন্নয়ন কাজ হয়েছিল শের শাহ এর আমলে।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৫

জগতারন বলেছেন:

বাঙ্গলা সালতানাতের পতন ঘটে পাঠান নেতা শের শাহ সূরীর হাতে।
শের শাহ সূরীও আবার বেশীদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন নি।
তাঁর পতন ঘটে মুঘল সম্রাট হুমায়ূনের হাতে।


এখানে অ-সত্য ইতিহাস বর্ননা করা হয়েছে।
হুমায়ূনের পরাজয় ঘটেছিল শের শাহ সূরীর হাতে সত্য।
আর হুমায়ূন দিল্লীর সাশনভার পুন-দখল করেছিলেন দুর্ঘটনায় সম্রাট শের শাহ সূরীর মৃত্যুর পরে।
অল্প কথায়; মোগলদের দিল্লী শাসনের ব্লু-প্রিন্ট রচনা করে গেছেন সম্রাট শের শাহ সূরী।
শের শাহ সূরীর মতো এমন মেধাবী ও দূরর্দশী শাসক ভারতের অন্যতম।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬

রেজাউল করিম ফকির বলেছেন: ভুল ধরে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ঈষৎ সংশোধন করছি।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শিরোনাম ও আলোচনা আরেকটু বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিত। প্রথমত, বাংলার স্বাধীনতা হরণকারীর ভারতের জাতীয় বীর হতে বাঁধা কোথায়? অনেক শাসকই এক দেশে বীর, আরেক দেশে স্বাধীনতা হরণকারী। দ্বিতীয়ত, শেরশাহ আরও দীর্ঘ সময় শাসন করলে বাংলারও বীর হতেন কিংবা এখনও অনেকে তাঁকে বাংলার বীর শাসকদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তৃতীয়ত, শেরশাহ পশ্চিম বঙ্গ এবং বিহারেরও শাসক ছিলেন এবং এগুলো ১৯৭১-এর আগেই সর্বশেষ স্বাধীনতা অর্জন করে। চতুর্থত, বাংলার সালতানাতও স্থানীয়দের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, সে হিসাবে সবাই বহিরাগত। সে যুগে আধুনিক জাতীয়তাবোধ বা রাষ্ট্রসীমা ছিল না। স্থানীয়-স্থানীয়, স্থানীয়-বহিরাগত দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ সবসময়ই ছিল। সুতরাং এদের ভালোমন্দ বিবেচনা করতে হবে কাজ দিয়ে। পঞ্চমত, ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.