নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমসাময়িককালের আধ্যাত্ম সমস্যা সম্পর্কে নাস্তিক্যবাদীদের প্রতি খোলা চিঠি

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৩



মানুষ তার নানান সত্ত্বার জন্য মানুষ হিসাবে অস্তিত্ত্বমান। এ সত্ত্বাগুলোর অন্যতম হলো-জৈবিক, আত্মিক ও আধ্যাত্মিক। বিভিন্ন ধর্মে আত্মিক ও আধ্যাত্মিক সত্ত্বাকে স্বীকার করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাস্তিক্যবাদে আত্মা ও অধিআত্মার অস্তিত্ত্বকে স্বীকার করা হয় না। আবার কোনো কোনো ধর্মে আধ্যাত্মকে এতো বেশী গুরুত্ত্বরোপ করা হয়ে যে, সেখানে নানা ঐন্দ্রজালিক ও সম্মোহনী কৌশলকে মিশিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়।

মানুষের আধ্যাত্মবোধ একটি সাবলীল স্বত:স্ফূর্ত বোধ। মানুষের এই বোধকে পুঁজি করে ধর্মগুরুগণ ও ধর্ম প্রতিষ্ঠানসমূহ মানুষের উপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করে থাকে। আবার নাস্তিক্যবাদ মানুষের আত্মাবোধ ও আধ্যাত্মবোধকে উপেক্ষা করে থাকে। কিন্তু মানুষের আত্মাবোধ ও আধ্যাত্মবোধ না থাকলে শুধুমাত্র জীববোধ (জীবনবোধ) দিয়ে কোনো মানুষ মানুষ হতে পারে না।অথচ, নাস্তিক্যবাদীগণ নাস্তিক্যবাদকে মহিমান্বিত করতে গিয়ে আত্মাবোধ ও আধ্যাত্মবোধকে উপেক্ষা করা হলে, দেশে ব্যক্তি ও সমাজ ও সংস্কৃতি মহাসংকটে নিপতিত হবে।

বাংলাদেশ মুসলমান প্রধান দেশ, তবে এখানে জনগণের এক-দশমাংশ হিন্দু। হিন্দু সমাজে আধ্যাত্নবোধকে পুঁজি করে পুরোহিতগণ মানুষকে মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শোষণের কাঠামো তৈরি করেছে। অন্যদিকে মুসলমান সমাজ সূফীবাদী ইসলাম ধর্মীয় ব্যবস্থাধীনে ছিলো। এখন এ সমাজ ক্রমান্বয়ে সালাফিবাদী (ওয়াহাবী) ইসলাম ধর্মীয় ব্যবস্থার দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে। পূর্বকালে এ দেশে যখন সূফীবাদী ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি ছিলো, তখন দৈনন্দিন ধর্মচর্চার চেয়ে সৃষ্টিতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, মারফত ও ত্বরীকত ইত্যাদি তত্ত্বজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আধ্যাত্ম লাভকে অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হতো। এখনও ইসলাম ধর্মের এই শাখাটির বহু অনুসারী মুসলমান রয়েছে। মক্তব, খানকাহ, মাজার ও আশ্রম ইত্যাদি কেন্দ্রিক ইসলাম ধর্মের এই ধারাটির মধ্যে অশ্লীল গান-বাজনা ও গাঁজা-ভাং জাতীয় ধূমপান ইত্যাদি অপ-সংস্কৃতি প্রবেশের ফলে এ ধারাটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ইসলাম ধর্মের এই ধারার প্রত্যক্ষ প্রতিপক্ষ হলো সালাফিবাদী (ওয়াহাবী) আলেমগণ। সালাফিবাদীগণ এই ধারাটির প্রতি প্রত্যক্ষ দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু সালাফিবাদী ইসলাম ধর্মীয় ধারায় আধ্যাত্মিক চর্চা দৈনন্দিন নেক হাসিলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই ধারাটির আধ্যাত্ম চর্চা সম্পর্কে আমি পড়াশুনা করছি। কিন্তু এই ধারার ইসলাম ধর্ম চর্চায় আধ্যাত্মিক উন্নতি কীভাবে সম্ভব? আমি এর উত্তর জানি না।

পূর্বকালে বৈদিক হিন্দু ধর্ম ও হীনযানী বৌদ্ধধর্ম ছিলো। এই দুই ধর্মেই মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই দুই ধর্মেই মূর্তিপূজা ঐতিহাসিককালেই প্রবেশ করেছে। এই দুই ধর্মেই জ্ঞানচর্চাকে আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের উপায় বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে এই দুই ধর্মের মধ্যে বৌদ্ধধর্মে ইশ্বর কেন্দ্রিক আরাধনাকে নিরুৎসাহতি করা হয়েছে এবং জ্ঞান সাধনা বলে আধ্যাত্মিক উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।

কিন্তু নাস্তিক্যবাদ ও খানিকাংশে সালাফিবাদ নিজেদের তত্ত্ব ও মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে, আত্মা ও অধিআত্মা (আধ্যাত্মিক)-এর গুরুত্ত্বকে অবহেলা করছে না তো? আত্মা ও অধিআত্মার অস্তিত্ত্ব বা গুরুত্বকে উপক্ষা করার মানে হলো, আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করা। কিন্তু আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নকে উপেক্ষা করা হলে, ফলশ্রুতিতে দীর্ঘমেয়াদে সমাজে ব্যক্তিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় অস্থিরতা সৃষ্টি হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



অজানা বিষয়ে পিএইডি?

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: কিছুই তো বুঝলাম না।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মামুনুল হকের শিষ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.