নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রান্তিপূর্ণ বাংলাদেশের ভাষিক মানচিত্র

০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১২:০৬



বংলাদেশের ভাষিক মানচিত্র বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও, এটি একটি ভুল ভাষিক মানচিত্র। অনেক ভুল আছে এই ভাষিক মানচিত্রে, যেমন-বাংলাদেশে সিলেটি বা চাঁটগাঁইয়া নামে কোন ভাষা নেই, এই নামের আঞ্চলিক বুলি রয়েছে। তেমনি সাদরি, তনচঙ্গিয়া ও চাকমা কোন আদি ভাষা নয়, এগুলো ইন্দোআর্য বুলি (যা বাংলা ভাষার জ্ঞাতি বুলি) বিশেষ। কুড়ুখ নামের দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী রয়েছে, কিন্তু এই নামের কোন ভাষার অস্তিত্ব নেই। কারণ কুড়ুখগণ তাদের আদি ভাষা ভুলে গেছে। অহমিয়া যে স্থানে নির্দেশ করা হয়েছে, সেখানে ধুবরি জেলার আঞ্চলিক বাংলা কথিত হয়ে থাকে। এ রকম আরো কতো ভুলের সমাহার হলো এই ভাষিক মানচিত্র।
ভুলবশত: অথবা দুষ্টচিন্তা থেকে এটি তৈরী করা হয়ে থাকতে পারে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১২:৫২

জটিল ভাই বলেছেন: বাংলা ভাষা যেনো কোথায় এসে আহত আর নিহত হয়েছে?

২| ০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ৭:৩৯

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: "বাংলাদেশে সিলেটি বা চাঁটগাঁইয়া নামে কোন ভাষা নেই, এই নামের আঞ্চলিক বুলি রয়েছে" - ভাষা আর আঞ্চলিক বুলির তফাত এবং তাদের সংজ্ঞা একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?

০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ১১:০৩

রেজাউল করিম ফকির বলেছেন: কোন দেশে বিরাজিত বুলি-শৃঙ্খলের সবগুলো আঞ্চলিক বুলিকেই ভাষায় উন্নীত করা সম্ভব। তবে তার জন্য প্রয়োজন ভাষানীতির অনুসরণে ভাষা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। সেজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক আদর্শ। একই হিন্দুস্থানী ভাষা ধর্মীয় আদর্শগত বিভেদের কারণে হিন্দী ও উর্দু নামক দু’টি ভাষায় পরিণত হয়েছে। অনুরূপভাবে, দুই কোরিয়া সমাজতন্ত্র-ধনতন্ত্র কেন্দ্রিক রাজনৈতিক আদর্শগত বিভাজনের কারণে বিভক্ত হয়ে, একই ভাষার দু’টি বুলি দু’টি ভিন্ন ভাষা সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশে কথিত জামালপুরী বুলি, হবিগঞ্জী বুলি ও বরিশাইল্যা বুলিসহ ইত্যাদি সমস্ত আঞ্চলিক বুলিকেই ভাষায় পরিণত করা সম্ভব। সেজন্য প্রত্যেক জেলার জনগণকে তাদের বুলিকে ভাষায় উন্নীত করার রাজনৈতিক দাবী উত্থাপন করতে হবে এবং দাবী গৃহীত হলে এ দাবীর অনুকূলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হবে। তারপর বিষয়টির অনুকূলে সংসদে আইন প্রণয়নের হলে বুলিগুলোর ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বা গণমাধ্যম অন্যদেশের কোনো আঞ্চলিক বুলিকে ভাষা বলে প্রচার করলে, তা হবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নামান্তর।

০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

রেজাউল করিম ফকির বলেছেন: এখানে একটি বিজ্ঞান সম্মত উত্তর পাওয়া যাবে।
On the Classification of Varieties of Bangla Spoken in Bangladesh
https://www.researchgate.net/publication/333532596_On_the_Classification_of_Varieties_of_Bangla_Spoken_in_Bangladesh

৩| ০৩ রা মে, ২০২১ দুপুর ১:৫২

স্থিতধী বলেছেন: আঞ্চলিক বুলির সঠিক ইংরেজিটা কি dialect হবে?

৪| ০৩ রা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: সিলেটি ভাষা একটি স্বতন্ত্র ভাষা। এই ভাষা সিলেটি নাগরী ভাষা নামে খ্যাত। সিলেটি নাগরী ভাষার বর্ণমালা রয়েছে।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.