নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিরনতুন গল্প

২২ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৪০



একবার দেশের ভটিভটিগণ যানবাহন মঞ্জুরী কমিশনের নিকট দাবী তুললো-আমরা দেশে তৈরী যানবাহন, আমাদের একটা মানসম্মান বোধ আছে, আমরা জাতীয় সম্পদ, আমাদের উদ্দেশ্যে আর ভটভটি অভিধাটি প্রয়োগ করা যাবে না। যানবাহন মঞ্জুরী কমিশন তাদের দাবী মেনে নিয়ে তাদেরকে ‌[টেম্পু] হিসাবে স্বীকৃতি দিলো। [টেম্পু] স্বীকৃতি পেয়ে ভটভটিগণ দেখলো যে, খুব ভালো লাগছে, আনন্দ আনন্দ লাগছে। তখন তারা নতুন পরিকল্পনায় এগিয়ে গেলো। তারা এবার জিকির তুললো জাতীয় বাহন হিসাবে [টেম্পু] অভিধা শোভা পায় না। তখন তারা তাদের নতুন দাবী জানালো। নতুন দাবীতে তারা [মিনিবাস] হিসাবে স্বীকৃতি আদায় করে নিলো। এভাবে যতোই দিন, মাস, বছর গড়াতে লাগলো, ততই তারা নতুন দাবীতে সংগ্রাম চালিয়ে গেলো। এক সময় [ভটভটি]গণ [লাক্সারী বাস] অভিধা প্রাপ্ত হলো।
অনেক বছর পর, এ দেশের যানবাহন মঞ্জুরী কমিশন অন্য দেশের যানবাহন মঞ্জুরী কমিশনের সাথে চুক্তি করলো। চুক্তি অনুযায়ী অন্য দেশের লাক্সারী বাস এ দেশে এলো, আবার এ দেশের [লাক্সারী বাস] অভিধাপ্রাপ্ত [ভটিভটি]গণ অন্য দেশে গেলো। চুক্তি মানে বিনিময় ও মেলামেশার ব্যাপার আছে। এ সব বিনিময় ও মেলামেশায় যখন এদেশের [লাক্সারী বাস] খেতাব প্রাপ্ত [ভটভটি]গণ কিছুতেই পারে না, তখন অন্য দেশের [লাক্সারী বাস]গণ এ দেশের [লাক্সারী বাস?] গণকে, এই ভটভটি! বেশী ঠাট দেখাস না! তোরা কী জিনিস চিনি! ইত্যাদি- বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। তখন [ভটভটি]গণ গর্ব ও গরিমা করে বলে- ভটভটি-ভটভটি করিস না, এ দেশে বাস, মিনিবাস, লাক্সারী বাস, সুপার ডিলাক্স বাস-এই সব কিছুরই সর্দার হলো এই [ভটভটি]।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এসব ভটভটিতে কি মানুষ উঠে? না মালামাল টানা হয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.