নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ উপলক্ষে তৃণমূল পর্যায়ে অনুসৃত সুষম বন্টন সম্পর্কিত ঐতিহ্য

২০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৬



ময়মনসিংহ জেলা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তর দিকে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলাটির একটি উপজেলার নাম ফুলপুর, তাতে রয়েছে রূপসী গ্রাম। ফুলপুরে রূপসী- কী মাধুর্যপূর্ণ নাম, যেনো সোনায় সোহাগা। এই গ্রামের এক প্রান্তে আমার গ্রাম্য নিবাস, যেখানে আমাদের বংশধরগণ পুরুষানুক্রমে এখানে বাস করে আসছেন। এ গ্রামে ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কোরবানীকে কেন্দ্র করে সুষম বন্টনের এক ইসলামী ইতিহ্য চালু রয়েছে। এই গ্রামে কোরবানীর জন্য সংগৃহীত পশুগুলোর গ্রামের সবার সম্পদ। গ্রামের সবাই মিলে পরস্পরকে সহযোগিতা করে পশুগুলো জবাই ও গোশত প্রক্রিয়াজাত করে থাকেন। পশু কোরবানী শেষে পশুগুলোর গোশত ৩ভাগে ভাগ করা হয়। এই গোশতের দুই ভাগ কোরবানীদাতাকে প্রদান করা হয়, আর বাকী এক ভাগ গ্রামের এজমালি সম্পদ হিসাবে রেখে দেওয়া হয়। কোরবানী দাতাগণ প্রাপ্ত গোশতের দুই ভাগের এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনকে ঈদ উপহার হিসাবে দিয়ে থাকেন। আর এজমালি সম্পদ হিসাবে থেকে যাওয়া গোশতগুলো গ্রামের ধনী-গরীব সবার মধ্যে সমানভাবে বন্টন করে দেওয়া হয়। সুষম বন্টনেরও একটি নিয়ম রয়েছে। এজমালি সম্পদ হিসাবে রেখে দেওয়া সবগুলো পশুর গোশত একত্রে মেশানো হয়। তারপর গ্রামে বসবাসরত পরিবারগুলোর একটি তালিকা তৈরী করা হয় এবং তালিকা অনুসারে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে এই মাংস উপহার হিসাবে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। ইসলামী ভাবধারা সারাদেশেই চালু রয়েছে। কিন্তু দেশের সর্বত্র এমন রেওয়াজ নেই। বরং অনেক স্থানে দেখা যায়, অস্বচ্ছল মানুষকে কোরবানীর মাংস ভিক্ষা করে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এই আধুনিক রেওয়াজ ইসলামী চেতনার পরিপন্থী। কিন্তু আমার গ্রামে কোরবানীর গোশতের সুষম বন্টনের রেওয়াজটি দেশের সর্বত্র চালু হলে, ঈদের মূল আদর্শ দেশব্যাপী পরিব্যপ্ত হবে।
মারহাবা
ঈদ উপলক্ষে তৃণমূল পর্যায়ে অনুসৃত সুষম বন্টন সম্পর্কিত ঐতিহ্যটি এ দেশে টিকে থাকুক চিরদিন
সবাইকে ঈদ মোবাররক!!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৯

আমি সাজিদ বলেছেন: ফুলপুর বাংলাদেশের বাকি গ্রামগুলোর জন্য ঈদ উপলক্ষে তৃণমূল পর্যায়ে সুষম বন্টনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ঈদ মোবারক স্যার।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুষম বন্টনের এক ইসলামী ইতিহ্য চালু রয়েছে।
আপনি যে বন্টনের কথা বলেছেন স্যার সেটি ইসলামি ঐতিহ্যের অংশ বলে কোথাও পেয়েছি বলে মনে পরে না। এটি আমাদের আঞ্চলিক প্রথা।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: কোরবানীর বিষয়টা আসে ইব্রাহীমের কাছ থেকে।তার ধর্মের অনুসারীরা আজ আর কুরবানী দেয় না এটা একচেটিয়া দখল করে নিয়েছে মুসলমানরা।প্রথম দুই খলিফা কোরবানী দিয়েছেন এমন প্রমান দেখা যায় না।কালো টাকা যত বাড়ছে কোরবানী তত বাড়ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.