নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যলয়স্থ স্নাতক পর্যায়ে সিলেবাসভুক্ত বাংলা/ইংরেজি কারিক্যুলামের পুনর্বিন্যাস প্রসঙ্গে

০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০৫

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও বিভাগে স্নাতক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য বাংলা/ইংরেজি স্বাক্ষরতা (literacy) ও একটি বঙ্গবিদ্যা কোর্সের পাঠদানের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এর সপক্ষে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন জানাচ্ছে যে, স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলা/ইংরেজি নামক একটি করে কোর্স পড়লে, তারা বাংলা/ইংরেজিতে কিছুটা দক্ষ হয়ে উঠবে। কিন্তু মঞ্জুরী কমিশনের এই উদ্যোগটি উচ্চশিক্ষা নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কেননা ২/১টি কোর্স পড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বাংলা/ইংরেজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

তাছাড়া বাংলা/ইংরেজিতে দক্ষতা বিষয়ক শিক্ষা হলো- বুনিয়াদী শিক্ষার অংশ। শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা কালক্রমে একটি শিখন প্রক্রিয়াধীনে ধাপে ধাপে অর্জন করে থাকে। সেজন্য শিক্ষা-দর্শন অনুসরণে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে- এই বুনিয়াদি শিক্ষার কাজটি স্নাতক-পূর্ব শ্রেণিতে সম্পন্ন হয়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায়ও বাংলা/ইংরেজি স্বাক্ষরতা অথবা বঙ্গবিদ্যা বিষয়ক কোর্স বিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ানো হয়। আর এই শিক্ষার দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের ওপর।

মঞ্জুরী কমিশন যদি মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, তারা বাংলা/ইংরেজিতে অথবা বঙ্গবিদ্যা বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান সম্পন্ন নয়, তবুও এই বুনিয়াদি শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তায় না। এক্ষেত্রে মঞ্জুরী কমিশন বরং এই বুনিয়াদি শিক্ষার ঘাটতির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে পারে, যেন মাউশির মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই এই বুনিয়াদী শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো যায়। সে একই কারণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কোনো মতেই এই বুনিয়াদি শিক্ষার দায়িত্বটা নিজের ঘাড়ে নিতে পারে না।

উক্ত বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হলে, বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে চালু বাংলা/ইংরেজি কোর্সের কারিক্যুলামের বিষয়বস্তু পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজনীতাটি আমাদের সামনে আসে।

এ সম্পর্কে আমাদের সামনে জাপানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ রয়েছে। সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসরণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা/ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে। এই পুনর্বিন্যাস অনুযায়ী বাংলা/ইংরেজি কোর্সের বিষয়বস্তু হবে নিম্নরূপ:
১) ইংরেজি বিষয়ের কারিক্যুলামের বিষয়বস্তু: ৪ বছরের জন্য নির্ধারিত সম্পূর্ণ সিলেবাস থেকে বিভাগ সংশ্লিষ্ট শাস্ত্রের text book থেকে সংগৃহীত গুরুত্বপূর্ণ concept, term and terminologies
২) বাংলা বিষয়ের কারিক্যুলামের বিষয়বস্তু: ৪ বছরের জন্য নির্ধারিত সম্পূর্ণ সিলেবাস থেকে বিভাগ সংশ্লিষ্ট শাস্ত্রের পাঠ্যপুস্তক থেকে সংগৃহীত গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, ধারণা ও পরিভাষা।

বাংলা/ইংরেজি বিষয়ে দক্ষ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকগণই উক্ত দু'টি পাঠদানে নিয়োজিত হলে, একই সাথে জ্ঞানীয় প্রবণতা (scholstic apptitue) ও বাংলা/ইংরেজিতে দক্ষতা গড়ে উঠবে। কিন্তু বর্তমানে চালু বাংলা/ইংরেজি কোর্সের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না।

উক্ত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে বর্তমানে চালু বাংলা/ইংরেজি কোর্সের কারক্যুলামের বিষয়বস্তু পুনর্নির্ধারণ ও তা পাঠদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় শিক্ষক নিয়োগদান করা হলে, বর্তমান বাংলা/ইংরেজি কোর্সের বিকল্প হিসাবে শাস্ত্র সংশ্লিষ্ট জ্ঞানীয় প্রবণতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা কায়েম হবে।




মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:১৩

সাসুম বলেছেন: যে শিক্ষার্থী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক থেকে বাংলা,ইংরেজি তে পারঙ্গম হয়ে আসবেনা ইউনিভার্সিটি তে, তার তো পাস করে বের হবার ই কথা না। আসল সমস্যা তো গোড়াতেই!

বাংলাদেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা একটা ভুল নীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে। গত বেশ ক বছর বিভিন্ন উন্নত দেশের কারিকুলাম আর সিস্টেম নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলাম।

আমাদের দরকার একটা উদার সরকার ও শিক্ষা ব্যবস্থা।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা হওয়া উচিত- মরাল, এথিক্স, পারসোনাল ডেভেলপমেন্ট, হিউমিলিটি, হিউমানিটি, সারভাইবাল এসব কে কেন্দ্র করে।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা হয়ে আছে- চাকুরি জীবি ও পদলেহন করা আমলা তৈরি করার সিস্টেম হিসেবে।

আমাদের দরকার চূড়ান্ত সাফ সুতর করা এবং নতুন করে ঢেলে সাজানো।

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৫

জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: কয়েক বছরের শিক্ষকতা ও ছাত্রজীবনে প্রাইভেট অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ইংরেজি শিক্ষার দূর্বলতার প্রধান কারণ কারিক্যুলাম নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট ও প্রাইমারি লেভেলে শিক্ষকদের পাঠদান সম্পর্কে অজ্ঞতা। বাংলা ও ইংরেজিতে বাচ্চাদের ভাল করতে চাইলে প্রাইমারি থেকেই শুরু করতে হয়। সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি লেভেলে ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজির চক্করে এই দুই সাবজেক্টের উপর গুরুত্ব দেয়া হয় না। ভার্সিটি লাইফে রিকভার করা যায় না তা অবশ্য না, কিন্তু শিকড় দুর্বল হলে যতই গাছে পানি দেয়া হোক তা ভাল বেরে ওথা কঠিন, সেক্ষেত্রে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। এই কাজ ইউজিসি না করে প্রাইমারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা উচিত। প্রাইমারি শিক্ষা এবং শিক্ষক যতদিন না উন্নত হবে এই দুষ্টচক্র থেকে রেহাই নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.