নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ই আগস্ট ২০২১: অন্যভাবে দেখা

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৭


১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিবস। এই দিনে বাংলাদেশে যেমন রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে, তেমনি অন্যদিকে এই দিনে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।

এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারকে উৎখাত করা হয়। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে পুরানো রাজনৈতিক শক্তি নতুন করে ক্ষমতায় আসে। পুরানো রাজনৈতিক শক্তি বলতে মুসলিম লীগ ও ফৌজী শক্তির সমন্বিত শক্তি। এই রাজনৈতিক শক্তির পিছনে ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পূঁজিবাদী শক্তি। পুরানো এই রাজনৈতিক শক্তির উত্থানে দেশের রাজনীতিতে ইসলামী ভাবধারা ফিরে আসে। গণচীন ও সউদী আরবসহ মুসলিম বলয়ের অনেক দেশ বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দান করে। তার অর্থ হলো এসব দেশ বাংলাদেশকে আগে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকার করেনি। এই রাজনৈতিক শক্তিটি দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়াকে ভেঙ্গে পাকিস্তান সৃষ্টির সংগ্রামে লিপ্ত ছিলো। তারা এই সংগ্রামের ফলাফল হিসাবে ১৪ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে তাঁদের অভীষ্ট পাকিস্তান লাভ করে। ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া ভেঙ্গে সৃষ্ট পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালে বিভক্তির যুদ্ধের ফলাফল হিসাবে ক্ষমতায় উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতা থেকে অপসৃত ও পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ক্ষমতায় উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি― এই উভয়েই যুক্ত ছিলো। অর্থ্যাৎ আওয়ামীলীগের প্রায় সব নেতাই, যেমন-বঙ্গবন্ধু, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী ও শের-ই-বাংলা মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন। অর্থ্যাৎ যারা আওয়ামীলীগের নেতা ছিলেন, তাঁরাই আবার এক সময় পাকিস্তানের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বিভক্তির পর ১৪ই আগস্ট ও ১৫ আগস্টের ঐতিহাসিক পরম্পরাগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হিসাবে তেমনভাবে বিবেচনায় নেন নি। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট ও ১৫ আগস্টের রাজনৈতিক ঘটনাবলী বাংলাদেশের ইতিহাসেরই অংশ।

এই ইতিহাসটি ব্যতিরেকে বাংলাদেশের ইতিহাস অপূর্ণ থেকে যাবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৪ ও ১৫ আগস্টের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু, ভাসানি, সোহরাওয়ারদি এবং শেরে বাংলার কি করার উচিত ছিল এটা আপনি লেখেন নি। ওনারা রাজনীতিবিদ হিসাবে এই দিবসকে বিবেচনায় নিয়ে কি করতে পারতেন? ইতিহাস লেখার দায়িত্ব ওনাদের না। ইতিহাসে এই দিবসগুলি গুরুত্বের সাথেই লেখা আছে। যার কারণে আমরা মুখস্ত বলতে পারি এই দিবস দুটি সম্পর্কে।

পাকিস্তান আমলে ১৪ আগস্ট পালন করা হত। ১৫ আগস্ট পালন করার কোন সুযোগ ছিল না, কারণ এটা ভারতের জন্য প্রযোজ্য। ১৯৭১ সালের পরে কোন যুক্তিতে আমরা ১৪ আগস্ট পালন করবো। সেই ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এক হয়ে যেত।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৬

রেজাউল করিম ফকির বলেছেন: ১৪ আগস্টকে নিম্নের যে কোনো জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করা যেতে পারে:
ক) ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পতন দিবস
খ) ব্রিটিশ শাসন মুক্তি দিবস
গ) ব্রিটিশ বিতাড়ন দিবস
ঘ) বাঙ্গালি জাতির বিভক্তি দিবস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.