নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২০ বিষয়ক মতামত

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৩২

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২৭

রেজাউল করিম ফকির বলেছেন: ভাষানীতি ও শিক্ষানীতির মূলসূত্রসমূহ বিবেচনায় নেওয়া হলে বাংলা ইংরেজি সাক্ষরতা পাঠ্যক্রমেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কেননা, যে কোন শিক্ষার্থীই ৫ বছর সময়কালে সাক্ষরতা অর্জনে সক্ষম হয়। অর্থ্যাৎ ১ম ও ২য় পত্র পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় ৫ বছর পর্যন্ত প্রদান করা হলেই যথেষ্ট। ফলিত ভাষা বিজ্ঞানী মহামিত স্টিফেন ক্রাশেন গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, শিশু শিক্ষার্থীরা সাক্ষরতা প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে যখন কোন ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠে, তখন তাদেরকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে, সে ভাষায় সাক্ষরতা প্রশিক্ষণে ক্ষান্ত দিয়ে, সে ভাষা মাধ্যমে জ্ঞানীয় বিষয়ে পাঠ দেওয়া উচিত। মহামতি স্টিফেন ক্রাশেন (Stephen Krashen) ভাষা শিখন জ্ঞানে সন্দীপিত একজন ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি আজীবন ভাষা শিখনের উপর গবেষণা করে ভাষা শিখন জ্ঞানরাজ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। তাঁর সমস্ত জীবনে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে ভাষা (ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষা) শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, ভাষা শিক্ষাদানে ব্যাকরণ জ্ঞান বা ব্যাকরণ সংশোধনী জ্ঞান জন্মায়, যা একটা পর্যায় পর্যন্ত কার্যকর। উচ্চ পর্যায়ে ভাষা পাঠদান শুধুমাত্র ব্যাকণের রস আস্বাদনের খোরাক যোগায়, কিন্তু ভাষাগত দক্ষতা জন্মায় না। তিনি ভাষা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেছেন যে, কোন ভাষায় দক্ষতা জন্মায় তখন, যখন কোন আনন্দদায়ক পাঠ্য বিষয় ইপ্সিত ভাষার মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। ভাষা শিখছি শিখছি- এ রকম ভাব নিয়ে ভাষা শিখলে ভাষাগত জ্ঞান ও ভাষাগত দক্ষতা জন্মায় না। সে বিবেচনায়, পাঠ্যক্রমে সাক্ষরতা ইংরেজি বিষয়টি শুধুমাত্র ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্য বিষয় হিসাবে রেখে, ৯ম শ্রেণী থেকে ইংরেজি মাধ্যমে কোনো বিষয় (যেমন-সামাজিক বিজ্ঞান, ইতিহাস ও রসায়ন) পাঠদান করা হলে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বর্তমান ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থার চেয়েও দ্রুত ইংরেজি দক্ষতা জন্মাবে। এ ব্যবস্থা চালু করা হলে ইংলিশ ভার্সন-এই শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তিরোহিত হবে। কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থায় ৫ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত সময়কালে ইংরেজিতে সাক্ষরতা অর্জন না করতে পারলে বুঝতে হবে যে, শত চেষ্টা করেও সে সাক্ষর হতে পারবে না। বক্তব্যটির পক্ষে আমাদের সামনেই অজস্র নিদর্শন রয়েছে। যেমন- আমাদের দেশে মাধ্যমিক পর্যন্ত যারা পড়াশুনা করেছেন, তাদের মধ্যে অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাবে যারা বাংলায় ভালো করে কিছু লিখতে পারেন না। তাহলে প্রশ্ন হলো যে, সাক্ষরতা ইংরেজির গণ্ডি থেকে কী বের হওয়া যাবে না? যাবে, তবে সেজন্য ব্যক্তিবিশেষের ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের জৈবনিক (জন্মগত) প্রবণতা থাকতে হবে। শুধু জৈবনিক প্রবণতা থাকলেও আবার ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করা যাবে না, সেজন্য আবার সাক্ষরতা ইংরেজি প্রশিক্ষণ নিলেও লাভ হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.