নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াকিবহাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি প্রসঙ্গ: আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে অনিয়মতান্ত্রিক ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫




১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে গৃহীত প্রথম শিক্ষানীতিতে দেশে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিধান রাখা হয়। উল্লেখ্য যে, তখন ইংরেজিকে ১টি বিদেশি ভাষা হিসাবে বিবেচনা করা হতো। উক্ত শিক্ষানীতি অনুযায়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চবিদ্যালয়ে বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় শিক্ষক সৃষ্টি করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট চালুর কথা বলা হয়।
১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের পর কয়েক ধাপে শিক্ষানীতি সংস্কারের পর, শিক্ষানীতি থেকে বিদেশি ভাষা শিক্ষার সমস্ত বিধান উঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে সর্বস্তরে ইংরেজি শিক্ষা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা চালু করা হয়। বর্তমান শিক্ষানীতিতে বিদেশি সম্পর্কে ১টি শব্দও বিবৃত নেই।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট বা অনুরূপ নামের প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ভাষাজ্ঞান শুন্য উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে নির্দিষ্ট মেয়াদ অন্তর শিক্ষা সমাপন শেষে সনদ হিসাবে জুনিয়র সার্টিফিকেট, সিনিয়র সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা ও উচ্চতর ডিপ্লোমা সনদ প্রদান করা হয়।

বিদেশি ভাষায় সনদ প্রদানের এই শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যবহার করে ১২ বছর কাল ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা লাভকারী উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকেও ইংরেজিতে এই জুনিয়র সার্টিফিকেট, সিনিয়র সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

কিন্তু ভাষাগত দক্ষতা ধাপ (LEVEL OF PROFICIENCY) মানকে উক্ত ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম অযৌক্তিক, অনৈতিক ও স্থুল বুদ্ধি প্রসূত।

এই অনিয়মটি অবহিত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বরাবর চিঠি দিয়েছি এবং পত্র-পত্রিকায়ও লেখালেখি করে যাচ্ছি। কিন্তু কোন সুরাহা মিলছে না। অধিকন্তু ইংরেজি শিক্ষকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের বিদেশি শিক্ষা কার্যক্রমে জেঁকে বসে উক্ত অযৌক্তিক ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে। তাঁরা মানছে না কোনো যুক্তি, উপদেশ, সৃ্ত্র ও বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। এ সম্পর্কে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও খারাপ। এক সময় সিলেট বিভাগে অবস্থিত এক বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিউটের বোর্ড অব গভর্ণরসের সদস্য হিসাবে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ইংরেজি ভাষা মুক্তির এক কৌশলপত্র জমা দিয়েছিলাম, যে কারণে বোর্ড অব গভর্ণরসের সভায় যাতে না যোগ দিতে পারি, সেজন্য ঐ আধুনিক ভাষা ইনস্টিউটের পরিচালক নানা কলাকৌশলের প্রয়োগ করা শুরু করে, যেমন- সভা শেষ হওয়ার বহু পরে চিঠি দেওয়া, ফোন না ধরা ইত্যাদি। তারপর থেকে ১টি সভায় যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। শেষমেশ উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি জুনিয়র সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছে।
কিন্তু দেশে ইংরেজি ভাষার মর্যাদা পরিবর্তিত হয়েছে। এ দেশের জনগণের পক্ষে এটি এখন দ্বিতীয় ভাষা এবং দেশের মানুষের ১টি অংশের প্রথম ভাষা হলো ইংরেজি ভাষা। কাজেই আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে সমস্ত ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে ভিন্নরূপ প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা প্রয়োজন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.