নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষিক সাম্রাজ্যবাদ ও অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ মূলত সাম্রাজ্যবাদের একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

ভাষা-পরিস্থিতি স্বত:পরিবর্তনশীল। সেজন্য কোন দেশেরই ভাষা-পরিস্থিতি স্থির থাকে না। কিন্তু ভাষা-পরিস্থিতিতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক- এই উভয় প্রকার পরিবর্তনই ঘটতে পারে। কিন্তু এ পরিবর্তন যদি দেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতির অনুকূলে সংঘটিত হয় তাহলে তা হয় সে দেশের জন্য উন্নয়ন সহায়ক। আর যদি এ পরিবর্তন দেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতির প্রতিকূলে সংঘটিত হয়, তাহলে এ পরিবর্তন হয় দেশের জন্য উন্নয়ন প্রতিবন্ধক। Gnamba (১৯৮১: ২৩৫-২৪০) বিবৃত করেছেন যে, কোনও দেশের ভাষা-পরিস্থিতিগত উন্নয়ন ও সার্বিক উন্নয়ন যুগপৎভাবে সম্পন্ন হয়। তাঁর মতে ভাষিক সাম্রাজ্যবাদ ও অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ মূলত সাম্রাজ্যবাদের একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্রসমূহ তাঁদের তাঁদের ভাষাকে চিন্তা, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও আদর্শ বাহন হিসাবে ব্যবহারে সচেষ্ট হয়। তাই বলা যায় যে, কোনও দেশের ভাষা-পরিস্থিতিতে নেতিবাচক পরিবর্তন ভাষিক সাম্রাজ্যবাদ থেকে উৎসরিত হয়ে থাকে। Ouedraogo, Rakisssouiligri Mathieu (২০০০) সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ এবং জনগণের ও জাতীয় আদর্শ ভাষার মাধ্যমে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে পরিবাহিত হয়। সেজন্য ভাষা কোন জনগোষ্ঠীকে একটি জাতিতে পরিণতকরণে সহায়ক হয়। অধিকন্তু তা জাতীয় ঐক্যকে নিশ্চিত করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.