নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষাতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের রাজনৈতিক শক্তির গঠন

২১ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৪


ভারতের শাসনতন্ত্র যুক্তরাজ্যীয় ব্যবস্থায় পরিচালিত হয়। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নিকট থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ পাকিস্তান ব্যতীত ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া উপনিবেশের সমস্ত ভূখণ্ডের উপর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব লাভ করে। তাছাড়া তাঁরা পরবর্তীতে আরও কিছু অঞ্চল যেমন-হায়র্দ্রাবাদ, সিকিম, পণ্ডিচেরী ও গোয়া ইত্যাদি অঞ্চল ভারতীয় যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নিকট থেকে লব্ধ এই ভূখণ্ডটিকে পরবর্তীতে নানা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় লব্ধ অঞ্চলসমূহকে নতুন প্রশাসনিক প্রদেশে পুনর্বিন্যাস করে। অত:পর ভারতের রাজনৈতিক শক্তি প্রশাসনিক সুবিধার্থে রাজ্যভিত্তিক বিভাগ সম্পন্ন করলেও, এই রাজ্যভিত্তিক বিভাগের অন্তরালে ভারতের জনগণ ধর্ম, বর্ণ, জাতি, ভাষা ও বিত্ত ইত্যাদির মাপকাঠিতে বহুধা বিভক্ত রয়েছে। এই রাষ্ট্রের রাজনৈতিক শক্তিকে যে সব বৈশিষ্ট্য দ্বারা বৈশিষ্টায়িত করা যায়, তা হলো তার ধর্ম, ভাষা, অঞ্চলিকতা ও বিত্ত। এই রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক শক্তি হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বী যারা মূলত: উত্তর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও বিত্তশালী এবং হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার প্রতিভূ। ভারতীয় যুক্তরাজ্য স্পষ্টত তিনটি বলয়ে বিভক্ত: ইন্দোআর্য ভাষাভাষী অধ্যুষিত উত্তর ভারতীয় অঞ্চল; তামিল, কানাড়া ও মালায়ালাম ইত্যাদি দ্রাবিড়ীয় ভাষাভাষী অধ্যুষিত দক্ষিণ ভারতীয় অঞ্চল এবং তিব্বতীয়-বর্মী জনগণ অধ্যুষিত উত্তরপূর্ব ভারত। সমগ্র ভারতের নিয়ন্ত্রণে যারা রয়েছে, তাঁরা মূলত উত্তর ভারত অঞ্চলের অধিবাসী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.