নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটস্থ বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমকে আলাদা করণ প্রসঙ্গে

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

২২শে অগ্রহায়ণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
০৭ই ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দ

মাননীয় উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা-১০০০
বাংলাদেশ

বিষয়: আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটস্থ বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমকে আলাদা করণ প্রসঙ্গে

প্রিয় মহোদয়,
১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে জারীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ মোতাবেক ষষ্ঠ সংবিধি অনুসরণে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১লা জুলাই বিদেশি ভাষা শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, পূর্বতন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদস্থ বিদেশি ভাষা বিভাগের অবকাঠামোর। অর্থ্যাৎ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মূল চেতনাটি উৎসরিত হয়েছে বিদেশি ভাষা শিক্ষানীতি থেকে। উল্লখ্য যে, বাংলাদেশে প্রণীত প্রথম শিক্ষা প্রতিবেদনে (যা ছিলো শিক্ষানীতির পরিপূরক) শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেষ পর্ব থেকে একটি বিদেশি ভাষা পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো। সে শিক্ষানীতি অনুযায়ী চীনা, জার্মান, জাপানি, বর্মী, ফরাসি ও থাই ইত্যাদি বিদেশি ভাষার মতোই ইংরেজিকে একটি বিদেশি ভাষা হিসাবে বিবেচনা করা হতো।

কিন্তু আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মূল শিক্ষা আদর্শকে পাশ কাঁটিয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে এখন ব্যাপক ও সর্বাত্মক ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, এখন এই ব্যাপক ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থাটি আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে কারা ও কীভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার একটি বর্ণনা দেয়া যাক। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইংরেজি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থাটি প্রতিষ্ঠা ঘটেছে ইংরেজি শিক্ষকদের প্রচেষ্টায়। এই শিক্ষকগণ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে যে শিক্ষা আদর্শকে বহন করেন, তাকে দু’টি সূচক ধারণা দ্বারা বৈশিষ্টায়িত করা যায়। সেগুলো হলো— সাক্ষরতা ইংরেজি (Literacy English) ও ইংরেজি শিক্ষাদান পদ্ধতি (English Language Teaching)। এই দু’টি সূচক ধারণাই বিদেশি ভাষানীতির সাথে সাংঘর্ষিক। এই সূচক ধারণা দু’টি ইংরেজি ভাষিক সাম্রাজ্যে (Anglophone Countries) পরিচালিত বুনিয়াদি শিক্ষার অংশ হিসাবে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে সাক্ষরতা ইংরেজি পাঠদান ও এই পাঠদানে সহায়ক শিক্ষক শ্রেণি সৃষ্টির চেতনা প্রসূত ধারণা। উল্লেখ্য যে কেনিয়া, ইণ্ডিয়া, পাকিস্থান ও পাপুয়া নিউগিনি ইত্যাদি ইংরেজি ভাষিক সাম্রাজ্যভুক্ত দেশে কোনো প্রমিত ও এজমালি ভাষা নেই। কারণ এসব দেশ বহু ভাষাভাষী ও উপ-ভাষাভাষী জনগোষ্ঠির বাস। সে সমস্ত দেশের বহু ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে এক শিক্ষাব্যবস্থায় আনয়ন করতে ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীতা রয়েছে। অর্থ্যাৎ এসব দেশে দাপ্তরিক, সামাজিক ও শাস্ত্রীয় ভাষা হলো ইংরেজি এবং শিক্ষাব্যবস্থাও হলো ইংরেজিতে। এ সব দেশের এই ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থাকে সহায়তা করতে ইংরেজি ভাষিক সাম্রাজ্যের শীর্ষ দেশসমূহ যেমন- ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ তাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা অনুষদে ইংরেজি শিক্ষাদান পদ্ধতি ও ইংরেজি শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য অবকাঠামো তৈরি করেছে। আর আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে যারা এই ইংরেজি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা হলেন মূলত যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত উক্ত ধরণের শিক্ষা অনুষদ থেকে ডিগ্রী প্রাপ্তগণ। কাজেই তাঁরা উক্ত সূচক ধারণাগুলো [সাক্ষরতা ইংরেজি (Literacy English) ও ইংরেজি শিক্ষাদান পদ্ধতি (English Language Teaching)] লাভ করেছিলেন কোনো বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতি অনুষদে জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে নয়। এই ধরণের ধারণা পোষণকারী শিক্ষকগণ আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে বিভিন্ন দেশে স্থানীয় ভাষাকে হটিয়ে ইংরেজি ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট। বাংলাদেশেও ত্রয়োদশ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি-বাংলা দ্বি-সাক্ষরতা (biliteracy) বিশিষ্ট শিক্ষার অংশ হিসাবে ইংরেজি ভাষা চালু রয়েছে। এখন কার্যত বহু ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা ও বাংলা ভাষা বিদেশি ভাষার স্থান দখল করে নিচ্ছে। কিন্তু কোনো ভাষানীতিই দেশীয় ভাষা ও বিদেশি ভাষাকে হটিয়ে ইংরেজি ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার কার্যক্রমকে সমর্থন করে না। অথচ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে শুরু থেকেই ইংরেজি শিক্ষকদের প্রাধান্য থাকায়, তাঁদের কল্যাণে এবং তাঁদের উদ্যোগে এখানে এমন একটি ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ঘটেছে। নিম্নে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটস্থ ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যপ্তি ও বৈচিত্র্য তুলে ধরে, বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমে এর প্রতিবন্ধকতার স্বরূপ বর্ণনা পূর্বক বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমকে আলাদা করার উপায় বর্ণনা করা হলো:-

১.১. ইংরেজি নন-ডিগ্রী শিক্ষা কার্যক্রম
১ক-১গ) জুনিয়র-ডিপ্লোমা: আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সৃষ্টিলগ্নে ইংরেজি জুনিয়র/সিনিয়র সার্টিফিকেট শিক্ষা কার্যক্রম ছিলো না। কিন্তু গত ১৯৯০-এর দশকে বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা কাঠামোটিকে ব্যবহার করে ইংরেজি জুনিয়র-সিনিয়র কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু জুনিয়র/সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্স শুন্য থেকে ভাষা শেখা শুরু করা শিক্ষার্থীদের উপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম। কাজেই এই শিক্ষা কার্যক্রমটি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় পর্যায়ে ১২ বছর ইংরেজি শেখা শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী নয়। উপরন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ১টি কোর্স চালু করার প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এর প্রয়োজনীয়তা নি:শেষ হয়ে গেছে। এখন ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী নয়, এমন শিক্ষার্থীদের সাক্ষরতা ইংরেজি শেখার সুবিধার্থে বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপীঠকে ব্যবহার করা সমীচিন হবে না।
১ঘ) ৬০ ঘন্টা মেয়াদী স্বল্পমেয়াদী কোর্স (সান্ধ্যকালীন): এ কোর্সটির ধারণাগত উপাদান নিহিত রয়েছে কথোপকথন ইংরেজি (spoken English) শিক্ষা চেতনাতে। এটি বিপুল ব্যয়ে পরিচালিত উচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সাংঘর্ষিক।

১.২. ইংরেজি ডিগ্রী শিক্ষা কার্যক্রম
২.ক) ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক শিক্ষা কার্যক্রম (English for the Speaker of Other Languages-ESOL): এ শিক্ষা কার্যক্রমটি ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত Common Framework for the Syllabus of Bachelor Programs-এর অনুরসণে চালু করা হয়। উক্ত দলিলে ইংরেজি স্নাতক প্রোগ্রামের নাম English as Foreign Language নির্ধারণ করা হয়েছিলো। উল্লখ্য যে, সেই দলিলটি যথাক্রমে একাডেমিক কমিটি, বোর্ড অব স্টাডিজ ও বোর্ড অব গভরর্ণরস অনুমোদন দিয়েছিলো। এ আবেদনকারী এ দলিলটি প্রণয়নের মূল দায়িত্বে ছিলো। কিন্তু অনুমোদিত এই দলিলটির নীতিমালাকে পাশ কাটিয়ে বর্তমান English for the Speaker of Other Languages (ESOL) চালু করা হয়েছে।
২.খ) ১ বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম: Teaching English for the Speaker of Other Languages (TESOL): প্রথমত: এই শিক্ষা কার্যক্রমটি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে মিল নেই। এর নাম থেকে স্পষ্ট যে, এটি ইংরেজি শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিদ্যার ধারণাকে মাথায় নিয়ে চালু করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ শিক্ষাকার্যক্রমের নাম থেকেই স্পষ্ট যে, এই শিক্ষাকার্যক্রম শিক্ষা অনুষদে (উদাহরণস্বরূপ: শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য বিষয়। এর সাথে ২গ)-এর শিক্ষা কার্যক্রমের একটি মিল রয়েছে।
২.গ) ১ বছর মেয়াদী শিক্ষা কার্যক্রম (English Language Teaching-ELT) (সান্ধ্যকালীন): এই শিক্ষা কার্যক্রমটি প্রথমে ১ বছর মেয়াদী নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম হিসাবে চালু করা হয়েছিলো। কিন্তু কয়েক বছর পরে এটিকে দেড় বছর মেয়াদী শিক্ষা কার্যক্রমে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু গত কয়েক বছর আগে এই নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমটিকে সপ্তাহান্তে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে রূপান্তর করা হয়। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে পরিচালিত নানাবিধ ইংরেজি শিক্ষা-কার্যক্রমের সমন্বিত চিত্রটি সারণীতে তুলে ধরা হলো:


উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, ১ক) থেকে ২গ) পর্যন্ত চালু শিক্ষা কার্যক্রমগুলো সাক্ষরতা ইংরেজি (Literacy English) ও ইংরেজি শিক্ষাদান পদ্ধতি (English Language Teaching)—এই সূচক ধারণাকে মাথায় নিয়ে প্রবর্তন করা হয়েছে।

কিন্তু আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইংরেজি ভাষা চালু ও তা বিস্তৃত করণের প্রয়াস এখনও অব্যাহত রয়েছে। কারণ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের কতৃত্বে যারা রয়েছেন, তাঁরা মূলত ইংরেজি শিক্ষক। তাঁদের এই প্রয়াসের ফলশ্রুতিতে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে বিদেশি ভাষার চেয়ে ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রমের বিস্তৃতিই চোখে পড়ছে। কিন্তু আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে যেসব যুক্তিতে ইংরেজি শিক্ষাকার্যক্রম চালু করা হয়েছে, তার একটিও যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। নিম্নে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার পক্ষে যুক্তি ও তা খণ্ডনে প্রতিযুক্তিসমূহ তুলে ধরা হলো:

যুক্তি-১: আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহের সংবিধি (উদাহরণস্বরূপ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ট সংবিধি)-তে ইংরেজি ভাষার কথা উল্লেখ রয়েছে, কাজেই আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-তে ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম চালু করণ ও তা বিস্তৃত করণে কোনো বাধা নেই।
প্রতিযুক্তি-১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-এর সংবিধি-তে সর্বপ্রথম যখন ইংরেজি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সেকালে ইংরেজি ভাষার প্রায়োগিকতার বিস্তৃতি বর্তমান কালের মতো ছিলো না। সে জন্য সেকালে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-এ ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার যৌক্তিকতা ছিলো। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশের ভাষা-পরিস্হিতিতে বর্তমানে ইংরেজি ভাষার মর্যাদা ও প্রায়োগিকতার ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়ে এটি দ্বিতীয় ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে, সেজন্য আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহে ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকার্যক্রম চালুর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

যুক্তি-২: স্কুল-কলেজে ইংরেজি শিক্ষা লাভের পরও অনেকেই ইংরেজিতে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারে না বিধায় সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে পেশাজীবিদের মধ্যেও ইংরেজি শিক্ষার চাহিদা রয়েছে।
প্রতিযুক্তি-২: স্কুল-কলেজের কারিক্যুলাম, শিক্ষক, শিক্ষা প্রশাসন এবং সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের দোষে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি সনদ প্রাপ্তদের ইংরেজিতে যথেষ্ট দক্ষতা জন্মায় না। তাই বলে এই দায় ও দায়িত্ত্ব আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের উপর বর্তায় না। বিষয়টি খোলাসা করার জন্য নিম্নে কয়েক প্রস্থ বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হলো:
ক) আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এমনকি শাস্ত্রকারদের মধ্যে সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। বিদেশে স্কুল-কলেজ সমাপনীর পর যে বিষয়ের উপর সার্টিফিকেট প্রাপ্তি ঘটে, সে বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স করার সুযোগ থাকে না। আমাদের দেশের এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি সনদ প্রাপ্তদের প্রত্যেকেরই ইংরেজিতে সার্টিফিকেট সনদ থাকে। কারণ এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি মানে হলো সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট ও হাইয়ার সেকন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেট সনদ দ্বারা বুঝায় এই সনদধারী অন্যান্য কিছু বিষয়ের সাথে ইংরেজিতে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট ও হাইয়ার সেকন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট অর্জন করেছে। সে অর্থে যাদের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট ও হাইয়ার সেকন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট সনদ রয়েছে, তাদের প্রত্যকেরই মূলত ইংরেজি ভাষায় সার্টিফিকেট সনদ রয়েছে। সে বিবেচনায় যাদের এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি. সনদ রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটতে পরিচালিত জুনিয়র সার্টিফিকেট ও সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্সের ইংরেজি শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি বিধি সম্মত নয়।
খ) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটতে পরিচালিত জুনিয়র সার্টিফিকেট ও সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ বিদেশি ভাষায় ০ (শুন্য) দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত। কিন্তু ইংরেজিতে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি. সনদ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের ১২ বছর ইংরেজি ভাষা শেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিধায় তাদের ইংরেজিতে ভাষাগত দক্ষতা ০ (শুন্য) নয়। সে বিবেচনায় ইংরেজিতে জুনিয়র সার্টিফিকেট ও সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্স আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-এর শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হওয়া অনুচিত।
গ) বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি. সনদ প্রাপ্তদের ইংরেজিসহ অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞানে অপরিপূর্ণতা বা অদক্ষতার দায় ও দায়িত্ত্ব কোনোটিই আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-এর উপর বর্তায় না। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি. সনদ প্রাপ্তদের ইংরেজিতে অদক্ষতার প্রথম দায় স্কুল-কলেজ তথা বিভাগ ভিত্তিক বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের। আর ইংরেজিতে অদক্ষদের ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলার প্রথম দায়িত্ত্বও ঐ শিক্ষাবোর্ডের। কাজেই ইংরেজিতে অদক্ষতা পরিপূরণের এই দায়িত্ত্ব পালনে শিক্ষাবোর্ডগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কলেজে ইংরেজি ভাষা সেন্টার চালু করতে পারে। আর যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর এই দায়িত্ত্ব বর্তায়ও, তাহলেও এই ইংরেজি দক্ষতাসূচক শিক্ষাকার্যক্রমের দায়িত্ত্ব বর্তাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগগুলোর উপর। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহ যেহেতু বিদেশি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেহেতু এই শিক্ষাকার্যক্রম আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটতে পরিচালনা অবাঞ্ছনীয়। তা সত্ত্বেও ইংরেজি শিক্ষকগণ তারা তাদের ইংরেজি বিভাগে এই ইংরেজি শিক্ষাকার্যক্রম চালু না করে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটগুলোর উপর কর্তৃত্ত্ব খাটিয়ে কোচিং মানের ইংরেজি শিক্ষা চাপিয়ে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে বিদেশি ভাষা শিক্ষাকার্যক্রমগুলো পরিচালনায় ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহ বিদেশি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠার পরিবর্তে, ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম বাহুল্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যেহেতু ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহে ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকার্যক্রম চালুর ফলে বিদেশি ভাষা শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে, সেজন্য আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহ থেকে ইংরেজি শিক্ষাকার্যক্রম সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
নিম্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাকার্যক্রম চালুর পক্ষে যুক্তি ও তা খণ্ডনে প্রতিযুক্তিসমূহ তুলে ধরা হলো:

যুক্তি-৩: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহের সংবিধিতে ইংরেজি ভাষার কথা উল্লেখ রয়েছে বিধায় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-তে ইংরেজিতে স্নাতক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করণে কোনো বাধা নেই।
প্রতিযুক্তি-৩: আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহের সংবিধিতে ইংরেজি ভাষার কথা উল্লেখ রয়েছে- এ যুক্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-তে যে ইংরেজি স্নাতক শিক্ষা কার্যক্রম চালু তার নাম হলো English for Speakers of Other Languages (ESOL)। ইংরেজি স্নাতক শিক্ষাকার্যক্রমের এই নাম একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি এবং জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি-এই তিন বিষয়ে স্নাতক শিক্ষাকার্যক্রমের চেয়ে ভিন্নতর। উল্লেখ্য যে, এই তিন বিদেশি ভাষায় স্নাতক শিক্ষাকার্যক্রমগুলোর আনুষ্ঠানিক নাম হলো যথাক্রমে BA in Chinese Language and Culture, BA in French Language and Culture & BA in Japanese Language and Culture। একই সময়ে এই স্নাতক শিক্ষাকার্যক্রম চালু করা হলেও, ইংরেজিতে এই শিক্ষাকার্যক্রমের নাম দেওয়া হয়েছে ভিন্ন। কিন্তু English for Speakers of Other Languages (ESOL) হিসাবে আরোপিত নাম কোনো ডিগ্রী শিক্ষাকার্যক্রমের নাম হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ English for Speakers of Other Languages (ESOL) বলতে কোনো স্নাতক শিক্ষাকার্যক্রমে অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে প্রস্তুতি পর্বকে বুঝায়। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য কোনো ডিগ্রী শিক্ষাকার্যক্রমের প্রস্তুতি পর্বের শিক্ষাকার্যক্রমগুলোর নাম এরূপ হয়ে থাকে। কাজেই English for Speakers of Other Languages (ESOL) নামক শিক্ষাকার্যক্রমটি ডিগ্রীর নাম হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কেবলমাত্র ইংরেজি স্নাতক শিক্ষাকার্যক্রমের নাম ও তার অর্থ বিবেচনায় নিলেও, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-তে এই শিক্ষাকার্যক্রম চালু ও পরিচালনার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না।

যুক্তি-৪: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহের সংবিধিতে ইংরেজি ভাষার কথা উল্লেখ রয়েছে। কাজেই আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-তে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম চালু করণে কোনো বাধা নেই।
প্রতিযুক্তি-৪: আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহের সংবিধিতে ইংরেজি ভাষার কথা উল্লেখ রয়েছে- এ যুক্তিতে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-তে যে ইংরেজি স্নাতক শিক্ষা কার্যক্রম চালু তার নাম হলো Teaching English to Speakers of Other Languages (TESOL)। ইংরেজি স্নাতক শিক্ষাকার্যক্রমের এই নাম একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি এবং জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি-এই তিন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষাকার্যক্রমের চেয়ে ভিন্নতর। উল্লেখ্য যে, এই তিন বিদেশি ভাষায় স্নাতক শিক্ষাকার্যক্রমগুলোর আনুষ্ঠানিক নাম হলো যথাক্রমে MA in Chinese Language and Culture, MA in French Language and Culture & MA in Japanese Language and Culture। একই সময়ে এই স্নাতকোত্তর শিক্ষাকার্যক্রম চালু করা হলেও, ইংরেজি শিক্ষাকার্যক্রমের নাম দেওয়া হয়েছে ভিন্ন। অধিকন্তু Teaching English to Speakers of Other Languages (TESOL) শিক্ষাকার্যক্রমটির নাম থেকেই স্পষ্ট যে, এটি শিক্ষাশাস্ত্রীয় অনুষদের অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয়। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এরূপ শিক্ষাকার্যক্রম শিক্ষাশাস্ত্রীয় অনুষদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। সে অর্থে উক্ত Teaching English to Speakers of Other Languages (TESOL) শীর্ষক শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-তে পরিচালনার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট পরিচালিত ইংরেজি নন-ডিগ্রী ও ডিগ্রী শিক্ষাকার্যক্রম চালু করণ ও তা পরিচালনার পক্ষে যেসব যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে, সে সব যুক্তি খণ্ডনে যেসব প্রতিযুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে তা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার বিদ্যাপীঠ হওয়ায়, এখানে ইংরেজি নন-ডিগ্রী ও ডিগ্রী-এই উভয় প্রকার শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখার পক্ষে কোনো যৌক্তিকতা নেই।

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটস্থ ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কিত উক্ত পর্যালোচনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মূলধারার শিক্ষা কার্যক্রম নয়। তা সত্ত্বেও নানা ধরণের ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রমের বিস্তৃতি আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইংরেজি শিক্ষার ব্যপ্তি ও বৈচিত্র্যকেই শুধু বাড়িয়েছে। ফলশ্রুতিতে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট তার শিক্ষা-শাস্ত্রীয় মূল চেতনা থেকে সরে এসেছে। তাই বৈচিত্রে ও পরিসরে ব্যাপক এই ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম ও এর শিক্ষকদেরকে অন্যান্য বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে স্বাতন্ত্র্য এনে দিয়েছে। এমতাবস্থায় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের সাবলীল বিকাশ ব্যহত হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, এই আবদেনকারী ১২ বছর আগে ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০১০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটস্থ বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমকে আলাদা করার জন্য অনুরূপ আবেদন (আবেদনের অনুলিপি সযুক্ত) করেছিলো। তখন এই শিক্ষা কার্যক্রমকে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে আলাদা করা হলে, এতোদিন এখানে বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের সাবলীল উন্নয়ন সাধিত হতো।

উক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটস্থ বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকার্যক্রমকে আলাদা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং এটি আলাদাকরণে দু'টি বিকল্প ব্যবস্থার কথা চিন্তা করা যেতে পারে:
১) “ইংরেজি ভাষা ইনস্টিটিউট” নামে একটি নতুন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে, তার অধীনে প্রস্তাবিত এই ইংরেজি ভাষা ইনস্টিউটের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম ন্যস্তকরণ এবং “ইংরেজি ভাষা ইনস্টিটিউট”-এর নিজস্ব কোনও শিক্ষাভবন স্থাপন পর্যন্ত, এটি আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অবকাঠামোতে অবস্থিত থাকতে পারে।

২) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে পরিচালিত ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আদর্শের ও শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে মিল থাকায়, এর নন-ডিগ্রী কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে, ডিগ্রী শিক্ষা কার্যক্রমগুলো শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে অঙ্গীভূত করা যেতে পারে। (উল্লেখ্য যে, শিক্ষা ও গবেষণা ও ইনস্টিটিউটেও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট পরিচালিত M.A. in TESOL (Teaching English for the Speakers of Other Languages)-এর অনুরূপ স্নাতকোত্তর কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।)

অতএব, দু’টি বিকল্প ব্যবস্থার মধ্যে যে কোনও একটি অনুসরণে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের বিদেশি ভাষা শিক্ষাকার্যক্রম থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমকে আলাদা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

আপনার বিশ্বস্ত

ডক্টর এ বি এম রেজাউল করিম ফকির
অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি
পরিচালক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট

অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ
১) প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২) প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩) কোষাধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪) রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


পরিচালক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট




সংযুক্তি:

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.