নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষা প্রচলনের পক্ষে কালানুক্রমিক আইনী ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০২


২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা ভাষা অধিকার আন্দোলনের পরিণতি লাভ।

৭ই মে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ
ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তান গণপরিষদ কর্তৃক বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণ।

১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ
পাকিস্তানের গণপরিষদে গৃহীত প্রথম সংবিধানের ২১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে সম্মিলিতভাবে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গ্রহণ।

১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ
সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর বিজয়ী দল আওয়ামী লীগ-এর সভাপতি হিসাবে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলা ভাষার পক্ষে নিম্নরূপ ঘোষণা প্রদান ‘...আমাদের হাতে যেদিন ক্ষমতা আসবে, সেদিন থেকেই দেশের সর্বস্তরে বাংলাভাষা চালু হবে। বাংলাভাষার পণ্ডিতরা পরিভাষা চালু করবেন, তারপরে বাংলাভাষা চালু হবে তা হবে না। পরিভাষাবিদরা যত খুশি গবেষণা করুন। আমরা ক্ষমতা হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাভাষা চালু করে দিব, সে বাংলা যদি ভুল হয়, তবে ভুলই চালু হবে, পরে তা সংশোধন করা হবে’।

৪ঠা নভেম্বর ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ
জাতীয় সংসদে গৃহীত সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৩ বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি।

১৮ ডিসেম্বর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের কাল-বিলম্ব না করে বাংলায় রায় লেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ
সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি দাপ্তরিক কাজে বাংলা ব্যবহারের নির্দেশনা জারি।

২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলাভাষাকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন

১২ মার্চ ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাভাষা প্রচলন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি। সেই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে-‘দীর্ঘ তিন বছর অপেক্ষা করার পরও বাংলাদেশের বাঙালি কর্মচারীরা ইংরেজি ভাষায় নথি লিখবেন সেটি অসহনীয়। এ সম্পর্কে পূর্ববর্তী নির্দেশ সত্ত্বেও এ ধরনের অনিয়ম চলছে। আর এ উশৃঙ্খলতা চলতে দেওয়া যেতে পারে না’।

১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ
সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহারের পক্ষে পুনর্বার প্রজ্ঞাপন জারি।

১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ
‘বাংলাভাষা প্রচলন আইন-১৯৮৭’গৃহীত হয়। এ আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশে সর্বত্র তথা অফিস-আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া অন্যান্য সব ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল-জবাব ও অন্যান্য আইনানুগ কার্যাদবলি অবশ্যই বাংলায় লিখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। বাংলাভাষা প্রচলন আইনের ৩(১) উপধারায় বলা হয়, উল্লিখিত কোনো কর্মস্থলে কোনো ব্যক্তি বাংলাভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন তাহলে সে আবেদন বে-আইনি ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে। ধারা ৩(৩)-এ উল্লেখ করা হয়, যদি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এ আইন অমান্য করেন তবে তিনি সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধির অধীনে অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৭ই নভেম্বর ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ
জাতিসংঘের অঙ্গ-সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের দিন ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা।


২১শে ফেব্রুয়ারি ২০০০ খ্রিস্টাব্দ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে শুরু।

২৬শে সেপ্টেম্বর ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৪তম অধিবেশনে বাংলা ভাষাকে জাতিসঙ্ঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার আহবান।

২১শে ডিসেম্বর ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধান সভা কর্তৃক বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানের জন্য বাংলাদেশের দাবীকে অনুসমর্থন জানিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ এবং প্রস্তাবটি জাতিসংঘে উপস্থাপনের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ।

১১ই জুন ২০১০ খ্রিস্টাব্দ
ত্রিপুরা রাজ্যের বিধান সভা কর্তৃক বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দানের জন্য বাংলাদেশের দাবীকে অনুসমর্থন জানিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ এবং প্রস্তাবটি জাতিসংঘে উপস্থাপনের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ।

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাদেশ আইন কমিশন উচ্চ আদালতে আইনটি কার্যকর করার পাশাপাশি ন্যায়বিচারে সবার সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করে।

২০১২ খ্রিস্টাব্দ
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করে বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান রীতি অনুরসণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২০১৫ খ্রিস্টাব্দ
‘সরকারি কাজে ব্যবহারিক বাংলা’নামক পুস্তিকা প্রকাশ

২০১৮ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকে ‘বাংলাভাষা প্রচলন আইন-১৯৮৭-এর লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ঋণ অনুমোদনের চিঠিতে বাংলা ব্যবহার করার নির্দেশ।

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ
উচ্চ আদালত কর্তৃক বাংলাভাষা প্রচলন আইন-১৯৮৭ অনুযায়ী অফিস-আদালত, গণমাধ্যমসহ সর্বত্র বাংলাভাষা ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি। পাশাপাশি দূতাবাস ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সব সাইনবোর্ড, নামফলক ও গাড়ির নম্বর-প্লেট, বিলবোর্ড এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিজ্ঞাপন বাংলায় লেখা ও প্রচলনের নির্দেশ।

১৪ মে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলোকে বাংলাভাষা প্রচলন আইন-১৯৮৭ কার্যকর করার নির্দশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.