![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জুলাই সনদ: একটি বিকল্প ইশতেহার
প্রস্তাবনা
আমরা, বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে, এই সনদ ঘোষণা করছি যে আমাদের মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং জাতীয় স্বার্থ সকল পররাষ্ট্রীয় চাপ ও প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের একমাত্র অধিকার রয়েছে এদেশের মানুষের, কোনো বিদেশী শক্তির নয়।
এই সনদের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা ঘোষণা করছি, যেখানে দলীয় বা ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে থাকবে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ। আমরা প্রত্যাখ্যান করছি সকল প্রকার বিদেশী প্রভু-সেবী রাজনীতি এবং অঙ্গীকার করছি একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গৌরবময় বাংলাদেশ গড়ার।
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা: একটি সমস্যা বিশ্লেষণ
পরাশক্তির প্রতিভূ হিসেবে রাজনৈতিক দলসমূহ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়শই নির্দিষ্ট পরাশক্তির স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে। এই বিভাজনটি এমনভাবে প্রকাশ পায়:
ভারত-মুখী দলসমূহ: ভারতীয় নীতির সমর্থন এবং পাকিস্তান-চীনের সমালোচনা
পাকিস্তান-মুখী শক্তি: পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভারত-বিরোধী অবস্থান
চীন-মুখী গোষ্ঠী: চীনা বিনিয়োগ ও নীতির সমর্থন
পশ্চিমা-মুখী অংশ: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক এজেন্ডার সমর্থন
তুর্কি-মুখী গোষ্ঠী: তুরস্কের নব্য-উসমানী নীতি ও ইসলামী রাজনীতির সমর্থন
ইসরাইল-মুখী অংশ: ইসরাইলি প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সহযোগিতার সমর্থক
সৌদি-মুখী শক্তি: সৌদি আরবের ওয়াহাবি মতবাদ ও তেল কূটনীতির সমর্থক
স্বার্থের সংঘাত এবং জাতীয় স্বার্থের অবনতি
এই প্রতিভূ রাজনীতির ফলে বাংলাদেশে যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে:
রাজনৈতিক মেরুকরণ: প্রতিটি বিদেশনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দলীয় রাজনীতির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নীতিগত অসংগতি: সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে বিদেশনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়।
জাতীয় স্বার্থের অবহেলা: পরাশক্তির সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া হয়।
সার্বভৌমত্বের ক্ষয়: বিদেশী শক্তির চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নীতি প্রণয়ন।
পরাশক্তিসমূহের বাংলাদেশ-বিরোধী তৎপরতা: একটি তালিকা
ভারত
ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে অসম চুক্তি
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে টালবাহানা
সীমান্তে অবৈধ হত্যাকাণ্ড
অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ
বাণিজ্য ঘাটতি অব্যাহত রাখা
পাকিস্তান
১৯৭১ সালের গণহত্যার দায় স্বীকার না করা
ধর্মীয় কার্ড ব্যবহার করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি
সম্পত্তি বিভাজন নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা
জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর প্রশ্রয় দেওয়া
চীন
ঋণের ফাঁদে ফেলার কৌশল
স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগে বৈষম্য
পরিবেশ বিধি লঙ্ঘন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন
প্রযুক্তি নির্ভরতা বৃদ্ধি
যুক্তরাষ্ট্র
একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ
মানবাধিকার ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ
বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহার
আন্তর্জাতিক ফোরামে চাপ সৃষ্টি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
শ্রম অধিকার নিয়ে শর্তারোপ
জিএসপি সুবিধা স্থগিত করার হুমকি
রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়া
অস্ত্র সরবরাহে শর্তারোপ
পারমাণবিক প্রকল্পে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়
ইউক্রেন যুদ্ধে অবস্থান নিতে চাপ
তুরস্ক
নব্য-উসমানী আদর্শের নামে প্রভাব বিস্তার
ধর্মীয় কার্ড ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ
সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয়ে রাজনৈতিক শর্ত আরোপ
আঞ্চলিক ইস্যুতে তুর্কি অবস্থান গ্রহণে চাপ প্রয়োগ
ইসরাইল
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলি অবস্থান সমর্থনে চাপ প্রয়োগ
প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সহযোগিতার নামে তথ্য সংগ্রহ
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি স্বার্থের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তনে চেষ্টা
আন্তর্জাতিক ফোরামে ইসরাইল-বিরোধী প্রস্তাবে বিরত থাকার চাপ
সৌদি আরব
হজ ও উমরাহ ভিসার রাজনৈতিক ব্যবহার
ওয়াহাবি ধর্মীয় মতবাদ প্রচারের মাধ্যমে সামাজিক বিভাজন সৃষ্টি
তেল সরবরাহ ও শ্রমিক কর্মসংস্থানের বিনিময়ে রাজনৈতিক আনুগত্য দাবি
ইয়েমেন যুদ্ধসহ মধ্যপ্রাচ্যীয় দ্বন্দ্বে সৌদি অবস্থান সমর্থনে চাপ
জুলাই সনদের মূল ইশতেহার
অনুচ্ছেদ ১: সার্বভৌমত্বের অলঙ্ঘনীয় নীতি
আমরা ঘোষণা করি: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অলঙ্ঘনীয় এবং অহস্তান্তরযোগ্য। কোনো বিদেশী শক্তি, তা যতই বন্ধুত্বপূর্ণ হোক না কেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে না।
আমরা অঙ্গীকার করি: আমাদের সকল নীতি নির্ধারণ হবে একমাত্র বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে, কোনো বিদেশী প্রভুর নির্দেশনায় নয়।
অনুচ্ছেদ ২: বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ
আমরা চিহ্নিত করি নিম্নলিখিত দেশসমূহের বাংলাদেশ-বিরোধী তৎপরতা:
ভারত
ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে অসম চুক্তি
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে টালবাহানা
সীমান্তে অবৈধ হত্যাকাণ্ড
অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ
বাণিজ্য ঘাটতি অব্যাহত রাখা
পাকিস্তান
১৯৭১ সালের গণহত্যার দায় স্বীকার না করা
ধর্মীয় কার্ড ব্যবহার করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি
সম্পত্তি বিভাজন নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা
জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর প্রশ্রয় দেওয়া
চীন
ঋণের ফাঁদে ফেলার কৌশল
স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগে বৈষম্য
পরিবেশ বিধি লঙ্ঘন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন
প্রযুক্তি নির্ভরতা বৃদ্ধি
যুক্তরাষ্ট্র
একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ
মানবাধিকার ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ
বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহার
আন্তর্জাতিক ফোরামে চাপ সৃষ্টি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
শ্রম অধিকার নিয়ে শর্তারোপ
জিএসপি সুবিধা স্থগিত করার হুমকি
রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়া
অস্ত্র সরবরাহে শর্তারোপ
পারমাণবিক প্রকল্পে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়
ইউক্রেন যুদ্ধে অবস্থান নিতে চাপ
তুরস্ক
নব্য-উসমানী আদর্শের নামে প্রভাব বিস্তার
ধর্মীয় কার্ড ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ
সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয়ে রাজনৈতিক শর্ত আরোপ
আঞ্চলিক ইস্যুতে তুর্কি অবস্থান গ্রহণে চাপ প্রয়োগ
ইসরাইল
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলি অবস্থান সমর্থনে চাপ প্রয়োগ
প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সহযোগিতার নামে তথ্য সংগ্রহ
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি স্বার্থের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তনে চেষ্টা
আন্তর্জাতিক ফোরামে ইসরাইল-বিরোধী প্রস্তাবে বিরত থাকার চাপ
সৌদি আরব
হজ ও উমরাহ ভিসার রাজনৈতিক ব্যবহার
ওয়াহাবি ধর্মীয় মতবাদ প্রচারের মাধ্যমে সামাজিক বিভাজন সৃষ্টি
তেল সরবরাহ ও শ্রমিক কর্মসংস্থানের বিনিময়ে রাজনৈতিক আনুগত্য দাবি
ইয়েমেন যুদ্ধসহ মধ্যপ্রাচ্যীয় দ্বন্দ্বে সৌদি অবস্থান সমর্থনে চাপ
অনুচ্ছেদ ৩: জাতীয় স্বার্থের প্রাধান্য
আমরা প্রতিজ্ঞা করি:
বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থই হবে আমাদের সকল নীতির মূল ভিত্তি
কোনো বিদেশী শক্তির স্বার্থে আমাদের জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেব না
দেশের সম্পদ ও সুবিধা প্রথমে বাংলাদেশীদের কল্যাণে ব্যবহার করব
অনুচ্ছেদ ৪: সুষম ও স্বাধীন কূটনীতি
আমরা অনুসরণ করব:
কোনো একক পরাশক্তির উপর নির্ভরশীলতা পরিহার
সকল দেশের সাথে সমান ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক
আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধা নিয়ে সুষম কূটনীতি
অনুচ্ছেদ ৫: অর্থনৈতিক স্বাধীনতা
আমরা নিশ্চিত করব:
কোনো দেশের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা ৩০% এর বেশি হবে না
বিদেশী বিনিয়োগে স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক সুবিধা
দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়নে অগ্রাধিকার
অনুচ্ছেদ ৬: সামরিক স্বাধীনতা
আমরা ঘোষণা করি:
বাংলাদেশের মাটিতে কোনো বিদেশী সামরিক ঘাঁটি থাকবে না
আমাদের প্রতিরক্ষা নীতি হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন
সামরিক ক্রয়ে বহুমুখী সোর্স নিশ্চিত করা
অনুচ্ছেদ ৭: রাজনৈতিক ঐক্য
আমরা অঙ্গীকার করি:
দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে স্থান দেওয়া
বিদেশনীতিতে জাতীয় ঐকমত্য বজায় রাখা
কোনো বিদেশী শক্তির প্রতিভূ হিসেবে কাজ না করা
জাতীয় প্রতিজ্ঞা ও কর্মসূচি
তাৎক্ষণিক কর্মসূচি (প্রথম ৬ মাস)
জাতীয় ঐকমত্য গঠন:
সকল রাজনৈতিক দলের সাথে জাতীয় স্বার্থ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক
বিদেশনীতিতে দলমত নির্বিশেষে ন্যূনতম ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে সকল দলের প্রতিনিধিত্ব
আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা:
জুলাই সনদের নীতিমালা অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব
বিদেশী হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন
জাতীয় নিরাপত্তা আইনের সংস্কার
মধ্যমেয়াদী কর্মসূচি (১-৩ বছর)
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন:
বাণিজ্য সম্পর্কে ভারসাম্য আনয়ন (কোনো দেশের সাথে ৩০% এর বেশি নির্ভরতা নয়)
দেশীয় শিল্প সুরক্ষা ও প্রণোদনা কর্মসূচি
জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প
কূটনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা:
দক্ষিণ এশীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মধ্যম শক্তির সাথে জোট গঠন
অসামরিক পরমাণু ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা
আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান
দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য (৫-১০ বছর)
আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা:
দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে নৌ-শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা
জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা
সামরিক স্বনির্ভরতা অর্জন:
প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা
সাইবার নিরাপত্তায় সক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আঞ্চলিক নেতৃত্ব
স্বাক্ষর ও অনুমোদনের আহ্বান
রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি আহ্বান
আমরা বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল, নেতা ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই:
অবিলম্বে স্বাক্ষর করুন এই জাতীয় সনদে এবং প্রতিজ্ঞা করুন যে:
আপনারা কোনো বিদেশী শক্তির প্রতিভূ হিসেবে কাজ করবেন না
দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে স্থান দেবেন
বিদেশী চাপের মুখে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেবেন না
জনগণের প্রতি আহ্বান
হে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকগণ:
এই সনদের পক্ষে জনমত গঠন করুন
যেসব নেতা বিদেশী প্রভুর সেবায় নিয়োজিত, তাদের বর্জন করুন
জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হোন
সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান
মাতৃভূমির সূর্যসন্তানগণ:
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকুন
কোনো বিদেশী চাপের কাছে মাথা নত করবেন না
জনগণের আস্থার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না
উপসংহার: নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন
এই জুলাই সনদ শুধু একটি রাজনৈতিক দলিল নয়, এটি একটি জাতীয় মুক্তিপত্র। আমরা স্বপ্ন দেখি এমন এক বাংলাদেশের যেখানে:
কোনো বিদেশী দূতাবাস আমাদের নেতাদের ডেকে নির্দেশনা দেবে না
আমাদের সন্তানেরা গর্ব করে বলতে পারবে যে তারা একটি স্বাধীন জাতির সন্তান
বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিত হবে একটি সার্বভৌম ও মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে
আমাদের জাতীয় পতাকা উড়বে স্বাধীনতার গৌরবে, কোনো বিদেশী প্রভুর ছায়ায় নয়
ইতিহাস আমাদের বিচার করবে - আমরা কি পারলাম আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে, নাকি বিকিয়ে দিলাম পরাশক্তির কাছে। আজ সেই পরীক্ষার সময়।
জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ! স্বাধীন বাংলাদেশ, সার্বভৌম বাংলাদেশ!
এই সনদে স্বাক্ষরকারী প্রতিটি ব্যক্তি ও সংগঠন প্রতিজ্ঞা করেন যে তাঁরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জীবন দিয়ে হলেও লড়াই করবেন।
স্বাক্ষর স্থান: নাম: ________________________ পদবি: _______________________ দল/সংগঠন: ___________________ তারিখ: ______________________ স্বাক্ষর: _____________________াতি।
©somewhere in net ltd.