![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে । সেটা যে কোন সময়ই হতে পারে ।
এই লাইলাতুল মিরাজে মহানবী নভোমণ্ডল, বেহেশত-দোজখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন৷ আসুন বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি ।
আজ সোমবার ২৬ রজব পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ। আখেরী নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স) তাঁর জীবদ্দশায় হিজরি এ মাসের আজকের দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর নির্দেশে মক্কা শরিফ থেকে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে সপ্তম আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাক্ষাৎ লাভ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসেন৷ প্রত্যক্ষ করেন সপ্ত আকাশ, বেহেস্ত, দোজখসহ আল্লাহর সৃষ্টিরহস্য। সপ্তাকাশে অবস্থানকারী নবী-রাসূলদের সাথে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন। ফেরেস্তা হজরত জীবরাইল (আ) কে দেখেন তার নিজ অবয়বে। আল্লাহর কাছ থেকে নিয়ে আসেন উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান। এ কারণেই হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র৷
ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র এ রাতটি বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়৷ শবে মিরাজের এ মহিমান্বিত রাতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির-আসকার, দোয়া-দরুদ, মিলাদ মাহফিলসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহ্ তাআলার অশেষ মেহেরবানি কামনা করা হয়ে থাকে৷
রাসূল (সা)-এর মিরাজ তথা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের মহান কর্মটি ইসলামের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তাই রাতটি মুসলমানদের কাছে খুবই মর্যাদাপূর্ণ। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায়, মিরাজের সঠিক তারিখ নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ থাকলেও হিজরতের কয়েক বছর আগে ঘটে এ ঘটনা।
অধিকাংশ মত অনুযায়ী ২৬ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ রজব এশার নামাজের পরই ঘটে মিরাজের ঘটনা। মহানবী (সা.) এ রাতে প্রথমে কাবা শরিফ থেকে বোরাক নামের বাহনে যাত্রা করে ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে যান৷ সেখানে অন্যান্য নবী-রাসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজে তিনি ইমামতি করেন৷ এরপর ঊর্ধ্বলোকে সফর শুরু করেন৷ তখন নবী সা: হজরত উম্মে হানির (রা) ঘরে শায়িত ছিলেন। জিবরাইল (আ) এসে তাকে ঊর্ধ্বাকাশে গমনে আল্লাহর নির্দেশনার কথা জানান। সাথে সাথেই শুরু হয় ভ্রমণ। তিনি প্রথমে বোরাক নামে একটি বাহনে মক্কা মোকাররমা থেকে পবিত্র মসজিদে আকসা যান। এই ভ্রমণে প্রতিটি আসমানে অবস্থানরত প্রধান ফেরেস্তাদের সাথে তার দেখা হয়। পরে বায়তুল মামুর নামক স্থানে ফেরেস্তাদের নিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়েন। সিদরাতুল মুনতাহা নামক স্থানে পৌঁছে মহানবী সা:কে বহনকারী বোরাক থেমে যায়। জিবরাঈল (আ) ওই স্থানের উপরে যাওয়ার ব্যাপারে তার অপরাগতা প্রকাশ করেন। এরপর ‘রফরফ’ নামের আরেকটি কুদরতি বাহন এসে রাসূল সা:কে উপরের দিকে আরশে মোয়াল্লায় পৌঁছে দেন।
সেখানেই আল্লাহর সাথে রাসূল (সা)-এর দিদার তথা সান্নিধ্য লাভের ঘটনা ঘটে। সপ্ত আসমান পেরিয়ে তিনি আরশে আজিমে ধনুক পরিমাণ দূরত্বে থেকে মহান আল্লাহ পাকের দিদার লাভ করেন৷ সরাসরি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন হয়। নবুয়াতি দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা লাভ এবং আল্লাহর সৃষ্টি কৌশল অবলোকন করার পর ফজরের নামাজের আগেই তিনি আবার আল্লাহর সেই কুদরতি বাহনে ফিরে আসেন।
রাসূল (সা)-এর মিরাজ সশরীরে না আত্মিক হয়েছিল এ নিয়ে বিজ্ঞানী ও আলেমদের মধ্যে কিছুটা মতান্তর আছে। তবে অধিকাংশ আলেম ও ইসলামি গবেষকদের মতে, মিরাজ ছিল একটি বাস্তব ঘটনা। আল্লাহ তায়ালা বিশেষ ব্যবস্থায় এ কাজটি করিয়েছেন সশরীরেই।
যদি আত্মিক বা স্বপ্নেই এ ঘটনা ঘটত তাহলে এ নিয়ে এত আলোচনা বা একে স্বীকার-অস্বীকারের প্রশ্ন আসত না। কারণ তখন এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর কাফের মুশরিকরা ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছিল। স্বপ্নে হলে এ নিয়ে এত আলোচনা হতো না। তা ছাড়া পবিত্র কুরআনের সূরা বনি ইসরাইল ও সূরা নজমে রাসূল সা:-এর মিরাজের কথা পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। ফলে এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
মহান সৃষ্টিকর্তা যে সবকিছু পারেন এটা খুব সহজেই বোঝা যায় এখানে ।
মহান আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে সত্য অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন ।
আমিন
Click This Link
Click This Link
২| ২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
মুদ্দাকির বলেছেন:
মুসলমানের পৌরানিক মিরাজ
২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
রেজওয়ান26 বলেছেন: লিংক দেবার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
রেজওয়ান26 বলেছেন: লিংক দেবার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নবীজী মেরাজ গমনকালে সকল নবী রাছুলদের নিয়ে ২ রাকাত নামায
আদায় করেন বায়তুল মুকাদ্দাসে , নবীজী নিজেই ইমামতি করেন ।
পোস্টে ধন্যবাদ