নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিয়াজ বেষট

রিয়াজ বেষট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম হবে হাজার-লাখো রাজিবের

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫২

বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম হবে হাজার-লাখো রাজিবের



বর্তমান আন্দোলনকে ধরে রাখা ও বিস্তৃতির জন্য এবং দলীয়করণ যেন না হয়, সে জন্য সারা দেশে ‘ব্রিগেড’ গঠন করা প্রধান কাজ। ইতোমধ্যেই গণ-জাগরণ মঞ্চ থেকে এ সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে। এই আন্দোলনের ব্লগার শহীদ রাজিব হত্যাকাণ্ডের পর গণ-জাগরন মঞ্চের আন্দোলন এক নতুন মোড় নিয়েছে। সারা দেশে আওয়াজ উঠেছে কেবল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নয়-রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই। আরো দাবি উঠেছে জামায়াত ও তার অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে। এসব কাজ মুখে বলা যত সহজ, বাস্তবে করা দীর্ঘ মেয়াদী এবং বেশ জটিল। কারণ রাজনীতি এমন একটি বিষয় যা কেবল আইন দ্বারা পরিচালিত হয় না, এর সঙ্গে যুক্ত থাকে সামাজিক প্রয়োজন, নৈতিকতাভিত্তিক এক সুদূর প্রসারী কর্মসূচি। আবেগতাড়িত হয়ে তরুণ প্রজন্মের আজকের আন্দোলন অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে। তবে এই আন্দোলনকে আরো বহুদূর নিয়ে যেতে হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকা-ভিত্তিক এবং আকর্ষনীয় ভিন্নধর্মী এই আন্দোলন দেশের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীকেও আলোড়িত করেছে।



স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে এরা ছাড়াও শ্রমিক-কর্মচারি-কৃষক এবং তাদের সন্তানেরা এবং বিস্তৃত পেশাজীবী মহল ও তাদের সন্তানেরা যাদের সংখ্যা ১৬ কোটি মানুষের শতকরা ৮৫ ভাগ তাদেরকে এই আন্দোলনে কি ভাবে জড়িত করা যায় ? তা না হলে ব্লগার রাজিবের স্মরণ সভা অনুষ্ঠান করাসহ কিছু আনুষ্ঠানিক কাজকর্মের মধ্যেই এই আন্দোলন সীমিত হয়ে পড়বে।

সুতরাং যে কাজটি এখন আমাদের করতে হবে তা হলো এই আন্দোলনকে সমাজের সকল অংশের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া এবং প্রত্যেকে যেন নিজেদেরকে আন্দোলনের অংশীদার হিসেবে ভাবতে পারে।



সে লক্ষ্যে দেশের সর্বত্র গ্রাম, পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক প্রতিষ্ঠান, কর্মচারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সকল স্তরে এবং পর্যায়ে অতি সত্তর ‘ব্রিগেড’ গঠনের কাজ হাতে নিতে হবে। স্থান এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রত্যেক ‘ব্রিগেডে’র সদস্য সংখ্যা হবে ৩ বা ৫ বা ৭ জন। ‘ব্রিগেড’ গঠনের কাজটি সারা দেশে এবং সকল কর্মক্ষেত্র ব্যাপী হতে হবে। এই জন্য কাজটি প্রাত্যাহিক, ধারাবাহিক ও নিয়মিত কাজ হিসাবে অনুশীলন করতে হবে । এক একটি গ্রামে, এক একটি ইউনিয়নে, এক একটি শিল্প এলাকায়, এক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, এক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একাধিক ‘ব্রিগেড’ গঠন করতে হবে এবং একটি স্থানীয় সমন্বয় কমিটিও থাকতে হবে । এই ভাবে সারা দেশে কয়েক হাজার, এমনকি কয়েক লক্ষ ‘ব্রিগেড’ সদস্য থাকতে হবে। এরাই হবে আন্দোলন টিকিয়ে রেখে আরো গতিশীল করার প্রধান শক্তি । এই ভাবেই আন্দোলনের পক্ষের ‘চেইন অব কমান্ড’ গড়ে তুলতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.