![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুগে যুগে পৃথিবীতে যত পরিবর্তন হয়েছে, তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুব সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের ক্রান্তিলগ্নে যুবকরাই কান্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশেও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সহ যাবতীয় সংগ্রামে তরুন সমাজই রেখেছে প্রধান ভূমিকা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই শক্তিশালী তরুন সম্প্রদায়কে দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কোন সরকার বা মহল আজো উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উপরন্তু নিজেদের ব্যক্তি, গোষ্ঠি ও দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো যুবকদের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে একদিকে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অপহরণ, গুম ও খুনের মত জঘন্য সব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অন্যদিকে এক শ্রেণীর যুব সমাজ হচ্ছে রাজনীতি বিমুখ এবং বীতশ্রদ্ধ। এমতাবস্থায়, দেশে সৃষ্টি হচ্ছে যোগ্য নেতৃত্বের গভীর সংকট। যার নির্মম শিকার দেশ ও জাতি। কষ্টার্জিত স্বাধীনতাও হুমকির মুখে। বিদেশী শকুনরা আবারও তৎপর। এ অভিভাবকহীন অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। আমাদের ভবিষ্যত আমাদেরকেই রচনা করতে হবে। তাই, যুব সমাজকে আবার জেগে উঠতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য রাষ্ট্রের উন্নতি কল্পে দীর্ঘকাল যাবত প্রচলিত ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা তথা ‘অভ্যন্তরীণ উপনিবেশবাদ’-এর বদলে যুগোপযোগী শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচীর মাধ্যমে এ দায়িত্ব পালনে আমাদের যুব সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।
©somewhere in net ltd.