![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে লেখাটা লেখকদের কাজ । তাঁরা মোটা মোটা বই লিখে, আর সেই বইয়ের শেষদিকের মলাটে বইয়ের থেকে মোটা চশমা পড়ে নিজের সম্পর্কে কি সব হিবিজিবি লিখে । আমি মোটেও লেখক না; কবিও না । মাঝে মাঝে মনে যা আসে লিখি কিন্তু তাকে কখনই সাহিত্য বলা চলে না ।
তারপর আসবে রাত;
ঘনকালো আঁধারের মৃতরাত ।
সেই রাতে,
পূর্ণিমার আলো থাকব না,
আলো জালবে না দুষ্ট জোনাকিদল ।
দূর থেকেই
পথ দেখাবে না বহুদূরের ধ্রুবতারা ।
মেঘগুলো ভারী হয়ে ঝড়ে পড়তে চাবে,
কিন্তু বাঁধা দিবে কে যেন !
সেই বাঁধা,
অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা মেঘ-কন্যাদের নেই ।
ওরা,
উন্মাদ হয়ে পড়বে মৃত্তিকার স্বাদ নেয়ার জন্য ।
কিন্তু বৃষ্টি হয়ে নেমে আসবে না ।
নিষেধ অমান্য করার শাস্তি বড়ই কঠিন,
ওরা শাস্তি চায় না, ওরা মৃত্তিকা স্পর্শ করবে না ।
এই রাতে বৃষ্টি না হলেও, ভিজবে কিছু বালিশ ।
অবশ্য,
বদ্ধ দরজার এপাশে বালিশগুলো রোজ ভিজে ।
ভিজে ভিজে তাতে দাগ পড়ে ।
দাগ থেকে হয় আল্পনা ।
তারপর শুকিয়ে যায়, মিলিয়ে যায় অজানায় ।
কেউ জানতেও পায় না ওদের সিক্ত হওয়ার গল্প ।
হয়ত কেউ জানতেই চায় না ।
সত্যিই,
এই সব গল্প কেউ শুনতে চায় না ।
সবাই শুনতে চায়,
হাতধরে পাশাপাশি রেললাইনে চলার কবিতা,
অথবা,
পাঁচ-দশ টাকার বাদাম হাতে রিক্সার টুংটাং শব্দ ।
বালিশ ভেজার একটা গল্পই লিখতাম ।
কিন্তু,
কলম বিদ্রোহ করেছে যেন ।
সেও শুধু লিখতে চায় স্বপ্নযাত্রার ভ্রমণকাহিনী ।
যেই স্বপ্ন গুলোর সমাপ্তি ঘটে স্বপ্নেই ।
বাস্তবতা থেকে দূরে থাকতে চায়,
কালোকালীর দল ।
বাস্তবতা যে তাদের থেকেও কালো ।
সবার জন্য হয়ত কালো নয় ।
কারও কারও জন্য হয়ত রঙ্গিন -
লাল, গোলাপি, খয়েরী কত্ত রং !
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
কাব্যহীন রেওয়াজ বলেছেন: পোস্টের থেকে কমেন্টটাই সুন্দর আর ভাববার মত......।
মানুষ বড়ই বিচিত্র....।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বালিশ না ভিজুক। রঙে মিশে যাক পৃথিবী।
কবিতার থিমটা সুন্দর।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২২
কাব্যহীন রেওয়াজ বলেছেন: পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর রং মনে হয় 'অশ্রুর রং'......।
ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩২
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: বালিশ ভিজে হয়তো...... কিন্তু সকাল হলে সেই মানুষগুলোই ভেজা দাগের সমালোচনা করে সিন্দুক বন্দী করে রাখে। আবার রাত হলে অন্ধকার হাতড়ে সিন্দুকের চাবি খোঁজে। মানুষ বড়ই বিচিত্র!