![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বনমুরগী পোষ মানে না.......
শায়মাকে যতই দেখি , আশ আর মেটে না দেখে দেখে। ও যেন এক অন্যজগতের মানুষ, এতই আলৌকিক ওর আবির্ভাব। ওর সৌন্দর্য- টলটলে সবুজাভ স্বচ্ছ দীঘির নীড়ে ঠিক মধ্যাহ্নের ঝকঝকে সাদা নীল আকাশের ছায়ার মত , তেমনই শান্ত , তেমনই সরল কিন্তু তেমনই নীরব মহিমা ঘেরা। সকালে ও যখন চায়ের কাপটা আমার হাতে দেয়, কিংবা টিভিতে কোন একটা প্রোগ্রামে হাসির কিছু দেখে লুটিয়ে পরে , কিংবা নতুন উদ্ভট কিছু রান্না করে আমাকে চমকিত করার চেষ্টা করে , তখন নির্বিকার ভাবটা প্রাণপণে ধরে রাখার চেষ্টায় ভাবি , এই অপূর্ব মেয়েটি আমার পাশে আজ - একি আশ্চর্য সৌভাগ্য! ওর স্বচ্ছ্ব চোখের কাকচক্ষু জলে বাঁধা পড়ি আমি বার বার।ওর চুলের যখন বিনা নোটিশের হাওয়ারা খেলা করে তখন আমার বুকের ভেতরটা নড়ে চড়ে যায়। শায়মাকে আমি ভালোবাসি খুব , খুউব বেশী।
নিবিড় নৈ:শব্দের শশাঙ্ক শিশিরে কাঁপে থরথর-
নামহীন পাখিরা উড়ে যায় , শুধু স্তব্ধ প্রহর,
তিমির কালোর মাঝে আছে সে আলো কি কুহক
মুঠি মুঠি প্রোজ্ঝ্বল রূপোলি ভাড়ার , সে ব্যাথিত ঝিনুক..
সুরেলা কবিতার মতো বাস্তব গদ্য কবিতা আমার শায়মা। ওর ভরাল মিষ্টি , একটু শিশুসুলভ গলায় আবৃত্তি শুনতে শুনতে আমার দিনটা শেষ হয়। একলা আমি প্রেতের মত রাত জেগে কাজ করতে থাকি তার শেষ রেশটা মস্তিস্কের কোঠরে কোঠরে জমা রেখে। ও যে আমার সোরাহি ভরা অমৃত সুরা।
আমি কাজ দ্রুত হাতে সমাপ্ত করায় বিশ্বাসী নই। কোন কালেই। তাই ধারালো বস্তুটা দিয়ে সযত্নে কেটে চলি আমার শায়মাকে। ওর সুন্দর মুখখানা আমার মমতাহীন স্পর্শে অনাসৃষ্টি নিয়ে সৃষ্টি হয়ে জেগে ওঠে প্রতি মুহুর্তে মুহূর্তে ।শক্ত হাতের চাপে ওর মুখের নরম পলিমাটির মানচিত্র বেঁকে যায় । এত শক্তি আমার হাতে! আমার শায়মাকে আমিই ভাঙি গড়ি , মৃত্যুদন্ড দেই জল্লাদ হয়ে, আবার বাঁচিয়ে তুলি - সবই আমার শক্তিমান দুটি হাতের জাদুতে- আজ আমি প্রকৃতিরও বিরুদ্ধে জয়ী অমিতপ্রাণ।
খুন করার পরিকল্পনার অনেক দিনের নিঁখুত পরিকল্পনার আজ বাস্তবায়ন। বহু দিনের তিল তিল করে জমিয়ে তোলা মাস্টার প্লানের সফল পরিসমাপ্তি। এরকম একটা কাজ তো আর হুট করে করা যায় না, যথেষ্ট ভালো মত সবদিক বন্ধ রেখে তারপরে করতে হয়।
আজ একটি বিশেষ দিন।
শায়মার সাথে আমি মহাসুখে ছিলাম। কিং অফ দি ওয়ার্লড। আমার দৈন্যভরা ঘরটি শায়মা আলোকিত করে তুলেছিল।কিন্তু সব সুখের মাঝে গোলাপের মধ্যেকার সদাপস্থিত কীট আছে। অলক্ষ্যে ।হোক সে দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্য। সে কীটের সন্ধান আমিও পেয়েছি। যখন প্রথম তার অস্তিত্ব জানান দিল- দিনটার কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। কিভাবেই বা ভুলি?সবকিছু নিয়ে রসিকতা করতে পারে শায়মা। নিদারুন দুঃখের ব্যাপারেও ওর হালকাচালের পজিটিভ করে দেয়া একটা মন্তব্য আমাকে সব ভুলিয়ে দেয়। আমার মতো জীবনে প্রতি পদে পদে হোঁচট খেতে খেতে চলা একজনের জীবনে এ যে কত দামী তা অন্য কাউকে বোঝানো যাবেনা। কিন্তু ঐদিন আমার হাসি পায়নি।
নিয়মিত প্রসাধনরত শায়মা, আমি ওতে নয় , চোখে রেখেছি দর্পনে।
...ওখানটাতে পড়েছে আমার প্রিয়ার ছা্যা।একটা চুল তুলে এনে হাসিমুখে শায়মা বলে, বুড়ো হয়ে যাচ্ছি, দেখেছো পাকা চুল। বলেই তার সে কি হাসি ! আমার শায়মা ছোট্ট মিষ্টি সংগীতের মতো , পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম বিষাদকেও সে আমোদ করে তুলতে জানে।
সব কিছু চুকে বুকে গেছে কিছুক্ষণ আগেই, কিন্তু সেই হাসির সুর এখনও ঝঙ্কৃত হচ্ছে আমার কানে কানে। আমার কিন্তু একটুও খারাপ লাগছে না। শায়মা আমার টেবিলে , প্রাণহীন , শায়মা আমার ভালো বাসার শয্যায় । আমার ভুবন শায়মাময়। আমার ছোট্ট ঘরটা জুড়ে চোখ বুজে, চোখ খুলে কিংবা আমি টের পাই ওর অশরীরী উপস্থিতি।
মেরু বাতাস বয় হাহাকার রবে
হিম তার করস্পর্শ,
মুহূর্তের ভুলে -
মনে হয় অগ্নিশলাকার্য
আমি ঠিক সেই বিশেষ মুহুর্তটাতেই স্থির করে ফেলেছিলাম। আমার জীবন্ত প্রতিমাকে বার্ধক্যের কালোসাপ কখখোনো ছোবল মারতে পারবে না। আমার প্রেয়সী অনন্তযৌবনা। চিরকালের প্রলম্বিত জলোচ্ছ্বাস। তাকে কালের গ্রাসের আড়ালে কুৎসিত মাকড়সার জালের মতো বলিরেখা ঢেকে ফেলছে - দু্ঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠি। পাশে নিথর আমার শায়মা অকাতরে ঘুমায়। আমার দুঃশ্চিন্তা ওকে স্পর্শ করে না।
পালঙ্কে অতীত কত তন্দ্রা মগ্ন নিশীথ
অশুভ পেঁচক জাগে একাকী প্রতীক-
পাশ ফিরে শুয়ে আছে ঘুমন্ত নগরী-
জানে কি ?
পথ চেয়ে আছে তার অজানা ঘাতক
যেদিন শায়মা নতুন অতিথির আগমন ধ্বনি শোনাতে শোনাতে কলকল করে উঠেছিল , আমার মুখে ছিল হাসি - চোখ পর্যন্ত তা পৌঁছাতে পারে নি। আমার ভালোবাসার নারী শুধু আমার, তাকে দখল করে বেঢপ এক মহিলাতে - ঠিক যেমন পাশের ফ্ল্যাটের জুবুথুবু সন্তানবৎসলা নাম না জানা ''আন্টি''তে পরিণত করতে আমি কাউকে দেবো না, আমার অনাগত সন্তানকে পর্যন্ত না।অন্তঃসত্ত্বার কদাকার রূপে কলঙ্কিত আমার শায়মা- এ দেখা অসম্ভব ।
আমি আমার প্রেমীকে অমর করে রাখতে চেয়েছি । জননীকে নয়। তাই টোটকা গর্ভবিনষ্টক ঔষুধটা প্রয়োগে আমার হাত একদম কাঁপে নি। শায়মা যখন অঝোর ধারায় কেঁদেছে তখন দিয়েছি সান্তনা , গায়ে মাথায় হা্ত বুলিয়েছি গভীর মমতায়। ভালোবাসি আমি ওকে, সম্রাট শাহজাহান তাঁর মমতাজকে যতটা বাসতেন তার চাইতেও অনেক বেশী। ওর কষ্ট সইতে আমি পারি না। কিন্তু সিদ্ধান্তে আমি রয়ে গেছি অনড়। তবে ওকেও মুক্তি দিয়েছি - ওর সব কষ্ট থেকে। আমি ওর এই সামান্য দুঃখ দূর করতে পারবো না? আমি ওর জন্যে যে সব করতে পারি, স-ব।
নির্মম হাতে প্রানহীন শায়মাকে তৃপ্তি নিয়ে দেখি । নিজের কাজে তৃপ্তিতে ঠোঁট চাটি। এই শায়মাও জীবিত শায়মার মতো একই ধরনে জৈবিক উত্তেজনা সঞ্চারে সক্ষম। আবেগে হাত বুলাই। এই নির্বাক শায়মা আমার ছুরির আঘাতে চঞ্চল হয় না।আমার চিজেলের ধারলো ব্লেডেও ওর সুন্দর ঠোঁঁটটা ব্যাথায় কুঞ্চিত হয় না, আমার হাতের আলতো চাপে লজ্জায় লাল হয়েও ওঠে না। আমার হাত ছাড়িয়ে নিতে অযথা বাহানা দেয় না।
আমি আমার শায়মাকে ভালোবাসি। ওর সুন্দর দেহটাতে কোন বিভৎস মৃত্যু দিয়ে রক্ত ঝরাতে হচ্ছে ছিল না আমার। তাই নীলাভ মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলাম ওর মারণবিধাতা হয়ে।
বিষ -জরজর ক্লান্ত সফেদ একটি হাতে
শয্যাপার্শ্বে টিক টিক করে ঘড়ির সাথে পাল্লায় মাতে
কে জিতবে আজ ?
ধমনীর গতি ক্রমঃশ উত্তেজনায় হারায় স্তব্ধতাতে।
সে এখন নিথর শুয়ে । আমি কোন অনুশোচনায় ভুগছি না, কোন শুন্যতার হাহাকারেও না।কেন ভুগবো? আমার শায়মা আমার কাছে বেঁচে আছে। তাছাড়া কাজ এখনও শেষ হয়নি আমার।মনটন খারাপের সময় নেই, ফিনিশিং টাচ বাকি । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পীর কাজের সাথে পাল্লা দেবে আমার এই ঘাতক হাত। খুন ঠিক ঠাক করতে পারা , লাশটাকে নিশ্চিহ্ন গুম করে ফেলাটাও নাকি একটা শিল্প- আমার খুবই বিশ্বাস হয় কথাটা। আমি একটা করেছি এইমাত্র।আমাকে হতে হবে দ্য মাস্টার আর্টিস্ট । আমার প্রিয়ার নশ্বর শেষের পরে আমার যাপন করার আছে অনন্ত বাসর - তারই সাথে। এখন সে কোন ভীতি নয়। তাকে হারাবার ভয় শূন্য মনে সে আমার সাথে সাথে পাশে পাশে থেকে যাবে আজীবন।
আমি দ্রত হাতে কাজ সারতে চেষ্টা করি। নির্বাক পুতুলের দৃষ্টিতে শায়মা আমার দিকে নিস্পলক চেয়ে থাকে। মুখ টিপে হাসিটাও দেব নাকি জীবিত শায়মার নকলস্বরূপ- ওর দিকে তাকিয়ে সেই চিন্তাটা করতে থাকি। সময় নেই - যা করার করতে হবে দ্রুত। লাশ পুঁতিগন্ধ হবার আগেই সরাতে হবে। তাছাড়াও- আমার শায়মাকে ওভাবে বিকৃত রূপে আমাি মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখতে চাই না। চিরবিদায় নেবার আগেও সে সেভাবেই থাকবে যেভাবে আমি তাকে চিনেছি - চিনি আজন্ম।
পরিশিষ্ট:
Every contact leaves a trace- Dr. Edmond Locard -ফরেনসিক সায়েন্সের পুরোভাগের এই ভদ্রলোকের অমোঘ এই বাণীটির সূত্রে ধরা পড়েছে সাব্বির। খুব ভেবে চিন্তে কাজটা ঠান্ডা মাথায়ই সেরেছিল সে। সায়ানাইডের বোতলটা লুকিয়েছিল ঠিকঠাক, অসতর্কতায় শার্টে লেগে থাকা বিন্দুর একটি ফোঁটাই বিশ্বাসভঙ্গ করেছে। আর কোন ছাপছোপ , কোন চিহ্নের দরকার পড়ে নি। ওকে পুলিশ নিয়ে যাবার সময় ওর সাধের স্ট্যাচুটা কি শায়মার মতো অবিকল মোনালিসা স্মাইল দিতে পেরেছিল কিনা জানা নেই। কিংবা ওর বিচ্ছেদে কি অদেখা অশ্রু ফেলেছিল দুফোঁটা? পাথরের হলেও তার মাঝে সাব্বিরের কত কত নির্ঘুম রাতের সাধনা যত্ন শ্রম যে মিশে আছে ওটাতে!
জেলখানায় আবদ্ধ থাকতে বদ্ধ উন্মাদে পরিণত হয় সাব্বির। খুনীর মতো পেশাদার বরফশীতল মস্তিষ্ক ওর নেই। শায়মাকে সে দেখে জীবিত , ওর দিকে প্রতিশোধের বাসনায় এগিয়ে আসছে, ঘুমালেই মুখ চেপে ধরে মেরে ফেলবে বলে শুরু হয় নির্ঘুম রাত যাপন। ওর চিৎকারে পুরো কারাগার জেগে উঠতো। পাগলের মৃত্যুদন্ড হয় না, ঠাঁই হয় মানসিক হাসপাতালে। একদার প্রতিভাবান সম্ভাবনাময় ভাস্কর -শিল্পীর একি পরিণতি?
পুন: পরিশিষ্ট:
আমার গল্পের পরিশিষ্টের পরেও পরিশিষ্ট আছে আর তার লেখক আমি নিজেই । আমি প্রকৃতিকে হারিয়েছি, কোন মানুষকে আমার অন্তিম পরিণতি লেখার সুযোগ কিভাবে দেই?
মানসিক হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে আমার। পুলিশকে কিংবা বিচারককে বোকা বানানোটা খুব উপভোগ করেছি আমি। ভালোই আছি, খারাপ নেই। যে চোখ বুজে থাকতে চায় তাকে দেখানো যায় না, যে কথা বলতে চায় না তাকে কথা বলানো অসাধ্য ,যে ইচ্ছাকৃত বোধের পাগল তাকে ভালো করবে কে? আমার পরিকল্পনা চমৎকার কাজ করেছে। ডাক্তার আমার ভায়োলেন্সের অভিনয়ে বুঝেছে - মৃতকে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব হতে পারে কিন্তু অন্তত নিস্প্রাণ মূর্তিটাকে আমার কাছে এনে দেওয়া তার নাগালের মাঝেই পড়ে। এতে আমি কিছুটা ''কন্ট্রোলে" থাকি। নির্বোধ কি জানে তার কলকাঠি আসলে আমার হাতে?
আমি এখন যথেষ্ট ''নিয়ন্ত্রিত ''হয়ে চলি।''শায়মা'' আমার সাথী , সে এখন অনন্ত জীবন পেয়েছে। জীবন ও যৌবন। ঠিক তেমনি যতটা রক্তমাংসের মানবীর অসাধ্য ছিলো। আমি এখানে সবই পাই, রাতদিন নিরলস খেটে নিশ্চিন্তমনে ভাস্কর্যের পাহাড় গড়ি। আমার চিরন্তন প্রেরণাদায়ীনি সঙ্গিনী ক্লান্তিকে আমার কাছে ঘেষতে দেয় না। তার সাথে মাঝে মাঝে বকবক করি, আপন মনে , ওর কপোলে হাত বুলাই ,মাঝে সাঝে ঠোঁটে মধুর চুম্বন । কেউ দেখেশুনে ফেললেও কিছু যায় আসে না। পাগলামির ধারণাটাই আরো পোক্ত হয় তখন -ওটা আমার দরকার। তাছাড়া পাগলে একবার বই দুবার তো হয় না মানুষ!
আর-ও তো আমি হয়েই আছি। এখন নির্ভাবনায় কেবলই কাজ করে চলি। শায়মাকে পাশে নিয়ে এভাবে নিশ্চিন্তে কাজ করে যাব, এই-ই তো আমার স্বপ্ন ছিল এতকাল। আমি ও শায়মা, শায়মা ও আমি। মাঝখনের কটিবন্ধ আমার প্রেমের অঞ্জলি এই কাজ। তাজমহলের চেয়ে এ কোন অংশে কম নয়। গোপন অর্ঘ্য আমার প্রেমের প্রতি।
কালের কপোলে সিক্ত আঁখিজল-সম
আমার নির্বাক এই তাজমহল প্রিয়
হাফিজের গজলের অলংকারের ছন্দ পায় লয়
আমার মৃদু নূপূর নিক্কনে তার সারিন্দা হয়ে যায় ক্ষয়।
সব কিছু সারা সারা,
পৃথিবীটা সেই নগ্ন আদিম
তাতে কি ?
জেগে আছে শুধু -সপ্রাণ হাওয়া ও আদম।
শুনেছি আমার এই সব ভাস্কর্য দিয়ে নাকি প্রদর্শনী হবে। বদ্ধ উন্মাদ হলেও আমার প্রতিষ্ঠালাভ হবে যার জন্যে এত কাল সে-ই আর্ট কলেজ থেকে বেরুনো অব্দি প্রাণপণে খেটে চলেছি। তখন উপযুক্ত প্রকাশের প্লাটফর্ম পাই নি। মানুষের দৃষ্টিলাভের জন্য কিসমত থাকা লাগে। আমার শায়মা আমার জন্যে তা-ও নিয়ে এসেছে। সে আমার লাকি চার্ম। সে আমার সৌভাগ্যবৃক্ষের কখনো -না -দেখা সুরভিত ফুল। জানি এবার আমি হিট হবই। খুনি মেন্টাল অক্ষমের শিল্পকর্ম মানুষকে যথেষ্ট আকর্ষন করবে-যতটা কিন্তু সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের অসাধ্য।
কোনদিন কি ছাড়া পাবো কিনা জানি না, না পাওযাই ভালো । এখানে আমি আছি, খ্যাতির হাতছানি, কাজ, সর্বোপরি আমার শায়মা -স-ব আছে। মাঝে সাঝে স্বাদ বদলানো বিনোদনেরও অভাব নেই। শেষ মাথার রুমের শরিফুল কে এরকম একটু ভিন্নতার আশায় আমি পানিতে চুবিয়ে মেরেছিলাম।দেখলাম কেমন সুন্দর একমুখ বুদবুদের ফেনা তুলে তুলে মরে গেল সে....
...আর মরিয়মের চুলগুলো ফ্যানের সাথে বেঁধে দিয়ে ফ্যানটা ফুলস্পিডে ছেড়েছিলাম। প্রথমটাতে কেউ টেরটি পর্যন্ত পায়নি, দ্বিতীয়তে সময়মত চিৎকারটা দিয়েছে বলে ক্ষতবিক্ষত অজ্ঞান মরিয়ম অল্পের জন্যে বেঁচে গেছে।আমি কিন্তু সুযোগমত ধরাছোঁয়ার বাইরে নিতে পেরেছিলাম নিজেকে। আর মরিয়মটা এযাত্রা বেঁচেছে, তাতে কি , একবার ফসকে গিয়েছে বলে আর কি সুযোগ পাবোনা? আমি ঐ রাতে অপূর্বভাবে ভীতা মরিয়ামকে ফুটিয়েছি আমার হাতুড়ি চিজেলের ঠোক্করে ঠোক্করে। এত জীবন্ত কোন ভাস্কর্য কি কখনো তৈরী করেছে মাইকেল অ্যাঞ্জেলো? বাজি ধরে বলতে পারি , কখনোই না। কারন আমার মত সামনা সামনি সে কখনো একে দেখতে পায়নি।এই অনুভূতিকে চাক্ষুস অনুভব করেনি।তারটা আরোপিত যেখানে আমারটা আসল, বাস্তব।
আরো অনেক কাজ বাকি।এক্সপেরিমেন্ট-মডেলের এখানে কোন অভাব নেই। ধরা পড়ার ভয় নেই -আমি যথেষ্ট সাহসী ও সাবধানী। এখান থেকে সম্ভবত আর কখনো ফিরবো না আমি। ফেরার দরকারই বা কি? আর পাগলের তো কখনো বিচার হয়না ,ধরতে পারলেও - সমাজের চোখে কিংবা বিচারের কাঠগড়াতেও সে নিরাপদ।এটা আমাকে একটা বেপরোয়া ফূর্তি জোগায়। আমার বাকি সহবাসিন্দাদের ক্ষেত্রে সম্তবত কথাটা খাটে না। তবে পাগলের পক্ষে বিচার চাইতে কে আর আসবে? এদেশে পাগলেরা আবর্জনা ছাড়া তো আর কিছু নয়। বরং আমি সব শেষ হয়ে যাবার আগে ওদের মহৎ সুযোগ করে দিচ্ছি- কালজয়ী সৃষ্টির অংশ হয়ে চিরটা-কাল রয়ে যাবার- আমি এখন অমরত্বের বেসাতিকার। দারুন সব আইডিয়া খেলছে মাথায় নতুন নতুন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকর্ম গুলো এখনও আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায়........।
সব কথা হয়ে গেছে প্রিয়তমা,
থেমে গেছে হাসি,
জলজ ধারা মুছে গেছে স্রোতস্বিনীর -
পড়ে আছে শুধু তোমার চূর্ন কুন্তল রাশি...
আগুন নিভে গেলেও তার স্ফুলিঙ্গ সুপ্ত,
আবার জেগে উঠতে পারে সে- প্রতিশ্রুতিটা অব্যক্ত,
ইঙ্গিত শুধু একটা আঙ্গুলের ,
কিংবা শুদ্ধুমাত্র দেশলাইয়ের
দাবানলের লেলিহান লকলকে জিহ্বাটা আছে গুপ্ত।
তোমার ঝকঝকে হাসি কিংবা কেশরাশি-
ইথারে টিকে থাকবে অনন্ত অনন্ত কাল।
প্রয়োজন হলেই জেনো- মাদকের সূচাগ্রমতো,
তড়িৎশিখা চলবে চাগিয়ে পুরনো ক্ষত,
তপ্ত খর মরুভূমি নিঃশেষে শুষে নেবে জল..।
পালক পড়ে থাকে-
পাখি উড়ে চলে যায় দিগন্তবিস্তৃত ডানা মেলে,
অকাল হারানো ছিন্ন পালকের শোকে
সে কি কখনো দীর্ঘশ্বাস ফেলে?
রেজওয়ানা আলী তনিমা
৩১ মার্চ, '১৪ ইং।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:২৭
এহসান সাবির বলেছেন: কয়েক দিন ধরে শুধু সাইকো টাইপের গল্প পড়ছি।
+++++
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এহসান সাবির
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বড় হলেও পড়তে খারাপ লাগেনি ----ঝরঝরে
ভাল লাগলো ----
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ লায়লাপু আমার এই দীর্ঘ গল্পটা পড়ার জন্যে ও সুন্দর মতামতের জন্যেও ।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: আমার প্রিয়ার নশ্বর শেষের পরে আমার যাপন করার আছে অনন্ত বাসর - তারই সাথে।
এই ধরণের গল্পে যে বীভৎসতা থাকে তা অনেকটাই আড়াল হয়ে গেছে সুন্দর রোমান্টিক বর্ণনায় । গল্প পড়তে পড়তে আমি গুন গুন করে গাইছিলাম,
তোমায় নতুন করেই পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ
ও মোর ভালোবাসার ধন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার দারুন সুন্দর মন্তব্যে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম মামুন ভাইয়া।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
১৯৭১স্বাধীনতা বলেছেন: শুরুতে মনে হচ্ছিলো আরেকটা পরফিরিয়া'স লাভার কিন্তু ক্রমশঃ গল্পের খাত বদলে গেলো----প্রেমিক কখন যেন সাইকোপ্যাথ হয়ে গেল অনেকটা পাঠকের অজান্তেই।সুন্দর বললে ঠিক সবটা বোঝানো যায়না-----
লেখার ফাঁকে কবিতা আরও অদ্ভুত একটা স্বাদ যোগ করেছে।পারফেক্ট সাহিত্যভোজ।ধন্যবাদ এমন গল্পের জন্য।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার লেখা চমৎকার মন্তব্যটা পেয়ে খুব ভালো লাগলো ১৯৭১স্বাধীনতা ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা রইলো।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ চমৎকার হৈসে তনিমা।
মাঝে মাঝে কবিতা, আর কবিতায় এন্ডিং - ভাল্লাগসে ||
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের মাঝে কবিতা- ব্যাপারটা পাঠকের জন্য মাসের মাঝখানে বোনাস পাওয়ার মত। চমৎকার লাগল।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু আপনার সুন্দর এককথার মন্তব্যে খুবই ভালো লাগলো।প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের মাঝে কবিতা- ব্যাপারটা পাঠকের জন্য মাসের মাঝখানে বোনাস পাওয়ার মত। চমৎকার লাগল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১৭
আম্মানসুরা বলেছেন: সাইকো শিল্পী!! অদ্ভুত!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্রিয়া আম্মানসুরা ,অনেক ধন্যবাদ
বহু দিনের পরে আমার ব্লগে আসলেন, কেমন আছেন আপু?
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৫৫
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: চমৎকার লেখা। ভাল লাগল।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:১০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সীমানা ছাড়িয়ে।
১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নো কমেন্টস।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:১২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কেন ভাইয়া???
১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৪
আম্মানসুরা বলেছেন: ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন?
আমার চোখে অ্যালার্জির সমস্যা হয়েছে তাই ব্লগে আসি কম
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:১৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমি ভালো, আলহামদুলিল্লাহ্।
আশা করি শীঘ্রি পুরো ফিট এন ফাইন ফর্মে আবার ব্লগে সরব পাবো।
ভালো হয়ে উঠুন এই কামনা ।
১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সে কী!
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:১৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ???
১৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৫০
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্পটা যখন পড়া শুরু করলাম তখন মনে হল এটা বুঝি শুধুই একটা প্রেমের গল্প। কিন্তু যখন সাব্বির নিজের স্ত্রী শায়মাকে খুন করলো, তখন নতুন করে আবার ভাবা শুরু করলাম। তারপর পরিশিষ্ট এবং পুনঃপরিশিষ্ট পরে দেখলাম সে শরিফুল এবং মরিয়মকেও খুন করেছে। এটাকে মেডিকেলের ভাষায় dacnomania বলে। কিন্তু পরে আরও একটু গভীরে ঢুকার চেষ্টা করলাম, তখন আবিষ্কার করলাম তার এই সব খুনের রহস্যের পিছনে জড়িয়ে আছে খ্যাতি অর্জন, নিজের সৃষ্টিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার একান্ত বাসনা, যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলে sophomania.
আপনি গল্পের নাম রেখেছেন প্রেমিক। শায়লা প্রচণ্ড ভালোবাসতো সাব্বির, তার চাইতেও বেশী ভালোবাসতো শায়লার সৌন্দর্যকে। শায়লার এই সৌন্দর্যে কোন কিছুর বিনিময়েও সে নষ্ট করতে দিতে চায় না। তাই শায়লার বুড়িয়ে যাওয়া বা সন্তান গ্রহণ করে মুটিয়ে যাওয়া সাব্বিরেরে পছন্দ ছিল না। এগুলোর পিছনেও হয়তো তার একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হতে পারে সে শায়লার সৌন্দর্যকে তার ভাস্কর্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। তাই এখানে শায়লাই সাব্বিরের প্রেমিক না খ্যাতি এবং ভাস্কর্য গুলো তার প্রেমিক সেটা খুঁজে নেয়ার দায়িত্ব বোধ হয় পাঠকের ওপরই ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
লেখাটায় যথেষ্ট কাব্যিকতা আছে, শব্দের গাঁথুনিও চমৎকার। বাক্য গঠনেও বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। সব মিলিয়ে দারুণ লাগলো। কিছুটা ভিন্ন স্বাদের লেখা পড়লাম রেজওয়ানা আলী তনিমা।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:০১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার সুন্দর বিস্তারিত মতামতটা পড়ে ভালো লাগলো। মেডিকেল টার্মগুলো অজানা ছিল, আপনার কথায় অনেক কিছু জানতে পারলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ। সাব্বির এক মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ, স্বার্থপর । নিজের প্রয়োজনটাই তার কাছে বড়। আমাদের চারপাশে তার মত প্রকট না হোক , সুপ্ত অনেক এধরনের ভয়ংকর মানুষ আছে। যতই প্রতিভা থাক , এসব বিবেকহীন শেষ পর্যন্ত সমাজের জন্য অভিশাপ।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মতামত পড়ে। আবারও ধন্যবাদ।
১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৫
এ বি এম হায়াত উল্লাহ বলেছেন: দারুন !
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:০২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ এ বি এম হায়াত উল্লাহ ভাই ।
১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৫
এ বি এম হায়াত উল্লাহ বলেছেন: দারুন !
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:০৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ
১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
আদর্শ আহেমদ বলেছেন: ভাবচি কি বলবো!
`
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:০৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কেন ভাই ????
১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সব কথা হয়ে গেছে প্রিয়তমা,
থেমে গেছে হাসি,
জলজ ধারা মুছে গেছে স্রোতস্বিনীর -
পড়ে আছে শুধু তোমার চূর্ন কুন্তল রাশি...
অতি চমৎকার।
গল্প কবিতায় মুগ্ধ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৫৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্যে সুপ্রিয় আশরাফুল ইসলাম।
১৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
অবচেতনমন বলেছেন: বেশ_
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অবচেতনমন
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: গল্পের বর্ণনাশৈলী অসাধারণ ৷ প্রথমে একরকম মনে হলেও শেষ এসে অনেকখানি মোড় নেয় ৷ পরিশিষ্টগুলো ভিন্ন গল্পে রূপ নিতে পারত ৷ নামকরণ যথার্থ মনে হয়েছে ৷ মানসিক বিকারগ্রস্তের গল্প হলেও মাঝে মাঝে কবিতার প্রবেশের কারণে আপনার একবারেই সাইকো টাইপ না হয়ে ভিন্নতা এসেছে যা এ গল্পের অন্যতম নান্দনিক দিক ৷ সর্বোপুরি চমৎকার লাগল আপনার গল্পটির পরিবেশনা ৷
আপনার গল্পের আরেকটি বিশেষ দিক মনে হল বানানের দিকে আপনার বিশেষ নজর ৷ যা বিশেষ বিবেচ্য হওয়া উচিত যেকোন লেখার জন্যই ৷
১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলজাহাঙ্গীর ভাই। আপনার বিস্তারিত মতামত পেয়ে খুব ভালো লাগলো। বিশেষভাবে ভালো লাগলো বানানের বিষয়ে আপনার সচেতনতা। শুদ্ধ বানান না হলে যতই সুলিখিত হোক না কেন আমি নিজে পড়ে কোন আরাম পাইনা, তাই নিজেও এদিকটায় খুব খেয়াল রাখতে চেষ্টা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৫০
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: মেরু বাতাস বয় হাহাকার রবে..............