নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছাঘুড়ির অবাধ আকাশ www.facebook.com/RezwanaAliTanima

রেজওয়ানা আলী তনিমা

বনমুরগী পোষ মানে না.......

রেজওয়ানা আলী তনিমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: মার্জার এবং..

০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৫

বাসে উঠতেই পরিচিত একটা গন্ধ পেলাম।উৎসমুখের কাছে গিয়ে আপনাতেই পৌঁছুলো নজর। অনেক গুলো খালি সিট রেখে এমনকি আমার প্রিয় তৃতীয় ধাপের ডান পাশে জানালা ঘেঁষে সিটটার হাতছানি উপেক্ষা করে সিধে নির্দিষ্ট ঐ আসনের দিকে এগিয়ে গেলাম। এক সৌম্য দিব্যি চেহারার বুড়োর হাতের বেতে আগাগোড়া মোড়ানো ঝুড়িতে বসে তখন মার্জারপ্রবর মৃদুস্বরে তাকে এভাবে বন্দি করে রাখার জন্যে অভিযোগ জানাচ্ছে বুঝিবা।



বিড়ালের প্রতি আমার ভয়াবহ দূর্বলতা বরাবর। ছোটবেলায় গ্রামে থাকতে একটা ছিল, শহরে চলে আসার মুখে আজন্মের বিচ্ছেদ। মা পুরোদস্তুর নিষেধাজ্ঞা তোলায় - এটা নোংরা করবে , ওটাতে মুখ দেবে, ছোট দু'আঙ্গুলি ফ্লাটবাড়িতে মানুষের জায়গা হয়না তো বিড়াল - এইসব নানাবিধ কারণে প্রিয় সঙ্গীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল।



মনে আছে পরেরবারে গ্রামে ফিরে শুনেছিলাম-টম মারা গেছে। পাক্কা দুইদিন কিছুই মুখে তোলানো যায়নি আমার।আর কি কান্না!। মনে মনে আরেকটা রাখার শখ ও ইচ্ছা - এই নরম জীবন্ত আদুরে খেলনার প্রতি - এখনও এতবছর পরেও আমার এতটুকু কমেনি।



তাই বুড়োর পাশটাতেই গিয়ে বসলাম সোজা। সুন্দর ফুটফুটে দেখতে বিড়াল ছানাটা- অনেকটা আমার পোষা টমের মতো সাদা কালোর মিশেল আছে।প্রিয় কার্টুন টম এন্ড জেরী থেকে তুলেছিলাম ওর নাম। যদিও আমার সে-ই দেশী সাধারন বিড়ালের সাথে এদেশের বনেদী বিড়ালের আর কোন তুলনাই চলবে না- জানি।



ছোট্ট থাবা বাইরে বেরিয়ে ছিল, লোভ সামলাতে না পেরে একটু আদর করে দিলাম। খামচি না আবার দেয়। আমার তো আর পোষা না! আর বিড়ালের খামচি টামচি বড় সাংঘাতিক জিনিস -কে না জানে?





নাহ! বিড়ালটা কোন আক্রমন করলো না। বরঞ্চ আরেকটু বাড়িয়ে ধরলো যেন আমার সুবিধে করে দেবার জন্যেই। ভারি মিশুকে তো এটা!



গ্রান্ড চিল্ড্রেনের জন্যে নিয়ে যাচ্ছেন বুঝি? আমার সাথে মুচকি হেসে বৃদ্ধ যে আমন্ত্রণের স্বাগত জানিয়েছিল ফিরতি হেসে জিজ্ঞাসা করলাম।



মনে হয়েইছিল এছাড়া আর কোন কারণ নেই। এখানের বুড়োবুড়িরা জীবনের শেষ মাথায় এসে সচরাচর বিড়াল না, শক্তপোক্ত সারমেয়ের দিকে ঝোঁকে বেশী। এদের অন্ধের যষ্ঠি- অশক্ত দিনগুলো র জন্যে ওগুলোই বেশী ভরসা। এমনকি অনেক সময় মানুষের চেয়েও বেশী।



নাহ! আমিই পালি এসব। অন্য কারোর জন্যে না। আমি বিড়াল বড়ো ভালোবাসি।



বৃদ্ধের মুখ থেকে হাসিটা তো মোছেই না, বরং আরো উজ্জ্বল হয়ে ফোটে।



এই বয়সে বুঝেছোই তো , চাকরিবাকরি নেই , কাজ টাজ নেই ।



ছেলেপুলে ঘরসংসারেরর ব্যাপারস্যাপারও নেই, একদম ঝাড়া হাত পা , নির্ঝঞ্জাট মানুষ আমি।



সারাদিন এইগুলোকে খাওয়াই দাওয়াই, যত্নআত্তি করি- এরাই আমার বাকি জীবনটা কাটানোর সম্বল। কত রকমের খেলা খেলি , বিড়ালের মত মজার সঙ্গী আর কি আছে?



এই বুড়ো এই কচি বিড়ালছানাদের সাথে উচ্ছ্বসিত শিশুর মতো খেলছেন , ওদের পেছন পেছন দৌড়াচ্ছেন চিন্তা করে কেমন হাসি পেল। এদেরকে সবচে মানায় আমার মতে অফিসের সুটপরা বড়সাহেবের ওজনদার পদে, কিংবা গম্ভীরমুখে ঠোঁটের ডগায় দশাসই প্রমাণ সাইজ পাইপমুখে ইজিচেয়ারে রাশভারী অবসরযাপনে। নিজের চেনা দাদু শ্রেনীর মানুষের এবয়সের গৎবাঁধা চিন্তার বাইরে আমার মন যেতে চায় না।



তা -তে অবশ্য কি আসে যায়? এই যে আমি অর্থনীতির তরুণ লেকচারার, ক্লাসে কম বয়সের হালকা চপলতা দূর করতে একটা আলগা ''ভাব'' নিয়ে চলি, ক্লাসের ছেলেছোকরাগুলো কি কখনও ভাবতে পারে একটা মার্জার শাবক দেখলে আমার চোখ সদ্য কিশোরীর সমান আগ্রহে চকাচক করে ওঠে!



এদিকে বুড়ো সমানে বক বক করে চলেছেন ..আগের কথার খেই ধরে..বুড়োরা একটু টকেটিভ হয় এটা ত স্বত:সিদ্ধ। বলার লোক অনেক কিন্তু শোনার কেউ নেই -এটাই নিশ্চই পেছনের মনোবিদ্যা।





.....বুঝলে বিড়ালগুলোকে নিয়েই আছি সারাদিন , খাওয়ানো তো অত ঝামেলা নয়, দোকানে সব পাওয়া যায়, একদম ক্লাস ওয়ান রেটেড দেই। চিকিৎসা আছে , টিকা ফিকা আরও কত কি!



তাও বুঝলে, কোনটাই কেন যেন বেশী দিন বাঁচে না। সদাহাস্য মুখে হঠাৎ বে-নোটিশ রাজ্যের বিষন্নতা নামে।



কথায় তালভঙ্গ হয়, আমার হাতেরও। বিড়াল থেকে চোখ সরিয়ে এবার আমি বৃদ্ধের মুখের দিকে তাকাই। একটু অবাক জিজ্ঞাসু ভাবেই।



জানো আমি এ পর্যন্ত গোটাদশেক বিড়াল পেলেছি, একটা ও বাঁচে নি মাসদুইয়ের বেশী, মানুষেরর তো দেখি দুটো আনলেও ছানাপোনায় কিছু দিনে ঘরদোর ভরে যায়। কত ভালো লাগে দেখতে।আর আমারগুলো..।



কোন অসুখ বিসুখ নাকি?





আরে না ,ওরকম কিছু না।তাহলেও তো বুঝতাম।



কত কষ্ট পেয়েছি যে আমি।ম্যাক্স যখন মারা গেল..। আহা, আমার বড় প্রিয় ছিল , কত খেলতাম ওর সাথে। ভারি দুষ্টু ছিল তো , মাঝে মাঝে বেশ জব্দ করতাম।শোনো কিভাবে-বেড়ালের লেজটা যদি পেছন থেকে টেনে এনে সামনের কোন একটা পায়ের সাথে বেঁধে দাও তাহলে কি মজা হয় জানো ? ওটা হাস্যকরভাবে পঙ্গুর মতো খোঁড়াতে খোঁড়াতে হাঁটে। কিংবা যদি লেজে করে ওদেরকে তুলে ঝুলিয়ে ধরো.. , হা হা হা কি ফানি ভঙ্গিতে যে ওটা ঘুরতে থাকে !তখন খামচি দিয়ে তোমাকে ধরতে চেষ্টা করবে , হাতপা ছুঁড়বে কিন্তু খামচিটা পড়বে বাতাসের গায়ে- হাসির দমকে বুড়ো কথা আর শেষ করে উঠতে পারে না। এই প্রথম লোকটির হাসিতে আমার গা কাঁটা দিয়ে ওঠে। নিজের কানকেই বিশ্বাস হতে চায় না।



বুঝলে,কিছুক্ষণ পরে পরে কথার শুরুতে বুঝলে'টা ব্যবহার- আমি বুঝলাম , লোকটার মুদ্রাদোষ।



রাস্টি'টা খুব পেন দিত। মহা বজ্জাত। দাঁত খিচিয়ে ফেললো বুড়ো। চোখেমুখে ফুটে উঠেছে ক্রুর একটা ভাব।



অবশ্য ওর জাতেরগুলো একটু হিংস্রই হয় শুনেছি। ওকে শায়েস্তা করতে দিলুম একবার মাইক্রো ওয়েভে ঢুকিয়ে । বেশি না , একমিনিট রেখেছিলাম মাত্র। সমস্যা হলো বের করার পরে কেমন বিকট একটা গন্ধ পেলাম । গড নোজ , কিছু কি পুড়ে গিয়েছিল নাকি ওর ভেতর। জ্যান্ত সিদ্ধ, না না জ্যান্তে পোড়া যাকে বলে , হা হা । ভালো কথা, বজ্জাত বেড়ালের উপযুক্ত শিক্ষা হয় তাহলে। তা শিক্ষা ভালোই হয়েছিল বইকি। ঢোকানোর আগে, কেমন চেঁচামেচি , ফ্যাঁস ফোঁস , বের করে আনতে উল্টা একদম ঠান্ডা মেরে গেল ।সমস্যা হলো ,কথা নেই বার্তা নেই ঠিক সন্ধ্যার দিকে দুম করে মরে গেল ওটা। বুড়োর মুখটায় এখন কোন ভাব ঠাহর হলো না, নির্বিকার ভাবে ''বজ্জাত রাস্টি''র কথা শেষ করলো সে।



বুঝলে,.. বেড়াল আর দুষ্ট শিশু -দুটার মাঝে কোন তফাৎ নেই। দেখ- এদেশে সরকার আইন করেছে বাচ্চা কাচ্চাদের পেটানো যাবে না , তাই তো এদেশের পিচ্চিগুলো বড় বেয়ারা। বেড়ালকেও করলে কতগুলো গাঁয়ের মোষ তাড়ানি দল আছে , চিল্লাফাল্লি করে কিন্তু এতে অত ঝামেলা, নেই। যত যাই বল বিড়াল তো আর গিয়ে আদালতে নালিশ করতে পারে না তাই না। বেশী যন্ত্রণা করলে দাও আমার মতো ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে একচক্কর , দেখবে কেমন উচিত শিক্ষা হয়,.. হাসতে শুরু করে লোকটা যেন বড়দরের কোন রসিকতা করেছে ।



নিরাপদ ছোটখাট শাস্তি হচ্ছে ,দেব এক লাথি কষিয়ে, যতই ভালোবাসি না কেন কোন তেড়িবেড়ী নেই আমার সাথে। জুৎমতো মারতে পারলে ওগুলো কি মজাদার ভাবে বৃত্তাকারে একেবারে পুরো ডিগ্রির ঘরে তিনশোষাটে একপাকচক্কর ঘুরে তবেই নিচে ধুপ করে পড়ে।



শুনতে শুনতে গা শিউরে উঠলো আমার। আশে পাশ তাকিয়ে দেখি বাসে আমার দুজন ছাড়া আর কেউ নেই এমুহুর্তে। কেন যেন আমরা গা ছমছম করতে থাকে।



হ্যামারস্মিথ ষ্টেশন আসতে আর কত দেরী?ঘনঘন ষ্টেশন দেখানো সামনের ইলেকট্রিক বোর্ডটার দিকে তাকাই আমি।





বুঝলে , এইবার এনেছি এটাকে, ..নরওয়েজিয়ান ফরেস্ট ক্যাট , যথেষ্ট শক্তপোক্ত বলে সুনাম আছে, দেখেই আনলাম , অন্যগুলোর মত এর নাকি কই মাছের প্রাণ না। এবার আশা করি আমার বেড়াল ভাগ্যের অমানিশা ঘুচলো।এই বুড়ো বয়সে একা একা আর কত ভালো লাগে, তাও মারা পরলে আবার নতুন করে কেনা বাছাই অনেক ভাগদৌড়ের ব্যাপার।কত আর করা যায়? তোমার চেহারা দেখেই বুঝেছি , এশীয় , তোমাদের মত লতাপাতা জড়ানো মোড়ানো তো আর আমাদের সমাজ না। এই বয়সে দুদিন বাদে বাদে সঙ্গী বদলাতে , মানাতে ও মানিয়ে নিতে যাবার হ্যাপা ...বিরক্তিকর।



লোকটার দিকে আমি তাকাতেই পারছি না। ভদ্রতার কারণেই উঠে অন্যকোথাও যেতেও বাঁধছে।বিকৃত মস্তিষ্কের এই লোকের কাছে থেকে শুধু বেড়াল কুকুর না ,যাবতীয় মনুষ্যসন্তানেরও শত হস্ত দূরে থাকাটাই নিরাপদ ।



যাহ বাব্বা! আমার নামার জায়গা এসে গেছে,তাড়াতাড়ি লাল সংকেত বোতামে চাপ দিলাম। ঘড়ির কাঁটায় বলবে মাত্র আধঘন্টা, কিন্তু মনে হচ্ছিল অনন্তকাল ধরে এই পাগলা বুড়োর হাতে বন্দি হয়ে আছি।



শেষবারের মতো বিড়ালটার দিকে করুণ চোখে একটু তাকালাম।



মায়া লাগছে , বেচারার জন্যে, কি আর করা!





ঘর ঘর করে দরজা খুলে যাচ্ছে, পা চালিয়ে দ্রুত নেমে পড়লাম আমি ।



রেজওয়ানা আলী তনিমা

০৯ মে,'১৪ ইং।







মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: গল্প আসলেই নাকি আসলেও ঘটছে ?

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অর্ধেক সত্য বাকি বানোয়াট নাজমুল ভাইয়া :P

২| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বিড়াল নিয়ে থ্রিলার বাহ !!! বেশ লাগলো।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব :)

৩| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ ভালো লাগল!

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী :)

৪| ১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে গল্প । পোষা প্রাণীর প্রতি বুড়োর নৃশংসতা দেখে তাকে সাইকো মনে হলো ।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

বুড়ো তো সাইকোই :(

৫| ১০ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

না পারভীন বলেছেন: ভয়ংকর বুড়ো।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :( :(

৬| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বাভাবিকের মধ্যে শ্বাপদ একজন!

১২ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম, দুপেয়ে শ্বাপদ!

৭| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১৩

তাসজিদ বলেছেন: বিড়াল ভাল লাগে না। X( X( X(

বুড়ো ত পুরাই বদ।

১২ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বিড়াল ভালো লাগে না। =p~ :P :(
বদ মানে মহা বদ :(

৮| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৬

স্বপ্নবাজ (অতি ক্ষুদ্র একজন) বলেছেন: প্রথম দিকে ভালই লাগছিল... ভেবেছিলাম কিউট কোন স্টোরী ... কিন্তু পরক্ষনেই ঘৃনায় গা গুলিয়ে এল..! ইয়াক!
অবশ্য এরকম সাইকো টাইপ লোক দেখেছি....
((ভাল লাগল))

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:১৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ। আসলেই ইয়াক! বিড়ালের প্রতি খামখা অকারণে এরকম নিষ্ঠুরতা করার লোক অনেক আছে।

৯| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরেকটা পার্ট লেখেন এই গল্পের। তারপর সাইকোটাকে উচিত শিক্ষা দেন।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:১৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সাইকো :(

১০| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে। তবে ইয়ে মানে একবার হইছিল কি, একটা বিড়ালকে প্রতিবেলা আমি খাবার দিতাম। প্লেটে দিতাম, মাটিতে দিতাম, ও সেগুলো খাইতো না। উলটা পালটা করে সারা ঘরে ফেলে তারপর খাইত। তারপর আরো একটা বিড়ালের বাচ্চা আনছিলাম। আগের বিড়ালটা ঐ ছোট বিড়ালকে কামড় দিসিল। তাই ঐটাকে শাস্তি দিসিলাম। শীতকালে ১০ মিনিট পানিতে কোমর সমান চুবাইয়া রাখছিলাম। B-) :P

১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কি সর্বনাশ! :( :P

আমিও একটাকে খাবার দিতাম ছোটবেলায়, রোজ সোনামুখ করে খেয়ে নিত। একদিন ধরতে গিয়েছি, দিলো খামচি। বদ বিড়াল । বুড়োর মত একটা কিছু করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো। আপনার মত খামচি খাবার সাহস নেই বলে ''শিক্ষা'' দিতে পারি নাই :P ;)

১১| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দারুণ লাগলো গল্পটা।

২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায় :)

১২| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি কি কবিতা লেখেন না?

সামহোয়্যারইন ব্লগের কবিব্লগারদের স্ব-নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা নিয়ে একটা পোস্ট তৈরি করছি। আপনার অংশগ্রহণ এ পোস্টকে মূল্যবান করবে। ফেইসবুকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে।

ফেইসবুকে আমরা মনে হয় কানেকটেড না। সম্ভব হলে আমাকে প্লিজ এ্যাড করুন।

শুভেচ্ছা।

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমি কবিতা তেমন একটা লিখি না। আর আপাতত পরীক্ষার কারণে ব্লগ ও ফেসবুক দুটা থেকেই কষ্টেমষ্টে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি।
কি নামে আছেন? অবশ্যই অ্যাড করবো । ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: পোষা প্রাণীর প্রতি বুড়োর নৃশংসতা দেখে তাকে সাইকো মনে হলো ।

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম সাইকো বুড়ো :(

১৪| ২৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বেসম্ভব বুড়ো !! B:-) B:-)

০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম। :(

১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৮

আরজু পনি বলেছেন:

দারুণ লাগলো, তনিমা ।

গল্প তো বাস্তব থেকেই লেখা ।

হাসানের প্রস্তাবটা ভেবে দেখতে পারেন, লিখে ফেলুন পরের অংশ ।

শুভেচ্ছা রইল ।্

১২ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপু। আপনার মন্তব্যটা পেয়ে খুব ভালো লাগলো।

পরের পর্ব লিখতে বুড়োকে শাস্তি দেবার কোন উপায় পাচ্ছি না। বিড়ালের হাত পা তো মানুষের কাছে বাঁধা :P

শুভেচ্ছা আপনাকেও :)

১৬| ১২ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তাসজিদ বলেছেন: বিড়াল ভাল লাগে না। X( X( X(

বুড়ো ত পুরাই বদ।

১২ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: X( X( X( :(

১৭| ১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার কাছে এই নীরিহ আর আদরপ্রিয় প্রানীটাকে খুব ভাল লাগে কিন্তু বুড়োর মত বদ মেয়েটার জ্বালায় আমিই বাচি না,বিড়াল আর কয়দিন টিকবে??ভেবেচিন্তে তাই............।
সামান্য সুত্র থেকেই তো গল্পের শুরু,তাই না?

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে সচেতনহ্যাপী, ধন্যবাদ :)
হুম, সামান্য বাস্তব সূত্র থেকেই গল্পের ডালপালা মেলা বিশাল মহীরূহ তৈরী হয়। সত্য মিথ্যার শতাংশ শুধু লেখা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন থাকে।

১৮| ১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আবরণহীন স্বাভাবিক সুন্দর বর্ণনা পড়তে ভাল লাগল ৷ শেষটায় কিন্তু টানটান উত্তেজনাও ছিল ৷ তবে সাইকো গল্প বলুন আদতে মায়াই লাগছিল দুপায়ী ও চতুস্পদী প্রাণী দুটোর প্রতি ভিন্ন ভিন্ন কারণে ৷ সেটাই মনে হয় গল্পের অব্যক্ত অন্তর্নিহিত সার ৷ ভাল থাকুন ৷

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:০০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর বিস্তারিত মতে অনেক ধন্যবাদ আলজাহাঙ্গীর ভাইয়া। :)

তবে সাইকো গল্প বলুন আদতে মায়াই লাগছিল দুপায়ী ও চতুস্পদী প্রাণী দুটোর প্রতি ভিন্ন ভিন্ন কারণে ।

চারপেয়েটার জন্য মায়া লাগাই স্বাভাবিক কিন্তু দুপেয়ে বিকৃত মানুষরূপী পশুটার জন্যে মায়া লাগলো কেন?!

১৯| ১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৩

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ঠিক আছে মানলুম ৷

তবে আপনার প্রথম কয়েক প্যারায় কিন্তু নিঃসঙ্গ মানুষের আর্তিও ছিল ৷ স্বজনহীন নাগরিক মানুষের হাহাকার ৷

ধীরে ধীরে নিয়ে গেলেন ভিন্ন টাইপের পৈশাসিকতায় ৷ সহজিয়া গল্প পড়তে ভাল লাগল দিদি ৷

১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:২৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ওভাবে চিন্তা করলে ঠিক আছে। কিন্তু নিঃঙ্গতা বা অন্য কোন কারণ নিষ্ঠুরতার অজুহাত হতে পারে না , বা আমি ওভাবে দেখাতেও চাইনি। নিছক একটু অন্য রকম সাইকো লিখতে চেয়েছিলাম। বয়স বা অন্য সামাজিক ব্যপার স্যাপার এখানে স্রেফ ভিত্তিভূমি হিসেবে এসেছে।

তবে আপনার প্রথম কয়েক প্যারায় কিন্তু নিঃসঙ্গ মানুষের আর্তিও ছিল ৷ স্বজনহীন নাগরিক মানুষের হাহাকার ৷

-এটা আমি মানি যে যেখানেই মানুষ একাকী যান্ত্রিক সেখানে বিকৃত মনোসমস্যাও বেশী। পশ্চিমা সাইকো খুনীদের কীর্তি পড়লে তো শিউরে উঠতে হয়!

আমার লেখা ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দ ও প্রেরণা পেলাম। ফিরতি মতে আপনাকে অ-সংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২০| ১৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:২৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: বিড়াল আমার খুব পছন্দের প্রাণী।বিড়াল মানুষকে প্রচন্ড ভালোবাসতে পারে এবং ভাব বিনিময় করতে পারে এটা জীবন থেকে শেখা।গল্পটা মুন্সিয়ানার সাথে লেখা।কষ্ট পেয়েছি বিড়াল খুনি বুড়োটার জন্য।ও তো একজন স্যাডিস্ট X(( X(( X((

ব্লগে আমি নবাগত।আজই প্রথম অাপনার ব্লগে আসলাম।“বিলেতঃপাখির চোখে দেখা” সিরিজটা পড়ব সময় নিয়ে।অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা জানিয়ে গেলাম।

১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনাকে প্রথমেই ব্লগজগতে সু-স্বাগতম।

বিড়াল আমারও খুব পছন্দের কিন্তু এই নাজুক আদুরে প্রাণীটার প্রতি কিছু মানুষের অকারণ নৃশংশতা খুব কষ্টকর। X(( X(( :(

আপনাকে আমার সিরিজটাতে পাশে পেলে খু-উ-ব ভালো লাগবে। সুন্দর মতামতের জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ । :)

আপনার ব্লগের পথচলাতে শুভেচ্ছা ও দারুন সব লেখার প্রত্যাশা এবং দাবী রইলো ভাইয়া ।:)

২১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:২০

সুফিয়া বলেছেন: সত্য হোক কিংবা বানোয়াট হোক। বিড়াল ছানার করুণ পরিণতির কথা ভেবে মন কেমন করছে।

ধন্যবাদ আপনাকে। লেখা ভালো হয়েছে।

২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অ-নেক ধন্যবাদ সুফিয়া আপু। ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। :)

২২| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার গল্পটায় ভালোলাগা রইলো ...
ভালোলাগা রইলো আপনার প্রতিও সঙ্গে শুভকামনা ...
সবরকম ...

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মুনতাসির নাসিফ ভাইয়া।গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুব আনন্দিত হলাম। অযুত শুভকামনা আপনার জন্যেও।
:)

২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৩০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বিলাই নিয়া গল্প?

চমৎকার।

গতানুগতিক বিষয়ের বাইরে কিছু হলে মনে হয় হ্যাঁ, কিছু একটা হলো বটে। তবে সবাই ঠিক ঠিক বিষয়গুলা তুলে আনতে পারে না। এখানে যেমন বিলাইগুলোর মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু এই বিষয়টাও উঠে এসেছে যে, নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ মানুষেরা বেশির ভাগই (আমাদের দেশে না) বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়েন।

আর আমাদের দেশের বৃদ্ধরা হন সন্দেহবাতিক। যদিও তারা একা থাকেন না।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি ঠিক বিলাই নিয়া গল্প লিখতে চাই নি জুলিয়ান ভাইয়া।

একটু সাইকো করতে চেয়েছিলাম আরকি। মানুষজন নিয়ে তো অনেকই হচ্ছে, ভাবলাম পশুপাখিরাই বা বাদ যায় কেন?

এখনে বিলাই না কে মানুষ থাকলে তারই মৃত্যুই হতো, সাইকো গল্পরে বাদ- না- দেয়া অংশই তো মৃত্যু, বিভৎসতা, বিকৃতি।



২৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: বিড়াল প্রীতি ।
ভালো লাগলো গল্প।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তাহসিনুল ইসলাম ভাইয়া । ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.