![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বনমুরগী পোষ মানে না.......
আমার বন্ধুমহলে মুহিতের চেয়ে কিপটুস আর একটি নেই। হাত দিয়ে যদি একটা ফুটো পয়সা গলানো যায়! ওর এমনি স্বভাব- সবাই মিলে হই হই করে কোন রেস্টুতে খাওয়া কি পিকনিক- কথা উঠলেই ঠিক টিউশনি, পার্ট টাইম জব, অ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষা বাহানার তো আর দুনিয়ায় অভাব নেই।ঐ যে কথায় বলে না মানুষের বিধিদত্ত দুটার বাইরের তিননম্বর হাতটা হলো অজুহাত? মুহিত শালা ঠিক তার উদ্ভাবনী বুদ্ধিতে একটা না একটা বের করে পিছলে যাবেই সময়মত।
ওর বেশভুষাই দেখা যাক-সেই এক ধ্যাধ্ধেড়ে চপ্পলজোড়া, মলিন খানদুই শার্ট, রং মরে যাওয়া জিন্স ।সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকে কোনদিন দেখলাম না নতুন একটা কিনেছে। কেপ্পন কাহিকা।
রকিব মজা করে বলে ও চাকরির ইন্টারভিউতেও এই জিনিস লাগিয়ে যাবে দেখিস..
অথচ ওর যে টাকা নেই তা কিন্তু না। আমি নিজের চোখে ওকে একরাশ টাকা গুনতে দেখেছি। অনেক কিছুর সাথে যোগ আছে ওর। টিউশনি ছাড়াও কোচিংএ ক্লাস নেয়, কাগজে লেখে, কোন একটা মার্কেটিং কাজ জানি করে হপ্তায় দিন দুই- নানা কাজে কম তো পায় না সে।
কিন্তু 'দোস্ত তুই আজ টাকা পাইলি, খাওয়াবি না? 'বলে আবদার খেপামো মাঠে মারা গেছে বরাবর ।
'আরে বাদ দে তো , ও হল গিয়ে বেয়ারিং পোষ্ট। উল্টো নিতে হলে টাকা খসাতে হবে।' উল্টা দিকের খাট থেকে কবীরটা কি হাসাতেই না পারে! উচ্চস্বরে উল্লাস হররা ফোটে আমাদের গলায় গলায়।
তবে এবার আর ওর ছাড়ান নেই। বিশ্বকাপের জ্বরে পুরো ক্যাম্পাস, চত্বর , ক্লাসরুম ,হল , মায় স্যার ম্যাডামরাও কাঁপছেন। আমরা তো ফাউ।
আমাদের ভার্সিটির ছাত্রসমাজের অলিখিত অবিসংবাদিত স্বঘোষিত নেতৃদ্বয় হারুন ভাই আর শাহিন ভাই যথাক্রমে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার 'দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক' ।
দুইজনে সম্পর্কটা বরাবরের সাপে নেউলে। এইই কারণ বা যাই হোক ওরা ম্যারাডোনা পেলে শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে।কিংবা হালনাগাদে বলা চলে- মেসি নেইমার !
তায় আবার এক পড়াশুনা ছাড়া মিছিল মিটিং, প্রতি পক্ষের ছেলেছোকরার মাথা ফাটাফাটি, চাঁদাবাজি , টেন্ডার দখল হেন কাজ নেই যাতে ওদের উৎসাহ নেই।আমাদের রাজনীতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতদের এইসব সহশিক্ষণ-'এক্সট্রা কারিকুলারে'ই সময় বেশ কেটে যায় !
বিশ্বকাপ শুরু হবার ঠিক ঠিক আগ দিয়ে দুপুরে হারুন ভাই এলেন , গুনিগুনতিতে সব ব্রাজিল সমর্থকদের চাঁদা দুশ করে দিতে হবে বলে ফরমান জারি করে চলে গেলেন।
মুহিত ব্রাজিলের সাপোর্টার না বলে মাফ পেয়ে গেল, কিন্তু এ আর কতক্ষণ?
রাতে শাহিন ভাই বলে গেলেন যারা যারা হারুন ভাইকে চাঁদা দেয়নি সমতা ভারসাম্যের হিসেবে তাকে আড়াইশো করে তুলে দিয়ে যেন আসে।
এরা আমেরিকানদের মত সোজা সাপটা নীতির মানুষ। হয় তুমি আমার সাথে নয়তো আমার শত্রুর - সুতরাং 'অব্রাজিলিয়ান'দের প্রতি শাহিন ভাইয়ের রায়ই হল গিয়ে চুড়ান্ত আদেশ।
আর চাঁদার দরটা বেশী হবার যুক্তি বোধহয় হারুন ভাইয়ের স্যাঙাতদলের চেয়ে তার নিজ মান ও তামঝাম বেশী করে তোলা- শুরুতেই একদান এগিয়ে থাকা যাকে বলা হয়।
আমাদের মুহিত বেচারার অধিক শোকে হয়ে যাবার অবস্থা হলো। আহারে! ঐ সময় ব্রাজিলের সমর্থক বনে গেলে এই বাড়তি হ্যাপাটা তো আর থাকতো না!
আর দলের নামে কি আসে যায় ? অন্তত হাড়কেপ্পনের কাছে?
এ তো আর আমাদের বিএনপি আলীগ না যে জেরটা সারা বছরের ক্লাস কাম কাজ বাদ দিয়ে টানতে হবে?
বিশ্বকাপ শেষ , সমর্থন ও শেষ। বললেই হত তখন..
সে যাক , একেই বলে অতি চালাকের গলা দড়ি। পড়েছো বাবা বিপদে, এখন তোমার এই বাড়তি খরচ নিতেই হবে বাছাধন।
আমরা একটু কপট সহানুভূতি দেখাই , হাজার হলেও আমাদেরই তো ইয়ার দোস্ত। মনের খুশি বাইরে কেমনে দেখাই?!
তা রাগ তো আমাদের হতেই পারে। গত ডিসেম্বরে সবাই মিলে বান্দরবান রাঙামাটি গেলাম। সবাই ছিল , বাদ পড়লো একমাত্র মুহিত। কেন ? কেন আবার- চাঁদা দেবার ভয়ে।
এসবতো ফান প্রজেক্ট। কিন্তু সেবার যখন রাশেদ জন্ডিসে পড়লো তখন আমাদের সাথে ওকে দেখতে পর্যন্ত যায় নি। চিন্তা করা যায়? গেলে খাবার ফলমূলে যদি কিছু গচ্চা দিতে হয়!? কারো বার্থডে এমনকি ভার্সিটি ডোনেশন প্রোগ্রামে ওকে পাওয়া যায় না - এমনই কিপটার কিপটা সে।ইতিহাসবিখ্যাত (কিংবা কুখ্যাত!) কারুণকেও হারবার প্রতিভা আছে আমাদের মুহিতের।
অতীতের বাসী কথা থাক,ঐ যে কথায় বলে কিপটার ধন পিঁপড়েতে খায় ব্যাটার এখন ঠিক সে-ই অবস্থা।
মজা টিপ্পনি হাসি তামাশাতে আমাদের রুমে সেদিনকার জমায়েত ভাঙে।
রাতে্ব সচরাচর ঘুমটুম ভাঙে না আমার । এদিন তলপেটে বেমক্কা একটু তাগিদে ভেঙে গেল, বের হয়ে গণ বাথরুমের দিকে রওয়া দিতে দেখি কোনের টিভি কাম কমন রুমটাতে একটা আলো টিম টিম করে জ্বলছে।
পায়ে পায়ে কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে গেলাম। হু হুহ, বিশ্বকাপ হোক আর যাই হোক , এখন মিড চলছে।কালকেও একটা পরীক্ষা আছে... এর মধ্যে এত রাতে টিভি রুমে কে বসে থাকবে?
দেখলাম ,মুহিত বসে আছে।মাথা হাঁটুতে গোঁজা হলেও চিনতে পারলাম। অবাক লাগছে দারুন।
'কিরে এত রাতে কি করিস? একি তুই কাঁদছিস নাকি ?হায়রে সামান্য দুই আড়াইয়ের জন্য এত্ত শোক, ব্যাটাছেলে হয়ে কেঁদে কেটে যে ভাসিয়ে দিচ্ছিস ! ? যাহ আমি তোকে ওটাকাকয়টা খয়রাত করে দেবনে।' বলি এক মুখ হাসি নিয়ে।
'ঠাট্টা না । আমি আজ পর্যন্ত কবে তোদের কাছ থেকে কটাকা নিয়েছি বল?'গম্ভীর হয়ে ওঠে মুহিত ।একই সাথে একটু বিব্রত মুখ মোছে সে।
'আমার কাছে দুশ টাকা মাত্র না। অনেক কিছু ।'
' কতটা তা জানিস? '
নিশুতি শীতল হিম হিম রাত হঠাৎ উষ্ঞতা ছড়ায় চির শান্ত সুবোধ ছেলে মুহিতের মধ্যে।
ওকে এরকম তেতে উঠতে আগে দেখিনি কখনও ।
'আমার বাপ রিকশাওয়ালা,- ছিল।'
বোমাটার আঘাত যথেষ্ট লাগে আমার। আমার এক বন্ধু রিকশাওয়ালার ছেলে!?
আমার মনের ভাবটা কি বোঝে মুহিত?
'কিরে তোর মানে লাগলো নাকি একথা জেনে? আর তো মিশতে চাবি না আমার সাথে, আমি তোদের মাঝে মিল খাই না, তাই না? '
'আমার রিকশাওয়ালা বাপটা যখন অ্যাক্সিডেন্টে পড়লো তখন থেকে তার ঔষুধ খরচা , নিজে পড়া মায় তিনটা ছোট ভাইবোনসহ পুরো সংসার কাঁধে নিয়ে চলতে হয় আমার।'
'তোর বাবা ডাক্তার, রাশেদের ব্যাংকার, হাসানের বাপটাও নামী প্রাইভেটের লেকচারার।তোদের হাতে টাকা নয় ছয় করা কিই বা এমন ব্যাপার ? শ দুইশ টাকা তো হাতের ধুলাময়লার সমান ।'
'আর আমার- আমার পুরো মাস চলে মাত্র হাজার টাকায়। তুই- তোরা জানিস? খাবার , ফিস, বাসভাড়া।সব স-ব কিছু। পাঁচটা টিউশানির বাকি প্রতিটা পাই পয়সা দেশে পাঠাই । না হলে বাসায় হাড়ি চড়বে না , বুঝতে পারবি তোরা? বড়লোকের নন্দদুলালেরা?'
আমি ওর এই 'বিশেষ বিশেষনে'ও এখন রাগ করতে পারি না, বরং হতবাক হয়ে যাই।
কিভাবে জানবো তোর এ অবস্থা? বলেছিস কোনদিন ? আর বন্ধু বলিস আমাদের ? -কথাগুলো মনের মধ্য পাকায় কিন্তু মুখে আনার জোর পাই না।
'মাত্র হা-জা-র টাকা? ??!!!'
এই মুহুর্তে আমার পরনের এই ঘরে পরবার শার্টটাও তো এর চেয়ে বেশী দামি। বারতিনেক পরে এখন বাইরে পড়তে লজ্জা লাগে, ফেড ফেড মনে হয়।
এই তো গত পরশু হাশ পাপি থেকে একজোড়া জুতা কিনেছি দুই হাজারে।'দুই'- মূল সংখ্যাটার পিছনে আরো গোটাতিনেক শূন্য আমার কাছে বিশেষ কোন মানেই রাখে না। আরো ক'ধাপ চড়িয়ে নতুন শখ চেপেছে একটা ম্যাকবুকের জন্যে । আবার একটা আই ফোন আমার চাই -ই। হাতের মুঠিতে অ্যাপলের আশ্চর্য এই খেলনাটা না হলে জীবনটাই বৃথা বলে মনে হচ্ছে।স্যামসাং গ্যালাক্সি এখন সবার হাতে হাতে চলছে, আমার আর ওতে পোষায় নাকি?
আর আমারই বন্ধু, এত ক্লোজ একজন বন্ধু, রাস্তার অচেনা অজানা গরীব কোন শর্টফিল্মের চরিত্র না, সে মাস চালায় হাজার টাকায়? হাজার টাকায় আমার দিন যায় না , মাস চালানো এই মাগ্যির ঢাকায় সম্ভব?কিভাবে??
আমি চুপ করে থাকি।দীর্ঘ সময়।
ভারি রহস্যময় রাতের এই সময়টা। ছাপোষা কেরানি কবি হয়ে উঠতে পারে, কোদলে স্বামীটি হয়ত সারাদিনের ঘর্মক্লান্ত বউটিকে হারানো যৌবনকালের মত দুটি আবেগী ভালোবাসার কথা বলে ফেলে। যেমন আমি আমার মুখচোরা বন্ধুর এতদিনের চেপে রাখা আত্নপরিচয়ের রহস্য তারই অকপট মুখ থেকে জেনে ফেললাম...।
কাল কি হবে ? আমি কি সামান্য 'রিকশাওয়ালার পোলা'র সাথে একটু সূক্ষ অদৃশ্য দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করবো আমাদের তথাকথিত সামাজিক বিভাজনের সূত্র মেনে নিয়ে? দিনে দিনে যে বিভেদ একদিন যোগাযোগের সুতাটাকে কেটে দেবে নিপুনভাবে । ব্যবধানটা আস্তে ধীরে বাড়ালে হয়ত এমনভাবে কৌশলের সাথে আমাদের বন্ধুতা কাটবে যে দুজনের কেউই সেই কাটবার সঠিক মুহূর্তটাও ধরে উঠতে পারবো না।
অথব... প্রকাশ্য আলাদা হয়ে যাব? অবজ্ঞা করতে শুরু করবো? হাসি মশকরা করবো ওর 'স্ট্যাটাস' নিয়ে?
আমাদের মত ঘরের ছেলেরা ওদের সাথে মেশে না, মিশতে হয় না।
নাকি রসায়নের সব কটা সূত্র কে একধারে অবহেলায় সরিয়ে রেখে তেলে জলে মিশ খেয়ে যাবো মুহিতের গুপ্তকথা জেনে ফেলবার আগের ঠিক একমুহূর্ত আগেকার সেকেন্ডগুলোর মত?
হয়ত তার চাইতেও কিছু বেশী.. আপন??!!
আর যাই হোক না কেন, রুমের দিকে ফেরত যাত্রায় মনে মনে ঠিক করে নিলাম, আমাদের মুহিত কে কঞ্জুস আর বলবো না আমি কখনোই।
রেজওয়ানা আলী তনিমা
জুলাই ০৭, '১৪ ইং।
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। বহুদিন পরে আমার ব্লগে আপনাকে পেলাম। কেমন আছেন?
শুভেচ্ছা সতত।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল আছি আপু , ভাল থাকেন সব সময় ।
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: মঞ্জুস দা মাইজার বলে মজার একটা মন্তব্য করবো ভাবছিলাম, কিন্তু গল্পের এমন অভাবনীয় রুপ নিবে ভাবিনি । বাস্তবেও এমন মুহিত দেখেছি, যারা নিরবে নিজের সব আনন্দ বিকিয়ে দিয়ে ফ্যামিলিকে টেনে নিয়েছে । রেসপেক্ট, মুহিতের মত মহান ছেলেদের ।
মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পে ভালোলাগা++
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন রশিদ ভাইয়া।
মুহিতের মত ছেলেমেয়েরা আমাদের চারপাশেই আছে। না জানার কারণেই হয়ত তাদের সংগ্রাম দুঃখগুলো আমাদের স্পর্শ করতে পারে না।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
মদন বলেছেন: হুমমম
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
রাজিব বলেছেন: আমাদের ৩ পুরুষ ঘাঁটলে দেখা যাবে ৮০% এর দাদা বা দাদার বাবা কৃষক ছিলেন। আমার দাদার হয়তো ১ বিঘা জমি ছিল, আপনার দাদার হয়তো ১০ বা ২০ বিঘা। অনেক রিকশাওয়ালা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শরীরের রক্ত পানি করে তাদের ছোট ভাই বোনকে পড়াচ্ছেন এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য খুব ভালো।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমাদের ৩ পুরুষ ঘাঁটলে দেখা যাবে ৮০% এর দাদা বা দাদার বাবা কৃষক ছিলেন। আমার দাদার হয়তো ১ বিঘা জমি ছিল, আপনার দাদার হয়তো ১০ বা ২০ বিঘা।
খুব সুন্দর লিখেছেন রাজিব।
আমাদের শিক্ষিত অভিজাত শ্রেনীটার ইতিহাস খুব বেশী দিনের না। গুটিকয় হয়ত অন্যরকম , বাকিদের শিকড় সেই মাটি থেকেই এসেছে।
সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ রইলো।
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পের শেষটায় এসে খুব ভাল লাগল। +++
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় কান্ডারি অথর্ব । অনেক দিন পরে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে। কেমন আছেন?
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৭
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো গল্পটা। খুব ভাবালো।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায় । শুভেচ্ছা ।
৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫৪
জাফরুল মবীন বলেছেন: জীবনের বাস্তব চিত্র!‘সন্ধানী’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ইদ্রিস অালীর নিজ মুখ থেকে শোনাঃ তাদের এক বন্ধু মুহিতের মতই খুব গরীব ছিল কিন্তু সেটা কেউ জানতো না।ছেলেটা কোনদিনই নাস্তা করতো না।কারণ অনুসন্ধানে উনি জানতে পারেন ছেলেটির অভাবের কথা।প্রয়শই সে দু’বেলা না খেয়ে থাকত।প্রফেসর ইদ্রিস অালী তখন বন্ধুদের সাথে মিলে একটা ফান্ড তৈরী করেন তাকে ও তার মত গরীব মেডিক্যাল স্টুডেন্টদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য।যেহেতু এসব মুখচোরাদের খুঁজে অর্থাৎ সন্ধান করে বের করতে হয় তাই এ স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় ‘সন্ধানী’ যারা আজ রক্ত ও কর্নিয়া সংগ্রেহের জন্য বিখ্যাত।বুঝতেই পারছেন ‘সন্ধানী’র জন্ম হয়েছিল মুহিতের মত কারোর জন্যই।প্রাসঙ্গিক হওয়ায় নীচের ছবিটি মন্তব্যে সংযুক্ত করলামঃ
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যটা পড়ে খুব ভালো লাগলো, অজানা অনেক কিছু জানতে পারলাম। এরকম মন্তব্য সবসময়েই ভাবনার উদ্রেক করে। আমাদের চারপাশে অসহ্য দারিদ্রের মধ্যেও জীবন সংগ্রাম চালিয়ে নিচ্ছে এরকম মানুষ কম না কিন্তু আমরা তাদের কতটুকু ই বা অনুভব করি?
সন্ধানীর প্রতিষ্ঠাতার মত মহৎপ্রাণ কেউ কেউ করেন বলেই এত স্বার্থপর পৃথিবীতে এখনও মানুষ টিকে আছে। মানুষতো মানুষেরই জন্য।
শুভেচ্ছা । ভালো থাকবেন ভাইয়া।
৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমাদের বাইরের রূপটাই সবসময় আসল নয়। এর মাঝে আমরা অনেক কিছু চাপা দিয়ে বেড়াই, জীবনকে এগিয়ে নেই কিংবা পিছিয়ে দেই।
ভালো থাকবেন তনিমা
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অপর্ণাপু সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন, শুভকামনা আপনার প্রতিও।
১০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
দুঃখী__ বন্ধু বলেছেন: জানতাম গল্পের শেষে এমন কিছু থাকবে। কিন্তু পুরো গল্পে মুন্সিয়ানার ছাপ স্পট। আমার মনে হয় এটা আপনার অত্যন্ত সুন্দর শ্রেষ্ঠ একটি
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অ-নেক ধন্যবাদ দুঃখী_বন্ধু। আপনার মন্তব্যটা পড়ে খুব ভালো লাগলো , প্রেরণা পেলাম অনেক। ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা।
১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শেষে তো একটি সাসপেন্স, একটি বার্তা থাকবেই...
এবং সেটি রেখেছেন...
খুব সুন্দরভাবে শেষ করেছেন গল্পটি।
ভালো লেগেছে +
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইয়া। ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ।
১২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১২
পার্থ তালুকদার বলেছেন: শব্দ নিয়ে চমৎকার খেললেন !
গল্পের নির্মম বাস্তবতা আমাদের চারপাশে ঘোরপাক খায়, আমরা শুধু আড় চোখে চেয়ে দেখি !!
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর মতে অনেক অনেক ধন্যবাদ পার্থ তালুকদার ভাইয়া।
১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
যাপিত জীবনের মর্মস্পর্শী গল্প বা সত্যকথন ৷ আবেগের বহিঃপ্রকাশের বর্ণনাশৈলী আরো বিস্তৃত হতে পারতো ৷ কিছু টাইপো আছে দেখবেন আশা করি ৷
শুভকামনা ৷
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর আলম৫২ ভাইয়া। ভবিষ্যতে ভুলচুক গুলোর প্রতি আরো সজাগ থাকবার চেষ্টা করবো ।
শুভকামনা আপনাকেও ।
১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: রম্য রচনা ভেবে পড়তে গিয়ে সরস বর্ণনায় হাসি একান ওকান হচ্ছিলো, কিন্তু তারপর কী নির্মম আঘাত! জীবন এমন নিষ্ঠুর রসিকতা করে থাকে অনেকসময় আমাদের সাথে।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: রম্য হিসেবেই শুরু করেছিলাম, কিন্তু আমাদের যাপিত জীবনে কখন জানি রম্য হাসি ঠাট্টা বিষাদের বিষয় হয়ে পড়ে।
মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: গল্পটা দারুন লাগলো আপু।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শুঁটকি মাছ ।
১৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
রোদেলা বলেছেন: হা্লকা মেজাজের গল্পটা ভালো লাগলো।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রোদেলা।
১৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পের পরিণতিটা এমন হবে তা কস্মিনকালেও মনে হয় নি, মনে হয়েছিল একটা দমফাটানো রম্যগল্প পড়তে বসেছি।
যারা মুহিতের মতো ‘কঞ্জুস’, তাদের যেন আর কঞ্জুস না বলি।
গল্প ভালো লাগলো।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ: অথবা ধুলোবালিছাই। গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
১৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার গল্প। হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায়।
ধন্যবাদ, রেজওয়ানা।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অ-নেক ধন্যবাদ আবুহেনা মো: আশরাফুল ইসলাম ভাইয়া। আপনার মতামত জেনে ভালো লাগলো খুব। শুভেচ্ছা।
১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালো লেগেছে, জীবনের গল্প, জীবন থেকে নেওয়া গল্প। আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছ, নিজের কষ্টগুলোকে এভাবে লুকিয়ে রাখে। শুভেচ্ছা রইল অনেক।
অনেক দিন পর আবার ব্লগে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি, আপনার বেশ কিছু গল্প অপঠিত রয়ে গেছে, বেছে বেছে পড়ে ফেলতে হবে।
ভালো থাকুন সবসময়, আর এমন সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার দিতে থাকুন আমাদের।
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় শান্তির দেবদূত । অনেক দিন পরে ব্লগে আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো । কেমন আছেন ?
শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতিও।
২০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো।
গল্প বলার আলাদা সৌন্দর্যে মুগ্ধ।
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অ-সংখ্য ধন্যবাদ আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়। ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা
২১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মানুষের জীবনেই অমন জটিল বিষয়গুলো থাকে। অনেকে স্বীকার করে, অনেকে চেষ্টা করে নানাভাবে আড়াল করতে।
আমার এক সহপাঠী ছিল, তাকে দেখে কখনো ভাবতে পারিনাই যে, তার বাবা শয্যাশায়ী, মা ভিক্ষে করতে আমাদের গ্রামেও আসেন। অনেক বছর পর সে যখন চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে ভালো চাকরি পেয়ে বাবা-মাকে ভুলে গেল, তখনই একদিন বলেছিলেন সেই মহিলা, আপনেগো লগে পড়ছে অমুক, আমার পুত! হন বড় মানষ্যের ঝি (কন্যা) বিয়া কইরা আমরারে পুছে না!
তবে দৃশ্যমান অনেক কিছুই মানুষকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। তাই আমরা সব ক্ষেত্রে আন্তরিক হলে, মুহিতের মতো মানুষরা হীনম্মন্যতায় ভুগতো না।
ভালো থাকুন আর ভালো ভালো লিখুন।
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর মতে অশেষ ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাইয়া। তবে মুহিতকে আমি হীনম্মন্য মানুষ না বরং আত্নমর্যাদাসচেতন দ্বায়িত্বশীল এক মানুষ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছি যে কখনো অর্থের শত অভাবেও মানুষের কাছে হাত পাতে না, ধনী বন্ধুর কাছে আর্থিক সুবিধা নেয় না। আবারও ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন আপনিও । শুভেচ্ছা সতত।
২২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: "আমি চুপ করে থাকি।দীর্ঘ সময়।"
বলার কিছু পাচ্ছি না।
২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নাইমুল ভাইয়া মতামত দেবার জন্যে
২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪১
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকেও এহসান সাবির ভাইয়া।
২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈদমোবারক ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনাকেও বিলম্বিত ঈদ শুভেচ্ছা সেলিম আনোয়ার ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
২৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: 'আমার বাপ রিকশাওয়ালা,- ছিল- বাক্যটি ভুলতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আমরা কিন্তু আমাদের অতীত ভুলে যাই খুব সহজেই। যা উচিৎ না।। আপনার গল্পটি তাই মনে করিয়ে দিল।।
আবার যুক্তিও আছে,কারন আমরা আমাদের দুধে-ভাতে রাখা সন্তানদের দুরে রাখতে চাই সব দৈন্যতা থেকে। যা একদিন আমরা ভোগ করেছি।।
বাস্তবমূখী গল্পটা ভাল লাগলো তাই মন্তব্যে।। ধন্যবাদ।।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক দিন থেকে ব্লগে নেই নিয়মিত, তাই উত্তর দিতে দেরী হলো। দুঃখিত। আপনার সুন্দর মন্তব্য অনেক ভালো লাগলো। , অনেক অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর গল্প , ভাললাগা +