![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বনমুরগী পোষ মানে না.......
আজকাল রাবেয়া বানুর দিনকালগুলো মিলেমিশে একটা আরেকটার প্রতিরূপ যেন। পিঠাপিঠি লেগে থাকা রাতদিন একটা আরেকটার থেকে আলাদা করা যায় না। টুক টুক করে অন্তিমে যেতে থাকা ঢাল দিয়ে গড়িয়ে পড়া পাথরের টুকরার মতো, যাত্রাপথটা ওর সত্য না, শেষবেলাকার পতনটাই আসল। খালি গতি অনেক স্লথ - এই যা।
তবে সবদিনই তো এমন ছিল না। এই তো মাত্র মাসকয়েক আগেই তো রাবেয়া বানুর নিস্তরঙ্গ জীবনে ঢেউ উঠেছিল খুশির। কলিজার টুকরা আনোয়ার দেশে আসছে। সাথে আছে তার মেম বউ- রাশিয়ান মাশা আর নাতিন মায়েশা।
সেই - কত বছর আগে ছেলেটা বাইরে চলে গেল, পড়তে - ই , তারপরে সেইখানের রঙিন নেশায় আটকা পড়লো।
''দেশে ফিরে কি হবে আম্মা? দেশে কি আছে? ''
রাবেয়া জবাব দিতে পারেননি, দেশে আনোয়ারের তেমন কিছু আসলেই তো নেই ,বাপের রেখে যাওয়া সয় সম্পত্তি নেই, মামা চাচার জোর নেই, আনোয়ারের মত অল্প বিদ্যার লোকের জন্য চাকরী নেই। দেশে ফিরলে কামলা খাটতে হবে হয়ত- দেশে ওতে কোন সম্মানও নেই।দেশে খালি নেই আর নেই, ....শুদ্ধুমাত্র বুড়ো মা-টা আছে।
এটা অবশ্যই ফিরে আসার জন্য তেমন কোন জোরালো কারণ হতেই পারে না, সেটা রাবেয়াও বোঝেন, অবুঝ না তিনি।
তা মায়ের মন নিয়ে তিনি- তাঁর ছেলে যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক , দুধে ভাতে থাকুক -এইটাই শুধু চান।
ছেলে রাশিয়ান মেয়ে বিয়ে করেছে, খবরটা খুব কষ্ট দিয়েছিল। বিদেশিনী , কে জানে কেমন হবে?আর কোন মা বাপই বা মেনে নিত!
তার পরেও ভেবেছিলেন, বিয়েটা কি ছেলেটা কাগজ পাবার জন্যই করলো কিনা কে জানে? ভেঙে তো কিছু বলে না।
কথাটা জিজ্ঞেস করার অবসরটুকু মিলেনি। অনেক কষ্টে যখন হঠাৎ হঠাৎ করে ছেলে ফোন করতো , জরুরী কিছুই না বলা হতেই পুরোটা সময় শেষ। এতো দূরে কথা বলাও খরচান্তিও তো কম না।
তো বছর ঘুরে ঘুরে যখন মেয়ে হবার খবর এলো , খুশিতে মেম বউকে বিয়ে করার অপরাধও রাবেয়া অনায়াসে মাফ করে দিলেন। তারপরে তো অনেক দিন বাদে আনোয়ার খবর পাঠালো - সুখবর ।
ওরা দেশে আসবে- থাকতে না , বেড়াতে।তিনি দেখবেন দাদুমণিকে, মিলবেন বৌমার সাথে।
সে- ক-ত- বছর হলো? প্রায় লম্বা পনেরোটা বছর পরে তার নয়নমণি ছেলেকে প্রাণভরে আদর করবেন ,মাথায় হাত বুলিয়ে স্পর্শ নেবেন।
আনন্দে দিশেহারা রাবেয়া বানুর অযত্নে লালিত কুমড়া গাছের ডগাটা, পুঁইয়ের লতা,বেড়ে উঠবার মাচাটা -সব্বাই টের পায় তার মনের উল্লাসের খবরটা। তাদের মাঝে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে ছেলের প্রতি ব্যাকুলতা। ছেলে আসবে, ওদের জন্য নিজের হাতের বড়া, ঝোল তরকারী, - আহা
ক-তদিন তাজা তাজা তরকারীতে মায়ের হাতের স্বাদ পায়নি বাছা আমার। মনে আছে, দেশে থাকতো অন্য বাড়ির দাওয়াতের রান্নাও ভালো করে গলা দিয়ে নাবতো না খোকার, বাড়ি ফিরে শান্তিমতো আরেকদফা ঘরের খাবার দিয়ে তবেই উদরপূর্তি করতো। সেই ছেলে এত দিন বিদেশে কি ছাই পাশ খেয়ে টিকে আছে আল্লাহ্ জানে !
সব উল্লাস ফিকে হয়ে যায় দিনকয়েক বাদে পাওয়া খবরটাতে। কি যেন একটা ঝামেলা হয়েছে, ছুটি মিলবে না এখন আনোয়ারের।
পলকে সব অন্ধকারে ঢেকে যায়। এই জীবনে কবে আর দেখা হবে, হবে তো? কে জানে হয়তো শেষ খবরে ও ...।
সাতসমুদ্দুরের ওপাশ থেকে আনোয়ার ধরা গলাটা চেপে নেয় চট করে, যেমন এপাশে রাবেয়াও ।
তারপরে ঘরের প্রতি কণায় উপচে পড়া বৈরাগ্য ও টের পেয়ে যায় কোন একজনের অভাবের কথা। আবার সেই দিন রাত অর্থ হীন যাপন।
অনেক যন্ত্রণা করে বাবুটার একটা ফটো আনিয়েছেন রাবেয়া। কি যে সুন্দর ফুটফুটে হয়েছে বাচ্চাটা! সুন্দর ফ্রেমে বাঁধানো একেবারে চোখের সামনে বড় আলমারীটার উপরে। ঢুকলেই ঘরের যেখান থেকে হোক চোখ যাবে তাতে , তার সদ্যফোটা ফুলের মত মুখের আকর্ষণ এড়িয়ে অন্য দিকে নজর কাটানোর উপায় নেই। শুধু নামাজের সময়টুকুন রাবেয়া বানু কাপড়ে ঢেকে দেন ওটাকে।
সামনা সামনি না দেখায় ছবি দেখে দেখে তাঁর আশ আর মিটতে চায় না। কোনদিন কি ঐ তুলতুলে গালটাতে একটা চুমো দিতে পারবেন?
ছড়া কেটে ঘুম পাড়াবেন অনেক দিনের পুরানো অভ্যাসটাকে আবার ঝালিয়ে নিয়ে নিয়ে ?
আর ছেলেটা নজর কাটানোর জন্য কাজলের একটা টিপ দিয়ে রাখতে পারে না? বৌটা না হয় এসব কিছু জানে টানে না, ছেলেটাও কি এদিকে একটু খেয়াল রাখতে পারে না নাকি?
বাবু মনে হয় মায়ের মতন হয়েছে। সে-ই রকম কাটা কাটা চোখমুখ, দুধে আলতা বরণ, আগেকার দিনে একবার মাত্র আনোয়ারের আব্বার সাথে হলে গিয়ে লুকিয়ে দেখা রোমান হলিডের নায়িকার মতো হবে বড় হলে। হবে না? মেমসাহেবের মেয়ে তো! তাছাড়া , তাঁর ছেলেটাও একেবারে কালো কেলো তো না। উজ্জ্বল শ্যাম , এত দিনে বাইরে থেকে থেকে নিশ্চয়ই আরও চেকনাই হয়েছে।
মাঝে সাঝে কদাচিত ছেলের ফোনটা এলে বলেন,
''দাদুকে একটু দে বাবা।কথা টথা কি বলে একটু শুনি। ''
আনোয়ার হেসে ওঠে,'' বয়স এখনও ছমাস-ই হয়নি , ও কি বলবে?''
''আহ্হা , তাও দে , কানের কাছে ধর দেখি?শব্দ টব্দ তো করে নিশ্চয়ই ? তুই তো ওর বয়সে উম বুঊউ ওম হুপ করে কি সব আবোলতাবোল বকতিস। ফোকলা দাতঁহীন মুখে হাসি ফোটে রাবেয়া বানুর। আনোয়ারও চাপতে পারে না।
পিচ্চির কানে ঠেকালে কিন্তু সে টু টি কাড়ে না। এমনিতে চিৎকারে মুখরিত করে রাখলে কি হবে? এখন ঠিক জানে তার ঐ উদ্ভট পাড়া অতিষ্ঠ করে তোলা বিকট শব্দগুলোরও কারোর কাছে কত দাম।শুধু দুষ্টুটা থাব্ড়ে থাব্ড়ে হাত দিয়ে ফোনটা ঠেলে ফেলে দিতে চায়।
ছোট হলে কি হবে? হাতের জোর মারাত্নক ওর। ভয়ার্ত ছেলে তাড়াতাড়ি ওকে সরিয়ে নেয়।হাত থেকে পড়ে ভেঙে যায় যদি!
রাবেয়া বানুর সান্ত্বনা এই কচি নরম হাতের আছড়ে পড়া ধুপ ধুপ শব্দ।
এভাবেই রাতের পরে দিন , আর দিনের পরে রাত আসার প্রায় অন্তহীন আবর্তনের মাঝে তাঁর মনে হয় আবার কপাল ফেরে। নিস্তরঙ্গ ভাটার টানে জোয়ারের আভাস জাগে।
আনোয়ার একরাতে ফোন করে বলে, ''আম্মা তোমার জন্য আসার টিকেট টাকাপয়সা জোগাড় করছি।আমরা না আসতে পারলেও তুমি এসে বেড়িয়ে যাও ।''
সেই থেকে কাজের ছুটকো মর্জিনার সাথে রাবেয়া বানুর নতুন করে স্বপ্নের বয়ান শুরু। শুনতে শুনতে ওর কান পচে গেছে, ''ঐ দেশে অনেক আরাম, বুঝলিরে?''
''কোন কাজ কাম হাতে ধরে ধরে করতে হয় না, খালি মেশিনে দাও, হয়ে যাবে।''
নবীনা মর্জিনা অশেষ ধৈর্য নিয়ে প্রবীণার কথায় তাল দেয়।শেষ বয়সে এসে বুড়ি একটু সুখ তো পেল, ভেবে ওর মনে ঈর্ষার বৃশ্চিক কামড় দেয়।
কত মজা বিদেশে ! বড় লোক ভাইজানের বাড়িতে খালি আরাম, ওদের কত টাকা, কত বিলাস ব্যসন! খালি একবার পড়তে পারলেই তো কিসমত উল্টো দিকে ঘুরে। ওদের গ্রামের ফেলটুস ফাইভ পাস কাশেম মিয়াই তো দুবাই থেকে ফিরে এত্ত বড় দালান তুলেছিল! দেখে সবার চোখ ঠিকরে যেত !
আনোয়ার মাকে বলেনি, ইল্লিগ্যাল এলিয়েন হয়ে আরো জনাদশেক লোকের সাথে গুদামের মত খুপড়িতে জীবন্ত মালসামান হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বেঁচে থাকার যন্ত্রণার কথা। মাকে কি বলা যায়, তীব্র শীতে লোকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দরজার নিচে দিয়ে লিফলেট ফেলে কাজ খোঁজার কষ্ট? চোরের মত কাঁটা হয়ে থাকা, কেউ না আবার পুলিশে ধরিয়ে দেয়!
নামে মাত্র মজুরীতে পেটটা চালানো কোনরকম, বিয়েটা ওকে কাগজ আর কাজটাই শুধু দিয়েছে, ভাত রুটি রুজি এই মন্দার বাজারে একই রকম কঠিন ।
ভিসার লাইনে দাঁড়াতে আশা আশঙ্কায় রাবেয়া বানুর বুক দুরু দুরু করে। পুরো জীবনে তার মফস্বলে পচে হেজে কেটে গেল, এমনকি ঢাকাটাও তাঁর আজকের আগ পর্যন্ত দেখা হয়নি ।সেই তিনি যাবেন উই প্লেনে চেপে কত দূর? তকদিরের খেল সবই তকদিরের খেল!
আল্লাহ্ মানুষের ভাগ্যে কখন যে কি রাখে?!
অফিসারের সাথে কথা বলতে কেমন জানি ভয় ধরে, বুকে হাঁফ ধরেছে বেতো পায়ে কষ্টে মষ্টে সিড়ি ভাঙতে , মরার লিফটটা বরাতে আজই নষ্ট হলো ! মর্জিনাটাকে সাথে নিয়ে এসেছেন, একটু রক্ষা। ব্যাগবোচকাগুলো একটু ধরেছে।
''আপনার তো দেশে কেউই নেই , যদি আর ফিরে এখানে না আসেন?''
ভুরুটা অসন্তোষে কোঁচকানো অফিসারের, তার সোনার প্রাচুর্যভরা দেশে কেউ গেলে মাটি কামড়ে থাকে, বুড়োহাবড়া হোক আর যাই হোক, গোনায় ঠেকা দিনগুলোও কেএফসির মুরগীর ঠ্যাং খেয়ে পার করতে হবে!
এখানে? আর না ফিরে আসা? রাবেয়া বানুর তাঁর কবেকার এইট পাশ ভাঙা বিদ্যায় বোঝাতে চান , তিনি অবশ্যই ফিরবেন। এখানে জীবিত তাঁর কেউ নেই , কিন্তু তাঁর মৃত স্বামী শ্বশুরের ভিটা আছে। মৃত হলেও দায় ও টানটা কম না । এখানে তাঁকে থাকতে হবে, ফিরতেও হবে। এর বাইরে তাঁর কিছু নেই, পুরোটা জীবন এখানেই কাটিয়ে অন্যখানে চোখ বোজার তাঁর কোন খায়েশ নেই।
যথাসময়ে ভগ্ন মনোরথে মা-পোয়ে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হবার খবর পায়।
খবরটা আনোয়ারকে কতটা ব্যাকুল করেছে?
রাবেয়া বানুর জন্যে একেবারের ভেঙে পরার মতোই । ওকে দেখবেন , এই ইচ্ছা , ভরসা নিভু নিভু থেকে জ্বলে উঠেছিল আনোয়ারের জোর আগ্রহ ও চেষ্টাতে। অনেক দিন ধরে তিল তিল করে এ আশা তাঁর জীবন প্রদীপের সলতেতে তেল দিয়ে যাচ্ছিলো।
বয়সী শক্ত রোগগুলো এত দিন ছিল কঠোর শাসনে,এখন চরম অনিয়ম শুরু হলো। কোন কিছুতেই উৎসাহ নেই। সব নীরস ঠেকে। কিসের জন্য আর এ নিরর্থক দিন কাটানো?আর তো দেখার বাকি নেই কিছু।
মর্জিনা- ই এক , মায়া দয়া যা হোক আছে মনে, একটু পীড়াপীড়ি করে।
''এমন খাওয়া দাওয়া একটু সময় মত না করলে কেমন করে বাঁচবেন খালাম্মা?''
''আর থাকা আমার'' বিড়বিড় করে অভিমানী উচ্চারণ করেন রাবেয়া।
শেষ খবরটা বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়ে এসেছিল আনোয়ারের কাছে। আম্মার অবস্থা এতটা কবে খারাপ হলো?
রাবেয়া অক্ষম ছেলেকে একেবারেই বিপর্যস্ত করতে চাননি।
নিজের শরীর পরের দিকে দ্রত ভেঙে পড়ছিল , তাতে কি ? ছেলেকে জানালে অস্থির হবে, অযথা পেরেশানি।
আসতে তো পারবে না।
তিনি নিজেও যেতে পারবেন না। এমনকি চিকিৎসার জন্যেও হয়তোবা।
কে জানে তাঁকে হয়তো আটকে দেবে, ভালো হয়ে আর তিনি দেশে ফিরবেন না বলে।
কে জানে কেন, রাবেয়ার মনে বড় অভিমান হয়। ক্ষোভ জমে। রাগ ওঠে। কারণহীন । ব্যাখাহীন। ছোট্ট অবুঝ বালিকার মতো। কার উপর?
তাঁর সংসারের একমাত্র আপন জন এই ছেলেটাকে দেখার কত দিনের বুক বেঁধে চলা, তাও হয়ত ইহজন্মে আর হলো না।
মরার সময় নিজের একটা মানুষ পাশে থাকবে না, একটু পানি তুলে দেবে না।একটু দোয়া দুরুদে অনন্ত জীবনের সাহস জোগাবে না....।একফোঁটা চোখের পানি পড়বে না..।
রাবেয়া বানুর মৃত্যুটা একেবারে এতখানি জনশূন্য নীরবতায় হয়নি অবশ্য।
হঠাৎ শরীর খারাপ হলো , ভাগ্যে মর্জিনা তখন ঘরে।
ওই হাঁকা হাঁকি ডাকাডাকি করে লোক জড়ো করে খালাম্মাকে হাসপাতালে নিল।
বিছানা পাওয়া যায় নি, এত সহজে কি পাওয়া যায়?
ধরাধরি, টাকা জায়গামতো খাওয়ানোর ব্যাপার স্যাপার আছে। ওসবের মর্জিনা কি জানে?দায়টাই বা কি তার? পরের মেয়ে হয়ে যেতটুক দেখেছে করেছে ঐ ঢের!
তবে দয়াশীল একটা নার্স পাশে ছিল বটে চোখটা মুদবার সময়ে। ডাক্তার সাহেব বড় ব্যস্ত। কখন আসেন কেউ বলতে পারে না।
আনোয়ারের নম্বর মর্জিনার জানা নেই, কিভাবে খবর দেবে?
পরের দফায় ফোন করায় জানতে পারলো।
আম্মা নেই - আনোয়ারের অস্থিতে পঞ্জরে হাহাকারের মত শব্দগুলো বাড়ি খায়।
এইবার দেশে ফিরবেই সে, , ফিরলেই মায়ের কবর দেবে। সুন্দর করে বাঁধিয়ে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে ফিরবে। মন চাইছে এক্ষণি প্লেনে চেপে বসতে। অস্থির শোকাকুল আনোয়ার ছুটির দরখাস্ত দেয়।
''ছুটির খেতা পুঁড়ি ! ''না দিলেও সে অন্তত মরা মায়ের মুখটা শেষবার সে দেখবেই । এই জঘণ্য চাকরি দরকার হলে সে আর করবেই না।
সদ্য মা হারা আনোয়ারের এবার ছুটি মঞ্জুর হয় তড়িৎগতিতে, মানবিক বিবেচনা বলেও তো একটা কথা আছে!
এরকম একটা কারণ- যত পাষাণই হোক ,ছুটি না দিয়ে কেউ পারে?
জীবিত মা কে না-ই দেখুক, মৃত রাবেয়া বানুর অসাধ্য সাধনের শক্তি আছে, প্রমাণিত হয়ে যায় ।
রাবেয়ার মরদেহ হিমাগারে প্রতীক্ষায় থাকে, অবশেষে তাঁর ছেলের ছুটি হয়েছে।
রেজওয়ানা আলী তনিমা
সেপ্টেম্বর ০৪,'১৪ ইং
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আবু শাকিল ভাইয়া, আপনার মতো অবস্থা তো অনেকেরই । বিদেশে এক পা আর দেশে আরেক। দ্বিধাদন্দ্বে জীবন কেটে যায়। দেশের টানও আছে কিন্তু বৈষয়িক নানা হিসাব নিকাশে যা করতে ইচ্ছা হয় তা করতে পারা যায় না।
প্রবাসে ভালো থাকুন । অনেক ধন্যবাদ এত প্রাঞ্জল মতামতের জন্য।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আমার এক বন্ধু আছে প্রবাসে থাকে । গত চার পাঁচ বছরে সে তার অতি আপনজন অনেককে হারায় । প্রথমে তার বাবা আর জেঠু বাইক এক্সিডেন্ডে মারা যায় । তার কয়েক বছর পর তার একমাত্র অভিভাবক মামা অসুস্থ হয়ে মারা যায় । পনের বিশ দিন হয় তার ছোটবোনটি অসুস্থতায় হসপিটালে মারা যায় । আফসোস সে একজনকেও মাটি দিতে আসতে পারিনি । আপনার লেখাটি পড়ে বন্ধুর কথা মনে পড়লো আবার ।
আনোয়ার সাহেবের কাছে তো তার মা জীবিত ছিল বিদেশে যাওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কারন এরপর তো সে তার মাকে মৃত অবস্থায় দেখেছে । অনেক যন্ত্রনাদায়ক ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সত্যি খুব যন্ত্রণা দায়ক । যখন প্রিয়জনের মারা যাবার খবরটা পেয়েও একটু শেষ দেখার ভাগ্যটাও হয় না।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো +++++
শুভেচ্ছা ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অপূর্ন। অনিঃশেষ শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও।
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কষ্টের গল্প। পাঠকের মনকে নাড়া দিতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ, তনিমা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম । কারো ভালো লাগলেই লেখার আনন্দ। শুভেচ্ছা।
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই দুর
পরবাসে তারা গুনি আকাশে আকাশে
কাটে নিঃসঙ্গ রাত্রীগুলো
মাঝে মাঝে স্বপ্নের বেশে স্মৃতীর
আয়েশে
আমাকে করে যায় বড়
বেশি এলোমেলো
আমি দেশেই আছি, তারপরও এই গানটা খুব ভালো লাগে। তোমরা যারা বিদেশ বিভুঁইয়ে আছো, তাদের জন, বড় মায়া হয়। খুব কস্টময় সময়ের বেদনাগুলো বুঝি ছুঁয়ে যায়। আমার খুব কাছের কিছু আত্মীয় আর বন্ধু পড়ে আছে প্রবাসে।
দেশে খালি নেই আর নেই, ....শুদ্ধুমাত্র বুড়ো মা-টা আছে।
কস্ট মাখা হৃদয় ছোঁয়া গল্পে আন্তরিক ভালোলাগা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় বোকা মানুষ বলতে চায়। গানের চমৎকার হৃদয়ছোঁয়া লাইন গুলো পেয়ে মনটা ভরে গেল।
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: চমৎকার গল্প ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
প্রবাস জীবনের এই সব গল্পগুলো খুব ছোট থেকেই শুনে আসছি, আর সেইজন্য সুযোগ- সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না।
গল্পে +++
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এই গল্পগুলো চির পুরানো, কিন্তু আবার চির নতুনও। আপনি যে সুবিধা লোভ ছেড়ে দেশেই থাকছেন সেজন্য স্যালুট ।
+ এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পিঠাপিঠি লেগে থাকা রাতদিন একটা আরেকটার থেকে আলাদা করা যায় না। টুক টুক করে অন্তিমে যেতে থাকা ঢাল দিয়ে গড়িয়ে পড়া পাথরের টুকরার মতো, যাত্রাপথটা ওর সত্য না, শেষবেলাকার পতনটাই আসল।
গল্পের শুরুতেই লেখনির ধারাটা বুঝে পুরো গল্পটি একটানে পড়েছি। কাহিনী পাঠককে নাড়া দেবার মতো। তবে আমি কাহিনীর পর্যালোচনা করবো না। একজন লেখক তার ইচ্ছা মতো কষ্ঠের বা আনন্দের কাহিনী রচনা করতে পারেন। আমি কথা বলবো আপনার লেখনীর স্টাইল নিয়ে। দারুন এক ফ্লো তে পুরো গল্পটা শেষ করেছেন। গল্পটা হৃদয়ঙ্গম করে পাঠক অনুভুব করতে পেরেছে গল্পের বিষয়বস্তু। এটাই আপনার স্বার্থকতা। অভিনন্দন রইলো।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবন। আপনার চমৎকার মন্তব্যে প্রেরণা পেলাম। কারো ভালো লাগলেই লেখার সবটুকু আনন্দ।
অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: এরকম হয়তো অনেক পরিবারেই হচ্ছে। গল্প ভালো লাগলো।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এরকম ঘটনা আশাপাশের প্রবাসে আছে এমন পরিবারের হামেশার দুঃখ। একদিকে প্রাচূর্য, অন্যদিকে মনের একাকিত্বের দেউলিয়াত্ব।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
এম ই জাভেদ বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম, একটা বিষয় বুঝলাম না । লেখার বানান এরকম দুর্বোধ্য কেন তনিমাপু ?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক দিন পরে ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগলো জাভেদ ভাইয়া।
বানান দূর্বোধ্য নাকি? আমি তো সঠিক বানানেই যতটুক পারি লেখার চেষ্টা করি ।
১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
ইমিনা বলেছেন: সুন্দর গল্পের জন্য অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম তনিমা আপু
শুভকামনা সব সময়।।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ইমিনাপু।
নিরন্তর শুভকামনা থাকলো আপনার প্রতিও ।
১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
জীবিত মা কে না-ই দেখুক, মৃত রাবেয়া বানুর অসাধ্য সাধনের শক্তি আছে, প্রমাণিত হয়ে যায়।
রাবেয়ার মরদেহ হিমাগারে প্রতীক্ষায় থাকে, অবশেষে তাঁর ছেলের ছুটি হয়েছে।
একটা মর্মস্পর্শী গল্প। প্রবাসীদের জীবনের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে গল্পে, একই সঙ্গে মা-য়ের রূপকে স্বজনের আকুতিও খুব সাবলীলভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
শুরুর প্যারা আর শেষের ২ লাইন অসাধারণ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
শুভেচ্ছা রইলো ।
১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চমৎকার লাগল ৷ বাস্তবধর্মী ৷
তবে প্রতি লাইনে স্পেস না দিয়ে প্যারা অনুযায়ী ভাগ করুন ৷ বিচ্ছিন্ন লাগছে ৷
ভাল আছেন নিশ্চয়ই ৷
মঙ্গলার্থে.....
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অ-নেক ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর আলম৫২।
প্যারা অনুযায়ী কমানোর ব্যাপারটা ভবিষ্যতে অবশ্য অবশ্যি খেয়াল রাখবো । ত্রুটি ধরিয়ে দেয়ার জন্যে আরেকদফা ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন।
১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মাঝে সাঝে কদাচিত ছেলের ফোনটা এলে বলেন,
''দাদুকে একটু দে বাবা।কথা টথা কি বলে একটু শুনি। ''-------- আপু খুব সুন্দর লিখেছো ----
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি।
১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রবাস জীবনের মর্মন্তুদ গল্প। প্রবাসী ভাই-বোনেরা আপন দেশ ও পরিজন ছেড়ে কত কষ্টে দিনাতিপাত করে, তার দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই.........
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে, রেজওয়ানা আলী তনিমা
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতে অনেক অনেক ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইয়া। অজস্র শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও।
১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১
এম ই জাভেদ বলেছেন: আপনার বানানে কোন প্রব্লেম নেই। আমার ল্যাপটপ মনে হয় ভাইরাসে ধরেছে। বাংলা লেখা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জলদি ভালো অ্যান্টিভাইরাস নেন। আমারটাতেও ভাইরাস আক্রমণ যথেষ্ট ভুগিয়েছিল।
১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মর্মস্পর্শী গল্প। ভালো লিখেছেন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাইয়া ।
১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার লেখনিতে ৪র্থ ভালোলাগা তনিমা ...
ভালো আছেন নিশ্চয়ই ???
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মুনতাসির নাসিফ ভাইয়া।
আমি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালোই। আপনি কেমন আছেন?
১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মর্মস্পর্শী । বাস্তব । শুরুটা অনেক সুন্দর । ভাল থাকবেন ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭ ভাইয়া। অসংখ্য শুভকামনা আপনার জন্যেও।
২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪২
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খারাপ লাগলো।
আমার এক বন্ধু প্রবাসে যাওয়ার কয়েকদিন পর মা কে হারায়। এই বিষয়গুলো এতো কষ্টের, প্রকাশ সম্ভব না।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আশরাফুল ইসলাম ভাইয়া।
আসলেই এই বিষয়গুলো অনেক কষ্টের, যার সইতে হয় সে-ই জানে।
২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্প ছুঁয়ে গেছে, পাঠক খারাপ লাগা অনুভূতিতে ডুবছে।
গল্পকার হিসেবে এটা কিন্তু অসামান্য পাওয়া।
গল্পের ভালোলাগাটা জানাতে আবার মন্তব্য।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দ্বিতীয়বার শুধুমাত্র ভালো লাগা জানানোর জন্যেই আপনার মতো বিজ্ঞ ব্লগারের কাছ থেকে আরেকটা মন্তব্য পাওয়া আমার জন্য অনেক বেশী সম্মানের। অনেক ধন্যবাদ আবারো ।
ভালো থাকবেন।
২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০২
ডি মুন বলেছেন: জীবিত মা কে না-ই দেখুক, মৃত রাবেয়া বানুর অসাধ্য সাধনের শক্তি আছে, প্রমাণিত হয়ে যায় ।
বিষাদাক্রান্ত হলাম।
নিয়মিত লিখুন আপু।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ডি মুন ভাইয়া। ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা।
২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
সুমন কর বলেছেন: হৃদয়কে ছুঁয়ে যাবার মতো বাস্তবর্ধমী গল্প। অসাধারণ বর্ণনার কারণে পড়তে বেশ লাগল।
পড়ে কিছুটা মন খারাপ হল।
ভালো থাকবেন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমন কর ভাইয়া। মন্তব্যে প্রেরণা পেলাম অনেক । ভালো থাকবেন আপনিও। নিরন্তর শুভেচ্ছা রইলো।
২৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: আমাদের এতো সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্যে
অনেক শুভেচ্ছা.........এতোই শুভেচ্ছা যে যার পরিমাপ সংখ্যায়
গনণা করা দুর্লভ
Thanks from my painful heart
Thanks from my painful life
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এত্ত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য নুরএমডি ভাইয়া। আপনার প্রতিও রইলো অজস্র শুভাকামনা।
২৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৭
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অ-নেক ধন্যবাদ হানিফ রাশেদীন ভাইয়া। শুভেচ্ছা ।
২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পের শেষটুকু পড়ার সময় পিসির মনিটর ঘোলা হয়ে আসছিল। পুরুষ মানুষের চোখে জল নাকি দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু এটা স্বীকার করার মত দুর্বল নই যে আপনার গল্পটি পড়ে বারবার চোখ ভিজে আসছিল। গল্প শেষ করেই মাকে ফোন দিলাম।
এমন চমৎকার একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। একজন লিখিয়ের জন্য এরকম একটা মতামতই যথেষ্ট।
প্রবাসী পাঠক, ভালো থাকুন প্রবাসে। মায়ের তুলনা এই পৃথিবীতে আর কে আছে? ভাগ্যপাকে যাকে এ থেকে দূরে থাকতে হয় তার কষ্ট অন্য কারোর বোঝা সম্ভব না।
ইদানিং মাকে , পুরো পরিবারকে খুব মিস করছিলাম। তাই গল্পের আনোয়ারের কষ্টে আমারও কিছুটা ভাগ আছে। এটা অনুভবের বিষয়, কোন কলমে তুলে আনার ক্ষমতা কোন মানুষেরই নেই।
আপনি ও আপনার পুরো পরিবারের জন্য অ-নেক শুভেচ্ছা।
২৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়। শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও।
২৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৪
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জীবনের বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর হয়ে ধরা দিলো আপনার গল্পে। শোকাকূল অনুভূতি ক্ষণস্থায়ী অতঃপর ছুটি হয়ে যায় এমনি করে ...
ভালো থাকুন, রেজওয়ানা আলী তনিমা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে অশেষ ভাল লাগা ও ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৫
জুন বলেছেন: জীবিত মা কে না-ই দেখুক, মৃত রাবেয়া বানুর অসাধ্য সাধনের শক্তি আছে, অসাধারণ বাস্তব ছোয়া লেখায় আর কিছু বলার নেই রেজওয়ানা আলী তনিমা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুন আপু। আপনার মত নামী ও গুণী ব্লগারের কাছ থেকে এরকম একটা মন্তব্য আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তির ব্যাপার।
ভালো থাকবেন , অনেক অনেক।
৩০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
আমি ইহতিব বলেছেন: এই লেখাটা পড়েছি ৫/৬ তারিখে। শেষটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাই আর তখন মন্তব্য করা হয়নি।
কঠিন বাস্তবতা খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
ভালো থাকুন সব সময়।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আমি ইহতিব আপু। আপনি নিজে চমৎকার লিখেন, ব্লগে অনিয়মিত আমি যখনই পড়ি ভালো লাগে। আপনার মত গুণী ব্লগারের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পেয়ে বিশেষ ভালো লাগছে।
৩১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২২
বাংলার পাই বলেছেন: গল্প চমৎকার কিন্তু কষ্টের। আমাদের মত দরিদ্র্য ও হাজার সমস্যার দেশ ছেড়ে যারা প্রবাসী হয় তাদের মা বাবা ও তাদের জীবনের চরম বাস্তবতার চিত্র আপনার সাবলীল বর্ণনায় চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ । মাত্রই আপনার ব্লগবাড়ি ঘুরে এসেই নিজটাতে আপনার দেখা পেলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকেও।
৩২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক দেরীতে এলাম বোনটি। ক্ষমা করবেন। আমি সাধারনতঃ যে সময়ে লগইন করি,তখন প্রথম পাতা ছাড়া দৃষ্টি দেয়ার সময় পাই না।।
তিনি অবশ্যই ফিরবেন। এখানে জীবিত তাঁর কেউ নেই , কিন্তু তাঁর মৃত স্বামী শ্বশুরের ভিটা আছে। মৃত হলেও দায় ও টানটা কম না । এখানে তাঁকে থাকতে হবে, ফিরতেও হবে। এর বাইরে তাঁর কিছু নেই, পুরোটা জীবন এখানেই কাটিয়ে অন্যখানে চোখ বোজার তাঁর কোন খায়েশ নেই-একেবারে চিরন্তন মা-খালা আর চাঁচীঁদের কথা। একটু উন্মনা,একটু বে-খেয়াল।।
এভাবেই লিখে মন জয় করতে থাকুন।।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় সচেতনহ্যাপী। দেরীতে তো কি হয়েছে? আপনাকে ব্লগে পেয়েই খুব খুবই ভালো লাগলো।
অনেক শুভকামনা থাকলো।
৩৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: হৃদয়বিদারক বাস্তবতা!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হ্যাঁ, আসলেই তাই। এরকমটা আমাদের চারপাশে অনেক পাওয়া যাবে।
অ-নেক ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাইয়া।
৩৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ছুঁয়ে গেল গল্পটা । প্রবাসী ছেলের জন্য প্রতীক্ষারত মায়ের আহাজারি দেখেছি, দেখেছি মৃত্যুও । বাস্তব অনুভূতি খুব সুন্ডর ভাবে তুলে ধরেছেন গল্পে ।
চমৎকার গল্পে ভালোলাগা ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাইয়া। আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
৩৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: গল্প বলবার ধরনটা চমৎকার আর সেই মায়ের আহাজারিটাই বড় হয়ে ফুটলো। কিন্তু ছেলের আকুতি ততটা ফুটলো না মনে হয়। এমন ক্ষেত্রে দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
যাই হোক, মা তো, যার কইলজা জ্বলে দিনরাত। ছেলের কইলজা পোড়ার ঘাণ কি মায়ের কাছে পৌঁছে না? পৌঁছায় অবশ্যই, আর তাই মা-ও দিনরাত ছটফট করতে থাকেন। এই যে দেশের বাইরে থেকে একটা ভয় কাজ করে দিনরাত, আহা, ফিরে গিয়ে মাকে আবার দেখতে পাবো তো?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ছেলের আকুতি ঠিক মায়ের সমান তুলে কি কখনো হয়? আমার মনে হয় খুব ব্যাতিক্রম এটা। স্নেহ মূলত নিন্মগামী। কোন বাবামা উন্নত জীবনের আশায় ছেলেমেয়েকে পেছনে রেখে যেতে পারে না, ছেলেমেয়েরা সেটা কিন্তু অবলীলায় করতে পারে।
আমি অবশ্যই সন্তানদেরকে দোষারোপও করছি না। শুধু উদাহরন টানলাম আর কি। সন্তানেরর প্রতি মায়ের যে মমতা সেই একই টান সাধারণত সমানভাবে আমাদের দিক থেকে কাজ করে না- যতই ভালোবাসি না কেন।
এই কারণে এখানে ছেলের দিকে অতটা জোর দেই নি। তাছাড়াও তাতে গল্পটা অনেক মাত্রাছাড়া বড় হয়ে যেত।
আপনার সুন্দর বিস্তারিত মতে অনেক অ-নেক ধন্যবাদ জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাইয়া। ভালো থাকবেন-যেখানেই থাকুন।
৩৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বড়োই সংবেদনশীল গল্প ।মানব মনের কোমল জায়গাটা ছুয়ে দিতে পেরেছেন ।
পড়ার সময় বারবার বুক কাঁপছিল , বাস্তব যন্ত্রণাবিশ্বের দুই অভিনেতার গল্প পড়লাম ।
মা - ছেলে ।
অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম । আপনার লেখা সেরা গল্প । সব দিক দিয়েই । শুরু
' শেষ অসাধারণ । মাঝে ফাকে ফাকে কিছু বাক্য ও ধাক্কা লাগার মত ।
আগে আপনার লেখায় বেশ কিছু দুর্বলতা যা ছিল - এইবার আপনি ফাটিয়ে দিয়েছেন । তবে ছেলের অনুভুতি নিয়ে একটু কাজ করলে মনে হয় ভাল হবে ।
একটা কথাই বলতে চাই - আপনার হবে । আপনি লিখতে থাকুন ।
সঙ্কলনে আপনার গল্প নিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি ।
ভাল থাকবেন ।
জীবিত মা কে না-ই দেখুক, মৃত রাবেয়া বানুর অসাধ্য সাধনের শক্তি আছে, প্রমাণিত হয়ে যায় ।
রাবেয়ার মরদেহ হিমাগারে প্রতীক্ষায় থাকে, অবশেষে তাঁর ছেলের ছুটি হয়েছে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কি বলবো এত সুন্দর মতামতের জবাব হিসেবে?তাও আপনার মত এত গুণী ব্লগারের কাছে থেকে এরকম একটা মন্তব্য পেয়ে চমৎকার ভালোলাগায় মন ভরে গেল। কারো ভালো লাগলোই ব্লগে লেখার সার্থকতা। পাঠকের প্রেরণা দেয়া মন্তব্যের চেয়ে এখানে দামী আর কি আছে?
অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭। শুভেচ্ছা।
সংকলনে জ্ঞানীগুণীদের পাশে ঠাঁই পেয়ে অতীব সম্মাণিত বোধ করছি। আবারো অযুত ধন্যবাদ ।
৩৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই গল্প আবারো পড়তে হবে । প্রিয়তে নিলাম । কমেন্ট ত তিনবার করলাম । আবারো করার ইচ্ছে আছে । লাইক বাটন টা বার বার চিপতে ইচ্ছে করছে । আফসোস একবারের বেশি দেয়া যায় না ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসংখ্য অজস্র ধন্যবাদ।
৩৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পের শেষটুকু পড়ার সময় পিসির মনিটর ঘোলা হয়ে আসছিল। পুরুষ মানুষের চোখে জল নাকি দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু এটা স্বীকার করার মত দুর্বল নই যে আপনার গল্পটি পড়ে বারবার চোখ ভিজে আসছিল। গল্প শেষ করেই মাকে ফোন দিলাম।
আমিও কালকে মাকে ফোন দেব ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জি ভাইয়া, অবশ্যই ফোন দেবেন । মা-বাবার খবর নেয়াটা আমাদের ''আসল'' কাজের ভিড়ে বাহুল্য হয়ে কেবলই লিস্টের পিছনের দিকে চাপতেই থাকে। আজ না কাল, কাল না পরশু...তাদের মনটা কিন্তু সন্তানের কাছেই সারাক্ষণ পড়ে থাকে।
আবারও ধন্যবাদ সবশেষে ।
৩৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩
রোদেলা বলেছেন: কষ্ট মাখা গাঁথুনী।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ রোদেলাপু। আপনার ব্লগ নিকটা খুব সুন্দর ।
৪০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
এহসান সাবির বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।
গল্প পড়ে মন খারাপ হলেও আমি হাসছি।
আপনি বিশ্বাষ করুন আর নাই করুন.... তারপরও লিখি.....
জানেন সবাই আমাকে আহাম্মক বলে। সত্যিই আল্লাহ্ রহমতে আমি বিদেশে খুব ভালো ছিলাম। পাশ করবার পরপরই psw তে ২ বছর ভিসা হল। ভালো চাকুরি পেলাম, ভিসা শেষ হতে না হতেই hsmp........!! আমি প্রায় ৭ বছরর ওখানে ছিলাম, ১১ বার আমি দেশে এসেছিলাম, ১২ তম বারে আর যাইনি।
মা একদিন রাতের বেলা বল্ল বাবারে আর কত দিন, ২ বছর বলে তো অনেক দিনই হয়ে গেল, ওখানে মনে হয় অনেক ভালো আছো.... অনেক দোয়া। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে মনে হল ধুস!! আর থাকব না। ২০১০ তে দেশে চলে আসি, ২০১২ তে অক্টো তে আমার ভিসা শেষ হয়ে যায়........!! আমার বন্ধুরা লাল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছে সবাই.........!! ওরা বলে আমি আহাম্মক!! অন্যরাও আমার কাহুিনী শুনে বলে আহাম্মক (যদিও আমি ভুল করেও কাউকে বলি না, এর ওর কাছে শুনে লোকে বলে আহাম্মক)। আমিও নিজেকে বলি আহাম্মক।
কিন্তু আমার অসুস্থ মা যখন বলে বাবারে বাসায় আয়, খাবার নিয়ে যে বসে আছি.......... থখন আমি চিৎকার করে বলি ''আমি আহাম্মক, আমি আহাম্মক হয়েই বেচে থাকতে চাই''
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
অটঃ সুনিলের পূর্ব পশ্চিমের শেষ টা আপনার নিশ্চই মনে আছে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনি অনেক ভাগ্যবান । অনেক সুবিধা পেয়েছেন। তারচেয়েও বড় ভাগ্যবান এইকারণে যে সত্যকারের দামী জিনিসটা আপনি বেছে নিতে পেরেছেন। আমার কয়জনে তা পারি?
বিদেশে ভিখারীর মতো থাকলেও মাটি কামড়ে, মা - আর শিকড় ভুলে যাই। আর আপনার মত সুবিধাটুবিধা পেলে তো কথাই নেই।
আর কথা যখন উঠলোই, তখন বলি, দেশে থেকেও কটা সন্তান মাবাবার খবরটা রাখে?
আপনার মত- ''আহাম্মাক '' এইভাবে হওয়াও গর্বের বিষয়।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্যেও। দেশে থেকেও যেন আপনি মায়ের ও দেশ দশের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন । কখনো যেন ফেলে আসা সুযোগের জন্য আক্ষেপ না করতে হয়।
পুন:শ্চ: সুনীলের লেখাটেখা তেমন পড়ি নি ভাইয়া ।
৪১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভালা লাগছে! কিছুটা মন খারাপ হইছে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ মাসুম আহমদ ভাইয়া।
৪২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৭
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শি গল্প। অনেক ভাল লিখেছেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দ্য ইলিউশনিস্ট।
৪৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কষ্টকর। এমনি কত মায়ের বুক ভাঙ্গছে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আসলেই । সময় থাকতে আমরা কোন কিছুর মূল্য বুঝি না।
৪৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: কিছু কিছু লেখা এক বারের বেশি পড়ার ইচ্ছা হয় না। আবার কিছু কিছু লেখা বার বার পড়তে মন চায়। এই লেখাটা তেমনি হয়েছে যা বার বার পড়তে ইচ্ছা হয়।
গল্পটা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক। আপনার মন্তব্যে দারুণ প্রেরণা পেলাম। প্রিয়তে নেবার জন্য বিশেষ সম্মানিত বোধ করছি।
অজস্র শুভকামনা থাকলো।
৪৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার!
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:১২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী।
৪৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:১৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অজস্র ঈদ শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও প্রবাসী পাঠক।
৪৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২০
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তুষার কাব্য।
৪৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৯
একলা ফড়িং বলেছেন: দুজনেরই ছুটি মিলল শেষমেশ, কিন্তু বড্ড অসময়ে!
মন খারাপ হয়ে গেল। এরকম ঘটনা আশেপাশে কতোই না ঘটে যাচ্ছে, সে খবর কে রাখে?
২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
৪৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: মন ছুয়ে গেলো ....।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুসরাত আপু। ভালো থাকবেন।
৫০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প। গল্প আরও আসুক.....
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বাস্তবেও এরকমটাই হয়। মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাদিয়াপু।
৫১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: চমৎকার গল্পে অনেক ভালো লাগা।
+++
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র। ভালো থাকবেন।
৫২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: নির্মম বাস্তবতার গল্প। মনেই হল না যে এটা গল্প। মনে হল কারো জীবনের ছবি দেখছি। হৃদয় ছুঁয়ে গেল। ভাল থাকবেন।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম ভ্রমরের ডানা। মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপনিও।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
আবু শাকিল বলেছেন: আমরা যারা প্রবাসে থাকি।তাদের মা বাবা ভাইদের ছেড়ে থাকা কত কষ্টে র গুটি কয়েক লোক ছাড়া আর কেউ বোঝে না।আর দেশ কি জিনিস।যারা প্রবাসে থাকে তারাই বোঝে।
ইচ্ছা হয় বিদেশের খেতা পুরি।দেশে যাইগা।
কিন্তু পারি না।
কেন??
দেশে আমায় চাকরী কে দিবে,এখানে যাই পাই নিজের সুখ আনন্দ সব বির্সজন দিয়ে দেশে ৫ জন কে সুখে রাখছি।
নিম্ম মধ্য বিত্তের সমস্যা আরো অনেক।
বাস্তব লেখনী।
আপনার গল্প পড়ে নিজের এক্টু সুখ রচনা করলাম।