নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছাঘুড়ির অবাধ আকাশ www.facebook.com/RezwanaAliTanima

রেজওয়ানা আলী তনিমা

বনমুরগী পোষ মানে না.......

রেজওয়ানা আলী তনিমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা: সোনালি অতীত , ধূসর বর্তমান -০১

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:১৬

ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম ইতিহাস নিয়ে ইদানিং খুব আগ্রহ জেগেছে। বই নিয়ে নাড়াচাড়া করতে এক জায়গায় লেখা দেখলাম , আগেকার বাংলা নাকি খুব সমৃদ্ধ এলাকা ছিল। এই ব্যাপারটা আগে খুব একটা দেখি নি।আজন্ম আমাদের এই বাংলায় খালি অনুন্নত বা আরেকটু ভদ্রভাবে বললে উন্নয়নশীলের ট্যাগ লাগানো। কেমন ছিল আগেকার সম্পদশালী বঙ্গদেশ? এখনকার এই অবনতির কারণই বা কি?ব্যাক্তিগত কৌতুহলে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করি।

বাংলা বা বেঙ্গল বলতে এখন মূলত বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গ বোঝায়- আগে অবিভক্ত বঙ্গদেশ বলে পরিচিত ছিল। যতটা না আমরা জানি তার চাই্তেও অনেক অনেক আগেকার পুরানো এখানের সভ্যতা- ২০ হাজার বছরের অতীত পর্যন্ত ট্রেস মিলবে। প্রায় চার মিলেনিয়াম বছরেও এখানে মানুষ বসতির অস্তিত্ব ছিল-জেনে অবাক লাগলো খুব।এখন পর্যন্ত যা নিদর্শন পাওয়া গেছে তাতে সুস্পষ্ট জীবনপ্রণালী, স্থাপত্য, নাগরিক ও প্রশাসনিক কাঠমোর ইঙ্গিত মেলে অনেক প্রাচীন কাল থেকেই। খুব পুরানো বলে যারা পরিচিত, যাদের সভ্যতা প্রাচীনত্ব ও উন্নতির দিক দিয়ে মানব সভ্যতায় অবদান রাখার জন্য বিশ্বখ্যাত যেমন মিসর , ইরাক , গ্রীস, রোম , চীন , পেরু এসবের কোনটিই এখনকার দুনিয়ার ধনে মানে কি জীবনযাত্রার স্ট্যান্ডার্ডে আর পৃথিবীর নেতৃত্ব দিচ্ছে না। পুরানো এককালীন গৌরবই এদের একমাত্র অহংকার। আর আমাদের তো নিজস্ব ইতিহাসের অবশিষ্টই খুব একটা নেই, এমনকি আমাদের স্মৃতিতেও । কেন?

''বাংলা''র উদ্ভব ১০০০ খ্রিষ্টপূর্ব দ্রাবিরিয়ান শব্দ থেকে বলে একটা সূত্রে প্রকাশ। কিন্তু এর সীমানা বার বার পরিমার্জিত হয়েছে, বিবর্ধিত হয়েছে বঙ্গ( দক্ষিণ বাংলা) পুন্ড্র( উত্তরবঙ্গ), সুহমা'য়( পশ্চিমবঙ্গ)। মহাস্থানগড়ে পাওয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনটা ৭০০ খ্রি: পূ: সময়ের , পুন্ড্র রাজত্বের রাজধানী ছিল।যারা গিয়েছেন বা ছবিতে দেখেছেন , তারা গোটাটা ধ্বংসস্তুপের উপরেও একটি সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা দেখতে পাবেন। অতটা আমাদের এই হিজিবিজি বর্তমান অতিআধুনিক নগরকাঠামোতেও পাওয়া যাবেনা। এখনকার নাগরিক কি গ্রামীন , পুরোটাই বিশৃঙ্খল অবকাঠামোর নড়বড়ে জঙ্গল হয়ে উঠেছে। শহরগুলো যেন কংক্রিটের এলোমেলো কালেকশন।

ঐতিহাসিকভাবেও সংঘাতপ্রবণ বাংলা খুব কম সময়ই একই নেতৃত্বের অধীন ছিল । তাও এর ধন , শক্তি , গর্ব কিন্তু কম ছিলো না।প্রাচীন ভারতের বিশেষত বাংলার সবচেয়ে প্রভাবশালী সমুদ্রসীমার বাইরে দক্ষ নৌনির্ভর লেনদেনে রাজ্যের বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিল জাভা, সুমাত্রা, শামদেশ( এখন থাইল্যান্ড) এর সাথে।

বাংলা একসময় এতই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে দ্বিগবিজয়ী সম্রাট আলেকজান্ডারও এখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হন।এটা খ্রিষ্ট পূর্ব৩২৬ সালের ঘটনা। গ্রীক ও ল্যাটিন ঐতিহাসিকদের মতে , এই সিদ্ধান্তে তাকে প্ররোচিত করেন তারই সবচেয়ে দক্ষ ও বিশ্বস্ত জেনারেলদের একজন, Coenus । তাদের ভয় ছিল তৎকালীন বাংলার Gangaridai ও বাংলা, ভারত, নেপালের কিয়দাংশের অধিকারী নন্দ (Prasii)সামাজ্যের মিলিত পাল্টা আক্রমণের। ভয়টা বেশী ছিল Gangaridai রাজাদের ক্ষমতাকে নিয়েই , গ্রীক ইতিহাসবিদ Diodorus Siculus যাকে অখন্ড ভারতের সবচে শক্তিশালী রাজত্ব বলে অ্যাখায়িত করেছেন। এর রাজধানী কোথায় ছিল জানেন কি?এখনকার গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া! তখনও এই এলাকা এই অঞ্চলে বিদেশী বহিরাগতের থেকে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করায় এক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। দলমতে পার্থক্য থাকলেও অধুনা স্বাধীনবাংলার জন্মের পেছনে একই জায়গার সন্তান শেখ মুজিবের প্রভাবশালী ভুমিকার কথাও কে না স্বীকার করবে।ইন্টারেস্টিং কাকতালীয় মিল বলতে হবে।পরের মানুষটার স্বাধীনতা যুদ্ধে এককভাবে কৃতিত্ব দেয়ানেয়া বাড়াবাড়ি , এমনকি কিছু পরিমাণে ব্যাক্তিপূজার পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু তাঁর নিজসময়ে নানা স্বার্থে নানা ভাগে বিভক্ত জনতাকে এক করায় তার ক্যারিশমার কথা কট্টর বিরোধী মানবে। ব্যাক্তি মুজিবের খুঁত বের করা যাবে, রাজনীতির স্বার্থ তাঁর হয়তো ছিল, হয়ত না। কিন্তু দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন সময়ে তাঁর নেতৃত্বের মাধ্যমে একটা লিডার ফিগারের প্রভাব যা কিনা অবস্থার প্রক্ষিতে সময়ের দাবী ও দরকার হয়ে উঠেছিল তা সেটা যার কাছ থেকেই আসুক- বিবেচনা করলে মুজিবের কৃতিত্বটা ইতিহাসে দিতেই হবে। যাহোক,ফিরে যাই আরও সুদূর অতীতে। সম্রাট আলেকজান্ডার এই রাজ্যের সামরিক শক্তিতে এমনকি শুধু হস্তিবাহিনীর সামর্থ্যের ব্যাপকতায় চিন্তিত হয়ে ওঠেন। এই রাজ্যটি কতটা শক্তিশালী ছিল তার আন্দাজ , তার ২ লক্ষ পদাতিক, ২০ হাজার ঘোড়া, ২ হাজার শকট, ৪ হাজার হাতির যা কিনা শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীরই অন্তর্ভুক্ত হিসাব- এ থেকেও করা যায়।শেষমেশ তিনি এখানে দখল পাকাপোক্ত না করেই পিঠটান দেন ।এমনকি গ্রীক মিথেও এই অঞ্চলের মহিমাকীর্তন শোনা যাবে।ভার্জিলের রচনার উদ্ধৃতি হয়ে এই নামটা উঠে এসেছে,

"On the doors will I represent in gold and ivory the battle of the Gangaridae and the arms of our victorious Quirinius." –Virgil, "Georgics" (III, 27)

এখন আলেকজান্ডারের বীরত্ব ও শৌর্যের কাহিনী দুনিয়ার এমাথা ওমাথা সবাই জানে কিন্তু ঘরের কাছের বিনাযুদ্ধে এই বীরবাহাদুরকে হঠিয়ে দেবার রাজত্বের মধ্যে আমাদেরই পূর্বপুরুষের যে প্রাচীন তাগদ, ঐশ্বর্য ও মর্যাদার গরিমা অহংকার তা খোদ আমরাই জানিনা।


লেখাটা আমার মূল ব্লগার একাউন্টে প্রথম প্রকাশিত এই লিঙ্কে:

view this link

সূত্র:

https://en.wikipedia.org/wiki/History_of_Bengal

https://en.wikipedia.org/wiki/Gangaridai

https://en.wikipedia.org/wiki/Nanda_Empire

https://en.wikipedia.org/wiki/Coenus_(general)

https://en.wikipedia.org/?title=Diodorus_Siculus

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট রেজওয়ানা আলী তনিমা। অনেকদিন পর, কিন্তু তথ্যবহুল এবং বাঙালী হিসেবে গর্বিত হওয়ার মত পোস্ট দিলেন। Gangaridae এর ইতিহাস জেনে চমৎকৃত হলাম। প্রথম ভালোলাগা সাথে +++++

ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ বোকা মানুষ বলতে চায় ভাইয়া। ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আমাদের গর্ব করার মত বিষয় আছে অনেক কিছুই কিন্তু এতই দূর্ভাগা আমরা তা সম্পর্কে জানিও না।

শুভেচ্ছা সতত।

২| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৪০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সুন্দর এবং তথ্যবহুল লেখা।। আসলেও আমরা পিছনেই হেটে চলেছি।। আর "কিন্তু দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন সময়ে তাঁর নেতৃত্বের মাধ্যমে একটা লিডার ফিগারের প্রভাব যা কিনা অবস্থার প্রক্ষিতে সময়ের দাবী ও দরকার হয়ে উঠেছিল তা সেটা যার কাছ থেকেই আসুক- বিবেচনা করলে মুজিবের কৃতিত্বটা ইতিহাসে দিতেই হবে।" এটা আমি মানি বাস্তবতার প্রেক্ষিতেই।।
ভাল লাগাটুকু জানিয়ে গেলাম।।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ''আসলেও আমরা পিছনেই হেটে চলেছি।''
সত্যি কথা বলেছেন সচেতনহ্যাপী।আগে দায়ী পুরোপুরি আমরা ছিলাম তা বলা যায় না। কিন্তু এখন স্বাধীন একটা নিজস্ব দেশে পিছু হাঁটার দায় পুরোটাই আমাদের।

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। শিরোনামে যেহেতু ০১ লেখা দেখছি। সেক্ষেত্রে সিরিজ হিসাবে আরও পোস্ট পাব এই বিষয়ে। দারুণ একটা সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় প্রবাসী পাঠক। একটা পর্বেই দিতে চেয়েছিলাম , বেশী বড় হয়ে গেল দেখে ২/৩ পর্বে দিচ্ছি।
সাথে থাকার আমন্ত্রণ রইলো। অনেকনেক শুভেচ্ছা।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৪১

কোলড বলেছেন: What you wrote is unadulterated garbage! Wiki is not considered a valid source in academia.

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৩৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: This is not a thesis or paper or anything written for any sorts of academic purposes. Moreover, wiki is a well known and established source for non formal/ informal sectors. Anyways, thanks for your comment.

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

এহসান সাবির বলেছেন: চলুক......

সাথে আছি......

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৩৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অজস্র ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনিঃশেষ শুভকামনা।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৩৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ দীপংকর চন্দ । ভালো থাকা হোক। শুভেচ্ছা।

৭| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কোলড মিয়ার গারবেজ পড়ার দরকারটা কি? নিজের এতো জ্ঞান থাকলে নিজেই লিখতে পারে।

পোষ্ট ভালো হইছে। চলুক। :)

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কমেন্ট ও সাপোর্ট দুটার জন্যই অশেষ ধন্যবাদ শতদ্রু একটি নদী আপু/ ভাইয়া। ভালো থাকবেন। :)

৮| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার অজানা ইতিহাস তুলে ধরেছেন । ওইদিন পড়েছিলাম । বেশ লেগেছে ।

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৩৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতে অজস্র ধন্যবাদ কলমের কালি শেষ । :)

৯| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলা তথা ভারতবর্ষ এখনো যদি অখন্ডতা বজায় রাখতে পারতো, কতো ভালোই না হতো । মনোমুগ্ধকর লেখা! পড়ে অখন্ড বাংলার জন্য অাফসোস বেড়ে গেলো ।

২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:১৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বাংলা তথা উপমহাদেশ মূলত মুঘল আমল ছাড়া সবসময়েই বিচ্ছিন্ন ও সংঘাত প্রবণ ছিলো। আমাদের অবনতির আসল কারণ এখনকার জাতিগুলোর মধ্য প্রবল রেষারেষি ও সন্দেহপ্রবণতা। ইউরোপ এত বড় একটা কোয়ালিশন করতে পেরেছে, তাও অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোর নিজ নিজ সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেই কিন্তু আমাদের সার্ক নামকাওয়াস্তেও উন্নয়নে তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না। আর জাতি হিসেবে আমাদের মধ্যেই কি ব্যক্তিগত আর কি পেশাগত সবখানেই নীতি ,চরিত্র ও দেশপ্রেমের অবক্ষয় চরম -এইটাই পতনের সবচেয়ে বড় কারণ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রূপক ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

১০| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:২৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অবশ্যই ভাইয়া

১১| ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইন্টারেস্টিং টপিক।

২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:০৯

মূহুর্ত বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায়.. !:#P !:#P

২৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। পরের পর্ব ফেবুতে দিয়ে দিয়েছি।

লিঙ্ক: Click This Link

ভালো থাকবেন।

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল। ফেবুতেই দেখেছিলাম কিন্তু সময় করে উঠতে পারছিলাম না।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সুমন কর ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার উদ্যোগ। চলুক!

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর শঙ্কু। ভালো থাকবেন।

১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টগো আপু ---------অসাধারণ

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় লায়লা আপু। ভালো থাকবেন।

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,



খুব ভালো একটা বিষয় বেছে নিয়েছেন লেখার । এই উপমহাদেশের ভেতরে কেবল মাত্র "বঙ্গ" ( বিশাল এলাকা নিয়ে বিস্তৃত ছিলো এককালে ।) দেশটাকে কোনও বিদেশী শত্রু কব্জা করতে পারেনি এমন ইতিহাস আপনি অনেক পাবেন । আগাগোড়াই সমৃদ্ধ ছিলো এর ইতিহাস ।
খ্রীষ্টের জন্মের ৫০০ বছর আগে ভাষাতাত্ত্বিক পাণিনি এই এলাকাকে "গৌড়" বলে উল্লেখ করেছেন । এর ২০০ - ৩০০ বছর পরের পতঞ্জলীর লেখাতে আপনি " বঙ্গ" শব্দটি পাবেন । সম্ভবত এর আগে "বঙ্গ" শব্দটির দেখা মেলেনি ।
ঐ সময়ে বঙ্গকে " অঙ্গ" , "সুক্ষ্" , "পুন্ড্র" , "মগধ" , "কলিঙ্গ" " সমতট" ইত্যাদি বিভিন্ন নামে নামকরন করা হয়েছে । এলাকার বিন্যাস করা হয়েছে বিভিন্ন ভাবে । সুতরাং অনেকটা দ্বিধায় পড়তে হয় । বিভিন্ন ঐতিহাসিকগন বিভিন্ন ভাবে বঙ্গের গৌরব গাঁথা বর্ণনা করেছেন ।

ভালো লাগলো আপনার আগ্রহ দেখে । শুধু উইকিপিডিয়াতেই নয় আরো অন্য সাইটে বিভিন্ন গবেষক বা লেখকের লেখা থেকে আরো অনেক না জানা তথ্য পেতে পারেন ।

ভালো থাকুন ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য আহমেদ জী এস ভাইয়া। বাংলার গৌরবের ইতিহাস আমরা ইতিহাসবিমুখ মানুষেরা জানিনা। তাই জাতিগত হীনমণ্যতা আর পরের অনুকরণসর্বস্ব হয়ে উঠেছি । আর সূত্র হিসেবে পরের পর্ব গুলোয় কয়েকটা করে উৎস দেখে লিখেছি। উইকি ভালো লাগে কারণ এক জায়গায় সুন্দর বিস্তারিত লেখা থাকে। ওরাও কিন্তু অনেক সূত্র থেকে নিয়েই লেখে। নিচে যেগুলো লিস্ট করা থাকে।

অজস্র শুভকামনা থাকলো।

১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুনি।আসলে আমরা আমাদের প্রকৃত ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানি না,জানার আগ্রহও প্রকাশ করি না।আমরা নিজস্ব সত্তা থেকে অনেক দূরে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদ। শুভেচ্ছা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.