নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছাঘুড়ির অবাধ আকাশ www.facebook.com/RezwanaAliTanima

রেজওয়ানা আলী তনিমা

বনমুরগী পোষ মানে না.......

রেজওয়ানা আলী তনিমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগপ্প: ত্রিমূর্তির ঈদ শপিং

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪৮

ঈদের সময়। তিন মূর্তি মানে আমরা তিন বোন হামেশা একসাথে শপিং করি। আমাদের বোনেদের মাঝে খুব মিল। একজন যা বলে অন্য জন তাইতেই ঘাড় নেড়ে একমত হয়ে যাই।

'আমরা এরপরে থেকে ঈদ আসার অন্তত দেড়মাস আগেই সব কেনাকাটা সেরে ফেলব।' বড়বোন সাদিয়াপা হয়ত শুরু করে ।

'হ্যাঁ, নাহলে রোজা রেখে ঘোরা বড় কষ্ট। আর কি জ্যাম হয় রে বাবা।' আমি- সেকেন্ড ইন কমান্ড সামিয়া সম্মতি দেই সাথে সাথে।

'দেরী হলে টেইলরেরা ঠিকমত কাপড় টাপড় নেয় না । কথা ভালো করে না শুনেই অধৈর্য্য হয়ে পরে । ভাব কি একেকজনের! কোনোবার যদি এইজন্য মনমতো একটা কিছু পেলাম!' ছোটবোন সামিনাও তাল ঠুকে সায় দেয়।

এখন কথা হলো এই কথোপকথন কোন স্মরণাতীত কাল থেকে আমদের মধ্যে চলে আসছে - তা বলে যারা এই গল্প যারা পড়তে এসেছেন তাদের আর বিরক্ত করতে চাই না। কিন্তু ঐ যে বললাম , আমাদের মধ্যে খুব মিল আছে তাই ট্রাডিশনালভাবেই করুণ অতীত অভিজ্ঞতায় নিজেদের মধ্যে করা রক্ত থুরি শ্রম ও ঘামের উপলব্ধিতে আসা এই শপথ আমরা বারে বারে ভঙ্গ করি । চিরন্তন ঐতিহ্য! যথারীতি হরবছরের মতো ১৫ রোজার আগে আমরা কেউই আর আর সব কাজ থেকে 'ফ্রি' হতে পারিনা।

ব্যাপারনা , প্রতিশ্রুতি তো করাই হয় না পালনের জন্য তাইনা?

যাহোক ,শপিঙে যাবার বেলা শুভদিনে সব মোট বোচকা নিয়ে আমরা বেরুই । সবে কিনতে যাচ্ছি এর মাঝে বোঝার কথা কোথা থেকে আসলো? বলে রাখি আমাদের ছোটটা, সানি একটা স্বঘোষিত বিশিষ্ট প্রতিভাশালিনী ডিজাইনার। যে কোন '''জিনিয়াসে''র মতই ওকে নিয়ে প্যাড়ার শেষ নাই। প্রতি ঈদে তার বাতিক ওঠে নিজে নিজে জামা তৈরী করবে। রোজা আসার ছ'মাস আগে থেকে সে মার্কেটে গেলে জামার কাপড় কিনে কিনে জমাতে থাকে। যখনই নতুন কিছু কেনা হবে বাড়িতে ফেরার পরে বলবে, 'থাক অমুক অমুকটা রেখে দিচ্ছি , এত ভালো ভালো কাপড় এখন বানিয়ে নষ্ট করবো না, ঈদের জন্য থাকুক..।' এই করে করে আধমণ কাপড় সে জমিয়েছে। ওর একার হলেও কথা ছিল, সাথে আমাদেরগুলোও আছে।একই ডিজাইনের কাপড় কিনে ,'রেখে দে। একরকম পড়বো' , বলে জোর করে রেখে দিয়েছে। ফলাফল তিনবোনের একসারি একরঙা কাপড় , দেখলে ঠিক মনে হবে ইউনিফর্ম পড়ে ত্রিমূর্তির দল এই বুঝি বহু আগে ফেলে আসা ইস্কুলে ফের লেফট রাইট করতে যাব!

তো বেরুবার সময় যার যার গাট্টি নিয়ে নিলাম। আইডিয়া ক্রেডিট ছোটজনের হলেও একা ওকে দিয়ে সবার বোচকা টানাতে আমাদের দয়ার শরীরে বাঁধে।


রাস্তায় বের হয়ে দেখি , ভয়াবহ জ্যাম । যেমন গরম সাথে গাড়ি নট নড়ন চড়ন। জ্যান্ত কাবাব হচ্ছি। একসময় সানি সাদিপাকে জিজ্ঞেস করল ,' আমার ব্যাগটা দে তো আপা।'

'আমার কাছে শুধু আমার কাপড়।' শঙ্কিত গলায় সাদিপু উত্তর দেয়।


' তোর আর আমরা কাপড় তো একসাথে রাখা ছিল। তোর হাতে পোঁটলা দেখে আমি ভাবলাম দুইজনেরটাই নিয়ে আসছিস।'

'কই আমি আমারটা আগেই বাইর করে মাপের কাপড়সহ রাখছিলাম। আসার সময় আলাদা করে রাখা ঐ ব্যাগ নিয়ে বের হয়েছি।কেমনে জানব যে তুই নিজেরটা ঠিকমত নিস নি? এই তো দেখ সামু কি সুন্দর গুছিয়ে নিজেরটা এনেছে।'
তর্কে সুবিধা না করতে পেরে সানির মুখ কাঁদোকাঁদো হয়ে যায়। এখন কি হবে?

আমরা ত্রিমূর্তি নিরুপায় চোখে তাকাই রাকিবের দিকে ।' লক্ষী ভাইটা , প্লিজ , বাসায় গিয়ে নিয়ে আয়। 'ঘোরতর অন্যায় আবদার ।তাও সানন্দে যে রাকিব ফিরে যায় তার কারণ ওকে লেটেস্ট গেমস আর বাছা বাছা কয়েকটা মুভির অরিজিনাল সিডির প্রতিশ্রুতি। সে হামেশাই এইধরণের বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকে যাতে বাগে পেয়ে তার এমনিতে মিটানোর অসাধ্য খায়েশগুলি পূরণ করতে পারে। সে অবশ্যই এইসবকে তার 'পারিশ্রামিক' বলে হালাল করার অপচেষ্টা করে। নইলে শপিং করার সময় ভারবাহী ভূমিকায় ওকে রাজী করানো শক্ত হতো।

যা বলুন, জানি- দন্ডি সবে শুরু। ভয়ে আছি আরও কি হয় কি হয়!


২ নং কুফার শুরু মার্কেটে পদার্পন করার সাথে সাথে - দুম করে সব বাতি নিভে গেল। আর কি ? কারেন্ট গন । 'এসির তলে থেকেও ঘামতে থাকা 'কথাটার মানে হাড়েহাড়ে বুঝতে পারলাম। চারিদিক বদ্ধ অতএব গুমোট অন্ধকার। জামাকাপড় ভালো করে দেখবো কি কোনটা সাদিপা আর কোনটা সানি সেইটাই ঠিকঠিক ঠাহর হচ্ছিলো না। তবে যেটার পাশে আরেকটা ক্ষুদে কালো ছায়া বেশী নাচানাচি করছে ধরে নিলাম ঐটাই আপা হবে। পিচ্চি ছায়াটা ওর ছানা মানে কোয়েলের।


অতঃপর আমার শুরু করলাম পুরো মার্কেট উদাসীন পরিভ্রমণ। এই মাথায় একটা দোকানে হুদাই ঘোরাঘুরি , ঐ মাথায় আরেকটা দোকানের মাথার কাঁটা, চুড়ি ,ফিতা, মোবাইল , সানগ্লাস পরে কাকে কত কম ভূতনীর মত লাগছে তার এক্সপেরিমেন্ট।কারেন্ট আসার আগে টাইম পাস আরকি। টানা তিনঘন্টা ঘুরে ঘুরে কোন কানচিতে দিনের কোন সময় দাঁড়ালে বাতাসের গতি কত ও কোনদিক থেকে গায়ে কতটুক লাগে এইসব মহামূল্য আবিষ্কার করতে করতে বিল্ডিং প্লান খোদ আর্কিটেক্টের চেয়েও ভালোভাবে মুখস্থ হয়ে গেল ।

চোর পালাল বুদ্ধি বাড়ে। ইফতারের বাকি আর মোটে ঘন্টা দেড়েক। কি করা যায়? রাকিব গেছে সেই কখন আর ইলেকট্রিসিটিরও কোন খবর নাই। রোড ক্রস করে এলিফেন্ট রোডে চলে গেলে কেমন হয়? অন্তত কোয়েলের জামাটা দেখা যেতে পারে।'- এই আইডিয়া কেন যে এতক্ষণে কেউ দিলো না সেই পরস্পরকে ১৫ মিনিট ধরে দোষারোপ করে আরো মিনিট বিশেক ধরে একটা রিকশাকে রাজি করানোর প্রাণপণে চেষ্টা করি। প্রতিটাই ঘাড় নেড়ে , প্রথম সন্দেহের চোখে জিজ্ঞেস করে ,' একটায় কয়জন?' ২টাতে ২ জন করে বলায় বাড়তি ভাড়া পাওয়া যবে না ভেবে বেশ নিরাশ হয়। অনেক রাস্তা বন্ধ , অমুক দিয়ে দিয়ে পুলিশ ঘুরায় দিবে, তমুক গলি দিয়ে গেলে কম টাইম লাগবে , তাতে অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে জানায়। ব্যাপক দরকষাকষি করে হয়রান আমরা , শেষে রাজি হই। আজকে গচ্চা দেবারই দিন। যেই রিকশাতে পা রেখে উঠতে যাব , 'পরক্ষণে রিকশাওয়ালা বলে ,' আফা আমি তো ঐদিক যামু না । মেলা জ্যাম।'
-বাপের জন্মে এমুন কান্ড দেখি নাই ভাই!আমরা রীতিমত টাসকি লেগে থাকি। সব ঠিক ঠাক হবার পরে এতক্ষণ বাদে ব্যাটা বলে কি? যাবি না - না এতক্ষণ এত ভনিতা করলি ক্যান? আর ঢাকার কোন রাস্তাটা কোন নবাব সাহেবের জন্য গাড়িঘোড়া ফ্রি করে রাখা হয়েছে যে সেখানে জ্যাম নাই? বলে মনে মনে গজরাই। বাছা বাছা গালিগুলো প্রয়োগ না করার দুঃখ সীমাহীন।আমাদের হুমায়ুন স্যার যেমন বলেছিলেন , 'মানুষ হবার একটি বড় যন্ত্রণা হলো যা বলতে প্রাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না!'

''কেয়ামত নজদিক। সবই কেয়ামতের আলামত।''মনের কথাটা বেশ ভদ্রস্থ করে সজোরে উচ্চারন করে আপা।

''বেশী দূর না। চল হেঁটে যাই । এমনিতেও রিকশায় গেলে আরো বেশী সময় লাগতো । হাঁটাই ভালো ।টাকাও বাঁচল।।'' আরও যোগ করে ।

ছোট বেরসিক ফোড়ন দেয় ,' আর তোর ভূড়িটাও কমবে সাদিপা।'

আমি না শোনার ভান করে বলি,' আঙুর ফল টক..'

ইঁচড়ে পাকা কোয়েলও বলে ওঠে, ''হাঁটলে ভালো ব্যায়াম হয়, আদর্শ ব্যায়াম ,মিস বলেছে'।

এলিফ্যান্ট রোডের আপার প্রিয় মার্কেট যেখান থেকে হরবছর কোয়েলের ফ্রক কেনা হয় , আচ্ছামত চষেও কিছু পাওয়া গেল না। কারণ অবশ্যি কোয়েল । মাত্র তো হাঁটতে শিখেছে কয় দিন হলো- তার কি বায়নাক্কা। এটা না ওটা না।হেন তেন । খুব জেদী হওয়ায় ওকে এবার শিখিয়ে আনা হয়েছিল কাপড় যতই ভালো লাগুক বলবি 'মোটামুটি ' । আমরা তাহলেই বুঝব চয়েজ করেছিস।দোকানে নাছোড়বান্দা, পছন্দ করেছে জানলেই সবসময় আকাশছোঁয়া দাম চড়ায়। আজ কিন্তু কপাল বেজায় খারাপ।একবার সামনে থেকে পেছনে, ডান থেকে বামে , বাম থেকে ডানে চষে ফেলার পরে মাথা কেমন জানি ঘুরতে লাগলো। আপা শেষ বারের মত প্রস্তাব করলো,' লাস্ট পিছনে থেকে সামনে আরেকবার দেখি?' ''না পেলে অন্য কোথাও চল' , না এখান থেকেই কিনতে হবে ।

দানে দানে ৪ দানে একটা পছন্দ হলো। দাম কত ? ছয় হাজার !এত টাকা দিয়ে কেনার সাধ্য আর ইচ্ছা কোনটাই নাই। তাহলে অবধারিতভাবে আবশ্যক অনেক কিছু বাজার লিস্টি থেকে কাটা পড়বে। মানে মানে নিজের মান বাঁচাতে বললাম, 'না ভাই তেমন ভালো লাগে নি।বাচ্চার ভালো না লাগলে ওর উপর তো আর জোর করতে পারি না।' মনপসন্দ জিনিস এভাবে হাতছাড়া হয় দেখে বদ পিচ্চি সাথে সাথে বলে উঠলো, 'না না আঙ্কেল ভালো লেগেছে তো। ' আর আমাদের দিকে ঘুরে বলল, 'কই মামণি তুমি না বললে ভালো লাগলেও বলতে মোটামুটি লেগেছে।এখন কেন বলছ পছন্দ হয় নাই?এইটাই আমি কিনবো।' একেবারে প্রেস্টিজ পাংচার।দোকানময় হাসির হুল্লোর ওঠে।

বাধ্য হয়ে চোখের মাথা খেয়ে সোজাসাপটা বলি,' এত দাম দিয়ে ড্রেস কিনবো না।'

'আচ্ছা আপনাদের সাথে কথা বলে ভালো লেগেছে , ম্যাম , শুধু আপনাদের জন্য ৫০ টাকা অনার করছি। একেবারে কেনা দাম, আর শেষ পিস । না নিলে আর ঘুরে এসে পাবেন না।' বলে দোকানী কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়। আবার কোয়েলের উপর এই মন্তব্যের ড্রামাটিক আসর হয় । কান্নাকাটি করে একেবারে দোকানের খুঁটি আকড়ে ধরে থাকে। এই জামা না পেলে তার জীবন বৃথা। দোকান থেকে তাকে হাতি দিয়েও নড়ানো যাবে না। লাস্ট পিস তাকে কিনতেই হবে এবং এখনই! কি করা , বড় আপার একমাত্র আদরের মেয়ে। নতি স্বীকার করতে হয়।


মার্কেট থেকে যখন বেড়িয়েছি বিজয়গর্বে নিজের সাইজের একটা ব্যাগ নিয়ে আগে আগে নেতৃত্বদানকারিনী কোয়েল ছাড়া আর আমরা সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত।


'আল্লাহু আকবার' আজান দিল এর মধ্যে। হুড়াহুড়ি করে রাস্তার পাশের মামার শরবত দিয়ে রোজা ভাঙলাম। উনার ফুসকার কালেকশন দেখে মুখে পানি আসে। এই ব্যাপারে তিনটাই আমরা সমান পেটুক। এক প্লেট করে দিতে বললাম। ' একমিনিট পরে দিতাসি' বলেই মামা কইজানি উধাও হলো ।অনতিকাল পরে ছ'মিনিটে একমিনিট কাটিয়ে লুঙ্গিতে হাত মুছতে ফিরে এল। সানি ফিসফিস করে বলল, 'মামা মনে হয় ছোট কাজ সারতে গিয়েছিল রে।'ফুসকা নিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে উঠে পড়লাম । এরপরে আর খাওয়া অসম্ভব।

এতক্ষণ সমানে বৃষ্টি পড়েছে , এখন থামলেও রাস্তায় পানি জমে নগরী প্রাচ্যের ভেনিস সেজেছে। পা টিপে টিপে হাঁটছি , তাও বলা নেই কওয়া নেই দুম করে স্যান্ডেলটা ছিঁড়ে গেল। হায় কি কুক্ষণে আজ বেরিয়েছিলাম! মরিয়া হয়ে হাঁটতে চেষ্টা করে দেখি ডান দিকে পা বাড়ালে পাদুকা যায় বামে! আর বামে চলতে চাইলে যায় ডানে। তাজ্জ্বব কান্ড!
আমার অবস্থা দেখে সানি আর সাদিপা হি হি করে হেসে উঠলো।এক মুহূর্তের বিরাম আর গাড়ির শব্দ- ছপাৎ করে একরাশ পানি সোনার অঙ্গে মেখে হাতে হাতে ওদের পাপের প্রায়শ্চিত্তও হয়ে গেল। হু একেই বলে ,ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আর আমার সমস্যার সমাধান করলো কোয়েল। 'খালামণি ,দেখ ঐযে ডানে বাটার দোকান ।'

বাটা আমি দুচোক্ষে দেখতে পারি না। কোন ছিরিছাদ নাই।পড়লে কাজের বেটি রহিমার মত লাগে নিজেকে।তাও ঢুকতে হল, কিনতেও হলো। সাদিয়াপা সান্ত্বনা দিয়ে বলল,' যাক তোর ঈদের স্যান্ডেলটা তো কেনা হয়ে গেল,আমাদের মধ্যে সবচে আগে তোরই কেনাকাটায় বিসমিল্লাহ্‌।' কটমট করে ওর দিকে ঠায় কতক্ষণ তাকিয়ে রইলাম।দ্বিতীয় জোড়া কেনা তো সম্ভব না। রাগ দেখিয়ে কি লাভ?

আগের মার্কেটে ফিরে দেখি কারেন্ট আর রাকিব দুটাই হাজির। আহ ! কি শান্তি।
আর কিছু না হোক এবার অন্তত কাপড়গুলো দিয়ে আসা যাক। এটাতেই সময় সবচে কম লাগার সম্ভাবনা। টেইলারের কাছে আগেই সানির কিছু কাপড় দেয়া ছিলো। দেখি যথারীতি কোনটাই ফরমায়েশমত হয় নাই।সালোয়ারে কাপড়ে কামিজ আর কামিজের কাপড়ে সালোয়ার বানিয়ে রেখেছে।অবশ্য কোনবারেই ওর কাপড় ঠিকমত হয় না । হবে কিভাবে? কাপড় দোকানে ফেলে গাড়িতে উঠে সানি ফোন দেবে, 'মামা , বলতে ভুলে গেছি, সালোয়ারের কাপড় দিয়ে কামিজে হাফবডি দিয়েন।'

বাড়িতে পৌঁছে ফোন দিবে, 'মামা গলাটা গোল না ভি শেপ কইরেন আর সালোয়ারটা চুড়িদার না লুজ পালাজ্জো হবে।'

পরেরদিন ,' মামা গলা আগেরটাই রাখেন, কামিজটা আরো চার ইঞ্চি লম্বা করবেন। কাপড়ে হবেনা?'

দুই দিন পরে,' মামা, কামিজ চার না, ২ ইঞ্চি লম্বা হবে আর সালোয়ার স্টেট প্যান্ট করবেন । ঐযে খুব ঢিলাও না , চাপাও না।'


অবাক হওয়ার কিছ নেই যে প্রতিবারই ডেলিভারী নিতে এলে ধুন্দুমার কান্ড বেঁধে যায়। অতএব প্রতিবারই ও রেগেমেগে ''এই টেইলারের কাছে জিন্দেগিতে আর বানাবো না বলে রায় দেয়। 'সন্দেহ হয় দর্জিমামাও তখন তখনি মনে মনে কমসেকম ১০ রাকাত শোকরানার নিয়ত করে ফেলে!

তারপরে আবার নবদ্যোমে নতুন দোকান সার্চ। তাজ্জ্বব ব্যাপার। এইবারে দেখি এক এক করে মার্কেটের সবগুলোতেই অন্তত একবার হলেও ছোটর পদধূলি পড়েছে।..........ইউরেকা! কোনার শোভা ফ্যাশনে এখনও যাওয়া হয়নি।দোকানে ঢুকে লাগলো আরেক চিত্তির। সানিয়া দেয়ার জন্য অনেকগুলো ডিজাইন ট্যাবে সেভ করে রেখেছিল। চার্জ শেষ হয়ে এখন ট্যাব বন্ধ হয়ে আছে। 'জানিস যখন আজকে লাগবেই, রাতে চার্জ দিয়ে রাখলি না ক্যান? ডেনজারেস বেখেয়াল মেয়ে।' বিরক্ত হয়ে বলি।

'আরে কি করি? কালকে সারাদিন ট্যাট ট্যাট করে শব্দ করছিল, ভেবেছি আবিরের ম্যাসেজ। ওর সাথে স্লাইট রাগারাগি হয়েছে তো , তাই খুলেই দেখিনি। এখন বুঝেছি, ঐটা ছিল চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার সিগনাল।'' বোকা বোকা গলায় বলে ছোট।

এখন আর কিছু করার নাই। আরেকবার এই জিনিস নিয়ে ফেরত গিয়ে আরেকদিন আসা অসম্ভব।
আগত্যা ক্যাটালগ দেখেই দরজিকে কাপড় দিতে হলো।

এইবার ঘুরতে শুরু করলাম আবার। অনেক যন্ত্রণার পরে এক দোকানে একটা থ্রিপিস পছন্দ হলো । দোকানী তিনটা নামিয়েছিল একটা ধরে জানতে চাইলাম কতো? ১০০০০! কি আছে এই সাধারণ সুতির কাপড়ে?এমন খুব যে বেশী ভালো তাও না, চলে আরকি।কিনব না ভেবে হাঁটা দিয়েছি। দোকানী পিছন থেকে বাজখাঁই হাঁক দিল ,'একশটা নামিয়ে এখন দাম বলে না , কিনে না, মশকরা পাইছেন?'

আগেই বলেছিলাম না কেয়ামত অতীব সন্নিকট? দোকানদার সেকেন্ডের মধ্যে মারমুখো হয়ে এমন হৈ চৈ আরম্ভ করলো আশেরপাশের অন্য দোকানীরা চাঁদাবাজ আসছে মনে করে লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়ে আসতে লাগলো। আমাদের তো আত্নারাম খাঁচাছাড়া!

ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি পড়ছি এমন সময়........... খাস আল্লাহ্‌র রহমত। আবার ইলেকট্রিসিটি চলে গেল।' আল্লাহ্‌ বাঁচাইছে, বেরো বেরো ' বলে অলক্ষ্যে তড়িৎগতিতে কাট মারলাম। সেলুকাস! বিচিত্র বিজলীর একই অঙ্গে এত মহিমা!

বিদ্যুৎ নিজে চলে গিয়ে আমাদের উদ্ধার করেছে ঠিকই কিন্তু বিপদের বন্ধু আবার কখন ফিরে তার জন্য অপেক্ষা করা উচিৎ হবে না। কমসেকম আবার কয়েকঘন্টার মামলা। হতাশ হয়ে ভাবছিলাম,আজকে খালি হাতেই বাড়িতে ফিরতে হবে মনে হয়। খামাখা টাইম নষ্ট না করে বরং ফিরে গেলেই ভালো। আশ্চর্য! আমার কথার সাথে আর বাকিরাও সবাই একমত হল। বলেছিলাম না, বোনে বোনে এত মিল মহব্বত জগতে দূর্লভ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
না, সেদিন একেবারে শূন্যহাতে ফেরার দূর্ভাগ্য আমাদের হয় নি। সকল দূর্বিপাকেই আমরা লড়তে জানি , বিজয়ী হতে জানি। দুহাতে উপচে পড়া শপিং হয়েছে শেষমেষ। একহাতে জনপ্রতি একটা করে হাওয়াই মিঠাই স্টিক, অন্যহাতে সবাই ভাগাভাগি করে নিয়েছি কোয়েলের জন্য আধ ডজন বেলূন, টম এন্ড জেরির মুখোশ, ওর জামা, চকলেটের ইয়া বিশাল দু'টা টিন। প্রাণপ্রিয় ছোটভাইসাহেবও আমাদের রেহাই করেনি। ওর জন্য একটা ফুটবল, আধডজন গেমস আর একহালি লেটেস্ট হরর মুভির সিডি। সবকিছুতে কি আর কারেন্ট লাগেরে ভাই? মোমবাতির আলোয় করুণ রস আর ভৌতিক রস দুটাই সমান জমে।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০২

লেখোয়াড়. বলেছেন:
তনিমা কেমন আছেন?

আপনার লেখা পড়লাম।

ভাল থাকেন, ঈদমোবারক।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন লেখোয়াড়?

ঈদ মোবারক।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেছেন: ভালো লাগলো অনেক!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ ফুয়াদ ভাইয়া। ঈদ মোবারক।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: চৌকশ রম্য, +++ :#)

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :) ঈদের শুভেচ্ছা জহিরুল ভাইয়া।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঈদ মোবারক!!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ঈদ মোবারক কাভা ভাইয়া।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

সুমন কর বলেছেন: বেশ রসালো করে লিখেছেন। মজা পেলাম। !:#P পড়তে পড়তে আমারও মার্কেট ঘোরা হয়ে গেল। ;) তবুও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়ে বীরের মতো বাড়ি ফিরে এসেছেন জেনে শান্তি হলো।

অগ্রীম ঈদ মোবারক।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর ভাইয়া। তবে লেখার কাল্পনিক বিপদের চেয়ে বাস্তব বিপদ অনেক বড়। ঈদ এসে গেছে এখনও আমার শপিং শেষ হয় নাই। :(

ভালো থাকবেন।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগলো। অনেক।

সকল দূর্বিপাকেই আমরা লড়তে জানি , বিজয়ী হতে জানি।

বিজয়ের শুভেচ্ছা!!

শুভেচ্ছা ঈদেরও।

শুভকামনা।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দীপংকর চন্দ ভাইয়া।

ভালো থাকবেন আপনিও। অজস্র শুভকামনা। :)

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩২

ধুসর গোধুলী 2 বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।"সকল দূর্বিপাকেই আমরা লড়তে জানি , বিজয়ী হতে জানি।"

অনেক শুভ কামনা। ঈদ মোবারক।

২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ঈদ মোবারক আপনাকেও ধূসর গোধুলী।

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৬

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সব সময়।

শুভ কামনা।

২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ঈদ মোবারক এহসান সাবির ভাইয়া । ভালো থাকবেন।

৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

জুন বলেছেন: অন্যান্য লেখার মত রম্য লেখায়ও আপনার দারুন হাত তনিমা ।
ঈদের শুভেচ্ছা :)

২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য সুপ্রিয় জুন আপু। ঈদ মোবারক । :)

১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখাটা পড়ে মজা পেলাম, তিনকন্যাকে যেন চোখে দেখছিলাম শপিং করতে। আহালে... =p~ =p~

ভালো থাকুন সবসময়, ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন। শুভকামনা।

২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :) :) :)

ঈদ মোবারক বোকা মানুষ বলতে চায় ।

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এই প্রথম লেখা পড়া আপনার। রম্য বেশ ভালো লেখেন আপনি। স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে পড়ে গেলাম পুরো লেখা।
এতদিন পর ঈদমোবারক জানানোর কোন মানে হয় না বলে শুধু শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি। :)
লেখালিখির প্রয়াসে শুভকামন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সাজিদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এবং আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম। রম্য লেখাটা বেশ কঠিন । মানুষকে হাসানোর চেয়ে কাঁদানো সোজা, ( এবং আমার মনে হয় ঐধরণের ট্রাজিক লেখা পড়তেই মানুষ বেশী পছন্দ করে) তাও চেষ্টা করলাম। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। ভালো থাকবেন আপনিও।

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা খুব মজা পেলাম
শপিং আমার দু চোখের বিষ, এই কাজে সব সময় আমি বড় দু বোনের উপর ছেড়ে দিতাম, এর পর ছোট বোন এখন মেয়ের ঠেলা ধাক্কায় বের হই।
দিল্লিতে গিয়ে মানুষ পাগল হয়ে শপিং এর জন্য আর আমি মার্কেটে যেয়ে কি করব সেই চিন্তা করতাম।
আর এখন তো দুবাইয়ে দেখি শপিং এর ও ফেস্টিভ্যাল হয়। আজব দুনিয়া।
লেখা মারাত্মক ভালো হয়েছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপু, আপনি দেখি আমার ছোট বোনের মত। ওরও শপিং আউটিং অতটা বেশী পছন্দ না। আর আমার শুধু তখনই বেশী ভালো লাগে যখন পকেটে থুরি ব্যাগে টাকা থাকে (যেটা আসলে খুব কমই হয়)!
লেখা ভালো লেগেছে জেনে যারপরনাই আনন্দিত হলুম।
অনেক শুভেচ্ছা ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইলো।

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

এহসান সাবির বলেছেন: গল্প মজার হইছে।

শুভেচ্ছা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গল্প পড়া ও মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ । দুঃখিত উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। শুভকামনা।

১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: না, সেদিন একেবারে শূন্যহাতে ফেরার দূর্ভাগ্য আমাদের হয় নি। সকল দূর্বিপাকেই আমরা লড়তে জানি , বিজয়ী হতে জানি। দুহাতে উপচে পড়া শপিং হয়েছে শেষমেষ.............মোমবাতির আলোয় করুণ রস আর ভৌতিক রস দুটাই সমান জমে।
হা হা হা
আপনার রসও বেশ জমেছে
জমে পুরো ক্ষীর :)
শুভ কামনা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :) :)

ধন্যবাদ ও স্বাগতম আমার ব্লগবাড়িতে কি করি আজ ভেবে না পাই। ভালো থাকবেন আপনিও।

১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

মশিকুর বলেছেন:

মজার হইছে =p~

আমি শপিং করি ঈদের আগের দিন; পাঞ্জাবির সাইজ পাইতে কষ্ট হয় কিন্তু এটা অন্য রকমের মজা :)

ভাল থাকুন :)
***
একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল "তিন কন্যা এক ছবি; ছন্দা, চম্পা আর ববি"

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :)

চাঁদরাতে শপিং- এ মজার সাথে সাথে টেনশনও অত্যধিক ।

শেষে যে লাইনটা দিনে ঐ গানটা আগে খুব বিখ্যাত ছিল । :)

১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

কৌশিক অর্ণব বলেছেন: দারুণ দিদি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :)

১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

গোর্কি বলেছেন:
সুন্দর লেখা। পড়ে তৃপ্তি পেলাম। বিলম্বিত ঈদ শুভেচ্ছা রইল।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গোর্কি । শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও।

১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মজা করে লিখেছেনতো !
অগ্রিম ঈদ মোবারক ( আগামী ঈদের =p~ )

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :D :D

অনেক ধন্যবাদ গিয়াসলিটন । শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.