নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
প্রাণীকুলে মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্ব দেহের গুণে নয়; সেটি চিন্তা-ভাবনা বা দর্শনের গুণে। এ গুণটিই মানুষকে পশু থেকে পৃথক করে। উন্নত সভ্যতার নাগরিকরা এ গুণের বলেই অনুন্নত বা বর্বরদের (?) থেকে মাথা তুলে দাঁড়ায়। চিন্তা-ভাবনার এ বিস্ময়কর সামর্থ্যই জন্ম দেয় জ্ঞান-বিজ্ঞান। গড়ে তোলে সমৃদ্ধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি। নির্মিত হয় উচ্চতর সভ্যতা। গাছ যেমন প্রতিদিন বাড়ে, তেমনি প্রতিদিন বেড়ে উঠতে হয় ব্যক্তিকেও। সেটি শুধু দেহের গুণে নয়; নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক গুণে। এ কারণেই মানুষের উন্নীত ক্রমবর্ধ্বমান।
বেড়ে ওঠার সামর্থ্য বাড়াতে ব্যক্তিকে প্রতিমুহূর্তেই কিছু না কিছু শিখতে হয়। নতুন কিছু যেমন শিখতে হয়, তেমনি ভাবনা ও কর্মের মধ্য দিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টিও করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে নিতান্তই মনে রাখা বাঞ্চনীয় যে, ‘বৃক্ষের কিন্তু কাজ বীজ দিয়ে হয় না, আবার বীজ ছাড়া বৃক্ষের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। যদিও ফুল-ফল পাবেন বৃক্ষের কাছ থেকে। তাই বলে বীজ কিংবা শেকড় ভুলে যাওয়া কিন্তু মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয়!’ ইংরেজিতে একে বলে, Forgotten roots. বা শেকড় ভুলে যাওয়া।
বেড়ে ওঠার বিষয়টি ইসলামে এতই গুরুত্ববহ যে, ইসলামের প্রবর্তক মহানবি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
‘যার জীবনে পর পর দুটি দিন অতিবাহিত হল, অথচ তার জ্ঞানের রাজ্যে কোনো সমৃদ্ধি এলো না। তার জন্য আফসোস।’
মানবজাতির এ বেড়ে ওঠার পেছনে একান্ত ভূমিকা রাখে শিক্ষা। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। মানবসন্তান জন্মলাভের পর তার মধ্যে সুপ্ত মানসিকতা বিকাশের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষা ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করে। বাস-ব জীবনক্ষেত্রে শিক্ষার প্রয়োগ একজন মানুষকে ক্রমান্বয়ে মানবিক উৎকর্ষের অনতিক্রম্য চূড়ায় আরোহিত করে। মানুষ বলতে কিছু অঙ্গের সমষ্টি শুধু নয় বরং আত্মার উৎকর্ষতা একজন সত্যিকার মানুষের বিরামহীন সাধনা। শিক্ষা তারই প্রধানতম উপাদান। যুগে যুগে মনীষীগণ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে অমূল্য সম্পদ রেখে গেছেন তা আর কিছু নয় ‘শিক্ষা’। শুধু শিক্ষা নয় সুশিক্ষাও বটে। কারণ সুশিক্ষা দিয়েই মানবজাতি সুশিক্ষিত হয় আর এর মাধ্যমেই মানবজাতির জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রতিভা হয় বিকশিত। তাই শুধু শিক্ষা নয়; সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নাই।
উপরন্তু শিক্ষা এমন একটি শক্তি যা মানুষকে অদৃশ্য থেকে সুক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণ করে, একজন মানুষ যে পৃথিবীতে উদ্দেশ্যহীন বিচরণ করতে পারে না বরং এক মহৎ উদ্দেশ্যে তার এই জীবন। তার জন্ম, কথাবার্তা, উঠাবসা, নাওয়া-খাওয়া এবং মৃত্যু সবকিছু যে অর্থবহ আর জবাবদিহিতার দাবি রাখে সে অনুধাবন মানুষ শিক্ষা থেকেই অর্জন করে। এ কারণেই পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত সুস্থ মস্তিষ্কের এমন ব্যক্তি পাওয়া যায় নি যে শিক্ষার তাৎপর্যকে অগ্রাহ্য করেছে। বরঞ্চ একজন মুর্খও তার কঠিন বাস্তবতা জীবনে হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে সক্ষম হন, তার পিছিয়ে থাকার কারণ কী?
শিক্ষাহীন ব্যক্তি নাকি সমাজের বোঝা। আসলে বোঝা কিনা জানি না, তবে এদের নিয়ে সমাজ পরিচালনা সাধ্যের বাইরে। আবার অনেক নিরক্ষর, মূর্খ কিংবা শিক্ষাহীন ব্যক্তি যাই বলি-এদেরকে দিয়ে যা হয়; ভদ্র, জ্ঞানীগুণী ও শিক্ষিত লোকদের দিয়েও তা হয় না। এর কারণ হলো, শিক্ষা যেমন মানুষের জীবনে উৎকর্ষ আনতে পারে; তদ্রূপ তার পদ্ধতিগত সামান্য বিচ্যুতি একজন মানুষকে সমাজের নিম্নস্তরে নিক্ষেপ করতে পারে। এর নেপথ্যে রয়েছে সেক্যুলারিজম। কারণ তারা ‘শিক্ষা’ পেয়েছে; সুশিক্ষা পায় নি।
সেক্যুলারিজম হলো সেক্যুলার ও ইজম শব্দদ্বয়ের সন্ধিরূপ। এর অর্থ হলো ধর্মহীনতা বা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’। সেক্যুলারিজম বা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ কিংবা ধর্মহীনতা যেটাই বলি-তা কেবলই বস্তুকে অস্বীকার করে, যার সাথে ধর্মবিশ্বাস বা আধ্যাত্মিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। ‘Not connected with spiritual and religious matters’ কিন্তু এ অর্থে আমরা সেক্যুলারিজমকে গ্রহণ করি নি; আমরা করেছি মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের ভাষায়-‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়; এর অর্থ হচ্ছে স্ব স্ব ধর্মপালনে সকল অনুসারীদের সমান অধিকার।’
অগত্যা বলতে হয়, আমাদের সংবিধানে মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর পূর্ণবিশ্বাস ও আস্থার পাশে ধর্মনিরপেক্ষতাও সাচ্ছন্দে থাকতে পারে। যেমন সমাজতন্ত্র পারছে গণতন্ত্রের বাহু ধরে থাকতে। সরি, একটু ভুল হল, বাহু ধরে নয়; খোদ বাহু হয়ে থাকতে। রাষ্ট্রের নাগরিকদের ধর্মপালনের স্বাধীনতা কন্ঠলগ্ন হয়ে আছে সেক্যুলারিজম বা ধর্মহীনতা। বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে এর অর্থ করা হয়েছে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’। এ তো গেল সংবিধানে সেক্যুলারিজম।
৯০ ভাগ মুসলমান দেশের নাগরিক হয়ে আমি তা সাচ্ছন্দে মানতে পারি না। তবুও মানি। মাঝেমধ্যে এই ভেবে-‘যার যার ধর্ম তার তার।' থাক না তারা সেক্যুলার নিয়ে; আমি থাকি আমার মতো।’ কিন' পরক্ষণই যখন ভাবি ‘আমার প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজনও তো এ রোগে আক্রান্ত। তাদের মনে এ বস্তাপঁচা অনুভূতির জন্য তো আমিও বেকসুর নই। আমি কেন তাদের সঠিক পথ দেখালাম না, কেনই বা হলাম না রাহবর।’ যদিও জানি, স্বল্প পরিধিতে আমার জ্ঞানের বিস্তার আর দু’দিনের সন্তরণবিদ্যার ওপর সাহস করে অকুল দরিয়ায় ঝাঁপ দেয়ার পরিণাম যে কী হয়, সেটাও আমার জানা। এরপরও খুব ইচ্ছে হয় আমার এ অণুতম জ্ঞান দিয়ে বড়দের না হোক, অন্তত কোমলমতি শিশুদের তো একটুখানি আলোর দিশা হবে। কিন্তু এখানেও নিস্তারণ নেই। সেক্যুলারের নিকষ কালো অন্ধকার ধীরে ধীরে শিক্ষাঙ্গণকেও সংক্রামণ করেছে। শুধু সংক্রামণই নয়; অলরেডি শিক্ষাঙ্গন আহত হয়ে গেছে সেক্যুলারের এ কালো থাবায়।
আজ পাশ্চাত্য প্রণীত শিক্ষার পদ্ধতিগত চরম ভ্রষ্টতা জাতিকে অবর্ণনীয় বিপথগামী করে তুলছে। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষায় শিক্ষিতরা জাতিকে আশার চেয়ে হতাশা করছে বেশি। উপরন্তু' শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেসব অপরাধ প্রকাশ পাচ্ছে, তা আপামর জনতাকে হতবিহ্বল করে দেয়।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
রওনক বলেছেন: @আশমএরশাদ
ধর্মীয় রাষ্ট্রীয় কিসে চলবে সেটা পরিস্কার নয়!!!
নবীজী সা. ও ৪ খলিফ কি এটা পরিষ্কার করেন নাই?
মহিলা শাসনের জায়েজ /না জায়েজ নিয়েও মতবিরোধ আছে।
কোরআনে সেবা-র রানি/শাষক বিলকিস -এর নাম আছে। আর রাষ্ট্রপতি না হলে আশরাফুল মাখলুকাত থাকে না নাকি? সমাজে কিছু কাজ পুরুষের আর কিছু কাজ নারীর জন্য। দেশের অধিকাংশ কঠোর পরিশ্রমের কাজ পুরুষরাই করে। আর নারীর জন্য বাসে ৯/৪৫ টি সিট সংরক্ষন করা হয়। তারপরও আপনাদের চোখ রাষ্ট্রপতির চেয়ারে। কেউ তো বলেন না সব সংরক্ষিত সিট/কোটা উঠিয়ে দেয়া হোক!
ডিগ্রী পর্যন্ত মেয়েদের লেখাপড়া ফ্রি। তাই গরিব লোকরা আজকাল ছেলেদের কাজে পাঠায় আর মেয়েদের স্কুলে। এতে সমাজের শক্তিশালী অংশ অশিক্ষিত বর্বর হচ্ছে।
নবীর ওফাতের আগে বলে যাননি কে ১ম খলিফা হবে!!
নবীজী আবু বকর-কে ঈমামত দিয়েছিলেন, মসজিদে নববী থেকে আবু বকর ছারা সবার দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলে। এরপর, কারও কি কিছু বলে লাগে? বলেন নাই কারন তিনি চেয়েছিলেন নগরবাসী নিজেরাই চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেক। এটাকেই আমরা গনতন্ত্র বলি, যা আসলে ইসলামেরই শিক্ষা।
ধর্মের ভিত্তিতেতো একটা ধর্মভিত্তিক দলই থাকতে পারে!!
নবীজীর ওফাতের পরই মদিনায় নগরবাসী খলিফ নির্বাচন প্রশ্নে২ দলে ভাগ হয়েছিলো। এটা ধর্ম নিয়ন্ত্রনের প্রশ্ন না, প্রশ্ন নেতা নির্বাচনের। যেমন: হাসিনা/খালেদা যেই প্রধানমন্ত্রী হোক, দেশ বাংলাদেশই থাকে, ভারত বা পাকিস্থান হয় না।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
রওনক বলেছেন: @আশমএরশাদ
ধর্মীয় রাষ্ট্রীয় কিসে চলবে সেটা পরিস্কার নয়!!!
নবীজী সা. ও ৪ খলিফ কি এটা পরিষ্কার করেন নাই?
মহিলা শাসনের জায়েজ /না জায়েজ নিয়েও মতবিরোধ আছে।
কোরআনে সেবা-র রানি/শাষক বিলকিস -এর নাম আছে। আর রাষ্ট্রপতি না হলে আশরাফুল মাখলুকাত থাকে না নাকি? সমাজে কিছু কাজ পুরুষের আর কিছু কাজ নারীর জন্য। দেশের অধিকাংশ কঠোর পরিশ্রমের কাজ পুরুষরাই করে। আর নারীর জন্য বাসে ৯/৪৫ টি সিট সংরক্ষন করা হয়। তারপরও আপনাদের চোখ রাষ্ট্রপতির চেয়ারে। কেউ তো বলেন না সব সংরক্ষিত সিট/কোটা উঠিয়ে দেয়া হোক!
ডিগ্রী পর্যন্ত মেয়েদের লেখাপড়া ফ্রি। তাই গরিব লোকরা আজকাল ছেলেদের কাজে পাঠায় আর মেয়েদের স্কুলে। এতে সমাজের শক্তিশালী অংশ অশিক্ষিত বর্বর হচ্ছে।
নবীর ওফাতের আগে বলে যাননি কে ১ম খলিফা হবে!!
নবীজী আবু বকর-কে ঈমামত দিয়েছিলেন, মসজিদে নববী থেকে আবু বকর ছারা সবার দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলে। এরপর, কারও কি কিছু বলে লাগে? বলেন নাই কারন তিনি চেয়েছিলেন নগরবাসী নিজেরাই চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেক। এটাকেই আমরা গনতন্ত্র বলি, যা আসলে ইসলামেরই শিক্ষা।
ধর্মের ভিত্তিতেতো একটা ধর্মভিত্তিক দলই থাকতে পারে!!
নবীজীর ওফাতের পরই মদিনায় নগরবাসী খলিফ নির্বাচন প্রশ্নে২ দলে ভাগ হয়েছিলো। এটা ধর্ম নিয়ন্ত্রনের প্রশ্ন না, প্রশ্ন নেতা নির্বাচনের। যেমন: হাসিনা/খালেদা যেই প্রধানমন্ত্রী হোক, দেশ বাংলাদেশই থাকে, ভারত বা পাকিস্থান হয় না।
৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
রওনক বলেছেন: @আশমএরশাদ
ধর্মীয় রাষ্ট্রীয় কিসে চলবে সেটা পরিস্কার নয়!!!
নবীজী সা. ও ৪ খলিফ কি এটা পরিষ্কার করেন নাই?
মহিলা শাসনের জায়েজ /না জায়েজ নিয়েও মতবিরোধ আছে।
কোরআনে সেবা-র রানি/শাষক বিলকিস -এর নাম আছে। আর রাষ্ট্রপতি না হলে আশরাফুল মাখলুকাত থাকে না নাকি? সমাজে কিছু কাজ পুরুষের আর কিছু কাজ নারীর জন্য। দেশের অধিকাংশ কঠোর পরিশ্রমের কাজ পুরুষরাই করে। আর নারীর জন্য বাসে ৯/৪৫ টি সিট সংরক্ষন করা হয়। তারপরও আপনাদের চোখ রাষ্ট্রপতির চেয়ারে। কেউ তো বলেন না সব সংরক্ষিত সিট/কোটা উঠিয়ে দেয়া হোক!
ডিগ্রী পর্যন্ত মেয়েদের লেখাপড়া ফ্রি। তাই গরিব লোকরা আজকাল ছেলেদের কাজে পাঠায় আর মেয়েদের স্কুলে। এতে সমাজের শক্তিশালী অংশ অশিক্ষিত বর্বর হচ্ছে।
নবীর ওফাতের আগে বলে যাননি কে ১ম খলিফা হবে!!
নবীজী আবু বকর-কে ঈমামত দিয়েছিলেন, মসজিদে নববী থেকে আবু বকর ছারা সবার দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলে। এরপর, কারও কি কিছু বলে লাগে? বলেন নাই কারন তিনি চেয়েছিলেন নগরবাসী নিজেরাই চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেক। এটাকেই আমরা গনতন্ত্র বলি, যা আসলে ইসলামেরই শিক্ষা।
ধর্মের ভিত্তিতেতো একটা ধর্মভিত্তিক দলই থাকতে পারে!!
নবীজীর ওফাতের পরই মদিনায় নগরবাসী খলিফ নির্বাচন প্রশ্নে২ দলে ভাগ হয়েছিলো। এটা ধর্ম নিয়ন্ত্রনের প্রশ্ন না, প্রশ্ন নেতা নির্বাচনের। যেমন: হাসিনা/খালেদা যেই প্রধানমন্ত্রী হোক, দেশ বাংলাদেশই থাকে, ভারত বা পাকিস্থান হয় না।
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
রওনক বলেছেন: কয়েক বার চেষ্টা করে কমেন্ট দিতে পারলাম। এখন দেখি ৩টা কপি হয়েছে!!
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
আশমএরশাদ বলেছেন:
সেকুলার রাষ্ট্র সকল ধর্মের মানুষদের মধ্যে সমমর্যাদা ও সমগুরুত্ব নিশ্চিত করে। সেই ক্ষেত্রে ‘সেকুলার’ রাষ্ট্রকে লোক কেন্দ্রিক শাসন ব্যাবস্থা বললে যথার্থই বলা হবে। রাষ্ট্র এখানে নাগরিকদের ইহজাগতিক সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করবে। --- ধর্মকে রাষ্ট্র বেসরকারি করন করেছে বলা চলে। অনেকের কাছে রাষ্ট্র একটি সামাজিক সংগঠন বৈ আর কিছু না। সংগঠনের ধর্ম চর্চার দরকার নেই। ধর্ম-কর্ম তথা উপসনার প্রয়োজন পড়ে শুধু মানুষজনের।
সংগঠনকে এখানে জড় বস্তুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। জড় বস্তুর নিজের কোন অনুভুতি থাকার কথা না। বস্তুর ইহলৌকিক বা পরলৌকিক অবস্থা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। তাই তার ধর্ম সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন পড়ে না। অনেকে তাই সমাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন রাষ্ট্রর ধর্মহীন থাকার উপযোগিতা খুঁজে পেয়েছেন--- কোড ফ্রম-http://blog.prothom-alo.com/posts/7/207869
৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: @আলমএরশাদ
মানুষের এক পৃষ্টার একটি প্রবন্ধ পড়েই কিভাবে ধারণা করতে পারলেন যে, আমি একই শিক্ষা শিক্ষিত। তবে তারপরও মেনে নিলাম, হ্যা শিক্ষা তো শিখতেই পারি। তবে সেটা যেন নিতান্তই সুশিক্ষা হয়...
সেক্যুলার বলতে যা আমরা বুঝি- মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের ভাষায়-‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়; এর অর্থ হচ্ছে স্ব স্ব ধর্মপালনে সকল অনুসারীদের সমান অধিকার।’
কিন্তু আসলে এটি অর্থ নয়। এটি ধর্মনিরপেক্ষতা নাম দিয়ে সর্বমূলে ধর্মকেই তুলে দিতে চায়। সেক্যুলার অর্থ হলো- যা কেবলই বস্তুকে অস্বীকার করে, যার সাথে ধর্মবিশ্বাস বা আধ্যাত্মিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। ‘Not connected with spiritual and religious matters’
ধর্ম শুধু ব্যক্তি জীবনের সনদ-ই নয়; বরং সর্বক্ষেত্রে ধর্মের বিস্তার আঙ্গাআঙ্গিভাবে জড়িত। সেটা বুঝতে হলে অবশ্য কোনো শিক্ষকের দ্বারস্থ হওয়া চাই। বাংলা তরজমায়ে কুরআন কিংবা বাংলা বুখারী শরিফ পড়ে সেটা না বুঝারই কথা।
মাল্টি রিলিজিয়াস রাস্ট্রে সংখ্যাগরিষ্টের ওপর ভিত্তি করে ধর্ম পালন হবে। আর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্দিষ্ট কর (জিজিয়া) দিয়ে থাকতে হবে।
ব্যাপারটি খুবসম্ভবত আপনার জ্ঞানের সাম্রাজ্যের বাইরে বৈকি! নতুবা আপনি কোন সাহসে বলেন যে, ইসলাম বাল্যবিবাহ সমর্থন করে।
দেখুন, মানুষের বাল্যতা নির্ণয়ের সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সীমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু হরমোন বেশি হওয়ার দরুন তার তো বাল্যতা নির্দিষ্ট সময়ের আগেও হতে পারে। আর শিশু নির্যাতন বা এসিড বিদগ্ধ আইন আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দশ বছর পূর্বেই ইসলাম প্রবর্তন করে গেছে। কেন আপনি জানেন না? পরিপূর্ণ মুসলমান তো সেই- যার হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ। তবে অমুসলমান যদি ইসলামবিরোধী কোনো কর্মে লিপ্ত হয় এবং তার আচরণে সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ পরিলক্ষিত হয়, তাহলে সে শাস্তির যোগ্য।
শিবির কর্তৃক ব্রেইন ওয়াশ করার কথা বলছেন। অথচ আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গেই যুক্ত নই। ওই যে শুরুতেই বললাম এক পৃষ্টার প্রবন্ধ পড়ে ব্যক্তি জীবনের ব্যাকগ্রাউন্ড বলে দেয়া বোকামি ছাড়া কিছু্ই নয়। তবে ঘাড়তেরামি বা একগুমেয়িও হতে পারে।
কুরআনের রাজনীতি সম্পর্কে কতগুলো আয়াত লাগবে আপনার? তবে সেটা নিশ্চয় আপনার মতো বস্তাপঁচা সেক্যুলারপূর্ণ মতবাদের সাথে মিলবে না। সেটা বুঝতে হলে নিতান্তই একজন গুরুর দ্বারস্থ হতে হবে। নইলে আপনার অবস্থান হবে- আপনার প্রবন্ধে উল্লেখিত চতুশ্পদ জন্তু কিংবা তারচেয়েও কোনো নিকৃষ্ট পশুতে।
আশা করি, সরল ভাষা আপনার কানে প্রবেশ করেছে; এখন সেটা অন্তরে বদ্ধমূল হবে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
আশমএরশাদ বলেছেন: মজার বিষয় হলো আপনিও একই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও সেকুলার হননি।
আর সেকুলারের বিপরীত কি?
ধর্ম ব্যাক্তি জীবনের সনদ হতে পারে কিন্তু রাষ্ট্রেরও একটা বিমুর্ত জীবন আছে।
মাল্টি রিলিজিয়াস একটি রাষ্ট্রে কোন ধর্মের আইন চলবে? ৫০% হিন্দু আর ৫০% মুসলমান হলে।
সেকুলার মানে ধর্মহীনতা নয় বরং ধর্মের সমন্বয়।
ধরুন ইসলামে ব্যল্য বিবাহ নিষেধ নয় কিন্তু সেকুলার আইনে বাল্য বিবাহ নিষেধ করা হয়েছে।
শিশু নির্যাতন আইন /এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন থেকে শুরু করে একটা আইনও নেই যেটা ধর্ম তথা ইসলাম বিরোধী।
আপনাকে ছোট কালে হয়ত কোন শিবিরের সাথী ভাই পেয়েছিল যে আপনার ব্রেইন ওয়াশ করেছিল। সেখান থেকে আর বের হতে পারেননি। যেমন ছোট কালে আমরা যেই ৫ মিশালি কথা শুনে আসছি বলে ১০ মিশালী অনুষ্টান হলেও ঐ ৫ মিশালীতেই আছি। বদ্ধমুল ধারনা থেকে বের হওয়া খুব কঠিন।
সেকুলারের বিপরীত মতবাদ গুলা আগে প্রচলিত ছিল। তথাপি খোলাফায়ে রাশেদিনের ৪ খলিফার ৩ খলিফারই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এবং এক এক খলিফার মধ্যে বিরোধ ও কম ছিল না। সেকুলারিজম এসেছিল পোপদের এবং ধর্মের নীতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যর্থতা হেতু। ধর্মের সমস্যাও কম নয়। হানাফি চলবে না ইরানের মত শিয়া মতবাদে চলবে ইত্যাদি।
সেকুলারিজম শব্দটি রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে আর ধর্ম জীবন চালনার ক্ষেত্রে। কারণ ধর্মীয় রাষ্ট্রীয় কিসে চলবে সেটা পরিস্কার নয় , রাষ্ট্রপতি শাসিত হবে নাকি প্রধানমন্ত্রী শাসিত হবে ? মহিলা শাসনের জায়েজ /না জায়েজ নিয়েও মতবিরোধ আছে। মহিলারা আশরাফুল মাখলুকাত হয়েও কোনদিন রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদন্ধিতাই করতে পারবে না?
কোরআনের কয়টি আয়াত আছে যেটি রাষ্ট্র শাসনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর কয়টি আয়াত আছে ব্যাক্তি জীবনের জন্য প্রযোজ্য(ইবাদত সংক্রান্ত)। আমাদের নবীর ওফাতের আগে বলে যাননি কে ১ম খলিফা হবে আর খলিফা কিভাবে নির্বাচিত হবে। তাই বুঝে নিন ধর্ম রাস্ট্রের সীমাবদ্ধতা। একই ধর্মের ভিত্তিতেতো একটা ধর্মভিত্তিক দলই থাকতে পারে। তাহলে সে দিক দিয়েতো তাত্বিকভাবে একদলীয় চিন্তারই প্রকাশ ঘটে।