নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
হঠাৎ করেই ফেসবুকে স্ক্রল করতে করতে রেহনুমা বিনতে আনিসের ‘বিয়ে’ বই সম্পর্কে একটা পোস্ট নজরে এলো। পোস্টটার আগাগোড়া পড়লে যা বুঝলাম, পোস্টদাতা রেহনুমা বিনতে আনিস কর্তৃক নিচের ছবি অংশে লালচিহ্নটুকুর তথ্যগত ভুলের সমালোচনা করেছেন। ভুল হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এটা মানবপ্রকৃতির আদিস্বভাব বলা যায়। কিন্তু কথা হলো, ভুলের ওপর অবিচল থাকা নিঃসন্দেহে দোষের। লেখিকা এখনও তার ভুলের ওপর প্রমূর্ত আছেন কিনা, তা জানার বিষয়।
আমার কাছে মনে হয়, আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ক একান্তই ভালোবাসার। যেখানে সম্পর্কটা হৃদ্যতার, রাজা-প্রজার মতো অবস্থান হলেও সেখানে ভালোবাসাটাই মুখ্য। এ কারণে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘প্রত্যেকেই তোমাকে তার নিজের জন্য কামনা করে, একমাত্র আমি তোমাকে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসি’। এখানে মানুষের ভালোবাসা আর আল্লাহর ভালোবাসার মধ্যে একটা তফাৎ দেখা যায়।
প্রবাদপ্রবচনে শোনা যায়, ‘যে আল্লাহর জন্য আল্লাহ তার জন্য। কেউ তাকে হেঁটে কাছে পেতে চাইলে তিনি দৌঁড়ে এসে আগলে নেন।’ বিশুদ্ধ হাদিসের ভাষাও অনেকটাই এমন, ‘যে আমার দিকে হেঁটে আসে আমার রহমত তার কাছে দৌঁড়ে দৌঁড়ে পৌঁছায়।’ আল্লাহর ভালোবাসার কাছে মানুষের ভালোবাসা নস্যি। আল্লাহ বলেন, ‘যে আমাকে ভালোবাসে আমি তার কান হয়ে যাই যে কানে সে শোনে, আমি তার চোখ হয়ে যাই যে চোখে সে দেখে, আমি হাত হয়ে যাই যে হাতে সে ধরে, আমি তার পা হয়ে যাই যে পায়ে সে চলে।’ এ ভালোবাসা যে কতটা নিঃস্বার্থ, মোহমুক্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঠিক এই ভালোবাসার কারণে আল্লাহ ও তার মাখলুকের মধ্যকার ভালোবাসার মধ্যে কোনো শরিক তিনি পছন্দ করেন না। বিষয়টা শুধু পছন্দ-নাপছন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি শরিককারীকে কখনো ক্ষমা করবেন না মর্মে আয়াতও নাযেল করেছেন।
আল্লাহর এই গুণ-বৈশিষ্ট্য আমি নারীজাতির মধ্যে পেয়েছি। তারাও তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার মধ্যে কোনো শিরকত পছন্দ করে না। নবীপত্নীদের মাঝেও এই বৈশিষ্ট্য ছিল। যদিও নবীপত্নীদের সকলে মাসনা, সুলাসা, রুবাআ ছিল। তবুও ভালোবাসা প্রদানের ক্ষেত্রে সকলেই ছিল প্রতিযোগীসম। কে কার চেয়ে ভালোবেসে এগিয়ে থাকবে, এমন মৌনপ্রতিযোগিতা পাওয়া যায় হাদিসের পাতায়।
এ যুগে এসে সেই প্রতিযোগিতা এখন একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এখন নারীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতে প্রতিযোগিতার মাঠে রাজ করতে চায়। প্রতিদ্বন্দ্বি থাকলে তাদের নাজুক মন ঈর্ষাকাতর হয়ে ওঠে। এমনটা হয়ত নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্যই হয়। এর বাইরে কোনো কারণ দেখি না।
রেহনুমা বিনতে আনিস হয়ত ভালোবাসার এই নিঃস্বার্থ সবক থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই লিখেছে, ‘আল্লাহর কাছে এক বিয়েই অধিক পছন্দনীয়’। যদিও তার এই ব্যক্তিচিন্তার দায়ভার সরাসরি আল্লাহর দিকে রুজু করাটা অবশ্যই সমালোচনার বিষয়। সে সমালোচনা অন্য কোনো দিন করা যাবে।
কিছুদিন আগে ‘মাসনা সুলাসা রুবাআ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের জন্ম হয়েছে। সেখানে পুরুষদের বহুবিবাহে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। যদিও গ্রুপের সঞ্চালক তাদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, বহুবিবাহ নিয়ে সমাজে প্রচলিত ঘৃণার মনোভাব দূরীকরণেই এর আসল উদ্দেশ্য। যেটা মূলত পশ্চিমারীতি থেকে আমদানি করা।
প্রথমত, ‘বহুবিবাহ’টা অনুপ্রেরণার বিষয় নয়। এটি একটি প্রয়োজনের বিষয়। যার প্রয়োজন হবে, সে একাধিক বিবাহে আবদ্ধ হতে পারে, এমনই ইসলামের বিধান। আর পুরুষ কর্তৃক এই প্রয়োজনেরও নির্দিষ্ট সীমা আছে। তাই বিভিন্ন ফজিলত আর কোরআনের আয়াত দ্বারা কখনোই সাব্যস্ত করা যাবে না যে, ইসলাম বহুবিবাহ করতে নির্দেশ করেছে; বরং সব জায়গাতেই প্রয়োজন হলে একাধিক বিয়ের অনুমতি রয়েছে, সেটাও চারটির বেশি নয়।
যাইহোক, বহুবিবাহকে ইসলাম একেবারে নিষেধ করে দেয়নি প্রয়োজনের খাতিরে। যাতে করে প্রয়োজন দেখা দিলে একাধিক বিবাহ করাটা বৈধরূপে বহাল থাকে। এখানে প্রয়োজনটা কেবল শরীরবৃত্তীয় নয়, বরং এর বাইরে গিয়ে সেটা হতে পারে অসহায়কে আশ্রয়দান, নারীর সংখ্যাধিক্যের কারণে পাত্র সংকট ইত্যাদি। তবে এটি মোবাহ বা বৈধ থাকার ফলে প্রয়োজন ছাড়াও যদি কেউ বহুবিবাহ করে সেটাও জায়েজ হবে। গ্রুপটাতে সবচেয়ে বেশি মিসগাইড হতে দেখেছি, বহুবিবাহকে তারা ইদানীং সুন্নত বলে প্রচার করছেন! কিন্তু আসলেই কি বহুবিবাহ সুন্নত?
সুন্নত বলতে আমি স্বতন্ত্র সুন্নতের কথা বলছি। প্রয়োজন ও অবস্থা অনুপাতে কখনো ওয়াজিব, কখনো সুন্নত আর কখনো মুস্তাহাব হওয়াকে বুঝাচ্ছি না। কারণ এই ধরণের বিধান স্বতন্ত্র বিধান নয়। এগুলো অবস্থার অনুপাতে নির্ণীত হওয়া বিধান। যেমন, অবস্থার অনুপাতে কখনো মদ বা শুকর খাওয়াও আপনার জন্য ওয়াজিব হয়ে যেতে পারে। এটা তো ধর্তব্য না। বরং স্বাভাবিক হুকুম বর্ণনার সময় বিষয়ের স্বাভাবিক অবস্থাটাই লক্ষ্যণীয় হয়। তো ডান হাতে খাওয়া যেমন স্বতন্ত্র সুন্নত, বহুবিবাহ সে রকম সুন্নত কিনা, সেই প্রশ্নটাই আমি এখানে করতে চাচ্ছি। আমি যতটুকু ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখেছি, বিবাহসংক্রান্ত সব জায়গায় শুধু বিবাহকে সুন্নত বলা হয়েছে। যেমন হাদীসে এসেছে, ‘বিবাহ আমার সুন্নত।’ এটা হচ্ছে স্বতন্ত্র বিয়ের বিধান। বহুবিবাহের সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই। সাধারণ বিবাহ আর বহুবিবাহ কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন দুইটা জিনিস। একটাকে আরেকটার সাথে যেন কেউ গুলিয়ে না ফেলেন সেজন্যই তো এক বিয়ে করেই সারাজীবন কাটিয়ে দিলেও তার ক্ষেত্রে বলা হয়, তিনি বিবাহের সুন্নতটা আদায় করেছেন।
তাছাড়া, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত সুন্নতের কাজে উৎসাহ দিতেন। অনেক ক্ষেত্রে এর ফজিলতও বর্ণনা করতেন। বহুবিবাহের জন্য না তিনি উৎসাহ দিয়েছেন, না এর ফজিলত বর্ণনা করেছেন। বরং উপরে বলা সেই একই হাদীসে যেটা দেখতে পাই সেটা হলো, নবীজী বলেছেন, ‘তোমরা অধিক সন্তানদানে সক্ষম ও স্নেহপরায়ণ নারীকে বিয়ে করো। কারণ আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মতের উপর গৌরব করবো।’
এখানে লক্ষণী হলো, এখানে উম্মতের সংখ্যা বেশি হওয়ার জন্য তিনি বিবাহের কথা বলতে গিয়ে অধিক সন্তানদানে সক্ষম মহিলাকে বিয়ের কথা বলছেন। একাধিক বিয়ের কথা কিন্তু বলেননি।
দ্বিতীয়ত, সমাজে বহুবিবাহ নিয়ে আমরা যে ঘৃণার মনোভাব দেখি, সেটা মূলত ঘৃণা নয়, এটা প্রকৃতপ্রস্তাবে বহুস্ত্রীক সমতাবিধানের ভয়। কোরআনেও এই ভয়ের ব্যাপারটা উল্লেখ আছে। তো, কোরআন সেই ভয়ের প্রেক্ষিতে সমাধান হিসেবে এক বিবাহের কথাই বলেছেন, বলেনি যে ভয়টা দূর করতে।
যারা এই ভয় দূর করতে পারবে তারাই কেবল ‘মাসনা সুলাসা রুবাআ’ করার যোগ্যপুরুষ। অার এই ভয় দূরীকরণ যার যার স্বেচ্ছার্থে। সুতরাং স্বেচ্ছার্থক কাজে অনুপ্রেরণা কতটুকু যৌক্তিক, তা রীতিমত ঝগড়ার বিষয়।
থাক, ঝগড়ার বিষয়ে গেলাম না। কথা হলো, সমাজে একটি জায়েজ আমল কিভাবে ‘ঘৃণা’র হলো! উত্তর ওই একটাই, আল্লাহর যে ভয়ের ব্যাপারটা কোরআনে উল্লেখ আছে, সেটার ওপর আমল হয়নি। কারণ, যদি ভয়ের বিষয়টি মেনে একটি বিবাহে সন্তুষ্ট থাকত, অথবা ভয়কে জয় করে চারবিয়ে করত, তাহলে এটি কোনো দিন ঘৃণিত হত না। যারা সমাজে এখনো চার বউয়ের মাঝে ইনসাফ করে চলেছে, এমনকি চার বিয়ে করে বিনা ঝগড়াঝাটিতে দিনাতিপাত করা দাম্পত্যকে এখনো সমাজের লোক ভালো চোখেই দেখে। মন্দ বা ঘৃণার চোখে দেখে কেবল ওই দাম্পত্যকে, যারা ভয়কে উপেক্ষা করে একাধিক বিয়ে করেছে আর ঝগড়া হয়েছে তাদের নিত্যনৈমর্ত্তিক ব্যাপার।
এখন আপনি বলতে পারেন, ‘একাধিক বিয়ের কথা তো আল্লাহ তায়ালাই সর্বপ্রথম বলেছেন। আল্লাহ প্রথমে ‘মাসনা-সুলাসা-রুবাআ’ বলেছেন তারপরে একটি বিবাহের কথা বলেছেন।’
আসলে কোরআনে যে 'ফানকিহু' (তোমরা বিবাহ কোরো) নির্দেশসূচক ক্রিয়ার সাথে ‘মাসনা সুলাসা রুবাআ’র কথা বলা হয়েছে, তাতে বিয়ে করার সীমা বোঝাতে গিয়ে দুই, তিন, চারের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ একের পর যে দুই, একথা আলাদাভাবে বলার কিছু নেই। তাই একের উল্লেখ ছাড়াই দুই তিন চার সংখ্যা বলে বিয়ে করার একটি প্রান্তসীমা আঁকা হয়েছে।
দেখুন, কেউ যদি বলে তুমি চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার অনুমতিপ্রাপ্ত। এর অর্থ কিন্তু একটি বিয়ে করো, তারপর প্রয়োজনে আরো তিনটি বিয়ে করো। তাই বলে আয়াতের অর্থ এই নয় যে, তুমি দুইটি বিয়ে করো, অথবা তিনটি, অথবা চারটি। বরং বলা হয়েছে, তুমি দুটি, তিনটি অথবা চারটি পর্যন্ত বিয়ে করো।
আর দ্বিতীয়তম বিবাহ করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে প্রথম বিবাহ সম্পন্ন করতেই হবে। তাই এখানে প্রথম বিবাহের কথা উল্লেখ করেননি। এমনটি নয় যে, আগে মাসনা সুলাসা রুবাআ, তারপর ওয়াহেদা বা এক। কারণ, 'ফানকিহু' বা বিয়ে করার নির্দেশ সরাসরি মাসনা, সুলাসা, রুবাআ নয়, বরং ফানকিহুর মাফউল হলো 'মা তবা লাকুম মিনান নিসা' আর ‘মাসনা সুলাসা ও রুবাআ’ হলো তার ব্যাখ্যা। অতএব, মাসনা সুলাসা ও রুবাআ আগে তারপর এক, কথাটি কোরআনের অলঙ্কারশাস্ত্রের পরিপন্থী।
তবে আসলেই যদি আমাদের সমাজে বহুবিবাহকে বাঁকাচোখে দেখা হয় অথবা এটি বৈধ এবং শরীয়ত অনুমোদিত বিষয় এটা হজম করতে অনেকের কষ্ট হয় তাহলে সাধারণ মানুষের এই মনোভাব দূর করার জন্য এর বৈধতার দলিল-প্রমাণ ও যৌক্তিক দিকগুলো তুলে ধরা যেতে পারে। কারো প্রয়োজন হলে তিনি নিজে বহুবিবাহও করতে পারেন। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে সামাজিকভাবে জনেজনে বহুবিবাহের প্রতি উৎসাহিত করাটা কোনক্রমেই উচিত নয়। এটি ভুল পন্থা। একটা ভুল বিষয়কে অপর ভুল বিষয় দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা শেষপর্যন্ত কোন ভালো ফলাফল বয়ে আনে না। সুতরাং যারা ভুলকে ভু্ল দিয়ে ঠিক করার পন্থাকে অবলম্বন করছেন তারা নিশ্চিত ভুল করছেন।
এটা সত্যি যে, মুসলিম সমাজে বহুবিবাহকে বাঁকাচোখে দেখার ভাইরাসের আমদানি হয়েছে পশ্চিমা সমাজ থেকে। সেখানে এটাকে ভালো চোখে দেখা হয় না। অথচ এক নারীর স্থলে শত নারীগমন আবার তাদের সমাজে তেমন নিন্দনীয় নয়। বরং সেটাকে ব্যক্তি স্বাধীনতার মোড়কে পরিয়ে হালাল ও স্বাভাবিক বিষয় হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়। মানুষের বিবেক-বুদ্ধি পঁচে গেলে যা হয় আরকি!
সর্বশেষ এককথায় বহুবিবাহের বিষয়ে শরীয়তের যে মনোভাব আমার সামনে পরিস্ফুট হয়েছে তা হলো, বহুবিবাহ মোবাহ বা বৈধ একটি বিষয়। ফজিলতপূর্ণ স্বতন্ত্র কোন সুন্নত নয়। এটি প্রলুব্ধ করে নানানভাবে উৎসাহ দেওয়ার মতো বিষয়ও নয়। তবে কোথাও যদি এই বিধানকে অজ্ঞতার কারণে অস্বীকার করা হয় বা বাঁকাচোখে দেখা হয় তাহলে তা আলোচনার ও বুঝানোর মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। অজ্ঞতাকে দূর করতে হবে।
৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫১
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: ভাগ্যিস বউ সামুর ধারকাছ দিয়ে পা দেয়না।
৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: বিধান তো বিধানই। বউ দেখলে কী আর হবে! আমি তো বলেছিই- বহুবিবাহটা প্রয়োজনের বিষয়, অনুপ্রেরণার নয়।
আর আমার এই লেখার কোথাও বহুবিবাহে প্রলুব্ধকর কোনো উপাদান নেই। আবার নিরুৎসাহেরও নেই।
৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
থিওরি বলেছেন: ন্যায় বিচার করতে পারে না। চারটা বউ কে এক বাসায় রেখে ফেসাদ করে।
৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: এজন্যই মহান আল্লাহ বলেছেন, যদি ইনসাফ বজায় রাখতে না পারো, তাহলে একটি বিয়েই সই।
৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: (((((((আমার বল্গে ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো।)))))))))
৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: যাবো একদিন ঘুরতে। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলমানদের হাতে পয়সা আসলে, ১ম কাজ হলো কয়েকটা বিয়ে করা; মুসলমানরা দরিদ্র হয়ে গেলে, ১ম কাজ হলো কয়েকটা বিয়ে করা; আপনার লেখার স্টাইল পিগমীদের মতো।
৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:১২
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যে মুসলমানদের প্রথম কাজের উল্লেখ পেলাম। তাতে আপনি বহুবিবাহের কথাটা বলেছেন সদর্পে। মানে মুসলমানদের প্রথম কাজটাই যেন কয়েকটি বিয়ে করা। পাশাপাশি মুসলমানদের অর্থনৈতিক অবস্থারও একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। যার অর্থ হলো, মুসলমানদের হাতে চাই পয়সা থাকুক বা না থাকুক, তারা একাধিক বিয়েতে পারদর্শী।
বিষয়টা কতটুকু বাস্তব, তা আপনার পরিবারে একবার নজর বুলিয়ে নেবেন। আশা করি, উত্তর পেয়ে যাবেন। যদি নিজেদের মুসলমান দাবি করেন। নয়ত অন্য কয়েকটি মুসলিম পরিবারের প্রতি একটু তাকাবেন। বিধান আছে বলেই কেবল মুসলিমরাই একাধিক বিয়েতে মগ্ন হন, এমনটা মিথ্যাচার।
আপনার লেখার স্টাইল পিগমীদের মতো।
পিগমি বলতে আপনি কী বুঝালেন, তা দ্ব্যর্থবোধক হয়ে থাকলো। স্পষ্ট করলে ভালো হয়। সাধারণত কোনো ক্ষুদ্র কিছু বোঝাতে কিংবা কাউকে খাটো করে দেখতে এই পিগমি শব্দের ব্যবহার হয়। এছাড়াও আফ্রিকান একপ্রকার জঙ্গলীদেরও পিগমি বলা হয়। কিন্তু তাদের লেখার স্টাইল সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা নাই। জানালে একটা ধন্যবাদ দেয়া যেত।
৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শক্ত কারণ ছাড়া একাধিক বিয়ে না করাটাই ভালো। যদি কেউ প্রয়োজন মনে করে তবে প্রথম স্ত্রী'র অনুমিত নিয়ে করতে পারে। সংসারে অশান্তি আসবে এমন সিদ্ধান্ত ইসলাম সাপোর্ট করবেনা।
৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২২
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেয়াটা ইসলামে বিধিবদ্ধ নয় যদিও। তবুও সংসারে শান্তি রক্ষার্থে এটির প্রয়োজন আছে। কারণ, এমন অনেক বৈধ কাজ সামাজিক অস্থিতিশীলতার দিকে তাকিয়ে না করাটাই বোধয় শ্রেয়। তাই শক্ত কারণ ছাড়া একাধিক বিয়ে না করার সাথে সহমত। কারণ, কোনো ধরনের কারণ ছাড়া একাধিক বিয়েকে জায়েজ মনে করা কোরআনি ভাবের সাথে সাংঘর্ষিক।
৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: করার সময় হলে এসব নিয়ে গবেষণা করব। এখন এই বিষয়ে না যাওয়াই ভালো। আগে যেটা আছে ঐটারে লাইনে রাখি...
৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোতে একেক সময় একেকটা বিষয় নিয়ে মাতামাতি।
৯| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নতুন বলেছেন: হজরত আলী রা: একবার বিয়ে করতে চেয়েছিলেন... তখন ফাতেমা রা: জীবিত ছিলেন।
তখন কে সেই বিয়েতে বাধা দিয়েছিলেন জানেন?
তালাক যেমন একটা আইন কিন্তু ইসলাম চায়না কেউ তালাক দিক...সবাই সুখে থাকুক....
তেমনি ২-৪ বিয়েও একটা নিয়ম করে দিয়েছে কিন্তু এটার বাস্তবায়ন চায়নি বরং ১ বিয়েতেই সুখে থাকুক সেটাই চেয়েছে।
http://quranx.com/Hadith/Bukhari/DarusSalam/Hadith-3729/
Narrated Al-Miswar bin Makhrama:
`Ali demanded the hand of the daughter of Abu Jahl. Fatima heard of this and went to Allah's Messenger (ﷺ) saying, "Your people think that you do not become angry for the sake of your daughters as `Ali is now going to marry the daughter of Abu Jahl. "On that Allah's Messenger (ﷺ) got up and after his recitation of Tashah-hud. I heard him saying, "Then after! I married one of my daughters to Abu Al-`As bin Al- Rabi` (the husband of Zainab, the daughter of the Prophet (ﷺ) ) before Islam and he proved truthful in whatever he said to me. No doubt, Fatima is a part of me, I hate to see her being troubled. By Allah, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and the daughter of Allah's Enemy cannot be the wives of one man." So `Ali gave up that engagement. 'Al-Miswar further said: I heard the Prophet (ﷺ) talking and he mentioned a son-in-law of his belonging to the tribe of Bani `Abd-Shams. He highly praised him concerning that relationship and said (whenever) he spoke to me, he spoke the truth, and whenever he promised me, he fulfilled his promise."
Indexes
Dar-us-Salam reference Sahih al-Bukhari Hadith 3729
In-book reference Book 62, Hadith 77
USC-MSA web (English) reference Volume 5, Book 57, Hadith 76
১০| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০১
কানিজ রিনা বলেছেন: যে দেশে জম্মগত হারে কন্যা সন্তান বেশী
পুরুষ সন্তান কম সেইসব দেশে এই হাদীস
প্রয়োগ হতে পারে। অন্যথায় নয়। হাদীস
মানুষের জন্য, হাদীসের জন্য মানুষ নয়।
সামাজিকতায় সুচ্ছৃখ্যলতা বয়ে আনে এমন
হাদীস প্রয়োগ প্রয়োজন।
এই চার বিবাহ হাদীসে অনুমতি দানের
নিয়ম গুল কেউ পড়ে দেখে না কিছু
দুষ্ট চরিত্রের পুরুষ এই হাদীস ব্যবহার
করে নিজের চরিতার্থের স্বার্থে ব্যবহার
করে। তারা ইসলামের নিয়ম নীতি কিছুই
না মেনে শুধু মাত্র দৈহিক স্বার্থে চারটা
বিবাহের হাদীসের অজুহাত খাড়া করে।
যা পরিবার সমাজ ক্ষতি গ্রস্থ হয়।
খুজে দেখলে দেখা যায় তারা সমান
অধিকারতো দুরে থাক পুর্ববর্তী স্ত্রী বা
সন্তান তার দ্বারা ভিষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ
হয়। আর যে হাদীস সমাজ পরিবার ক্ষতি
গ্রস্ত হয় সেই হাদীস প্রয়োগ বন্ধ করলে
সমস্যা কোথায়? কত কত হাদীস প্রয়োগ
হয়না যেমন চোর চুরি করলে হাত কেটে
দেওয়ার নিয়ম। এরকম অসংখ্য হাদীস
প্রয়োগ হয়না। শুধুমাত্র এই হাদীস বলবত
রাখার কারন হয়ত বুঝিয়ে বলার দরকার
হয়না।
হযরত মোহাঃ সাঃ আমলে এ হাদীস ব্যবহার
হয়েছে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত অবস্থায় যে সব মুসললিম
পুরুষ সহীদ হয়েছে তাদের স্ত্রীদের সম্মানার্থে
সচ্ছল পুরুষরা এসব মেয়েদের বিবাহ করতে
পারবে। তথাপি প্রথম স্ত্রীর অসম্মান না
দেখিয়ে। এখনও কি তেমন যুদ্ধ হয় নাকি
যে এ হাদীস বলবত রাখতে হবে।
চরিত্রহীন কাপুরুষদের জন্য এদেশে পতিতালয়
খোলা আছে তথাপি কেন হাদীসটা বলবত
থাকবে। নারীরাই কেন দ্বীতিয় তৃতীয় চতুর্থ
বিবাহর মাধ্যমে এত ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
পতিতালয়ে যে নারী বিক্রি হয় সবই ধোকা
দিয়ে তাদের পতিতালয়ে উপস্থিত করা হয়।
চরিত্রহীন বহুগামী পুরুষের কারনে নারীরা
কেন ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ঘুরে ফিরে সব
দোশের বোঝা নারীরা বয়ে বেড়াবে।
একটা সুস্থ পরিবার একটা সুস্থ সমাজের অঙ্গ
অথচ কাপুরুষ জাতিয় মানুষ এ হাদীস ব্যবহার
করে দুই বা তথদীক বিয়ে করে পরিবারে
বিচ্ছৃংখ্যলা সৃষ্টি করে। ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টে।
১১| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৩
শামচুল হক বলেছেন: সামর্থ থাকলে চারটা বিয়ে, না থাকলে একটাও না।
১২| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: অদৃশ্য সাঁকো ধরে অলক্ষ্যে পেরিয়ে যাই দৃশ্যমান সব ...এইসব।
১৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: বহুবিবাহ হারামও নহে, খারাপও নহে। ইসলাম ইহাকে শর্তসাপেক্ষে জায়েজ করিয়াছে। সমস্যা হইল আমাদের নারীবাদী আর সেকুলাঙ্গাররা ইহার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালাইয়াছে যে নারীকুল আর ম্যাংগোপিপলের কাছে ইহা হারাম মনে হইতেছে , অথচ পতিতালয় গমন , পরকীয়া তেমন অপরাধ মনে হইতাছে না ! হালালকে হারাম মনে করাও হারাম , হারামকে হালাল মনে করাও হারাম !
আমাদের আকাবেরিনদের মধ্যে স্বয়ং আশরাফ আলী থানুভী র. বহুবিবাহ নিরুৎসাহিত করিয়াছেন , কারণ সমতা রক্ষা কঠিন আর এই জমানায় প্রায় অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইয়াছে। সমতা রক্ষা কঠিন হইলেও পতিতালয় গমন ও পরকীয়ার চেয়ে বহুবিবাহ ভালো !
চাঁদগাজী কাহু তো মুসলমান ! তা ধনী হওয়ার পরে তিনি কয়টা করিয়াছেন ? আর গরিব হইলেই মুসলমান যদি বহুবিবাহ করিত তাহা হইলে আমার কেন বহু নাই !!!!!! ইসলাম লইয়া মেও মেও পেও পেও আর কত ?
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
কাইকর বলেছেন: শেষের দিগের কথাগুলো বেশী ভাল বলেছেন।