নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাত্র ৬৪ ওভার খেলে ২৩২ রানেই গূটিয়ে গেল বাংলাদেশ। (ওদিকে এই লেখা যখন লিখছি তখন শ্রীলংকা বিনা উইকেটে ৬০ করে ফেলেছে) অলআউট হবার আগে প্রথম দিনের আরো খেলার বাকী ছিল প্রায় ২৬ ওভার! একেই কি টেস্ট খেলা বলে? বাবারা তোমরা তাহলে কি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ খেলবা নাকি? যদি চাও তো আমরা আবার উলটা আন্দোলন করি।
একটা ইনিংস দেখে হতাশ হয়ে এসব বলছি না। বেশীরভাগ খেলোয়ারের আউটের ধরণ দেখে এমন বলছি। প্রথমেই বলি শামসুরের কথা। তাকে টেস্ট ক্যাপ পাওয়ায় অভিনন্দন। কিন্তু কাছে পেলে তাকে জিজ্ঞেস করতাম সে কি টেস্ট খেলতে নেমেছে নাকি বিপিএল-এর কোন ম্যাচ খেলছে। সে ৩৩ বলে ৩৪ রান করেছে। এর মধ্যে চারের মার আছে ৭ টি!! স্ট্রাইক রেট ৯৭.০৫!! চার তো ভালই মারতে পারেন ভাইজান। এখন দেখার বিষয় দিনের শেষে ঐ ৭ চার কতটুকু কাজে লাগে। বরং সে যদি ৩৪ রান করতে ১০০ বা ১৫০ বলও খেলত কোন আপত্তি ছিল না। টেস্ট খেলা হলো ধৈর্যের খেলা, ক্রিজে টিকে থাকার খেলা। ডট বল দিতে দিতে বোলারের জিহবা শুকিয়ে ফেলতে হবে, তাদের মনোসংযোগ চুরমার করে দিতে হবে। তবেই না বড় ইনিংস আসবে।
আসলে এই জায়গায় দরকার ছিল আশারাফুলের। শ্রীলংকার বিপক্ষে সে অতুলনীয়। মুশফিক নিশ্চয়ই তার অভাববোধ করেছেন। কেন যে এই ভ্যাজালে সে গেল!!
তামিম ইকবালের হানিমুনের রেশ এখনো কাটেনি বোধহয়। তাকে সেকেন্ড ইনিংসে অবশ্যই পুষিয়ে দিতে হবে। মার্শাল আইয়ুব মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামলেন। কিন্তু এবারো কিছু হলো না। আমার প্রশ্ন হলো শ্রীলংকার মত একটা দলের বিপক্ষে একেবারে আনকোড়া দু’জন (শামসুর ও মার্শাল আইয়ুব)নামানো কি ঠিক হয়েছে? এটা ঠিক তারা রানের মধ্যে ছিল। তবু টেস্ট খেলা বলে কথা।
মমিনুল কে নিয়ে বলার কিছু নেই। গত টেস্টগুলোতে সে অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। তাকে সেকেন্ড ইনিংসে দেখি। সাকিব-মুশফিক আমাদের পরিক্ষীত ব্যাটসম্যান। অনেক অসাধারণ ইনিংস তারা উপহার দিয়েছেন। আজো দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের! খুব বেশীদুর যেতে পারেননি তারা। যদিও মনে হলো মুশফিকের আউটটা হয়নি।
আচ্ছা মুশফিক ৬ নম্বরে নামে কেন কেউ কি বলতে পারবেন? সে এক কথায় দলের সেরা ব্যাটসম্যান। সে বড়জোড় টু ডাউনে নামতে পারে। কোনক্রমেই এত পরে নয়। অবশ্য অবশ্যই তাকে আরো উপরের দিকে ব্যটিং করতে হবে। নাসির খুবই ট্যালেন্টেড প্লেয়ার। কিন্তু কিছুদিন হলো তার ব্যাট কথা বলছে না। খুব তাড়াতাড়ি তাকে রানে ফিরতে হবে। তার বড় ইনিংস খেলা খুব জরুরী। সোহাগ গাজী মূলত বোলার। সে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছে। আর কত আশা করতে পারি তার কাছ থেকে? তবে তাকে বোলিং ভাল করতে হবে।
বাকীরা যথাসাধ্য চেস্টা করেছে। যাইহোক, সবমিলিয়ে মাত্র ২৩২ রান।
এখন সবচেয়ে গুরুতর প্রশ্ন হলোঃ এই টেস্ট কি বাংলাদেশের পক্ষে বাঁচানো সম্ভব? আমার তো কোনমতেই বিশ্বাস হচ্ছে না। প্রথম দিনেই যদি ম্যাচের রেজাল্ট আন্দাজ করা যায় তাহলে কি ভাল লাগে? আমরা জানি শ্রীলংকা বরাবরই আমাদের জন্য ত্রাস। তাদের সাথে কোনভাবেই পেরে উঠে না বাংলাদেশ। কিন্তু তাই বলে, পুরো দিনটাও খেলতে পারবে না? নিজের ঘরের মাঠে খেলা। দর্শকদের প্রাণঢালা সমর্থন নিয়েও এমন পারফরমেন্স খুবই হতাশাজনক। দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে খুব বেশী আশাবাদী হতে পারছি না। দেখা যাক।
বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেওয়ার যে অপচেস্টা চলছে ক্রিকেটপ্রেমীদের অকুন্ঠ সমর্থনের ফলে অশুভ চক্র আপাতত পিছু হটেছে। জনগণ পাশে ছিল, থাকবে। এখন আমাদের খুব প্রত্যাশা থাকবে খেলোয়ারগণও মাঠে এর জবাব দিবে। বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আবার ঘুড়ে দাঁড়াবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৭
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনি চরম আশাবাদী মানুষ। ভাল লাগলো। তবে ঐ যে বলেছেন 'এই ম্যাচ বাচানো বাংলাদেশের পক্ষে প্রায় ১০০% অসম্ভব'-আমিও তাই মনে করি। কারণ ইতিহাস বলে সেকেন্ড ইনিংসে আমরা আরো খারাপ খেলি। /(
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯
দি সুফি বলেছেন: এই ম্যাচ বাচানোর কোন উপায় দেখছি না। দ্বিতীয় ইনিংস থেকেই ব্যাটস্ম্যানরা নিজেদের শুধরে নিতে পারবে, এবং পরবর্তী ম্যাচে ভালো করবে - এই আশাই করতে পারি।
বাংলাদেশ বা জিম্বাবুয়ে, কেউই টেস্ট খেলা থেকে বাদ পরবে না। তবে সম্ভবনা খুবই বেশি আগের চেয়ে আরো কম ম্যাচ খেলতে পারবে! হয়ত বছরে ২টা ম্যাচ!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।
বিগ থ্রি-র প্রস্তাবনা এখন পাশ করাতে না পারলেও ওরা বিশেষ করে ভারত এর শেষ দেখে ছাড়বে। কারণ এত টাকার লোভ সংবরণ করা খুব কঠিন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬
হেডস্যার বলেছেন:
আনকোরা প্লেয়ার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামানো ঠিক হয় নাই।
আজকের খেলা দেখে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে এই ম্যাচ বাচানো বাংলাদেশের পক্ষে প্রায় ১০০% অসম্ভব।
দেখা যাক কি হয়....আমি কিন্তু মোটেই হতাশ নই।