![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়" বলে একটা কথা আছে। যে বাঁশের কঞ্চি, বাঁশের চেয়েও বড় সে বাঁশ এক সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এজন্য আগে থেকেই এসব কঞ্চি কেটে ফেলে পরিস্কার করে রাখতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী আছেন যারা এতো বেশী ভাব নেন যে উপরের কথাটাই সবার আগে মনে পড়ে। কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা বা কর্মকর্তারাও এতো বেশি ভাব নেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে গিয়েছিলাম মেডিকেল কার্ড করতে। এতোদিন প্রয়োজনও পড়েনি, আর আলসেমির কারণে কার্ড করাও হয়ে উঠেনি।
সপ্তাহ খানেক আগে মেডিকেল সেন্টারের দোতলায় যেখানে কার্ড করতে হয় সেখানে গিয়েছিলাম। এক ভদ্রমহিলা সেখানে বসেন। বললাম যে কার্ড করতে চাই।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সাথে ছবি আছে কিনা।
-জ্বি, আছে।
-আইডি কার্ড আছে?
-জ্বি, আছে।
-কলম আছে?
-না।
-তাহলে কলম নিয়ে আসেন।
-এক কলমের জন্য আবার আসতে হবে? এখানকার কলম কি দেয়া যাবে না?
-না।
অবাক হয়ে ফিরে আসলাম। আজকে আবার গেলাম; কলম নিয়ে। ফরম দিতে বললাম।
তিনি জানালেন যে, উনার খুব গরম লাগছে। তিনি এখন ফরম দিতে পারবেন না। আমি যাতে পরে আসি। বলেই তিনি উঠে চলে গেলেন।
"আশ্চর্য! এক কার্ড করার জন্য কতবার আসবো?" আমি একথা বলতে বলতে তিনি বাইরে চলে গেলেন।
সরকারী অফিসে বড় বড় কর্মকর্তারা ফাইল সরবরাহ করা নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি করেন, তাকে "আমলাতান্ত্রিক জটিলতা" বা "Red tape" বলে। তাহলে, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা যে জটিলতা সৃষ্টি করেন সেটা কি?
এটা কি তাহলে, "কামলাতান্ত্রিক জটিলতা"?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
বুলস আই বলেছেন: কঞ্চি কাটি চাটাই বানায় বেচমু ভাত খামু