নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেও না দেখার ভান করি, আজ থেকে চলুন তাই দেখি।

রিয়াদ আল সাহাফ

রিয়াদ আল সাহাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাচেলর কথন

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

লেটস হ্যাভ এ ডিসকাসন এ্যাবাউট ব্যাচেলর লাইফ।

শীতের সকালে এক বড় ভাইকে ডেকে তোলার দায়িত্ব ছিলো আমার উপর। ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেখি ভাই বিছানার উপর চিৎ পটাং শুয়ে ঘুমাচ্ছেন। পায়ে স্নিকার্স পড়া। কম্বল দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা। শুধু জুতা সমেত পা দুটো কম্বল আর বিছানার বাইরে উকি মারছে।
ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, জুতা পড়ে ঘুমান কেন?
বললো, অনেক টায়ার্ড ছিলাম। তাই বাইরে থেকে এসেই শুয়ে পড়েছি।
-জুতা খোলারও টাইম পাইলেন না?
-আরেহ, জুতা খুললেই তো গন্ধ বের হবে। পা ধুইতে হবে। শীতের রাতে ওইটা ক্যামনে সম্ভব? গত চারদিন থেকে জুতা পড়েই ঘুমাচ্ছি।
-চারদিন? গোসল করেন না?
-না।
অবাক হয়ে মুন্নি সাহার মতো ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি জানতে চাইলাম।
বললেন, আসলে তেমন সমস্যা হয় না। তবে তবে জুতার ভেতর মোজাটা পিচ্ছিল হয়ে গেছে। হাটতে হাটতে হঠাৎ ব্রেক করে দাড়ালে স্লিপ খাই।
অবাক হলাম না। তাই হবার কথা। ভাইকে দুইটা পরামর্শ দিলাম।
পরামর্শ ১. যখন জুতা মোজা খুলবেন তখন নাক মুখ কাপড় দিয়ে শক্ত করে বেঁধে নিয়েন। নাহলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
পরামর্শ ২. মাছ কাটার সময় মানুষ যেমন ছাই ব্যবহার করে, মোজা খোলার সময় আপনিও ছাই ব্যবহার কইরেন। নাহলে খুলতে সমস্যা হবে।
পরামর্শ দিয়েই ফিরে এসেছিলাম। পরে তিনি কিভাবে কি করেছিলেন আমার আর জানা নেই।
আরেকদিন রাতের বেলা রুমে ফিরলাম। দেখি এক রুমমেট সারা কম্বল জুড়ে বডি স্প্রে দিচ্ছে। ওর ৪০০ টাকা দামের বডি স্প্রের ২০০ টাকা মনে হয়ে কম্বলেই গেলো।
জিজ্ঞেস করলাম, ঘটনা কি?
বললো, পুরো মাস ব্যবহার করার পর কম্বলটায় গন্ধ হয়ে গেছে। তাই বডি স্প্রে দিচ্ছি। ধুয়ে দেয়ার চেয়ে বডি স্প্রে দেয়াই সহজ।
মানুষের মাথায় যে এতো বুদ্ধি, আমার ধারণাই ছিলোনা।
অনেকেই আবার বিছানার চাদর ধোয়ার ব্যাপারে উদাসীন হলেও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুব সতর্ক।
বিছানার চাদর বা বালিশের কভার একবার ধুয়ে দিলে মাসখানেক নিশ্চিন্তেই চলে যায়। তারপর চাদর আর বালিশ উল্টে ব্যবহার করা যায় আরো দেড় মাস। ততদিনে মনে হয় আরে চাদরের অপর পাশ তো বেশী পরিস্কার। সেটা উল্টে ব্যবহার করা হয় আরোও একমাস।
এভাবে উল্টে পাল্টে যখন ছয় মাস বা কারো কারো এক বছর চলে যায় তখন ধোয়ার নাম নেয়া হয়।
শার্ট প্যান্ট ধোয়ার ব্যাপারেও মোটামুটি একই অবস্থা। আমি যখন কাপড় ধুই পরনেরটা বাদে সবই ধুয়ে দেই। ধোয়া শেষে কি যে শান্তি লাগে!
প্রথম প্রথম প্রতিদিন একটা করে ধোয়া ড্রেস পড়ি। তারপর ইস্ত্রি করা ড্রেসগুলো শেষ হয়ে গেলে আবার রিপিড করি।
একটা শার্ট তিনদিন পড়ার পর এটা বাদ দিয়ে আরেকটা চারদিন পড়ি। এভাবে সব শার্ট শেষ হয়ে গেলে মনে হয় আরে প্রথমবার তিনদিন পড়ে যেটা বাদ দিয়েছিলাম সেটা তো দেখি পরিস্কার লাগছে। সেটা আবার...
...এই চক্র চলতেই থাকে। চলতেই থাকে। আর বডি স্প্রে মেথড্ তো আছেই।
চিন্তা কি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গল্পটা চরম হইছে রে ভাই। তবে আরো গল্প জুড়ে দিলেও হতো। আরেকটি কথা আপনার গল্প কিন্তু রিপিট হয়ে গেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: আসলে এডিট করার সময় ওটা রিপিট হয়ে গিয়েছিল টের পাইনি। ধন্যবাদ, ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য আর পছন্দ করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.