![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্যাম্পাসে পিচ্চি পিচ্চি বাচ্চাগুলোকে কি কখনো পলিথিনের ভিতর নাক মুখ ঢুকিয়ে নিঃশ্বাস নিতে দেখেছেন? বলুন তো, এটা কি কোন খেলা নাকি অন্য কিছু?
এটা আসলে এক প্রকার নেশা। যা "ড্যান্ডি" নামে পরিচিত। পলিথিনের ভিতর জুতার আঠা নিয়ে নিঃশ্বাস নিলেই মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম শুরু হয়।
আমরা কিন্তু দেখেও না দেখার ভান করি।
আজকে দেখলাম আন্তজাতিক ভাষা শিক্ষা ইন্সটিটিউটের সামনে একটি মেয়ে একটি ছেলের উপর চড়াও হয়ে লাথি, কিল, ঘুষি চালাচ্ছে। সাথে অশ্লীল গালি-গালাজ। ছেলেটিও থেমে নেই। পরে জানতে পারলাম তারা ভাইবোন। বোনটি ড্যান্ডিতে আসক্ত। বড়ভাই শাষণ করতে যাওয়াই এই অবস্থা।
কয়েকদিন আগে দুপুরের দিকে আমি আর আমার এক বান্ধবী রোকেয়া হলের সামনের ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়লো নোংরা লুঙ্গি আর গেঞ্জি পড়া, উসকো খুসকো চুলের এর লোক, বয়স প্রায় ৪০, নিজের ডান হাতে বাম বাহুতে ইঞ্জেকশন নিচ্ছে। কারোই বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা ড্রাগস।
আমি ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এই, কি হচ্ছে এখানে?
বললো, ভাই, এটা একটা নেশা।
-সেটা তো বুঝতেই পারছি।
-তাইলে আবার জিজ্ঞেস করেন ক্যান?
-এটা কি নেশা করার জায়গা?
-ভাই, আমি তো আড়াল হয়েই নিছি। আপনার সম্মান আপনি রাখলেই হয়।
আমি রেগে গিয়ে বললাম, দাড়া, তোদের এই ক্যাম্পাস ছাড়া করার ব্যবস্থা করছি।
কথাটা শুধু বললামই। বাস্তবে কি কিছু করতে পেরেছি?
এই দৃশ্যটা কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাসে আনকমন না। আমরা সবাই মনে হয় এরকম দৃশ্য প্রায় প্রতিদিনই দেখি।
প্রতিদিনই ক্যাম্পাসের ফুটপাতগুলোতে দেখবেন নেশাগ্রস্থ লোক রাতদিন পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। দোয়েল চত্ত্বর থেকে চাঁনখারপুল রোডে এটা সবচেয়ে বেশী হয়।
আমরা কেউ কিছু বলিনা, দেখেও না দেখার ভান করি, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নিরাপদ জায়গা হিসেবে এরা দলে দলে এখানে ভীড় জমায়। আর ক্যাম্পাসটাকে নেশাগ্রস্থদের অভয়াশ্রম বানিয়ে ফেলেছে।
সুযোগ পেলে এরাই কিন্তু চুরি, ছিনতাই করে। নেশার টাকাতো জোগাড় করতেই হবে।
আরেকদিন দেখলাম সাদা জোব্বা, টুপি পড়া, দাড়িওয়ালা এক লোক যাচ্ছে। দেখেই সালাম দিতে ইচ্ছা করে। কার্জন হলের যেখানে ভার্সিটির বাসগুলো দাড়িয়ে থাকে, সেখানে নিজেকে একটু আড়াল করে জোব্বাটা উড়ু পর্যন্ত তুলে নিজেই ইঞ্জেকশন নিলো। তারপর ডানেবামে তাকিয়ে সোজা চলেডান্ডি
আমরা দেখেও না দেখার ভান করি। কিন্তু, কিছুই কি করতে পারবো না? কিছু কি করা উচিৎ না?
একবার একজনকে পেছন থেকে সজোড়ে লাথি মেরেছিলাম। এখন থেকে যাকে যেখানে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় পাবেন, সেখানেই দু-চারটা লাথি বসিয়ে দিবেন। নাহলে...
নাহলে, কয়েকদিন পর হয়তো আপনাকেই ছুরি ধরে ছিনতাই করবে। কি আর করার?
নেশার টাকা তো জোগাড় করতেই হবে।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৯
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমার বা আপনার ওদের ভালোর জন্য কিছু করার প্রয়োজন নাই। আমাদের নিজেদের ভালোর জন্যই কিছু করা উচিৎ। আমার বা আপনার বাবা, মা যদি আমাদের ক্যাম্পাসে এসে এই পরিবেশ দেখে, মান সম্মান টা কোথায় গিয়ে দাড়ায়? আর ওরা ছিনতাই করলে তো আমাদের পকেট থেকেই করবে, তাইনা?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
অমিত অমি বলেছেন: নিজের ভালো নিজে না বুঝলে আমি, আপনি কিইবা করতে পারি!