![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বড় হয়ে আমি একজন ডাক্তার হতে চাই। ডাক্তার হয়ে আমি দেশের জনগণের সেবা করতে চাই।"
এই কথাগুলি আমরা প্রায় সবাই একসময় "আমার জীবনের লক্ষ্য" রচনাতে মুখস্থ করে লিখে এসেছি। কিন্তু যারা ডাক্তার হয়েছেন, কথাগুলোর সিকি ভাগ কি পালন করেন?
আমার তো মনে হয় ডাক্তাররা আজকাল মানুষকে মানুষ ই মনে করেন না। আমার পরিচিত এক ডাক্তারের কথা বলি। উনি ঢাকার নামকরা এক মেডিকেল কলেজের প্রফেসর। চেম্বার আছে নামকরা এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
উনার ভিজিটিং কার্ডে লেখা আছে সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ থেকে চেম্বার খোলা। বাস্তবে কখনোই এই সময়টাতে উনাকে পাওয়া যায় না। উনি যদি সন্ধ্যা ৭ টায় দেখা করার কথা বলেন, আপনার সিরিয়াল আসতে আসতে ৮ঃ৩০ বাজবে; মোটামুটি শিউর।
তিনি আবার ওই নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছাড়া অন্য কোন ডায়াগোনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট করানো হলে রিপোর্ট দেখবেন না। ফলে যেই লোকটার এ্যাপোন্টমেন্ট রাত ৯ঃ০০ টায় নেয়া তার সকাল ৯ঃ০০ টায় আসা লাগে। আর যিনি ঢাকার বাইরে থেকে আসেন, তার তো ডাক্তার দেখানোর জন্য তিনদিন সময় বাজেট করে রাখতে হয়। আর যার ঢাকায় থাকার মতোন কোন আত্বীয়-স্বজন নাই তার তো আরোও দূরবস্থা। তীর্থের কাকের মতো সারাদিন এক জায়গাতেই বসে থাকতে হয়। উনি যদি এলাকা থেকে রিপোর্ট আনতেন আর ডাক্তার যদি তা দেখতেন, তাহলে কত সুবিধাই না হতো।
তারপর সরকারী হাসপাতালে গেলে ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ তো আছেই। সরকারী হাসপাতালে তাদের পাওয়া যায়না, সারাক্ষণ পড়ে থাকবেন তাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে।
সারাক্ষণ শুধু টাকার পিছনেই দৌড়।
একদিক দিয়ে আবার ঠিক ই আছে। টাকা কামাই না করলে জনগণের সেবা করবেন কিভাবে?
এখন উনারা টাকা কামাইয়ে ব্যাস্ত। টাকা কামানো শেষে একদিন হয়তো জনসেবায় নামবেন। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা।
সে অপেক্ষা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন আব্দুল্যাহ ভাই।
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
স্টেনটোরিয়ান বলেছেন: এই ধরনের ডাক্তারদের লাই দিয়ে মাথায় উঠানো হয়েছে। কি দরকার তার কাছে যাওয়ার? দেশে কি ডাক্তারের অভাব? সামান্য সর্দি জ্বর হলেও প্রফেসর দেখান চাই। রোগীকে টাইম দিয়ে যদি ডাক্তার সেটা নিজেই পালন না করে, আর সেজন্য যদি রোগী অন্য ডাক্তার দেখায়, তাহলে ঐ ডাক্তারের বাপও সময়মত রোগী দেখবে। যে সকল ডাক্তার নির্দিষ্ট ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট ছাড়া রোগী দেখেন না, তাদের বর্জন করলেই হয়। লম্বা লম্বা বাণী দিয়ে গিয়ে তো আবার ঐ ডাক্তারের কাছেই যায়। তাহলে ডাক্তার ভাব মারবে না কেন?
০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: আসলে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের লাই না দিয়ে উপায় থাকে না। জীবন মরনের ব্যাপার তো তাই কষ্ট হলেও ভালো ডাক্তারের কাছে সবাই যেতে চায়। তিনি মানুষ হিসেবে যেমন ই হক না কেন, ডাক্তার হিসেবে ভালো। আসলে আমাদের কালচার তাই এমন হয়ে গেছে (ব্যাতিক্রম অবশ্যই আছে), আমি আপনার কাছে গেলে আপনি ভাব নেবেন, আর আপনি আমার কাছে আসলে আমি ভাব নেবো। আমাদের চেঞ্জ হওয়াটা খুব জরুরি ভাই।
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশের পেশাজীবিদের ৯৯% মানুষই দুর্ণীতিবাজ লোভী পরশ্রীকাতর হীংসুটে। আদর্শ মানবতা বলে এদের কিছুই নেই। বাকি ১% ভাল নেই।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: এর মাঝেও ভাই, ব্যাতিক্রম আছে। তবে দুর্নীতিবাজদের ভিড়ে এরা মুখ খলার সুজগ পায়না। দেখবেন সৎ পুলিস অফিসার দের এমন যায়গায় পাঠাবে যে বউ বাচ্চা নিয়ে চলাই মুস্কিল হয়ে পড়ে।
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
ডাঃ মারজান বলেছেন: ডাক্তার নাকি ডিকটেটর
শিরোনামটি আমার মতে সঠিক নয়। সবাইকে এক কাতারে ফেলবেননা।
আপনি অসুস্থ হলে কার কাছে যাবেন? অবশ্যই ডাক্তারের কাছে। আল্লার ইচ্ছায় সুস্থ হয়ে উঠবেন। যখন আপনারা গালি দেন সবাইকে গালি দেন। ভালো ডাক্তারের কথা কখনই বলেন না। যখন হাজারো মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন, তখন এই অধম ডাক্তার গুলাই পাশে দাঁড়িয়েছিল, রাত দিন সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছিল। তাদের অবদান আপনারা ভুলে গেছেন। তাই দয়া করে যারা সৎ ভাবে দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকে শ্রদ্ধা করুন। রাতের বেলা আপনি যখন ঘুমান, তখন জরুরি বিভাগ, আই সি ইউ সহ অনেক জায়গায় অনেক ডাক্তার নির্ঘুম রাত্রি যাপন করেন। ভালো থাকবেন ।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: কথাটাকে পার্সোনালি নিবেন না প্লীজ। এরকম ডাক্তার দেশে অহরহ আছে এটা তো স্বীকার করবেন। সব পেশায় ভালো খারাপ আছে, এটা আমিও জানি। এরকম অনেক ডাক্তার, নার্স আছেন যারা নিজের বাবা মা এর ছেয়েও বেশী সেবা করে থাকেন। আমি কিন্তু সবাইকে দোষারোপ করিনি, তবে যিনি নিজের পোস্ট ও ডেসিগনেশন এর অপব্যাবহার করেন তাকে ব্লেম নিতেই হবে।
আর মুক্তিযুদ্ধে ডাক্তারদের অবদানের কথা বলছেন? সেটা ভুলে যাবার কোন কারন নেই। তবে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, মুক্তিযুদ্ধে সব পেশার মানুষ ই যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে গিয়েছিল। যেই মহিলাটা মুক্তিযোদ্ধাদের দিনের পর দিন রান্না করে খাইয়েছিল, যিনি নিজের গয়নাগুলো ফান্ডে দান করেছিলেন উনাদের ও অবদান কম না।
একজন ডাক্তার যেমন রাত জেগে জরুরি বিভাগে রোগীদের সেবা দেন তেমনি একজন নাইট গার্ড ও রাত জেগে পাহাড়া দেন। যে যে যার যার দায়িত্ব অনুযায়ী সম্মানের যোগ্য। তবে দায়িত্ত্ব অবহেলা করলে সবার ই তার প্রতিদান দিতে হবে।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার কনসার্নটা ঠিক। তবে উপস্থাপনে একটু ভূল আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন ডাক্তারকে চিনি যারা বিনামূল্যে গ্রামে রোগী দেখেন।
তবে আসলেই পয়সা পাগল ডাক্তারের অভাব নাই। এমনকি বিবেক বর্জন করে এরা অনেকেই কসাইয়ের মতো আচরণ করতে সিদ্ধহস্ত। কিছুই করার নেই, আমাদের জাতির সবদিকেই আজ অসংগতি।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি সবাইকে দোষ দিচ্ছি না। তবে গুটি কয়েক জন মানুষের জন্য আসলে সব যায়গায় অন্য সবা্র দোষ হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
আব্দুল্যাহ বলেছেন: শিরোনামটি অনেক ভালো লাগল