নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেও না দেখার ভান করি, আজ থেকে চলুন তাই দেখি।

রিয়াদ আল সাহাফ

রিয়াদ আল সাহাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশ ও পিঠ চুলকানি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

ছেলেদের রাতে ঘোরাঘুরি করা নতুন কিছু না। আমিও মাঝেমাঝেই বের হই। টিএসসি, মল চত্ত্বর, পলাশী, বুয়েট ঘুরে বেড়াই। মাঝেমাঝে চলে যাই ক্যাম্পাসের বাইরে।

গত কয়েকদিন আগে রাতে আমার তিনজন বন্ধু সাইক্লিং করতে বের হয়েছিলো। তারা তিনজন দুইটা সাইকেল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শাহবাগ, বাংলা মটর, কাওরানবাজার হয়ে চলে যায় হাতিরঝিলে। পুরো হাতিরঝিল চক্কর মেরে তারা যখন হলে ফিরছিলো তখন রাত প্রায় তিনটা। চলছিলো পুরোদমে ফটোসেশন আর সিগারেট খাওয়া। তারা যখন হোটেল সোনারগাঁও এর সামনে তখন টহলরত পাঁচ থেকে ছয়জন পুলিশ সদস্য তাদের পরিচয় এবং কোথায় গিয়েছিলো তা জানতে চায়।

আমার বন্ধুরা সিগারেট খাওয়া ছাড়া চোখে পরার মতো আর কিছু করেনি তা আমি শিওর।

তারা বললো যে তারা ঘুরতে গিয়েছিলো এবং সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এটা শোনা মাত্রই তাদের মধ্য থেকে একজন ইচ্ছামতো গালাগালি শুরু করলো।

না না, সভ্য সমাজে বলার মতো কোন গালি না। তবে অমুকের বাচ্চা, তমুকের বাচ্চা, এছাড়াও মাবাবার নাম তুলে অকথ্য গালি।

পুলিশের অধিকার ছিলো তাদেরকে ততক্ষণাত হলে ফেরার আদেশ দেয়া।

পুলিশ পারতো তাদের সবাইকে চেক করতে।

কিংবা, ক্যান্টনমেন্ট এলাকাগুলোতে যেরকম সাইকেলে ডাবলিং করা নিষেধ তেমন ভাবে ধমক দিয়ে হেটে হেটে হলে ফিরতে বাধ্য করতে পারতো।

পারতো রাত সাড়ে তিনটায় জনসম্মুখে সিগারেট খাওয়ার অপরাধে জরিমানা করতে।

পুলিশ পারতো সন্দেহভাজন হিসেবে সবাইকে গ্রেপ্তার করতে।

কিন্তু, কোন আইন বা অধিকার বলে তারা মাবাবার নাম তুলে গালি দেবার সাহস পায় তা আমার বোধগম্য নয়।

সবকিছু শুনে বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলাম তারা এটার প্রতিবাদ করেছিলো কিনা।

ওরা বললো, না কোন প্রতিবাদ করেনি। কারণ তিনজন মানুষ ছয়জন মানুষের সাথে পেরে উঠবে না।

আমি তাদের ধন্যবাদ জানালাম। আসলে সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়না। কে জানে, প্রতিবাদ করলে হয়তো গ্রেপ্তার হতে হতো কোন না কোন অজুহাতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদিরের কথা মনে আছে, নিশ্চয়? হয়তো এমন ই কোন ঘটনার প্রতিবাদ করেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। হাজতে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছিলো তাকে। (আমার সঠিক মনে নেই, তবে তিনি হয়তো আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন)।

লিমনও নিশ্চয় এমন কোন RAB সদস্যের খপ্পরেই পরেছিলো। যার জন্য মাশূল দিতে হয়েছিলো নিজের পা।

সবকিছু শুনে এক বন্ধু বলে উঠলো, সবকিছু নেগেটিভ ভাবে নিস কেনো? বি পজিটিভ ম্যান। আরোও খারাপ কিছুও তো হতে পারতো।

হ্যা, ব্যাপারটা পজিটিভলি নেয়াই ভালো। পুলিশ তো পারতো তাদের মোবাইল, মানিব্যাগ রেখে ছেড়ে দিতে। এমনো তো কখনো কখনো শুনেছি।

তা তো আর করেনি। পুলিশরা তাদের চারিত্রিক যে বলিষ্ঠতা দেখিয়েছে এজন্য তাদের লাল সালাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

করিম কাকা বলেছেন: রাত তিনটা বাজে শাহাবাগ - বাংলামটর রোডে সাইকেল চালানো কতটা নিরাপদ! গালি দেয়াতে রাগ করলেন! কিন্তু কোন দূর্ঘটনা ঘটলে!!!!সেটা কেমন হতো!

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: আসলে ওই সময় অনেকেই সাইকেল চালাতে বের হয়। আর, গালিতে রাগ করাটা কি স্বাভাবিক না? মানুষ যেই দোষ ই করুক না কেন, মা বাবার নাম নিয়ে গালি দেয়াটা কেউ মেনে নিবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.