নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেও না দেখার ভান করি, আজ থেকে চলুন তাই দেখি।

রিয়াদ আল সাহাফ

রিয়াদ আল সাহাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বাবার গল্প

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

অধ্যাপক ড. আব্দুল আওয়াল। দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে। বর্তমানে অবসরে আছেন। অবসর জীবনে একজন মানুষের চাওয়া আর কি? ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনীর সাথে বাকি জীবনটা পার করে দেয়া। কিন্তু, উনার জীবন কাটছে বৃদ্ধাশ্রমে নিঃসঙ্গ ভাবেই।
আওয়াল স্যারের তিন ছেলেমেয়ে। সবাই আজ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। বড় মেয়ে থাকেন আমেরিকায়, বড় ছেলে অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার, আর ছোট ছেলে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়।
অবসরের পর কিছুদিন তিনি বড় ছেলের সাথেই থাকতেন। কিন্তু, ছেলে আর ছেলের বউয়ের মাঝে এ নিয়েই সমস্যা। একদিন পুত্রবধুর মুখ থেকে গালিই শুনতে হলো। তারপর বাসা থেকে সেই যে বের হয়ে এলেন আর ফিরে যাননি। কোনদিন অবশ্য কেউ কোন খোজও নেয়নি।
ছোট ছেলে দেশে এসে বাবার সাথে দেখা করলেন এক দোকানের সামনে। ছেলের মুখে শুনলেন ছেলের বিয়ের কথা। বৌমাকে দোয়া করতে চাইলে ছেলে জানালো দেখা করানো সম্ভব না। আর এই ছেলের লেখাপড়ার পিছনেই কিনা খরচ করেছেন পেনশনের ২৬ লক্ষ টাকা।
আওয়াল স্যারের ঢাকায় নিজের ফ্ল্যাট ছিলো, ছিলো পল্লবীতে নিজের জায়গা। সবই সুযোগ বুঝে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বড় ছেলে। এখন পেনশনের বাকি কিছু টাকাই উনার শেষ সম্বল।
ঘৃণা জানাই এসব ছেলেমেয়েদের। সন্তান নামের কলঙ্ক এরা।
আর যেন শুনতে না হয় এমন বাবামায়ের গল্প। প্রত্যেক বাবামা ই পাক একটি নিরাপদ শান্তির নীড়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

নীল কপোট্রন বলেছেন: ভালো লাগলো!

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

বর্নিল বলেছেন: সন্তান নামক কুলাঙ্গার গুলোরও যেন এই অবস্থা হয়।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৫

আলাপচারী বলেছেন: কলকাতার এক লেখকের লেখা পড়েছিলাম অনেক আগে। "আপনার জীবন মানে আপনার জীবন, সংসার চালাবেন তবে নিজের জীবনের জন্যও কিছু করবেন যাতে বৃদ্ধ বয়সে অসহায় হতে না হয়।" এটা ভাই আমাদের সবাইকে মেনে চলা উচিৎ।

বি.দ্র. আমার দুই মেয়ে, ওরা ওদের মতো চলে গেলে আমার আর আমার স্ত্রীর কি হবে ভেবে রাতে ঘুম হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.