নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেও না দেখার ভান করি, আজ থেকে চলুন তাই দেখি।

রিয়াদ আল সাহাফ

রিয়াদ আল সাহাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জব সিকিউরিটি মানেই উন্নয়নে স্থবিরতা

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৭

আমার মামা আমাকে আমার ক্যারিয়ার প্ল্যান নিয়ে কোনকিছু জিজ্ঞেস না করেই বললেন, "বিসিএস দাও, বিসিএস। বিসিএস না হলেও সরকারী চাকরী পেতেই হবে।"

আমি বললাম, "মামা, আমার তো সরকারী চাকরি করার ইচ্ছা নাই। প্রাইভেট জব ই আমার ভালো লাগে।"

মামা বললেন, "প্রাইভেট জবে টাকা থাকলেও, প্রচুর কাজের প্রেসার। কোন জব সিকিউরিটি নাই। যেকোন সময় চাকরি চলে যাবে।"

আমাদের কথা কতটুকু এগোলাম সেটা ব্যাপার না। ব্যাপার অন্য। আমরা সবাই জব সিকিউরিটি নিয়ে খুব চিন্তিত, কিন্তু নিজের সার্ভিস এ্যাবিলিটি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। আমার যদি যোগ্যতা থাকে জব সিকিউরিটি নিয়ে কেন আমি চিন্তা করবো। একটা চাকরি চলে গেলে আরোও দশটা চাকরির নেয়ার ক্ষমতা আমরা অর্জন করতে চাই না। আমরা চাই কোনরকমে একটা চাকরি পেলে কাজ পারি আর না পারি সেটাই আজীবন আগলে ধরে রাখতে।

এটা আমাদের সিস্টেমের বড় একটা সমস্যা। সরকারী অফিসগুলো দূর্নীতির আখড়া কেনো জানেন?

এর অন্যতম প্রধান কারন এই জব সিকিউরিটি। ধরেন, গুলশান থানার এক পুলিশ অফিসার দূর্নীতি করে ধরা পড়লো। সেটা যদি ফলাওভাবে প্রচার হয়ে যায় এবং মিডিয়া থেকে প্রেসার আসে তাহলে প্রশাসন তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করবে, বড়জোড় পার্বত্য চট্টগ্রাম।

তো কি হবে? যেই লোক আগে ঢাকায় প্রশাসনের সাথে ঘুষ খেতো এখন সে চট্টগ্রামে বন বিভাগের সাথে গাছ বিক্রি করবে? মানুষ তো ভাই একই, শুধু জায়াগা আর দূর্নীতির ধরণ পরিবর্তন।

এই লোকের যদি চাকরি হারানোর ভয় থাকতো, তাহলে কি সে দূর্নীতি করতো?

সরকারী ব্যাংকগলোতে যান, দেখবেন ক্যাশ অফিসার পাঁচ জনের মধ্যে দুইজন নাই। ক্যাশ ছাড় অন্য কাউন্টারে যান, পানের পিক ফেলতে ফেলতে বলবে "এই কাজ আজকে হবে না। আপনি বরং সামনের বিষ্যুদবার আসেন। হয়ে যাবে।" আসলে কিন্তু ইচ্ছা করলেই তিনি কাজটি করতে পারতেন।

আপনি যদি ম্যানেজারের কাছে কমপ্লেইন ও করেন, কোন লাভ হবে না। একটু ভেবে দেখেন কর্তব্যে অবহেলার জন্য কমপ্লেইনের ভিত্তিতে যদি ওই লোকের চাকরি হারানোর ভয় থাকতো, ওই লোক কি কখনো অবহেলা করতো?

করতো না। এবং নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, সরকারী ব্যাংকের প্রতি মানুষের যে তিক্ততা সেটাও কমতো। গ্রাহক বাড়তো, সরাসরি সরকারের আয় বাড়তো।

আমার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক প্রফেসর আলী আক্কাস স্যারের একটা কথা খুব ভালো লাগলো। উনি ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব্ টেকনোলজি ঘুরে বললেন, "There is no job security rather employability. Job security leads to stagnation."

উন্নত দেশগুলোর কিন্তু চাকরীর কোন নিশ্চয়তা নেই। আপনি চাকরী পাবার পর সার্ভিস দেবার ক্ষমতা না থাকলে তারা আপনাকে সত্যিই কিক্ আউট করবে। তাই, তারা দক্ষতা অর্জনে সচেতন সবসময়।

আর আমরা?

চাকরি একবার পাইলে মাইরি!

সত্যিই জব সিকিউরিটি জিনিসটা স্থবিরতা এনে দেয়, কেড়ে নেয় গতিশীলতা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

আহলান বলেছেন: লম্বা লম্বা লেকচার না মেরে মুরুব্বিদের কথা মতো চলার চেষ্টা করেন, কামে দেবে ... ;)

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪২

কল্লোল পথিক বলেছেন:
ভাই কি কখনও প্রাইভেট জব করেছেন?

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০১

আত্মমগ্ন আিম বলেছেন: কথাটা একদম খারাপ বলেন নি আপনি।
পক্ষে বিপক্ষে দুদিকেই বলা যায়।

জব সিকিউরিটি থাকার সাথে সাথে পারফর্মেন্স এওয়ার্ড এবং ডিমোশনের ব্যবস্থা রাখা উচিৎ। কাজের প্রপার মনিটরিং এর ব্যবস্থা রাখা উচিৎ।
জব সিকিউরিটি না থাকলে আপনি কাউকে কাজ শেখাবেন, সে কয়দিন পর আরেক কোম্পানীতে চলে যাবে। এখনো যাচ্ছে, কিন্তু তখন এর হার আরো বাড়বে।

কাজের প্রতি, প্রতিষ্ঠানের প্রতি মায়া না আসলে আপনি যাই করেন না কেন, কেউই সিন্সিয়ার হবে না!

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৬

বিক্ষুদ্ধ বলেছেন: ভাই আমরা বাঙ্গালী খুবই আরামপ্রিয় জাতি। সরকারী চাকরীতে বসে বসে খাওয়া যায়, সেই সাথে ক্ষমতা আর সুযোগ অনেক বেশি পাওয়া যায়। তাই উন্নত দেশের মত লড়াই করে বাঁচার চিন্তা তুড়ী মেরে উরিয়ে দেই। সরকারী চাকরীতে একবার সুযোগ পাইলে এই সমস্ত খেঁটে খাওয়া প্রাইভেট চাকরীর কথা চিন্তা করার সময় কই? ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.