নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেও না দেখার ভান করি, আজ থেকে চলুন তাই দেখি।

রিয়াদ আল সাহাফ

রিয়াদ আল সাহাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুশান্ত পাল বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক লোকজন এবং আমাদের সমসাময়িক প্রজন্ম সবাই হয়তো সুশান্ত পালের ব্যাপারটা জানেন। কিন্তু এই গণ্ডির বাইরের অনেকের কাছেই ব্যাপারটা ঘোলাটে। তাদের অনেকেই আমাকে ফেসবুকে নক্ করে বা ফোন করে কি হয়েছে তা জানতে চাচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যেই আজ গরুর রচনা স্যরি ‘সুশান্ত পালের’ নামে রচনা লেখা শুরু করলাম।

প্রথমে তার পরিচয় দিয়ে নেই। তিনি চুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ করেছেন। তিনি যথেষ্ট মেধাবী এবং ভালো বক্তা। ৩০তম বিসিএসে তিনি রেকর্ড সংখ্যক মার্ক পান এবং প্রথম হয়ে ‘কাস্টমস অফিসার’ হিসেবে জয়েন করেন। তিনি ‘ক্যারিয়ার আড্ডা’ নামক বিভিন্ন সভা সেমিনার করে বেড়ান। সেসবে সেমিনারে তিনি বিসিএসের প্রতি মোটিভেশনাল বক্তব্য রাখেন পাশাপাশি সদম্ভে নিজের বিজ্ঞাপন করেন। আর করবেন ই না বা কেন? সভা সেমিনার আয়োজন করতে যত লক্ষ টাকাই লাগুক তা তো তিনি নিজেই দেন। এখানে একটু খটকা আছে। একজন সরকারী অফিসার এত্তো এত্তো টাকা কোথায় পান?

নিজের বিজ্ঞাপন করতে করতে অবশ্য তিনি ভালোই সফল। যেখানে যান যুবক যুবতীরা ঘিরে ধরে। ফেসবুকে অলরেডী প্রায় আড়াই লক্ষ ফলোয়ার। যেকোন পোস্ট দিলেই নিমিষেই হাজার হাজার লাইক, কমেন্ট, শেয়ার। পত্রিকাগুলোর পড়াশোনা সেকশনটায় প্রায়ই উনার লেখা, বিসিএস বিষয়ক সাজেশন্স প্রকাশিত হয়।

অবশ্য উল্টোটাও হয়। অনেকেই তার ঘোর বিরোধী। তার নিজের ইউনিভার্সিটি চুয়েটের বেশিরভাগ ছাত্র তাকে উন্মাদ এবং অসামাজিক হিসেবে মনে করেন। তিনিও প্রায় কথায় চুয়েটের শিক্ষকদের অপমান করতে ছাড়েন না। সাধারণত ফেসবুকেই তিনি নিয়মিত স্ট্যাটাস দেন। তার কথার সাথে কেউ ভিন্নমত পোষণ করলেই তিনি তাকে যাচ্ছেতাই ভাষায় অপমান করে ব্লক করে দেন। চুয়েটের এক ছাত্রের মতে চুয়েটের প্রায় এক হাজার ছাত্রকে তিনি ফেসবুকে ব্লক করে রেখেছেন। তবে মেয়েরা এক্ষেত্রে যথেষ্ট ছাড় পান।

উনার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, ইদানিং তিনি বিয়ে করলেও অনেক আগে থেকেই পরনারীর প্রতি তার ভক্তি অপরিসীম। ফেসবুকে উনাকে নক্ করে উত্তর পাওয়া ছেলের সংখ্যা নগণ্য হলেও মেয়েদের তিনি নক্ করে কথা বলেছেন, উত্তপ্ত যৌনালাপ করেছেন এরকম প্রমান অসংখ্য। এইতো মাত্র সেদিন আমার এক পরিচিতা উনার এক পোস্টে কমেন্ট করেছে আর ওমনি তিনি নক্ করে বসলেন। শুধু তাইনা, এটাও জানালেন তিনি তখন ঢাকায় ছিলেন, সময় পেলে যেন তার সাথে দেখা করে। তার কাছে কোন মেয়ে বিসিএসের পরামর্শ চাইলে তিনি পরামর্শের বিনিময়ে অন্য কিছু দাবি করে বসতেন। হুট করেই চ্যাটে চুমু দিয়ে দিয়েছেন বা আরও অশ্লীল কথা বলেছেন এমন স্ক্রীনশটও এখন ভাইরাল।

ঢাবির ছাত্রী বিয়ে করে নিজের বউ এবং ভার্চুয়াল হাজার হাজার প্রমিলা ফলোয়ার নিয়ে দিনকাল ভালোই চলছিলো। বছর খানেক আগে সুশান্ত পাল বিশালাকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সেমিনার করতে চাইলো। যার জন্য দুই লক্ষ টাকা সে নিজেই দেবে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ মানুষ তার আসল রূপ জানে। অনেকেই প্রতিবাদ করলো যাতে সুশান্ত পাল না আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার করা হলো না। অপমানিত হয়ে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন।

আমরা ভাবলাম সব সেখানেই শেষ। কিন্তু সেই ছাই চাপা তুষের আগুন এতদিন নিরবে জ্বলেছে কে জানতো? সেই আগুনটা দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো ইদানিং। তিনি ফেসবুকে একটা নোট লিখলেন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দোজখ, ছাত্রদের অমানুষ, আর ছাত্রীদের কুত্তি বলে সম্বোধন করলেন। যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই তার গল্পে সেটাই ছিলো উপজীব্য। তার বক্তব্য ছিলো খুবই অশালীন, অশ্লীল এবং নোংরা। আল্লাহ্ ভালো জানেন তিনি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামে চালিয়ে দিয়েছেন কিনা।

তার নোংরামিগুলো লিখতে খুব অস্বস্তি হচ্ছে তবুও নমুনাটা দিচ্ছি।

"তার মতে ঢাবিতে অতিমাত্রায় র‍্যাগিং হয়। বড় ভাইয়েরা প্রতিবন্ধীদের অযথা নির্যাতন করে। বই খাতা ছুড়ে ফেলে দেয়। শীতের সময় সারারাত নগ্ন করে বাইরে দাড় করিয়ে রাখে। গেস্টরুমে সবার সামনে মাস্টারবেশন করতে বাধ্য করে। আবার চায়ের সাথে সেই বীর্য মিশিয়ে জোড় করে খাইয়ে দেয়।"

ওয়াক থু!

কিন্তু বাস্তবে সবাই জানে এগুলো সবকিছুই বানোয়াট। ঢাবির ইতিহাসে কখনোই কাউকে র‍্যাগ দেয়া হয়নি, আমার বিশ্বাস কক্ষনো দেয়া হবেও না। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমার যখন মাত্র দ্বিতায় বর্ষে উঠলাম তখন আমাদের হলের নেতা আমাদের কাউকে র‍্যাগ না দিতে কঠোরভাবে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন।

যখন ভর্তি পরীক্ষা হয় তখন পরিচিত অপরিচিত অনেক জুনিয়র পরীক্ষা দিতে আসে। রুমে দুজন অতিথি এলে আমাদের শোবার জায়গা থাকে না। সবাইকে আমরা চিনি না তবুও থাকতে দেই। রুমে তাদেরকে ঘুমাতে দিয়ে আমরা হয়তো একটা রাত ছাদে আড্ডা দিয়ে বা টিএসসি পলাশী হাটাহাটি করে কাটিয়ে দেই। ছাত্ররা যাওয়ার সময় বলে, "ভাইয়া অন্য ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিতে গেলে যেখানে র‍্যাগ খাওয়ার ভয় থাকে সেখানে ঢাবিতে এসে পুরাই উল্টা চিত্র দেখলাম। সত্যিই ঢাবি শ্রেষ্ঠ।"

-তাহলে উনার গল্পে আর বাস্তবতায় এতো আকাশ পাতাল ফারাক কেনো?

-কেনো আবার? ওইতো জমানো ক্ষোভ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সেমিনার করতে না পারার অপমান।

তখন আমরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তার ফেসবুকের পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের প্রতিবাদ করি। কিছুক্ষন পর যখন পোস্টটা সবার নজরে এলো এবং সবাই প্রতিবাদ আর নিন্দা জানাতে শুরু করলো, তিনি পোস্টটা একাধিকবার সংশোধন করলেন এবং শেষমেষ মুছে ফেললেন। কিন্তু ফেসবুকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গ্রুপে সবাই যখন প্রতিবাদ জানানো শুরু করলো, তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে একটা পোস্ট দিলেন। কিন্তু বাস্তবে এই ক্ষমা চাওয়া আর “জুতা মেরে গরু দান করা” একই ব্যাপার।

কিছুক্ষন পর তিনি বেশ কিছু ছাত্রকে ফোন করে ভুল স্বীকার করলেন এবং বারবার কি করণীয় তা জানতে চাচ্ছিলেন। একে ওকে ফোন করে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছিলেন। একজন দুজনকে ম্যানেজ করা সহজ কিন্তু হাজার হাজার মানুষ; ঢাবির সাবেক ছাত্রছাত্রী সবাইকে হিসাব করলে এ সংখ্যা কয়েক লক্ষ। এই লক্ষাধিক মানুষকে ম্যানেজ করা খুব কঠিন। আর ব্যাপারটা যেহেতু ঢাবিকে অপমান করা সেহেতু কঠিন না, এককথায় অসম্ভব।

এরইমধ্যে কিছু মেয়েকে পাঠানো তার কিছু সেক্সচ্যাট প্রকাশিত হয়ে গেলো। এবার যেন “জ্বলন্ত আগুনে ঘিঁ” পরলো। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হলো যে তার বিরুদ্ধে আইসিটি আঈনের আওতায় মানহানি মামলা করা হবে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রফেসর আমজাদ আলী স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের এডমিনদের সকল প্রমানের হার্ডকপি সহ দেখা করতে বললেন।

আজকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মিলিত হয় এবং সুশান্ত পালের বিচার দাবি করে মানববন্ধন করে। সেইসাথে প্রক্টর স্যারের সাথে দেখা করলে প্রক্টর স্যার ছাত্রছাত্রীদের মামলা করার আশ্বাস দেন এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক স্যারের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান।

ছাত্রদের দাবি তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট বাতিল করা হোক পাশাপাশি সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক। এরকম উন্মাদ মানুষ যখন দেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন তখন দেশের লাভের জায়গায় ক্ষতি হয়ার সম্ভাবনাই বেশী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটা একটা জাতির প্রাণ। পৃথিবীতে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যা একটা দেশের জন্মে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। দেশের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য আর বাংলাদেশের ঐতিহ্য ভিন্ন নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানেই বাংলাদেশের আরেক রূপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিং এ এক নম্বর নয়, কিন্তু বাংলাদেশীর সবার মনের র‍্যাঙ্কিং এ এক নম্বর।

আর সামান্য একজন মানুষ তিনি কিনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন! আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, প্রশাসন, শিক্ষক, দেশের জনগণ এটা মুখ বুজে সহ্য করবে?

-অসম্ভব।

তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এমন শাস্তি যাতে আর কোনদিন কোন সুশান্ত পাল বা অন্য কোন হরিপাল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কোন মনগড়া কথা না বলতে পারে। শাস্তি কিন্তু কোন প্রতিশোধ নয়, শাস্তি হল একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন। এবার যদি কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন না হয়, তাহলে হয়তো এরকম হাজার হাজার সুশান্ত পাল জন্ম নেবে। যারা যেই প্লেটে খাবে, সেই প্লেটেই মলত্যাগ করবে। এদের মধ্যে কয়েকজন হয়তো দেশের খেয়ে বিদেশের দালালি করবে, দেশের দুর্নাম রটাবে।

এদের তারটা শুরুতেই কেটে দেয়া ভালো না?

এ বিষয়ে আরও নিউজ পড়তে এখানে দেখুন
সুশান্ত পালকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলো ঢাবি শিক্ষার্থীরা
সুশান্ত পাল বিষয়ে হার্ডলাইনে ঢাবি
সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে ঢাবি প্রশাসন
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর
মানববন্ধনের ভিডিও

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫২

কালীদাস বলেছেন: এই লোকের বক্তব্যটা প্রায় পুরাটাই ফালতু, বিশেষত ঢাকা ভার্সিটিতে র‌্যাগ আছে খানিকটা, তবে সেটা এত ভয়ংকর না যেভাবে মার্ক করা হয়েছে। আবার এইটা নিয়া এত জ্বালাওপোড়াও আন্দোলনের কোন কারণও দেখছি না যতটা হচ্ছে। আপনি নিজেও আবেগাক্রান্ত হয়ে গেছেন, গত ছাব্বিশ বছরে খেলার মাঠে একবার আর্মি পেটানো ছাড়া দেশের কোনকিছুতেই কোন মাইলফলক টাইপের দৃষ্টান্ত রাখিনি আমরা। একটা ইউনিভার্সিটি ১০০ বছর হয়ে যাচ্ছে, এখনও শিক্ষা বা গবেষণায় অনেক পিছিয়ে যতটুকু আগানো উচিত ছিল। দুই পার্টির পশ্চাদ্দেশে আঙুল ঢুকিয়েই আমাদের বেশির সময় পার করেছি এবং করে যাচ্ছিও।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩১

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: কালীদাস, আপনি বলেছেন ঢাকা ভার্সিটিতে খানিকটা র‌্যাগ আছে, এটা আপনি পুরোপুরি ভুল জানেন। আর আবেগাক্রান্ত না হয়ে উপায় নাই। আপনি কথাকার ছাত্র ছিলেন আমি জানি না কিন্তু ঢাকা ভার্সিটির প্রতি আমাদের আবেগ সত্যিই মাত্রাতিরিক্ত। এবং এটা নিয়ে আমরা গর্ব করি। ঢাবি আমাদের মায়ের মতন। এটা নিয়ে কটু কথায়, কাউকে এক চুলও ছাড় দিবনা। তবে গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। আমি নিজেও জানি গত কয়েক বছর আমাদের ভার্সিটির অর্জন খুব কম। আমরা বাইরের ভার্সিটির সাথে তাল মিলাচ্ছি না। তবে সেতা অন্য আলচনার বিষয়।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৪

ইফতেখার আহমেদ রিয়াদ বলেছেন: লেখাটা মনযোগ দিয়ে পড়লাম। কেন যেন বিশ্বাস হচ্ছেনা।কিন্তু আপনার লেখা গুলাও সত্যি।ওনাকে অন্ধবিশ্বাস করতাম।লেখাটি পড়ে মনে হলো এ যেন অন্য এক সুশান্ত দা কে জানলাম।হয়তোবা মুদ্রার ওপিঠ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩৫

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: মিতা, উনি ভালো বক্তা, বিসিএস নিয়ে উনিই সবচেয়ে ভালো মোটিভেট করেন। সত্য স্বীকার করতে আমার সমস্যা নেই। উনার চরিত্র যে খারাপ সেতা আগেই জানতাম তবে পারসোনাল ব্যাপারে কখনই নাক গলাতে চাইনি। তবে ঢাবি নিয়ে তিনি যা বিলেছেন সেটা আমাদের অস্তিত্তে আঘাতের সমান।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩২

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: এই ব্যাপারটা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু এবার। সুশান্ত পাল নামক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সিরিয়াস্ল পাব্লিক সেন্টিমেন্ট টা অনেকটাই কিউমুলিটিভ, অনেকদিন ধরে একটু একটু জমে থাকা ক্ষোভ, স্লিপারি স্লোপের অপেক্ষায় থাকা, ফাইনালি সুশান্ত সেই স্লিপারি স্লোপে পড়েছে, সেটার রিএকশোন ভয়াবহ হবে সেটাও জানা ছিল।অনলাইনে অফ্লাইনে এই ধরনের কান্ড নতুন না, আগেও হয়েছে, কিন্তু একেবারে মামলা হামলা চাকরি খাওয়াটা বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে।

আর র‍্যাগ নিয়ে বলতে চাই না। বাংলদেশের পাব্লিক প্রাইভেট সব ভার্সিটিতেই ইদানীং যে সিরিয়াস র‍্যাগিং প্রব্লেম হয়েছে শুরু সেটা নিয়ে খোলামেলা কথা বলাটা বিপদ। ঢাবিতে র‍্যাগিং এর চেয়ে হল কেন্দ্রিক পলিটিকাল অত্যাচারটাই বেশি, সেটাকে র‍্যাগিং নাম দিয়ে জেনারেলাইজ করা যাবে কিনা জানি না। খোদ সামুতেই ঢাবির হলের পলিটিকাল কেচ্ছা নিয়ে প্রচুর লেখা এসেছে। ঐ্যে বললাম, এখানে আসলে র‍্যাগিং ইস্যু না, সুশান্ত পালের স্লিপারি স্লোপে পড়ে যাবাটাই ইস্যু

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৪৭

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: পরিবেশবাদী ঈগলপাখ সুশান্তের প্রতি আমার ব্যাক্তিগত কোন ক্ষোভ নেই। সুশান্তকে স্লিপারি স্লপে ফেলে কারো কোন লাভ নাই। আমি নিজে তার সেমিনারে গিয়েছি এবং স্বীকার করি তিনি ভালো বক্তা এবং মোটিভেটর। আমার মাকে নিয়ে কেউ বাজে কথা বললে আমার যেমন খারাপ লাগবে ভার্সিটি নিয়ে বলাতেও তেমন খারাপ লাগছে। আর ভুলের ক্ষমা হয়, অপরাধের ক্ষমা হয় না। সুশান্ত যে অপরাধ করেছে তার জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আর ঢাবি তে যে র‍্যাগিং নেই টা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এই তাহলে কাহিনী। জানলাম আমিও শেষমেশ। এতদিন কানাগলিতে ঘুরতেছিলাম - আসল কাহিনী কি জানার জন্য।

চুয়েটের এক ছাত্রের মতে চুয়েটের প্রায় এক হাজার ছাত্রকে তিনি ফেসবুকে ব্লক করে রেখেছেন। তবে মেয়েরা এক্ষেত্রে যথেষ্ট ছাড় পান।
পুরাই মাটির মানুষ দেখি উনি।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৩

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: সবাই জানতে আগ্রহী ছিল, তাই সবাইকে জানাতেই এই লেখার প্রয়াস। একজন ভদ্র, মার্জিত চেহারার পিছনে যে কি থাকতে পারে সেটাই উন্মোচিত হোল।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
অহংকারে মতিভ্রম! সাধু সাবধান!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৩

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: উনি খুব অহংকারী মানুষ। বিনয়ের বিন্দুমাত্র উনার মাঝে নেই। বিনয় যে কাউকে ছোট করে না বরং বড় করে, এটা মনে হয় উনি জানেন না।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: নিশ্চয়ই ভারতীয় ব্যাকআপ আছে - তা না হলে এতটা বাড় বাড়ার কথা নয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৮

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: দুঃখিত, নির্ঝরের স্বপ্ন। আপনার মন্তব্যটা কাউকে ব্যাঙ্গ করে করলেন নাকি ফান করলেন, বুঝতে পারছি না। তবে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

আমিম এহসান বলেছেন: পরিষ্কার করে অনেক কিছু জানলাম ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৪

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: সবাই জানতে আগ্রহী ছিল, তাই সবাইকে জানাতেই এই লেখার প্রয়াস। একজন ভদ্র, মার্জিত চেহারার পিছনে যে কি থাকতে পারে সেটাই উন্মোচিত হোল।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

আনু মোল্লাহ বলেছেন: সশান্ত যা করেছেন তার বিচার হওয়া উচিত।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৭

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: আজকে সকালে শাহবাগ থানায় এবং জজ কোর্টে মামলা হবে। বিচার হবেই ইনশাল্লাহ।

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে এমন মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়( তবে গঠনমূলক হলে অন্য কথা। কিন্তু এই কথাগুলোতো গঠনমূলক নয়)। যেটি আলো ছড়াচ্ছে প্রায় একশ বছর যাবত। ঢাবি না থাকলে হয়ত আমরা আলো এমনভাবে পেতাম না। এখন যেভাবে পাচ্ছি। আমি ঢাবির স্টুডেন্ট নই। তবুও আপনার আবেগকে সেলুট।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩২

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: স্যালুট আপনাকেও। কারন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সম্মানের পাত্র এক প্রতিষ্ঠানকে আপনি সম্মান দিতে জানেন। আর উনি এখানে এসে হিরো হতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি বলেই রাগের প্রকাশ করলেন। ফলশ্রুতিতে আজ এই অবস্থা।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

মেহেদী রবিন বলেছেন: অবশেষে সুশান্ত পাল সম্পর্কে জানলাম

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৫

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: তার ভদ্র চেহারার আড়ালে কি লুকোনো ছিল, ঘরে বউ রেখে তলে তলে কত মানুষের সাথে কত খারাপ করেছেন সেটাই দেখানর ইচ্ছা ছিল।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখাটিতে আছে এমন কিছু উপাদান যা থেকে বোদ্ধা সকলেই বুঝে নিতে পাররেন নীজের বিবেচনা খাটিয়ে । ঢাকা বিশ্ব বিদ্য়ালয় বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতার ভিতরেও করে যাচ্ছে শিক্ষার আলোদান । নীজের গুনে এর অনেক ছাত্র ছাত্রী ইতিহাসে পেয়েছেন স্থান । এর গৌরব ও মর্যাদা রক্ষা করলে বাড়বে জাতির সন্মান ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪০

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: আলী ভাই, আপনার কবিতাটা অনেক সুন্দর। একজন বুদ্ধি সম্পন্ন লোকই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দিতে জানেন। কিন্তু নিজের দম্ভ প্রকাশ কোর্টে কিছু নিচু মানুষিকটার মানুষ একেও অপমান কোরতে ছাড়ে না।

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২৪

পাউডার বলেছেন:
নিরপেক্ষ বিচার দাবি করি।
এরকম কোন মানুষকে সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে দেখতে চাইনা।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১১

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: সংহতি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০৫

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: লেখক বলেছেন: পরিবেশবাদী ঈগলপাখ সুশান্তের প্রতি আমার ব্যাক্তিগত কোন ক্ষোভ নেই। সুশান্তকে স্লিপারি স্লপে ফেলে কারো কোন লাভ নাই। আমি নিজে তার সেমিনারে গিয়েছি এবং স্বীকার করি তিনি ভালো বক্তা এবং মোটিভেটর। আমার মাকে নিয়ে কেউ বাজে কথা বললে আমার যেমন খারাপ লাগবে ভার্সিটি নিয়ে বলাতেও তেমন খারাপ লাগছে। আর ভুলের ক্ষমা হয়, অপরাধের ক্ষমা হয় না। সুশান্ত যে অপরাধ করেছে তার জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আর ঢাবি তে যে র‍্যাগিং নেই টা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি।[/sb

হা হা হা হা হা। তাহলে বলতে হয় দুনিয়ার অনেক কিছু দেখা এখনো বাকি, অথবা দায়িত্ব বলতে কি বোঝায় সেটা জানার এখনো বাকি আছে। সমস্যা নেই। বয়স আর অভিজ্ঞতা অনেক বড় ফ্যাক্টর এখানে । আপনার ব্লগ পোস্টে ১ম দিকেই আরেকজন অনেক পুরান ব্লগার কমেন্ট করেছেন , উনি ঢাবির। আমি নিজের পরিচয় দিলাম না। তবে ১ম কমেন্টেই যা বলেছিলাম, বিভিন্ন ইউনির র‍্যাগ নিয়ে হালি হালি পোস্ট সামুতেই পাবেন। তাই, "র‍্যাগ হয় না" এই কথাটা বার বার রিপিট না করলেই ভাল, তাহলে আসলেই ক্রেডিবিলিটি নষ্ট হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.