নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেও না দেখার ভান করি, আজ থেকে চলুন তাই দেখি।

রিয়াদ আল সাহাফ

রিয়াদ আল সাহাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন একজন মাস্টার্স ছাত্র সরকারী সুইপার হবে?

১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

কিছুদিন আগে সরকারী চতুর্থ শ্রেণীর কিছু চাকরির পরীক্ষার গার্ড দেয়ার সুযোগ হয়েছিলো। চতুর্থ শ্রেণী বলতে, নার্স মিডওয়াইফ, ড্রাইভার, আয়া, সহকারী বাবুর্চি, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এসব আরকি! চাকরির যোগ্যতা ছিলো হয়তো অষ্টম শ্রেণী পাশ। যারা পরীক্ষা দিতে এসেছিলো তাদের দিকে তাকালেই শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।

তো যখন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পরীক্ষা চলছিলো তখন এক ছেলের দিকে আমার নজর পড়লো। সুন্দর আয়রন করা শার্ট, প্যান্ট ইন করে পরা, চোখে চশমা। বেশ ভদ্র, মার্জিত চেহারা। যথেষ্ট শিক্ষিত বলেই মনে হয়। আমি কোন চাকরিকেই ছোট করছি না, তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলতে কিন্তু সুইপার বা ঝাড়ুদারই বোঝায়। এই ছেলে ঝাড়ুদার পোস্টের জন্য পরীক্ষা দিতে এসেছে আমি ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।

ছেলেটা যখন পরীক্ষা শেষে ওএমআর শীট জমা দিয়ে বের হলো, তখন ওর সাথে কথা বলার একটু কৌতুহল হলো আমার। পেছন থেকে ডাক দিলাম।

- এই যে, একটু দাড়ান। আপনার সাথে একটু কথা আছে।
- জ্বী, স্যার।
- আপনি কি করেন?
- পড়াশোনা করছি পাশাপাশি একটা চাকরি করছি।
- কি চাকরি?
- একটা ক্লিনিকে।
- আর কিসে পড়ছেন?
- ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রিলি মাস্টার্স পড়ছি।
- আপনি মাস্টার্সের ছাত্র তাহলে এই চাকরির পরীক্ষা দিলেন কেন?
- কি করবো, স্যার? সরকারী চাকরি তো হয়না।
- সরকারী চাকরি কি করতেই হবে? অন্য চাকরিতে কি বেতন দেয়না?
- দেয় কিন্তু মানুষ তো শুধু সরকারী চাকরিকে মূল্যায়ন করে।
- তাই বলে মাস্টার্স পাশ এক ছেলে সুইপার হবেন?
- তাহলে আর কি করবো, স্যার?
- দেখেন চাকরি পাওয়া কঠিন আমি জানি। এক বছর, দুই বছর সময় লাগতে পারে। ভালো চাকরির চেষ্টা করেন। হবে ইনশআল্লাহ্। হোক সরকারী বা বেসরকারী।
- ঠিক আছে, স্যার। দোয়া করবেন।
- বেস্ট অব্ লাক।

শুধু এই ছেলেটা না, এরকম আরোও অনেককে দেখেই মনে হলো এরা আর যাই হোক বাবুর্চি বা ঝাড়ুদার পদের জন্য এদের আবেদন করা উচিৎ নয়। গ্র্যাজুয়েট বা পোস্ট- গ্র্যাজুয়েট করা মানুষ, সরকারী চাকরিই করতে হবে। হোক তা সুইপার কিংবা আয়া।

সরকারী চাকরিতে কি মধু আছে, সরকারী চাকরি কি রসগোল্লা আল্লাহ্ই ভালো জানেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

খরতাপ বলেছেন: কারণ, টাকলু নাহিদের দেশে একটা মাস্টার্স ডিগ্রীধারী যুবকের সাথে একটা গাঁও গেরামের অশিক্ষিত চাষার তেমন কোন পার্থক্য নেই।

২| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: রিকশা চালায় কত মানুষে্‌, এনি ত আসছে সরকারি চাক্রির লোভে। মামুর জোর না থাকলে তাও পাবেন না মনে হয়।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি তাকে উৎসাহিত করছি,
একবার ঢুকে পড়েন, দেখবেন লাউয়ের ডগার মতো
তর তর করে উপরে উঠে যাবন। সরকারী চাকুরী এখন
সোনার হরিণ!! একবার ধরতে পারলে আর ঠেকায় কে?

৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের সমাজে তো এখন সরকারি চাকরিজীবিদের ছাড়া আর কাউকে চাকরিজীবি মনে করা হয় না।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রুরু বলেছেন: সরকারী কোন সার্কুলার হলে কম্পিউটারের দোকানের ভীড় দেখার মতো। ইন্টারপাস চাকরীতে গনহারে অনার্স মাস্টার্সরা এপ্লাই করে। যা কিনা পীড়াদায়ক।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভবিষ্যতে আরও খারাপ অবস্থা হবে

৭| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৪

সত্যের ছায়া বলেছেন: দেশটা এখন মগেরমুল্লুক আর মহারাণী ভিক্টোরিয়া মিশেলে চলছে। এই সমস্ত পোলাপাইনের ছাত্র রাজনীতি করা উচিত, যাতে ফুটপাত, বাস-ট্রাক সহ অন্যান্য খাত থেকে কমিশন উঠিয়ে খেতে পারে। অনেকে এ পেশায় ভাল সফলতা দেখাচ্ছে।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনাকে উনি সত্যি স্যার বলেছে বলে মনে হয় না। আপনি কে?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৭

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: আমি কে সেটা কি ব্লগটাতে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ? তবে আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে সেখানে আমি পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্বে ছিলাম।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মধু না থাকলে কী বন্দরের দারোয়ান হওয়ার জন্য ৮ লাখ টাকা কন্ট্রাক্ট করে মাস্টার্স পাস ছেলে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.