নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেও না দেখার ভান করি, আজ থেকে চলুন তাই দেখি।

রিয়াদ আল সাহাফ

রিয়াদ আল সাহাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বাবা

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪২

ছোটবেলায় আব্বার সাথে সেলুনে যেতাম চুল কাটাতে। আব্বা আমাকে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে পত্রিকা পড়তেন। সেলুনে বড়দের চেয়ারে ছোটদের বসিয়ে তো আর চুল কাটা যায় না, তাই সেলুনের লোকটা একটা টুল চেয়ারের উপর বসিয়ে তার উপর ছোটদের বসিয়ে চুল কাটতেন। আমি পিচ্চি ছিলাম, তবুও ওখানে বসতে খুব লজ্জা লাগতো। ভাবতাম কবে বড় হবো, একেবারে রিভল্ভিং চেয়ারে বসে চুল কাটাবো।

আব্বা নাপিতকে বলতেন, "এমনভাবে চুল কাটবা যাতে চিমটি দিয়ে ধরা না যায়।" নাপিতও আব্বার কথামতো একেবারে কদমফুলের মতো চুল কেটে দিতো। খুব বিরক্ত হতাম। কবে বড় হবো, একা একা চুল কাটাতে আসতে পারবো। চুলকাটা শেষে চকলেট ফকলেট কিছু একটা খেতে খেতে বাসায় আসতাম।

আরেকটু বড় হবার পর আব্বার সাথে চুল কাটাতে যাওয়ায় বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম। আব্বাও মেনে নিলেন। একা একা চুল কাটাতে যাওয়া শুরু করলাম। নিজের ইচ্ছামতোন স্টাইল করে বড় বড় করে চুল কাটাতাম। আমার হেয়ার স্টাইল আব্বার কখনোই পছন্দ হতো না। বলতেন, "চুল তো মনে হয় কাটাসনি। সেধে সেধে নাপিতকে টাকা দিয়ে আসলি। দেখাও তো যাচ্ছে চোরের মতো।"

আমার হেয়ার স্টাইল আব্বার কখনোই পছন্দ ছিলোনা। চুল কাটিয়ে আসলেই চিল্লাচিল্লি করতেন। আমি অবশ্য কখনোই পাত্তা দিতাম না। আব্বা বলতেন, "দুপুরের পর আমার সাথে আবার সেলুনে যাবি। আমি নিজে দাড়িয়ে থেকে চুল কাটিয়ে আনবো।" কে শুনে কার কথা।

হঠাৎ করেই বড় হয়ে গেলাম। আব্বা আর চুল কাটাতে সেলুনে নিয়ে যান না, ঈদের শপিং করতে মার্কেটে নিয়ে যান না। একা একাই সব করি। ছোটবেলা থেকে বহু আরাধ্য বড় হওয়াটা আর ভালো লাগে না। আব্বার তর্জনি ধরে দোকানে গিয়ে চকলেট খেতে ইচ্ছে করে। আব্বার কাছে বায়না ধরে মার্কেটে যেতে ইচ্ছে করে।

একটু বড় হবার পর একা একাই মার্কেটে যাওয়া শুরু করলাম। শার্ট কিনে আনার পর ১,৭০০ টাকা দাম দেখে আব্বা অবাক হন। তারপর আমার অন্য শার্টগুলো একদিন ধুয়ে দিয়েছি। আব্বা আমার কাছে দাম জানতে চান। আমি দাম বলি। কোনোটা ২,০০০ টাকা, কোনোটা ১,৫০০ কোনোটা আবার ৭০০ টাকা। আব্বা আমাকে দুষ্টুমি করে বলেন, "না না আমার ছেলে হয়ে তুই ৭০০ টাকার শার্ট পরবি! এটা তো মানা যায় না।" আলমারি খুলে নিজের শার্টগুলো আমাকে দেখান। কোনটার দামই ৫০০ টাকার বেশি না।

আমি ভাবি আমাদের বাবারা ৫০০ টাকার শার্ট পরেন বলেই আমরা সন্তানেরা ২,০০০ টাকার শার্ট পরতে পারি। আব্বাকে দেখেছি এক পাঞ্জাবি-পায়জামা দিয়ে বছরের পর বছর ঈদ চালিয়ে দিতেন। শপিং এ গিয়ে ব্যাগভর্তি নিজেদের ড্রেস কিনে খুশিতে ডগমগ হয়ে বাসায় ফিরতাম। বছরের পর বছর কখনো খেয়াল করে দেখা হয়নি যে, আমাদের আনন্দ দেখে মিটিমিটি হাসা লোকটা গত দুবছর কোনো ঈদেই কিছু কিনেননি।

ভার্সিটিতে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময় টিউশনি করে কিছু টাকা হয়েছে। মার্কেটে গিয়ে নিজের জন্য চার-পাঁচটা ড্রেসের পর আব্বার জন্য একটা শার্ট কিনে ফেললাম। সেই শার্ট পেয়ে আমার বুড়ো বাবা বাচ্চাদের মতো খুশি হয়ে গেলেন। বাসায় মামা, খালা, প্রতিবেশি যেই আসেন শব্দ করে চা খেতে খেতে শার্টটা বের করে দেখান। হাসতে হাসতে বলেন, আমার ছেলে আমার জন্য কিনে এনেছে। আমার লজ্জা লাগে। আমি আব্বাকে আড়ালে ডেকে সবাইকে শার্ট দেখানোর জন্য বকা দেই। শব্দ করে চা খাওয়ার জন্য বকা দেই। আব্বা বকা খেয়েও হাসেন।

আমাদের ভাইবোনদের নিয়ে আব্বার খুব গর্ব ছিলো। গর্ব করে বলতেন, কয়জন বাবার ভাগ্যে এমন ছেলেমেয়ে জোটে! আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলাম আব্বাকে ফোন করে জানাতেই আব্বা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিলেন, "আমার ছেলে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাইছে! আমার ছেলে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাইছে!" উনার খেয়ালই ছিলো না যে উনি তখন পাবলিক বাসে।

আব্বা ছিলেন খুব পরিপাটি আর সৌখিন মানুষ। মোটেও আমার মতো অগোছালো না। উনার বিছানা থাকতো সবসময় টানটান করা। কাপড়-চোপড়গুলো সবসময় ইস্ত্রি করা, সাদা কাপড়গুলো পরিমিত পরিমান নীল দেয়া। উনার চলাফেরায়, কথাবার্তায় কখনোই মনে হতো না, তিনি একজন গ্রামের মানুষ। উনি ছিলেন পাকিস্তান আমলের ডিগ্রি পাশ মানুষ। কিন্তু উনার ইংরেজি কথার যা উচ্চারণ, যে স্পিড, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এমবিএ করেও আমার দ্বারা তা সম্ভব না।

আব্বার খুব শখ দেখবেন যে, আমি বিরাট বড় অফিসার হলে আমাকে দেখতে কেমন দেখায়। মধ্যবিত্ত পরিবারে হঠাৎ করে দশ-বারো হাজার টাকা ম্যানেজ করা খুব কঠিন। তবু তিনি আমাকে কমপ্লিট বানিয়ে দিলেন। বললেন, লাল টাই পরবি। লাল টাইয়ে সুন্দর লাগে। আমি কমপ্লিট বানালাম, লাল টাই কিনলাম কিন্তু কোন উপলক্ষ্য না পাওয়ায় পরে আব্বাকে দেখানো হয়না। আব্বাকে ছবি দেখাই। তা দেখেই আব্বার চোখে-মুখে তৃপ্তি দেখতে পাই।

শেষের দিকে আব্বা কিছুটা আস্থির হয়ে উঠলেন। বারডেম হাসপাতালে ভর্তি। যার সাথে দেখা হয় তার সাথেই আফসোস করেন, "আমি কি আমার ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত অবস্থায় দেখে যেতে পারবো? ছেলে স্যুট টাই পরে অফিসে যাচ্ছে- এটা কি দেখতে পারবো?" আমি বলি, "অবশ্যই পারবেন আব্বা। একটা চাকরি পেলেই, ঢাকায় বাসা নিবো। গাড়ি কিনবো। ঢাকায় আপনি আর আমি একসাথে থাকবো। ছোটবেলায় আপনি আমাকে ডেকে সকালে দৌড়াতে বের হতেন। আমি খুব বিরক্ত হতাম। এবার আপনাকে জোড় করে নিয়ে সকালে জগিং এ বের হবো। বুঝতে পারবেন ছোটবেলায় আমাদের কি পরিমান বিরক্ত আপনি করেছেন।" আমার কথা শুনে আব্বা হাসপাতালেই হো হো শব্দ করে হাসেন। আশেপাশের রোগীরা আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকান। বাবা-ছেলের কথোপকথন শুনে তাঁরাও হাসেন। আব্বা বলেন, "যা করার তারাতারি কর। শরীরের যা অবস্থা, সে পর্যন্ত টিকি কিনা সন্দেহ।"

হাসপাতালে আমি আর আব্বা। সারাদিন গল্প করি। দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলা, বিনোদন সব। আব্বা বলেন, "শোন ইন্টারনেটে দেখিস তো, আনোয়ার হোসেনের সিরাজদ্দৌলা সিনেমাটা পাওয়া যায় কিনা। সিনেমহলে গিয়ে এই সিনেমা দেখেছিলাম। আহ! আনোয়ার হোসেনের সে কি ডায়ালগ! আবার দেখতে ইচ্ছা হইছে। ইন্টারনেট থেকে তোর ল্যাপটপে নামিয়ে আনিস।" আমি বলি, "আচ্ছা"।

তারপর আব্বা একটু সুস্থ হলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে গেলাম। কয়েকদিন পর আব্বার ডাক্তার দেখানোর কথা। শরীরটা আবার খারাপ করেছে। টেস্ট করানো হয়েছিলো। সকালে রিপোর্ট নিয়ে হাসপাতাল যাবো। আব্বা আমাকে ডেকে বললেন,

- আমার জমি কি তুই সব চিনিস?
- না।
- কেন? চিনে রাখা উচিৎ না?
- হুম।
- শোন ব্যাংকে কিছু টাকা আছে, নমিনী কিন্তু তুই।
- আচ্ছা।
- তোর আজিজুল কাকার কাছ থেকে একটা লুঙ্গি বাকিতে এনেছিলাম। টাকা দিয়ে দিস।
- আচ্ছা।
- আর জয়নালের ফার্মেসি থেকে বাকিতে ওষুধ আনতাম। একটা খোজ নিস যে কত টাকা। দিয়ে দিস। টাকা বাকি রাখা ভালোনা।
- এসব কথা কেন বলছেন? আপনি সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়ে সব টাকা শোধ করেন।

আব্বা আমার কথার কোনো উত্তর দেননা। নিশ্চুপ থেকে মুচকি হাসেন। আব্বার কথাবার্তা, হেয়ালী হাসি, নিস্তব্ধতা আমার বুকের ভেতর কাঁপন এনে দেয়। অজানা আশঙ্কায় বুকটা দুরুদুরু করে। আমি কিছুটা ভবিষ্যত আঁচ করতে পারি। কাউকে কিছু বুঝতে দেইনা। হয়তো আব্বাও পারছিলেন। কিন্তু তিনিও কাউকে কিছু বুঝতে দিতে চান না। আমি উনাকে সাহস দেই আর উনি সাহস দেন আমাদের।

ততক্ষণে সকাল হয়েছে। আব্বা অনেক অসুস্থ। হাসপাতাল নিতে হবে। ভাইয়া গাড়ি আনতে গেছে। আব্বা আমার আর দোয়েল আপুর কাঁধে ভর দিয়ে বাথরুমে গেলেন, নিজেনিজে ওজু করলেন; আমি শুধু পা ধুইয়ে দিলাম। ফজরের নামাজ পড়লেন। ততক্ষণে গাড়ি চলে এসেছে।

আব্বা আমার আর ভাইয়ার কাঁধে ভর দিয়ে দোতলা থেকে নিচে নামলেন। গাড়িতে বসালাম। গাড়িতে বসাতেই হাত-পা ছেড়ে দিলেন। আমার হাত কাঁপতে লাগলো। আস্তে আস্তে হাতের পালস চেক করলাম, নড়াচড়া নেই। আমি বুকে হাত দিলাম, হৃতপিণ্ডটা স্তব্ধ হয়ে আছে। সাথে সাথে আমার পুরো পৃথিবীটাও স্তব্ধ হয়ে গেলো।

যা হবার তা হয়ে গেছে। সব বুঝতে পেরেও হাসপাতালে নিলাম। তারপরও মনে সংশয়, আমি তো আর ডাক্তার না, আমার ভুল হতে পারে। ডাক্তার প্রেসার মাপলেন, অন্যান্য সব চেক করলেন। আমাকে ডেকে বললেন,

- আপনি রোগীর কী হোন?
- ছেলে।
- অন্য কেউ নেই?
- না। আমাকেই বলুন।

কী হয়েছে তা আমি জানি। কিন্তু মনকে বিশ্বাস করাতে পারছি না। তাই, চাচ্ছিলাম কেউ একজন বলুক। আমি নিজ কানে শুনে বিশ্বাস করতে চাই। ডাক্তার বললেন,

- হি ইজ এক্সপায়ার্ড, অলরেডি।

আমরা এ্যাম্বুলেন্সে বসে আছি। আমার আব্বা নিশ্চুপ শুয়ে আছেন আমার সামনে। রং রুডে এ্যাম্বুলেন্স ছুটে চলছে। যদিও আমাদের বাড়ি ফেরার তাড়া ছিলো না আর। বড়আপু আমেরিকা থেকে বারবার ফোন করছে। সে বাসায় একা। বারবার জিজ্ঞেস করছে, সব ঠিকঠাক তো? একা বাসায় তাকে এ খবর দেয়া ঠিক হবে না। আমি ভাইয়াকে খুঁজি। আপু বলে, "ভাইয়াকে কেনো দরকার? সত্যি করে বল, কী হয়েছে?" আমি গলাটা যথেষ্ট স্বাভাবিক করে বলছি, "ঠিক আছে, ঠিক আছে।" আমার কাছে একটার পর একটা ফোন আসছে। আমি ফোন রিসিভ করতে পারছি না আর। গলাটা ক্রমেই শক্ত হয়ে আসছে।

এখন বাড়িতে যাই, কেউ দেরি করে আসলে বকা দেয়না, রাতে বন্ধুদের আড্ডা থেকে ফিরতে দেরি হলে কেউ একটার পর একটা ফোন করে বিরক্ত করে না, আমার কথাগুলোয় কেউ হেয়ালী উত্তর দেয়না, আমার বকা শুনে কেউ আমার দিকে তাকিয়ে হাসে না, কেউ জগিং করার জন্য সকাল সকাল ডাকে না।
গতকালকে একবছর হলো আব্বা নেই। এখনো আব্বার টানটান পরিস্কার বিছানাটা আছে, আলমারি ভর্তি আব্বার পাঞ্জাবি, শার্ট, সাফারি। কেউ টিভিটায় রেসলিং, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি দেখে না, পাশের রুমে বসে শব্দ করে চা খায় না।

চারদিক খুব শূন্য। ভীষণ একা একা লাগে। মাথার উপর কোনো ছায়া পাই না। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর আনাচে-কানাচে আবেগ ছড়ানো-ছিটানো থাকে। কিন্তু সে আবেগ কখনো প্রকাশ করা হয়না। সঙ্কোচ কিংবা লজ্জায় কোনদিন আব্বার গলা জড়িয়ে ধরে বলা হয়নি,

"আব্বা, আপনাকে অনেক ভালোবাসি।"

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চোঁখের কোনটা কি জলে ভরে উঠলো !!
কেউ দেখেতে পেলে লজ্জা পেতে হবে
তাই সবার অলক্ষ্যে চোঁখটা মুছে নিলাম।
বড্ড মন খারাপকরা স্মৃতিচারণ করলেন,
সকল বাবারাই এমন হয়। বাবা আমি
তোমাকে ব্ড্ড মিস করি। প্রতি রাতে,
ঘুমাবার আগে মা'বাবার জন্য প্রার্থনা করি
আল্লার দরবারে "রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ঈয়ানী সাগিরা।
হে আল্লাহ্‌ আমার মাতা-পিতার প্রতি আপনি সেই ভাবে সদয় হউন,
তাঁরা শৈশবে আমাকে যেমন স্নেহ-মমতা দিয়ে লালন-পালন করেছেন।"

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: সেম আমার কাহিনি।
আমার মনে হতো আপনি আমার ঘটনাই লিখেছেন

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১০

আখেনাটেন বলেছেন: পড়া শেষ করার আগেই দু ফোঁটা জল ঝলে পড়ল। নিজেকে আপনার জায়গায় দাঁড় করিয়ে ঘটনাগুলোকে সাজিয়ে নিলাম। আমার বাবাও ঠিক আপনার বাবার মতোই এভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। নিজে শিক্ষিত ছিলেন না কিন্তু নিজের সবকিছু ঢেলে দিয়েছিলেন ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার পেছনে।

প্রিয়তে রাখলাম। যখনই বাবার কথা মনে হবে পড়ে আরো দুফোঁটা জল ঝরাবো।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

রানা আমান বলেছেন: অসাধারন লেখা । প্রিয়তে রাখলুম।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: পড়ে মনখারাপ হয়ে গেল। প্রার্থনা করি আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.