![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।
“Being a mother is an attitude, not a biological relation.”
“স্নেহ বিহ্বল , করুণা ছলছল
শিয়রে জাগে কার আঁখিরে ।
মিটিল সব ক্ষুধা, সঞ্জীবনী সুধা
এনেছে অশরণ লাগিরে।”
মা... এমন একটি শব্দ, এমন একটি অস্তিত্বের নাম যার সাথে পৃথিবীর আর অন্য কিছুর তুলনা চলে না...পৃথিবীতে এমন কোন মহামূল্যবান জিনিস নাই যার সাথে মায়ের স্নেহের, মমতার, অনুভূতিগুলোর তুলনা করা যায়...An incomparable person with a lot of incomparable characteristics. আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোন কোন মানুষের জন্মদাত্রী মা এবং তাকে পালনের মা ভিন্ন ভিন্ন... এক্ষেত্রে ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়... পালক মায়ের কি অনুভূতি কোন অংশে কম হয় সেই বাচ্চাটার বেলায়?? কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ক্ষেত্র বাদ দিলে সব ক্ষেত্রে কিন্তু তা ঠিক না...মমত্ববোধের দাড়িপাল্লাতে কেউ কারও তুলনায় পিছিয়ে পড়ে থাকতে চায় না...স্নেহ, ভালবাসা পৃথিবীর এই দুর্লভ বস্তুগুলো হয়ত বাবা-মা নামের মানুষের কাছেই বিনা মূল্যে পাওয়া যায়...... আজকের সিনেমা এরকমই একটি ছেলে এবং তার দুই মায়ের কাহিনী, তাদের সম্পর্কের গাঁথা নিয়ে... এক মা জন্মদাত্রী, আর অপর জন পালক। তবে সিনেমার প্লট নিয়ে আলোচনার আগে আবার যথারীতি একটি কবিতা থাকছে---
"জড়ায়ে মায়ের গলা, শিশু কহে আসি,-
“মা, তোমারে কত ভালবাসি!”
“কত ভালবাস ধন?” জননী শুধায়।
“এ-ত।” বলি দুই হাত প্রসারি’ দেখায় ।
“তুমি মা আমারে ভালবাস কতখানি?”
মা বলেন, “মাপ তার আমি নাহি জানি।”
“তবু কতখানি, বল।”
“যতখানি ধরে
তোমার মায়ের বুকে”
“নহে তার পরে?”
“তার বড়ো ভালবাসা পারি না বাসিতে।”
“আমি পারি।” বলে শিশু হাসিতে হাসিতে! "
সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের...ফিনল্যান্ডের এক গ্রামে বাস করে Eero Lahti এবং তার মা-বাবা। তার বাবা ফিনিশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত এবং যুদ্ধে সে তার প্রাণ হারায়। তার বাবার মৃত্যুর পর Eero র মা গভীর বিষাদে আক্রান্ত হয়ে পড়ে... Eero কে নিরাপদ আশ্রয় দানের জন্য সে তাকে ফিনল্যান্ড থেকে সুইডেনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়... Eero র মন তার মাকে ছেড়ে যেতে চায় না...Eero র মা Kristi Lahti , Eero কে জোর করে সুইডেনে পাঠায় এবং আশ্বাস দেয় সে তাকে দেশের ভালো অবস্থা হলে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে... বাবা-হারা একা Eero অচেনা দেশ সুইডেনের এক পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য রওয়ানা দেয়...সুইডেনে প্রত্যন্ত এক গ্রামে তার নতুন আশ্রয় নির্ধারিত হয়... এবং তার আশ্রয় দাতা হিসেবে এগিয়ে আসে Hjalmar Jönsson এবং তার সহধর্মিণী Signe Jönsson. Eero যখন তাদের কাছে যায়, প্রথম দেখাতে Signe র খুব একটা ভালো সাড়া পায় না সে... Signe এরকম যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিনিশ এলাকার শিশুদের পুনর্বাসন কমিটির কাছে মেয়ে শিশুর আশা রেখেছিল... কিন্তু তারা পাঠায় একটি ছেলেকে যার নাম Eero. Signe কিছুটা রাগান্বিত থাকলেও Hjalmar, Eero র প্রতি তার স্নেহ জ্ঞাপন করার কোন অবকাশ বাদ দেয় না... Eero যেন তার নিজ সন্তানের মত... Jönsson পরিবারের সদস্য বলতে রয়েছে তিনজন Hjalmar, Signe এবং Hjalmar এর পিতা-- যে কথা বলতে, শুনতে এবং চলা-ফেরাতে অক্ষম... তাদের পরিবারে চতুর্থ মানুষ হিসেবে আগমন ঘটে Eero র। এরপর চলতে থাকে Eero র জীবনের নতুন অধ্যায়ের...মাঝে মাঝে তার মা Kristi তাকে এবং Signe কে পত্র পাঠাতে থাকে...এভাবে একদিন তার পাওয়া পত্রের পর Signe র দৃষ্টিভঙ্গি Eero র প্রতি বদলে যায় সারা জীবনের মত... সূচনা ঘটে এক নিঃস্বার্থ সম্পর্কের... স্নেহ, ভালবাসা হারানো Eero, Signe র মাঝে তার অন্য মাকে যেন খুঁজে পায়... কি হয় Kristi র? কি কারণে Signe প্রথমে Eero কে সহজে মেনে নিতে পেরেছিল না? নিয়তি Eero র সাথে আবার কি খেলা খেলে? এই সিনেমা শুরু হয়... বুড়ো Eero আর Kristi র কথোপকথন দিয়ে... তার জন্মদাত্রী মাকে তার জীবনের না বলা কিছু কথা শেয়ারের মধ্যে দিয়ে। ১১১ মিনিটের সিনেমাতে খুব কম সংলাপ রয়েছে...প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই নাই... কিন্তু কম কথা বলে, শুধু অভিনয় দিয়ে কিভাবে মানুষের মনে দাগ কাটা যায় এই সিনেমা এবং তার অভিনেতারা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ... ছোট্ট Eero থেকে শুরু করে বুড়ো বয়সের Eero… Kristi থেকে Signe আর Hjalmar…. সবাই অনবদ্য অভিনয়ে মুগ্ধ করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রায় ৭০০০০ ফিনিশ যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকার শিশুদের বিনা স্বার্থে আশ্রয় দিয়েছিল সুইডেন, যেখানে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ তাদের দেশ ছিন্নভিন্ন করেছিল যুদ্ধে...! এই ফিনিশ যুদ্ধ শিশুদের অবস্থার কাহিনী অবলম্বনে Heikki Heitamies, Äideistä parhain নামে একটি উপন্যাস লিখে...এই Heikki Heitamies ও যুদ্ধশিশু ছিল ঠিক Eero র মত... যে সুইডেনে গিয়ে আশ্রয় পায় একটি পরিবারে... অনেকে বলে এই Äideistä parhain উপন্যাসটি Heikki-র নিজের জীবনেরই গল্প!! Heikki র সেই Äideistä parhain উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে Äideistä parhain অথবা Mother of Mine সিনেমাটা। সিনেমাটি ৭৮ তম অস্কারে Best Foreign Language Film Category তে ফিনল্যান্ডের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিল..... অনেকে হয়ত মনে করবে মা-ছেলের এরকম গল্প তো অনেক দেশের অনেক সিনেমাতে দেখেছি... এটাই দেখব কেন? গল্প সবাই বলতে পারে...কিন্তু গল্পকার সবাই হতে পারে না......এই মুভি ঠিক তাই...... The story-telling is phenomenal. কেউ সিনেমা দেখে, কেউ সিনেমার গল্পকে অনুভব করে... এই সিনেমাটা যতটা না দেখার, তার থেকে অনেক বেশি অনুভবের...তবে ফিনিশ এই সিনেমা মনে দাগ উভয়েরই কাটবে গ্যারান্টি...
“Mother of Mine 2005 (Original Title: Äideistä parhain )”
IMDB rating: 7.7/10
Cast: Michael Nyqvist, Topi Majaniemi, Marjaana Maijala, Maria Lundqvist
Genre: Drama/War
Country of Origin: Finland, Sweden
Happy Movie Watching
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
রিকি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
মা নিয়ে উপস্থাপনা ভাল এবং আবেগময় লাগল।
রিভিউতে ++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬
রিকি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
আলোরিকা বলেছেন: অসাধারণ ......আমি মাঝেমাঝে ভাবি যে মা নিজের সন্তানকে এত ভালবাসতে পারে সে কেন অন্যের প্রতি এত নিষ্ঠুর হয়.......তবে কি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মায়ের ভালবাসা আপেক্ষিক ( বিশেষ করে পত্রিকায় যখন শিশু গৃহকর্মীর উপর নির্যাতনের খবর পড়ি) .....মুভিটা এদের জন্য বাধ্যতামূলক করা উচিৎ .....
আমারও একটা কবিতা মনে পড়েছে ....
'আমার মা না হয়ে তুমি আর কারো মা হলে -
ভাবছ তোমায় চিনতেম না যেতেম না ওই কোলে !
................................................'
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
রিকি বলেছেন: কবিতাটা অনেক অনেক সুন্দর আপু । ভালো থাকবেন...ফিডব্যাকের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মুভিটা দেখতে হবে...... অনেকদিন এই জনরার মুভি দেখা হয় না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১
রিকি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: সুন্দর গল্পের মুভি ।।
শেয়ার করার জন্যে শুভেচ্ছা