![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।
গত দুই-তিনদিন ধরে ব্লগে বৈশাখ সম্বলিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করে প্রাণের বৈশাখকে ব্লগার ভাই ও আপুরা নিজেদের বিচক্ষণতায় তুলে ধরেছেন। আমার অভিপ্রায় বেশি কিছু নয়, প্রাণের উৎসব বৈশাখসহ বাঙ্গালীর বিভিন্ন উৎসবে তাদের মনের এক অন্য অংশের ছবি তুলে ধরা। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের বাঙ্গালীর একটি বিশেষ দিক খেয়াল করেছি যা পৃথিবীর আর সব জাতি থেকে আলাদা করে আমাদের...সেটি কি জানেন?? আমাদের মনের রঙ্গিন সত্ত্বা...আমাদের স্বাধীনতার রং রয়েছে, খুশির রং রয়েছে, অনুভূতিগুলোর রং রয়েছে একই সাথে উৎসবগুলোরও রং রয়েছে। বলতে পারবেন পৃথিবীর কোন জাতি স্বাধীনতার রঙে নিজেকে লাল-সবুজে রাঙায় বা বসন্তের বর্ণময়তার প্রকাশ হিসেবে নিজেদের রাঙায় হলুদ-কমলা-সবুজে? কেউ রাঙায় না...। সবাই বিভিন্ন মতবাদ তুলে ধরেছেন পান্তা ইলিশের বা পোশাক সাজসজ্জার- শাড়ি নাকি পাঞ্জাবি, ফতুয়া নাকি কামিজ; বৈশাখের বিষয়ের মধ্যে খাদ্য এবং পোশাকের হাল ফ্যাশন অনেক চর্চিত একটি বিষয়...। কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা কি এটা কিছু সময়ের জন্য হলেও বলতে পারি না... আমরা পৃথিবীর আর সবার থেকে আলাদা কিছু ক্ষেত্রে ।
কাল পহেলা বৈশাখ-- বাচ্চা, বুড়ো, যুবক, যুবতী বৈশাখকে বরণ করবে লাল-সাদার এক অপরূপ সাজে। আমরা বাঙ্গালীরা ছাড়া কিন্তু পাশ্চাত্যের অনেক জায়গায় বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ক্ষণে নববর্ষ হয়ে থাকে...বলতে পারবেন কোন জায়গায় কোন মানুষটি এভাবে লাল-সাদা ভূষণে বছরের একটি ক্ষণকে বরণ করে নেয়?? বরণ বলতে যা বোঝায় তারা সেটি করে না..... বরং তারা celebrate নামের “cheers cheers” করে থাকে! :-< :-< বছরের অন্যান্য দিন কেরোসিন যাক না কেন বছরের প্রথম দিন সবার কাছেই মোটামুটিভাবে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে থাকে। বর্ষ বরণের পর আসে বর্ষা বরণ...পৃথিবীতে মানুষ বর্ষাবরণ প্রথমদিন থেকেই করে ছাতা নিয়ে, আমরা সেটিকেও দুইটি রঙে রাঙিয়েছি—সাদা এবং সবুজ। গ্রীষ্মের গরমের পর প্রকৃতি নিজেকে যেমন সবুজাভ রঙে সজ্জিত করে, আমরা নিজেরাও সেই প্রকৃতিকে কিন্তু নিজের মত করে বরণ করি এই সাদা-সবুজে তাই নয় কি...? পরের দিনগুলো হাতে ছাতা আর পায়ে রাবারের স্যান্ডেল আমাদেরও চলে আসে...!
কিন্তু প্রকৃতিকে নিজেদের একটা অংশ মনে করি কিনা একদিনের জন্য হলেও? এরপর আসে শরৎ বন্দনা... শরতের আকাশের সাথে শ্বেত শুভ্রের যোগসূত্র করা কিন্তু শুধু বাঙ্গালীর পক্ষেই সম্ভব হয়েছে... সাদা-নীল দিয়ে তাই সে তৃতীয় এই ঋতুটিকেও বরণ করে নেয়।
তিনটা ঋতু এবং একটি স্বাধীনতার রং কি যথেষ্ট নয়...আমাদের নিজেকে বিশ্বের দরবারে আলাদা করতে?? অন্যান্য উৎসব গুলো নাহয় বাদই দিলাম...প্রত্যেকটির একেকটি বিশেষত্ব রয়েছে আমাদের বাঙ্গালীদের জীবনে। ইলিশ, পান্তা অথবা নির্দিষ্ট দিনে কোন খাদ্য আমাদের কি প্রতিনিধিত্ব করে? না আমরা আমাদের বিশ্বের দরবারে তুলে ধরি এক অন্য রূপে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে...আমরা অনন্য বাঙ্গালী?
অনেকে কাল সামনাসামনি দেখবেন বা টিভিতে দেখেবেন অথবা পেপারে ছবি দেখবেন বেশ কিছু বিদেশী মানুষ লাল-সাদাতে নিজেদের রাঙিয়ে মানুষের ভেলায় ভেসে যেতে বেরিয়েছে... তারা তো কমলা বা সবুজও পড়তে পারত তাইনা? তারা পর্যন্ত নিজেদের গেঞ্জিটা হলেও লাল পড়বে... অথবা সাদা রঙের জামা গায়ে দিয়ে মাথায় লাল রঙের মঙ্গলশোভা যাত্রার ব্যান্ড বাঁধবে। কারণ তারা জানে ঐতিহ্য টাকা দিয়ে কেনা যায় না...সংস্কৃতি রক্ষার জন্য মানসিকতার দরকার পড়ে এবং যে কোন দেশের সংস্কৃতি অনেক বেশি মুল্যবান হয়ে থাকে। আমাদের যে ঐতিহ্য রয়েছে তা আর কিছু হলেও ফেলনা নয়... এটা সবাই বুঝলেও, আমরা নিজেরাই সেটাকে হেয় বানিয়ে দিই মাঝে মাঝে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে... এক হাতের পাঁচ আঙ্গুলই খারাপ এটা ভাবতে থাকি !!
বছরের অন্যান্য দিন আমরা এক হতে ব্যর্থ হয়, আজকে মতামত মিলে না তো কাল চিন্তা চেতনা নিয়ে দ্বন্ধ...!
বছরের কিছু নির্দিষ্ট দিনে আর কিছু না হলেও আমাদের বহিরাবরণ তো মেলে...কিছুটা হলেও তো একাত্মবোধের অনুভব হয়....আমরা এক, আমরা বিশ্বের আর সবার থেকে আলাদা... আমরা রঙিন বাঙ্গালী।
সবশেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই প্রভাত সঙ্গীত কবিতাটি দিয়ে পোস্টটির ইতি টানতে চাই—
“হৃদয় আজি মোর কেমনে গেল খুলি!
জগৎ আসি সেথা করিছে কোলাকুলি!
ধরায় আছে যত মানুষ শত শত
আসিছে প্রাণে মোর,হাসিছে গলাগলি।
এসেছে সখা সখী বসিয়া চোখাচোখি,
দাঁড়ায়ে মুখোমুখি হাসিছে শিশুগুলি।
এসেছে ভাই বোন পুলকে ভরা মন,
ডাকিছে, "ভাই ভাই' আঁখিতে আঁখি তুলি।
সখারা এল ছুটে, নয়নে তারা ফুটে,
পরানে কথা উঠে-- বচন গেল ভুলি।
সখীরা হাতে হাতে ভ্রমিছে সাথে সাথে,
দোলায় চড়ি তারা করিছে দোলাদুলি।
শিশুরে লয়ে কোলে জননী এল চলে,
বুকেতে চেপে ধরে বলিছে "ঘুমো ঘুমো'।
আনত দু'নয়ানে চাহিয়া মুখপানে
বাছার চাঁদমুখে খেতেছে শত চুমো।
পুলকে পুরে প্রাণ, শিহরে কলেবর,
প্রেমের ডাক শুনি এসেছে চরাচর--
এসেছে রবি শশী,এসেছে কোটি তারা,
ঘুমের শিয়রেতে জাগিয়া থাকে যারা।
পরান পুরে গেল হরষে হল ভোর
জগতে যারা আছে সবাই প্রাণে মোর।
প্রভাত হল যেই কী জানি হল এ কী!
আকাশপানে চাই কী জানি কারে দেখি!
প্রভাতবায়ু বহে কী জানি কী যে কহে,
মরমমাঝে মোর কী জানি কী যে হয়!
এসো হে এসো কাছে সখা হে এসো কাছে--
এসো হে ভাই এসো,বোসো হে প্রাণময়।
পুরব-মেঘমুখে পড়েছে রবিরেখা,
অরুণ-রথ-চূড়া আধেক যায় দেখা।
তরুণ আলো দেখে পাখির কলরব--
মধুর আহা কিবা মধুর মধু সব!
মধুর মধু আলো, মধুর মধু বায়,
মধুর মধু গানে তটিনী বয়ে যায়!
যে দিকে আঁখি চায় সে দিকে চেয়ে থাকে,
যাহারি দেখা পায় তারেই কাছে ডাকে,
নয়ন ডুবে যায় শিশির-আঁখি-ধারে,
হৃদয় ডুবে যায় হরষ-পারাবারে।
আয় রে আয় বায়ু, যা রে যা প্রাণ নিয়ে,
জগৎ-মাঝারেতে দে রে তা প্রসারিয়ে।
ভ্রমিবি বনে বনে, যাইবি দিশে দিশে,
সাগরপারে গিয়ে পুরবে যাবি মিশে।
লইবি পথ হতে পাখির কলতান,
যূথীর মৃদুশ্বাস, মালতীমৃদুবাস--
অমনি তারি সাথে যা রে যা নিয়ে প্রাণ।
পাখির গীতধার ফুলের বাসভার
ছড়াবি পথে পথে হরষে হয়ে ভোর,
অমনি তারি সাথে ছড়াবি প্রাণ মোর।
ধরারে ঘিরি ঘিরি কেবলি যাবি বয়ে
ধরার চারি দিকে প্রাণেরে ছড়াইয়ে।
পেয়েছি এত প্রাণ যতই করি দান
কিছুতে যেন আর ফুরাতে নারি তারে।
আয় রে মেঘ, আয় বারেক নেমে আয়,
কোমল কোলে তুলে আমারে নিয়ে যা রে!
কনক-পাল তুলে বাতাসে দুলে দুলে
ভাসিতে গেছে সাধ আকাশ-পারাবারে।
আকাশ, এসো এসো, ডাকিছ বুঝি ভাই--
গেছি তো তোরি বুকে, আমি তো হেথা নাই।
প্রভাত-আলো-সাথে ছড়ায় প্রাণ মোর,
আমার প্রাণ দিয়ে ভরিব প্রাণ তোর।
ওঠো হে ওঠো রবি,আমারে তুলে লও,
অরুণতরী তব পুরবে ছেড়ে দাও,
আকাশ-পারাবার বুঝি হে পার হবে--
আমারে লও তবে, আমারে লও তবে।
জগৎ আসে প্রাণে, জগতে যায় প্রাণ
জগতে প্রাণে মিলি গাহিছে একি গান!
কে তুমি মহাজ্ঞানী, কে তুমি মহারাজ,
গরবে হেলা করি হেসো না তুমি আজ।
বারেক চেয়ে দেখো আমার মুখপানে--
উঠেছে মাথা মোর মেঘের মাঝখানে,
আপনি আসি উষা শিয়রে বসি ধীরে
অরুণকর দিয়ে মুকুট দেন শিরে,
নিজের গলা হতে কিরণমালা খুলি
দিতেছে রবি-দেব আমার গলে তুলি!
ধূলির ধূলি আমি রয়েছি ধূলি-'পরে,
জেনেছি ভাই বলে জগৎ চরাচরে। ”
শুভ নববর্ষ ১৪২২ সকলকে... বাঙ্গালী সাদা-লালে আবার একটি নতুন বৈশাখকে তাদের প্রাণের উৎসব হিসেবে বরণ করুক... সকলের জন্য অনেক অনেক প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
রিকি বলেছেন: নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা দাদা
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুভ নববর্ষ
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
রিকি বলেছেন: আপুনি নববর্ষের এত এততততত শুভেচ্ছা...
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৮
সাইলেন্ট পেইন বলেছেন: নব বর্ষের শুভেচ্ছা। নতুন বছর ভালো কাটুক।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৩
রিকি বলেছেন: ভাই কানার কিবা দিন কিবা রাত...আমার গত কয়েক বছর যা যাচ্ছে তাকে যাচ্ছেতাই বললেও কম বলা হবে!
কিন্তু সবার জন্য আন্তরিকভাবে সত্যি আমি চাই....বছর সবার যেন ভাল কাটে...আমার মত ইঁদুর কপালে যেন কেউ না হয়
নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
নববর্ষের শুভেচ্ছা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
রিকি বলেছেন: নববর্ষের অনেক অনেককককককককক শুভেচ্ছা
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
শায়মা বলেছেন: শুভ নববর্ষ আপুনি। বাংলা নতুন বছরটা অনেক অনেক আনন্দে কাটাও।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
রিকি বলেছেন: আপুনি নববর্ষের অনেক অনেককককককককক শুভেচ্ছা ....
কিন্তু অন্য বারগুলোর মত এবার নববর্ষের শুরুটায় আমাদের বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত নাক্কারজনক ভাবে হয়েছে.....সব দেখে শুনে মনটা ভালো নাই আপুনি
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
শায়মা বলেছেন: হুম কিন্তু মনটা যদি এতই খারাপ করে ফেলো বা ভেঙ্গে পড়ো তাহলে তো চলবেনা আপুনি। তাহলে তো তাদের উদ্দেশ্যই সফল হবে। কাজেই নো দুঃখ। নব উদ্যোগে প্রস্তুতি গ্রহন করো তারপর আনন্দ নিয়ে ভুলে যাও গ্লানি ভুলে যাও জরা।
আগামী নববর্ষে সাদা লাল শাড়ি আর চুড়ির সাথে হাতে একখানা ঝাঁটাও ফ্যাশন হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। সেই ঝাঁটা কুকুরদের মুখে যদি নাও মারতে পারা যায় তাতেও দুঃখ নেই। নরপশুরা বুঝুক তাদের জন্য ঝাঁটা বা জুতা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
রিকি বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই আপুনি
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
শায়মা বলেছেন: আর আসলেও এই কঠিন জীবনে চলতে গেলে দু একটা মানুষরূপী পশুর সাথে দেখা হবেনা এমন তো গ্যারান্টি নেই তাইনা? আর তাই যত যাই হোক না কেনো পশু মোকাবেলার প্রস্তুতি থাকতে হবে।
এই প্রস্তুতি হবে মনোবলে ও বুদ্ধুিতে। শক্তিতে না হয় কমই হলো একটু।
অশীর চেয়ে মশী বড়ো
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
রিকি বলেছেন: ঝাঁটা আর জুতা ছাড়া উত্সবে তো আর চলার উপায় নাই আপুনি...এখন আসলেই সময় এসেছে নারীকে নিজেই নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে হবে..
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
শায়মা বলেছেন: শুধু তাইনা আমি মনে করি মানুষের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার পরিবার আর এই পারিবারিক শিক্ষা যখন সুষ্ঠ হয়না তখনই মানুষ বড় হয় ঠিকই তবে আর মানুষ হয়ে ওঠে না দিনে দিনে পশুতে পরিনত হয়।
পরিবারের পরে এ্যাকাডেমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতেও মানুষের পুঁথিগত বিদ্যার সাথে সাথে নৈতিকতা শিক্ষার প্রসার বাড়াতে হবে। মোট কথা মেরে ধরে কেটে কুটে শাস্তি দিয়ে কিছুই হবেনা। যতদিন পর্যন্ত মানুষের আত্মসন্মান না বাড়বে নিজের বিবেক না জাগ্রত হবে। ততদিন পশু আচরণ করেও সে ভাববে কৃতিত্ব পূর্ণ আচরন করেছে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
রিকি বলেছেন: যে মূল উদ্যোগ এখন নেয়া অতীব প্রয়োজন হয়ে গেছে....সেটা হল নারী জাতি পুরুষ জাতি পার্থক্য দেখানোটা আগে বন্ধ করতে হবে..উভয়েই মানুষ, আঙ্গিক দিক দিয়ে ভিন্নতা সব থেকে বড় ভিন্নতা নয় এবং এই উদ্যোগটা পরিবার থেকেই নিতে হবে. একটা ফারাক তৈরী করতে করতে এখন এমন একটা পর্যায়ে জিনিসগুলো চলে এসেছে...নারী বিনা কারণে জাতি ঘোষিত অবলা, অথর্ব...যা খুশি করি কিছু বলবে না ব্যাপার দাঁড়িয়ে গেছে. ক্ষমতায়ন হচ্ছে অমুক হচ্ছে তমুক হচ্ছে এগুলো কি শুধু কাগুজে কথা না....আগে নারী অসূর্যস্পর্শ্যা ছিল এখন সূর্য নারীর দেখা পায়...কিন্তু নারীকে নিয়ে চিন্তার উন্নয়ন কি সত্যিই ঘটেছে?? ঘটেনি...আর এই কারণে চিন্তা ধারার উন্নয়ন অনেক বেশি জরুরী আপু...শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতটুকু হবে জানিনা তবে পরিবার পর্যায়ে এটা ইচ্ছা করলে সম্ভব.
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: নববর্ষের শিরোণাম দেখে পোস্টে ঢুকছিলাম। কিন্তু পোস্টটা পড়ার পর নিরাশ হতে হয়নি। চমৎকার লেগেছে, সেই সাথে কবিতাটাও অসাধারণ!
তবে মন্তব্য গুলো পড়তে গিয়ে এক জায়গায় এসে হাসতে হাসতে একদম শেষ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা।
ঝাঁটা আর জুতা ছাড়া উত্সবে তো আর চলার উপায় নাই আপুনি...
কথাটা হাসির হলেও অনেক সাহসী একটা মন্তব্য কিন্তু? সেইসাথে বাস্তবটাও উঠে এসেছে!
ভাল থাকবেন এবং শুভ কামনা জানবেন!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
রিকি বলেছেন: আপনি কোন আমলের সব পোস্ট খুঁজে বের করছেন ভাই??? এটা খেয়ালবশে লিখেছিলাম। সাহসী বক্তব্য না, বর্তমান পরিস্থিতি তাই। কালকে একটা অ্যাড দেখলাম ইভটিজিং প্রতিরোধের, ভীষণ ভালো লেগেছে।
ইভটিজার দুইটা মেয়েকে রাস্তায় ধরেছে, এখন একটা মেয়ে বলে 'ভাই আমি কখনও ইভটিজারদের সাথে সেলফি তুলিনি, আসেন ভাই দুইটা ছবি তুলি', এবার ক্যালাতে ক্যালাতে ইভটিজার ছবি তুলে---মেয়েটা ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে লেখে, এই দেখেন যৌন অপরাধী আমার পাশে, এদের যেখানেই দেখবেন ধোলাই দিবেন (এরকম কিছু) !!!! বাস্তবতা তো এরকমই হয়ে গেছে না??
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
সাহসী সন্তান বলেছেন: কন কি? আপনার কথা শুনে তো আশ্চার্য হয়ে গেলাম!
আপনার কথাতে ভারতীয় বিন্দাস সিনেমার একটা ডায়ালগের কথা মনে পড়ে গেল। এইযে প্রতিদিন শিয়ালে মুরগি ধরে বলে আমরা সব সময় শিয়ালকে দোষারোপ করি। আসলে সব সময় কিন্তু শিয়ালের দোষ থাকেনা? মাঝে মাঝে মুরগিরও দোষ থাকে!
তবে আসলে বাস্তবতা এটাই! আর সেজন্য আমাদের সকলকেই সচেতন হওয়াটা একান্ত জরুরি!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০
রিকি বলেছেন: সব শেয়াল যেমন মুরগি খায় না, তেমন সব মুরগি ডেসপারেট ও হয় না---পার্থক্য আছে, থাকবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখাটা মূখ্য বলে ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি আমি।
১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি কোন আমলের সব পোস্ট খুঁজে বের করছেন ভাই???
-আমি সামুতে থাকলে মেজরিটি পারসেন্টই পুরানো ব্লগার এবং তাদের পোস্ট গুলোই বেশি পড়ি! তাতে আমি অনেক মজা পাই, এবং পড়তেও অনেক ভাল লাগে। আর সেই প্রেক্ষিতেই আপনার ব্লগে ঘুরতে আসা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
রিকি বলেছেন: ভালো খুঁজে বের করেন আর্কাইভ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২২
সুমন কর বলেছেন: শুভ নববর্ষ !!