![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাণ,প্রকৃতি ও পরিবেশকে ঘিরেই আমাদের পথ চলা । পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় একজন গর্বিত সেচ্ছাসেবী ।
তক্ষক (Tokay gecko)
বৈজ্ঞানিক নামঃ Gecko gecko
Reptilia বা সরীসৃপ পর্বের টিকটিকির মত দেখতে আকারে বড় এই তক্ষক নামের প্রাণীটি। বেশ কিছু বছর হল প্রাণীটি উল্লেখযোগ্য ভাবে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। এর অন্যতম কারণ প্রকাশিত আকর্ষণীয় কিছু শিরোনাম যেমন “কোটি টাকার প্রাণী”। সত্যিই কি প্রাণীটি এত মূল্যবান হতে পারে ? চলুন জেনে নেই এর রহস্য -
তক্ষক দেখতে টিকটিকির মত, আকারে বড় । দেহে ধূসর বর্ণের উপর লাল/নীল/কমলা ফোটার মত দেখা যায়। এরা পুরাতন পরিত্যাক্ত জায়গায় থাকতে বেশী পছন্দ করে। পোকা-মাকড় খেয়ে জীবনধারণ করে। এটি মূলত দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে দেখা যায়। বিশ্বে ৬০০ প্রাজাতির তক্ষক পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে এর ২টি প্রজাতি পাওয়া যায়।
দেশে নিরবে নিভৃতে এখনও তক্ষক নামের প্রাণীটি খুজে যাচ্ছে । কেনই বা করবে না ? একটি তক্ষক পেলেই যে তাদের সব দুঃখ-দূর্দশা শেষ হয়ে যাবে। এক একটি তক্ষক খুজে পেলে সে তো কোটিপতি। কোটিপতি হবার ইচ্ছা কে করে না বলেন ?
তক্ষক নিয়ে কোটি টাকার এ ধারণা বা গুজব যাই বলেন সেটি বুঝতে হলে এর ক্ষেত্রগুলোকে বুঝতে হবে। আসুন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করিঃ
ইন্দোনেশিয়া,মলোশিয়া,চীন ইত্যাদি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোথত এর চাহিদা রয়েছে সত্য তবে এ নয় যে এটির মূল্য কোটি হয়ে যাবে। ইন্দোনেশিয়ায় এটি পোষা হিসাবে বেশী ব্যবহার হয়। তবে এটি মটেও কোটি দিয়ে কেউ কিনবে না কেননা সেখানে এটির ব্রিডিং করে বিক্রি করা হয়।
চায়না/চীন দেশে এর বেশী ব্যবহারের কথা জানা যায়। সে দেশে স্থানীয় কিছু ঔষধ তৈরীতে ব্যবহার হয় যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ঐ আমাদের দেশের জোকের তেলের মত। আপনি ভাবেন এজন্য কি এর মূল্য কোটি টাকা হতে পারে ? কেউ আপনার কাছে কোটি টাকায় জোকের তেল বিক্রয় করতে চাইলে কি আপনি কিনবেন ?
তক্ষক প্রাণীটির কোটি টাকা মূল্যের এই গুজবের কারণ হিসাবে TRAFFIC(the wildlife trade monitoring network) তক্ষক এর মতে তক্ষক দিয়ে নাকি এইডস(AIDS) এর ঔষধ তৈরী করা যায়। TRAFFIC এর রির্পোট এবং গবেষকদের মতে তা ভিত্তিহীন। অথ্যাৎ এটিও গুজব।
এখন কিছুটা হলেও বুঝতেই পারছেন তক্ষকের কোটি টাকার মূল্য হওয়ার পিছনে কোনো বিশেষ কারণ নেই। তবে কোটি টাকার গুজবের পিছনে কিছু তো কারণ অবশ্যই আছে। গবেষণা বলছে, স্থাণীয় ঐসব চাহিদা পূরণের জন্য বন্যপ্রাণী পাচাঁরকারী চক্র এই গুজব বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়েছে। সুতরাং কোটি টাকার তক্ষক শুধুই গুজব। সবার কাছে আকূল আবেদন গুজবে কান না দিয়ে আমাদের দেশের এই সম্পদকে রক্ষা করি।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
বায়ো রিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ । চেষ্টা করবো তথ্যবহুল লেখা দেয়ার ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি। বিশেষত প্রাণিটি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণার অবসান করানোর জন্য। পোস্টে লাইক।
শুভকামনা জানবেন।